ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুলি। যাদবপুর মেয়ে হস্টেল। ... ...
বেচারা সরকার বাবু, গন্ধ সাবান আর কানাই ভ্যারাইটি স্টোর্সের গপ্পো.... ... ...
আত্মঘাত নিয়ে অন্যরকম ভাবনা চিন্তা ... ...
কেন্দ্রীয় সরকারের ধারাবাহিক কণ্ঠরোধের নানান আগ্রাসী প্রয়াস ... ...
ইউরোপের বাগী দেশগুলোকে টাইট দেবার বাসনায় পুতিন খুড়ো গ্যাসের কল খোলা বন্ধ করার খেলাটা খেলে যাচ্ছেন মাস চারেক ধরে। এবার পুরো দশ দিনের জন্য নরডস্ট্রিম পাইপলাইনে কুলুপ লাগালেন - মেরামতির কাজ চলবে বলে । ইতিমধ্যে বুলগারিয়া পোল্যান্ড সহ তিন বালটিক দেশ বলেছে চাই নে তোমার গ্যাস। জ্যাঠার দোকানে যাবো। কিন্তু কিছু দেশ হামলে পড়ে আছে। তাদের গাড়ি সারানো থেকে বানানো জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব কাজে খুড়োর গ্যাস লাগে , নইলে দ্যাশ প্রায় অচল । ইউক্রেনে খুড়ো বিশেষ সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে গ্যাস কিনব না ? এই সব অর্থনীতির আকার এতো বড়ো যে তারা হাঁচলে বাকি ইউরোপের সর্দি লাগার আশঙ্কা । অন্যদিকে গণতন্ত্র , ইউরোপিয়ান ভ্রাতৃত্ব বোধ ইত্যাদি যুক্তির ঠেলায় কতটা কম রাশিয়ান গ্যাসে জীবন যাত্রা নির্বাহ করা যায় তার কসরত শুরু হয়েছে জার্মানিতে। ভু রাজনীতিক ভাবনা বিজ্ঞ জন ভাববেন – আপাতত আম জনতা কি করতে পারে? ... ...
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুলি। যাদবপুর। আশির দশক। ... ...
আমষ্টারডামে শহরে রাজ করে কারা জানেন? যদি ভেবে থাকেন কপি শপের গাঁজাখোররা – তাহলে ভুল ভাবছেন। এই শহরে জুড়ে দাদাগিরি করে বেড়ায় সাইক্লিষ্ট-রা। এদের জন্য রাস্তায় হাঁটা দুষ্কর হয়ে হয়ে ওঠে – ইন্দোনেশীয়ার জাকার্তা শহর যেমন বাইক বা মোপেডের শহর, তেমনই আমষ্টারডাম শহর ভ্যান গগ, রেমব্রান্ট বা আনা ফ্রাঙ্কের নয় – এই শহর সাইকেলের। ... ...
ব্যক্তিগত হোস্টেল জীবন। যাদবপুর। আশির দশক। ... ...
আসলে, পণ্ডিতদের পাণ্ডিত্য প্রদর্শনই যখন মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে ওঠে, তখন সহজ কথাগুলিও অস্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাতে অবশ্যই ষোল আনা লাভ হয় পণ্ডিতদের – মাঝের থেকে, তাঁদের দুর্বোধ্য মধ্যস্থতায় আমাদের মনের মানুষটি অনেক দূরের মানুষ হয়ে পড়েন। বিশ্বের সব ধর্মতত্ত্বেই মধ্যস্থ এই পণ্ডিতরা যদি না আসতেন, সাধারণের জীবনযাপন অনেক রম্য হয়ে উঠতে পারত। ... ...
অতএব দেখা যাচ্ছে, ভগবান যিশুর ভারতবাস যথেষ্ট ঘটনাবহুল। ইজরায়েলের আগেই, তিনি ধর্মপ্রচারের সূচনা করেছিলেন এই ভারতেই, অন্ততঃ বৈশ্য এবং শূদ্র বর্ণের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষদের মধ্যে। যদিও তার ফল হয়েছিল মারাত্মক। ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের বিরুদ্ধে যাওয়াতে তাঁর এদেশেও প্রাণনাশের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর নিজের দেশেই হোক অথবা ভারতে, সব দেশেই পুরোহিত সম্প্রদায় এবং রাজন্যবর্গদের চরিত্র যে একই, ধার্মিক ভারতে এসে অন্ততঃ এটুকু স্পষ্ট উপলব্ধি তাঁর হয়েছিল। ... ...
