দুর্জনেরা বলে ইদ মানে নাকি আমাদের (কিছু কিছু হিন্দুদের) নিজেদের সেকুলার প্রদর্শন করার দিন। রোজকার যাপনে যতোই মৌলবাদ প্রকাশ করি না কেন, ওই দিন গদ-গদ ভাবে 'ইদ মুবারক' জানিয়ে আমরা সেকুলার সাজি। সে যাই হোক, এর মধ্যে কতোটা সত্যতা আর কতোটা মিথ্যাচার তা নিয়ে নিশ্চয়ই বিতর্ক থাকবে। সে প্রশ্নে যাচ্ছি না।আমার দেখা অনেকেই ধর্মের নামে পশুবলি প্রথার বিরোধিতা করেন। কালী পুজোয় পাঁঠা-বলি নিয়ে অনেক অনেক কথা বলেন। তারা নিজেদের বরাবর সেকুলার হিসেবে দাবি করেন বলেও জানি। কিন্তু এই তাদেরই অনেককে কুরবানির ইদে ... ...
বস্ত্র সংগ্রহের জন্য এপ্রিল মাসে আমাদের গৃহে আগত আনা বললেন শীতের জামা কাপড় তিনি চান না । ততদিন তাঁরা এ দেশে থাকবেন না। রোদিকা জিজ্ঞেস করে , ফিরবেন কোথায় ? তিনি বলেছিলেন , দেশে, আমাদের নিজেদের দেশে। ইউক্রেনের বিশ শতাংশ জমি রাশিয়ান দখলে । বাকি অংশে মাঝে মধ্যে মিসাইল বা পেটো পড়ে – এমন কি দূর তেরনোপিল , ব্রিয়ান্সক, সুমিতে। অনেক বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে জানালা নেই। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না । কিভের কফি হাউস , লভিভের লাইব্রেরি তাদের দরোজা খুলেছে । দেশের বিশাল অংশ শত্রু সৈন্য মুক্ত। লুহান্সক দনেতস্ক ফেরবার কথা অবশ্যই কেউ মনে আনেন না। দনেতস্কের জনসংখ্যা ১৭ লক্ষ থেকে তিন লক্ষে নেমে এসেছে। ... ...
"হয়ে ওঠা" । পুরুষদের সম্পর্কে ভাবা হয় । নারীদের সম্পর্কে নয় কেন ? ... ...
বাংলার বাইরে এখন ... ...
মহিলা কবিরা যা পারেন ... ...
যে কবি নিজে প্রেসে গিয়ে হরফ সাজাতেন, নিজের চাষবাস নিজেই করতেন ... ...
বাঙালি সমালোচকরা কেবল চুল কাটার ধান্দায় থাকেন ! এরকম আলোচনা লিখতে পারেন না কেন ? ... ...
১৮৯৫ সালে মৃত্যুশয্যায় লিখিত উইলে আলফ্রেড নোবেল এই বাসনা প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর মৃত্যুর পরে নিজ জীবৎকালে সঞ্চিত অর্থ ও তা থেকে ভবিষ্যতে অর্জিত সুদ ব্যবহার করে সেই সব মানুষকে যেন পদক ও অর্থ দ্বারা সম্মানিত করা হয় যারা বিগত বছরে পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র , সাহিত্য এবং শান্তির ক্ষেত্রে মহতী কর্ম করেছেন। ১৮৯৬ সালে তিনি দেহ রক্ষা করেন। নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সাল থেকে। নোবেল একসঙ্গে তিন জনের বেশি মানুষকে দেওয়া যায় না – ব্যতিক্রম শান্তি পুরস্কার।প্রায় সত্তর বছর বাদে , ১৬৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সুইডেনের রিকসবাঙ্ক ( পৃথিবীর প্রাচীনতম কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ) তাদের তিনশ বছরের পূর্তি উৎসবে ঘোষণা করেন তাঁরা আলফ্রেড নোবেল পুরস্কার সংস্থাকে কিছু অর্থ দান করবেন । সেই অর্থ ও তার সুদ দিয়ে নোবেল সংস্থা যেন প্রতি বছর এমন মানুষদের নির্বাচিত ও সম্মানিত করেন যারা অর্থনীতিতে কোন বিশেষ অবদান রেখেছেন। আলফ্রেড নোবেলের অর্থ বা অভিলাষে এটির সূচনা হয় নি তাই এই পুরস্কারের সঠিক নাম : আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে প্রদত্ত সভেরিগেস রিকসবাঙ্ক পুরস্কার। ... ...
