এক কালুয়া আর এক কালুয়াকে অস্কার হলিউডে চড় কষিয়েছে। সেই নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড। ছি ছি কী লজ্জা! ... ...
- কোনো ক্রাইসিস পিরিয়ডে ঘুম থেকে উঠে, আগে ভাত আর ডাল বসিয়ে দিতে হয় জানোনা। তুমি তো অনেকক্ষণ উঠেছো। ডালটা সিটি দেওয়া থাকলে, তাতে ডুবিয়েও তো সবাই পাঁউরুটি খেতে পারতো। তিনটে অসুস্থ, দুটো সুস্থ মানুষ খাবে কী এখন। ঘড়িতে সকাল দশটা বাজতে যায়? কর্তা দেখলাম জুৎসই উত্তর হাতড়াচ্ছেন। এমন সময় রান্নার মেয়েটি ঘর থেকে বেরোলো, আর বাংলার পাঁচ, ছয়, সাত সবরকম মুখ করে চাল ধুতে শুরু করলো। সহোদরাও বেরিয়ে পড়লো। আমাদের ঘরে তো আর অ্যাটাচড বাথ নেই। আর পতিদেব সুযোগ বুঝে - 'ওরে বাবা, চারদিকে করোনা বেরিয়ে পড়েছে, মাস্ক আমার মা - স্ক' - এই বলে এক লাফে বেডরুমে ঢুকে পড়লেন। আমি দাঁত কিড়মিড় করে ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলাম, কর্তা একেবারে কম্বলের তলায় ঢুকে পড়েছে আর দুটো চোখ বার করে দেখছে, আমি তাকে দেখছি কিনা। যেই আমি তাকিয়েছি, দেখি মুখে একটা অসহায় হাসি, এদিকে কম্বল থেকে একটা পা বার করে নাচাচ্ছে - পা দেখিয়ে আমায় রাগাচ্ছে। কী আর করি। পাত্তা দিলাম না। কিন্তু বুঝলাম মাটন স্টুটা আমাকেই রাঁধতে হবে। একমনে মহা করোনাঞ্জয় মন্ত্র আওড়ালাম - "মাটোন আমার কাঁটোন সই উনুনের ঝিক। রাম করোনা বুকে আছে পারবো আমি ঠিক।" ... ...
নিউজফিড ঘাঁটতে ঘাঁটতে বর্তমানের ফেমাস সিঙ্গার, মেয়েদের ক্রাশ মাঈনুল আহসান নোবেলের একটা ছবি হঠাৎ সামনে চলে এলো। ছবিটা দেখামাত্র আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটা শিহরণ বয়ে গেল। ইউরেকা! পেয়েছি! আমার জীবনসঙ্গী,আমার বাচ্চার বাপ, আমার নাতি-পুতির দাদা। সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম অতীত,বর্তমান,ভুত ভবিষ্যত সব ভুলে গিয়ে আমি নোবেলকেই বিয়ে করবো। প্রথম প্রথম পরিবার মানবে না...ইয়ে মানে, নোবেলকে রাজি করানোটাও একটা সমস্যা! তবে ব্যাপার না! আমি রোমান্টিক রোমান্টিক কবিতা লিখে ওর পেজে মেসেজ করে দেবো। ... ...
গতকাল হাঙ্গেরিতে ভিকতর অরবান এবং সার্বিয়াতে আলেকজান্দার ভুচিচ যথাক্রমে প্রধান মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেন। এই সেই অরবান যিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সকল আইনকে কলা দেখিয়ে আপন রাজনীতি করেন। আলেকজান্দার ভুচিচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন স্যাঙ্কশনের বিরোধী , যদিও তিনি ইতিমধ্যে ই উ তে ভর্তি হবার দরখাস্ত করেছেন। তাঁর মতে এ দুটি স্বতন্ত্র ব্যাপার। এঁরা শ্রী পুতিনের প্রিয়জন - তিনি দুজনকেই আজ সকালে আশীর্বাদ জানিয়েছেন। তারতুর ক্রিসটা, কাউনাসের এভেলিনার কাছে শুনি আগামী মে মাসের ন তারিখে একটি সংঘর্ষের বিপুল সম্ভাবনা। সোভিয়েত আমল থেকে প্রতিবছর সেই দিনটি পালিত হয় মহান দেশপ্রেমিক জনযুদ্ধের বিজয় দিবস রূপে। ইউক্রেনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বালটিক দেশগুলির সরকার এই দিবসটিকে পূর্ণ সমারোহে উদযাপন করার অনুমতি নাও দিতে পারেন। তখন কি হবে? রাশিয়ানরা প্রবল বিক্রমে পথে নামবেন ইউক্রেনে যুদ্ধের সমর্থনে। এই জল তরঙ্গকে রুধিবে কে? ... ...