ইতিহাস ও ধর্মচর্চা করতে করতে খুব ক্লান্ত? তাহলে ছোটদের গল্প (ছো-গ) পড়ুন। ছুটির সময় স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়ানো বিহারি বিষুণদাদাকে মনে আছে? বাঁশের সরু কাঠি দিয়ে বানানো বিশাল ডুগডুগির মতো স্ট্যাণ্ডের ওপর সাজিয়ে বন-কুল, বিলিতি আমড়া, তেঁতুল বা কুলের আচার বেচতেন? আমাদের পছন্দ ছিল, বিট-নুন, কারেন্ট-নুন, আর মিঠে-গুঁড়ি ছেটানো বন-কুল। তার প্রধান কারণ ছিল বৃদ্ধ বিষুণদাদা - আমাদের ছোট্ট হাতের তালুতে একটুস খানি কারেন্ট-নুন ফাউ দিতেন। অবিশ্যি বনকুলের বীজ "ফুঃ" করে বন্ধুর কান টিপ করে ছোঁড়াতে আমি তেমন নাম করতে পারিনি কোনদিন। সেই বনকুল আর সেই ফাউ কারেন্ট-নুনের আমেজ পেতে পড়তে থাকুন "ছো-গ" ... ...
ক্লাসে আমি তখন তিন-চারটে নলওয়ালা চৌবাচ্চার জলে হাবুডুবু খাই। পিতা আর পুত্রের বয়েস গুলিয়ে পুত্রের থেকে পিতার বয়েস কম হিসাব করি। আর যে কোন সরল অঙ্কের সমাধান ২২ পূর্ণ ৩২৮ ভাগ ৮৩৭ করে অংকের মাষ্টারমশাইয়ের কানমলা খাই। ... ...
অতএব ততদিনে “রাজা মানে রাজাই, তাঁর আবার বর্ণ বিচারের প্রয়োজন কি?” এমন ধারণা চলে এসেছে। এটাই হিন্দু ধর্মের লক্ষণ - হিন্দু সমাজে বর্ণভেদ তখনও ছিল, আজও আছে, কিন্তু রাজা, রাষ্ট্রীয় প্রধান, উচ্চবিত্ত এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বর্ণ বিচার করবে কোন নির্বোধ? ... ...
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে চার্চিল ও রুজেভেলটের আশিস মাথায় নিয়ে মহামতি স্টালিন যখন নিজের ইচ্ছেমত ইউরোপিয়ান মানচিত্রে রক্ত বর্ণ সংযোগ করছিলেন তাঁর চোখ পড়ল এই ছোটো দেশটির ওপরে । ওয়াইন ছাড়া তার আর কোন ধন সম্পদ নেই । দুর্জনে বলে তিনি রোমানিয়াকে সোভিয়েত সাম্রাজ্যের অন্তর্গত করতে চেয়েছিলেন । শেষ অবধি মস্কো থেকে কল কাঠি নেড়ে রোমানিয়াকে কুক্ষিগত করেই খুশি রইলেন । বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় এই প্রবাদ বাক্যটির সত্যতা প্রমাণ করার জন্যেই হয়তো আরেক জুতো সেলাইয়ের মিস্ত্রি রোমানিয়াতে আবির্ভূত হলেন সে দেশকে সঠিক পথে চালনা করতে । জর্জিয়ান চর্ম শিল্পীর পুত্রের আত্মা চাউচেসকুকে দেখে নিশ্চয় সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। ... ...
[ তখন ছেলেটি প্রস্তুত হচ্ছে নরেন্দ্রপুরে ভর্তি হবে বলে। সেসবের জন্যে এখানে ওর কোচিং ক্লাস শুরু হয়। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন অলোক দেখে যে ছেলে কোচিং থেকে আগেভাগেই বাড়ি চলে আসে জ্বর আর হাত-পায়ে ব্যথার কারণে। হাত আর পা ফুলে ওঠায় স্থানীয় ডাক্তারবাবুদের শরণাপন্ন হতেই হয়। দুতিনবার ডাক্তার দেখানোর পরেও জ্বর আর কমে না ছেলের। ফোলাটাও বাড়তেই থাকে। এরমধ্যে রাজপুর অঞ্চলের এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি দেখেবুঝে স্টেরয়েড দিতে শুরু করেন।] ... ...