স্যাক্রামেন্টো আর শ্রীলঙ্কা ধরনের ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। এখানে বন্দুকবাজি ও প্রকাশ্য রাস্তায় হত্যা। ওখানে অর্থনৈতিক মহাসঙ্কট এবং অদৃশ্য গণহত্যা। ... ...
চোখ বন্ধ করে ভাবি এই রাতের অন্ধকারে ট্রেন ভর্তি বাবা মায়েরা শিশুদের নিয়ে মুক্তির সন্ধানে দীর্ঘ যাত্রায় চলেছেন। লভিভ পৌঁছুলে বাবা ফিরে যাবেন পূব দিকের কোন শহরে গ্রামে যেখানে তাঁদের সুখের সংসার চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে আছে। ছোট মেয়ে হয়তো বলবে, বাবা কখন আসবে গো? ছটা একুশে? ... ...
আমাদের গ্রামে যে সব ইউক্রেনিয়ান পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হবে তাঁদের আজ এক লম্বা প্রশ্নোত্তরের ফর্ম ভর্তি করতে হচ্ছে – এই সব শিশু এবং তাঁদের মাতারা যে সন্ত্রাসবাদী বা অলিগারকের সন্ততি নন সেটি প্রথমে প্রমাণ করতে হবে। এই পদ্ধতির কেতাবি নাম ভেটিং। বিশ বছর আগে চেলসি ক্লাব এবং লন্ডন শহরে একাধিক অট্টালিকা কেনার সময়ে রোমান আব্রামোভিচকে ব্রিটেন কোন প্রশ্ন করে নি। আজ অন্তত মুখরক্ষার্থে ব্রিটিশ সরকার এইসব অপ্রিয় প্রশ্ন করছেন। মিখাইল ফ্রিডমান গত সপ্তাহে লন্ডনে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি নাকি সেই ডাক্তারের ২০০ পাউনডের ফি দিতে পারেন নি – সব টাকা আটকে আছে। ... ...
অথচ বুড়বুড়ি ওঠে। ওঠে তো নিগঘাত, কিন্তু ঠিক কেমনটি ওঠে, কোথায় ওঠে ঠিক ঠাহর করতে পারিনে। ঠিকঠাক ঠাহর করার জিনিসও নয় বটে। বুড়ি চাঁদ বিড়বিড়িয়ে বলে যায়। সুর কি দেখা যায় ?অথচ দেখব বলেই কি বসে নেই সেই কবে থেকে? অপার ফপার হয়ে নয়। অপার হয়ে বসে থাকা কাকে বলে তাই বলে বুঝলুম না আজ অব্দি। না বুঝেই পার পেয়ে গেলে বোঝাবুঝির বোঝা আর কেই বা বয়। তবে পার দেখব বলে বসে থাকা, এটুকু বলা যেতেই পারে।গানের ওপারে যা কিছু দাঁড়িয়ে বা শুয়েবসে। রসেবশে।অথচ রসটাই বশ হলনা ঠিকঠাক। তো, সে ঠিকঠাক আর কোন কাজটাই বা ঠিক করতে ... ...
ব্যতিক্রম বাদ দিলে মোটামুটি এই হলো আমেরিকা। "উই আর দ্য বেস্ট, এন্ড নো কোয়েশ্চেনস অ্যাস্ক্ড।" ... ...
পাহাড়ে শীতের আয়ু দীর্ঘ। আরও একমাস এই পাহাড় পর্বত জনপদ বরফে ঢাকা থাকবে। মঠের সন্ন্যাসী ফাদার সোকা ফাদার সোফিয়ান তাঁবু খাটিয়েছেন, ত্রাণ সামগ্রী যোগাড় করছেন। গিরজের উপাসনায় যোগ দিয়েছেন ইউক্রেনের নারী ও শিশু তাঁরাও অর্থোডক্স। তাঁদের মধ্যে একজন, ইরিনা বাবিচ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। তবু বললেন আজ আমি গিরজেয় পুতিনের স্বাস্থ্য ও সুবিবেচনার আশায় প্রদীপ জ্বালিয়েছি। ... ...
যত বেশি যুদ্ধ, তত বেশি এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স। যত বেশি জেল, তত বেশি সল্ট লেকে জমি। সে নোনা হ্রদ বা নিউ টাউন পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় হতে পারে। ... ...
ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ থেকে আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে? ... ...
দৈনিক ভাস্কর সংবাদপত্র গোষ্ঠীর একটি সিদ্ধান্ত বর্ণ অর্থাৎ পাত্রীর গায়ের রং উল্লেখ থাকলে পাত্র চাই-পাত্রী চাই কলামে সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে না।এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু মানুষ।কারণ আমাদের মতো দেশে ফর্সা পাত্রী খোঁজার প্রথা, অপরাধেরই সমগোত্র।তবে শুধুমাত্র দৈনিক ভাস্কর কেন,একই পদক্ষেপ কেন নেবে না দেশের অন্য সংবাদপত্রও।কেন বন্ধ হবে না এমন বিজ্ঞাপন? ... ...
যে সমস্ত প্রবলেম সলভিং মডেল নিয়ে কাজ করেছি তার মধ্যে সিক্স-সিগমা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত DMAIC খুব কাজের মনে হয়েছে প্ল্যান্ট বা ফিল্ডে প্রয়োগ করতে। D = Define, M = Measure, A = Analuze, I = Improve, C = Control ব্যাপারটা অনেকটা “চক্রাকার পরিবর্তন্তে সুখানি চ সুখানি চ” কেস। দেখা গেছে আমরা অনেক সময় ছাড়াই ‘কনট্রোল’ স্টেপটায়। এই স্টেপটা সিরিয়াসলি না নিয়ে, এক বার কিছুর একটা সমাধান বা আপাত উন্নতি করেই আমরা হাল ছেড়ে দিই। ফলে এই সমগ্র চক্রটায় একটা বিচ্ছেদ চলে আসে। ... ...
এই গাঁয়ে গয়াদীন বলে এক ভদ্রজনের নিবাস। ও যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগের হিসেবে ভারি দক্ষ, কারণ ওর পেশা হোল সুদখোরি। ওর একটা দোকান আছে, তাতে কাপড় কেনাবেচা হয়, আবার টাকাপয়সার লেনদেনের কারোবারও খুব চলে। ঘরে আছে যুবতী মেয়ে, ওর নাম বেলা। আর আছে এক বিধবা বোন। এক বৌ ছিল, যে মরে হেজে গেছে। বেলা মেয়েটি, দেখতে সুন্দর, স্বাস্থ্য ভাল, রামায়ণ আর মায়া-মনোহর কহানিয়া (নবকল্লোল ধরণের পত্রিকা) জাতীয় ম্যাগাজিন পড়ার মত লেখাপড়া জানে। ... ...
মেরি পপিন্স এবং জেমস বন্ড-এর skills গুলোর মিশ্রণে তৈরী কিছু "ninja" ন্যানিদের তৈরী করার গল্প ... ...
আটের দশকে ইউরোপের পক্ষে একজোট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ বৈষম্য বাদী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধ সৃষ্টি করা শক্ত হয়েছিল। মিসেস থ্যাচার বললেন ‘ তাতে করে মূল সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। আমাদের উচিত দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে কথা বলা, আলোচনা করা, তাদের বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করা, স্যাঙ্কশন নয়’। স্বভাবতই তিনি শেল বা ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের ব্যবসার ক্ষতি করতে অনিচ্ছুক ছিলেন।সোয়েতো বা আলেকজান্দ্রার কালো মানুষদের কথা ভেবে কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়। ... ...
...পথে পথে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চোখে পড়ে। এদিক-সেদিক আগুনে পোড়া, ভাঙাচোরা ঘরবাড়ি, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল লাশ আর লাশ। নদীতেও ভাসছিল অসংখ্য মৃতদেহ। পুরো ঢাকা শহর তখন যেনো এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।... ... ...
আরেক শঙ্কিত দেশ ফিনল্যান্ড। তাঁদের অবশ্য বাঙ্কার আছে। খবর পাই সেখানে, বিশেষ করে পূর্ব অঞ্চলে, মানুষজন অস্ত্র সংগ্রহ করছেন। ১৯৩৯ সালের শীতকালীন যুদ্ধে ( উইন্টার ওয়ার) ফিনরা সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণ কেবল ঠেকান নি, কষে কয়েক ঘা দিয়েছিলেন। এবার স্থিতি বেশ জটিল। রাশিয়ান মতিগতির সম্বন্ধে সন্দিহান ফিনল্যান্ড ন্যাটোর দ্বারস্থ হবে – এটি সেই লাল শালু যা দেখলে শ্রী পুতিন উচ্চকিত হয়ে ফিনল্যান্ডে হানা দিতে পারেন। শোনা যাচ্ছে সুইডেনও নিজেকে বিপন্ন বোধ করছে। শিগগির ন্যাটোর দুয়োরে করা নাড়তে পারে। ... ...