মনে করা হয় যে শরৎকালের পূর্ণিমায় চাঁদ ষোলো কলায় পূর্ণ হলে অমৃত বর্ষণ করে। অনেক বাড়িতে পায়েস দেওয়া হয় চাঁদকে। তাছাড়া শাশুড়ি বলতেন লক্ষ্মীঠাকুর সারা রাত ঘুরবেন, চাঁদ যদি মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গিয়ে আলো না দেন, তবে তো খুব মুশকিল হয়ে যাবে। চাঁদকে নৈবেদ্য দেওয়ার সময়ে তুলসী গাছকেও পুজো করা হয়। তুলসী নারায়ণের প্রতীক হিসেবে পুজো পান। ... ...
মানুষ কী যে করে চলেছে হাজার বছর................... ... ...
কৌন মাই কা লাল হ্যায় যো মা কা দুধ নহিঁ পিয়া ... ...
পর্বতারোহণের কিংবদন্তী বললে একজনকেই বোঝায়। আজও তাঁর মৃত্যু ও শেষ অভিযান নিয়ে গবেষণা হয়, স্পেকুলেশনেরও অন্ত নেই। ... ...
ব্যাপারটা কী ভীষণ বিপজ্জনক, আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের হাত ধরে মেটা, সম্ভবত ৯০% ভারতীয়ের কাছে পৌঁছে গেছে। এবং নিজেদের এরা বাকস্বাধীনতা, এবং সামাজিক ন্যায়ের ধর্মযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে, যে মতাদর্শে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষকে প্রভাবিত করতেও সক্ষম হয়েছে। যেমন, ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে এরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিয়েছে সামাজিক মাধ্যম থেকে। কিন্তু এখন, এতদিনের সন্দেহের পর, যদি, সত্যিই দেখা যায়, কিছু লোক, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে, গোটা সামাজিক মাধ্যম জুড়েই অতিরিক্ত এবং অপার ক্ষমতা পেয়ে চলেছেন, তাহলে প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, সামাজিক মাধ্যম ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা নয়, বরং নির্দিষ্ট মতাদর্শের প্রচার ও প্রসারে, এবং বাকিদের কণ্ঠরোধ করতেই ব্যস্ত, আর সমস্ত একনায়কের মতো। ইতিপূর্বের সব একনায়কদের সঙ্গে এদের একটাই তফাত, তা হল, এদের হাতে আছে বিপুল ক্ষমতা, যা রোম থেকে চিলে পর্যন্ত, আজ পর্যন্ত কোনো একনায়ক অর্জন করতে পারেননি। ... ...
হিন্দি থেকে অনুবাদ তো ! দেখুন যদি পড়া-টড়া যায় ! ... ...
১৯১৯ এর ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের গুজরানওয়ালাতে (হ্যাঁ, এই জায়গাটি ইদানিং বিলেতের অধুনা বিখ্যাত 'ভারতীয়' প্রধানের পূর্বপুরুষের ভিটের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে) জন্মেছিলেন অমৃতা। চলে গিয়েছিলেন আরেক ৩১ এ, ২০০৫ এ। ঠিক গত পরশু দিনই। ৯৬ বছরের ইমরোজ আজও জীবিত। দিল্লিতে সেই ছোট্ট ফ্ল্যাটের পরিসরে, একান্ত নিজস্ব এক অমৃতাকে ঘিরে বাঁচেন তিনি। কবি -লেখিকা - নারীবাদী আইকন অমৃতা হিসেবে পাঠক-ভক্তের মধ্যে অনির্বাণ রইলেও ইমরোজের সমগ্রতায়, ইমরোজের ফ্ল্যাটের অসংখ্য ছবিতে রয়ে যাওয়া অমৃতা আসলে ছিলেন এক প্রাণবতী ঝর্ণা। যে নির্ঝরের সকল অভিমুখে উপলসম বুক পেতে অনিঃশেষ প্রেম নিয়ে ৭টি দশক ধরে অবিচল হয়ে আছেন ইমরোজ, আজও রোজ…। ... ...
ফিরিয়ে আনলুম 'আবার এসেছি ফিরে' পত্রিকার সম্পাদক মশায়কে যিনি করোনায় মারা গেছেন ... ...
মেঘনাদ সাহা চমৎকৃত বাঘা যতীনের কথা শুনে। এই ফলসার রঙ এবং বাঘের গড়াগড়ি খাওয়া তাঁর পরবর্তী গবেষণা জীবনে অনেক প্রভাব ফেলবে। রঙ এবং তাদের স্পেকট্রাম নিয়ে তাঁর ভলোবাসার শুরু সেই বাঘাদার গল্পের হাত ধরেই বলতে গেলে। এর অনেক পরে নক্ষত্র থেকে বিচ্ছুৎ রশ্মি নিয়ে যে যুগান্তকারী গবেষণা করবেন – কি স্পেকট্রা থেকে কি রঙ জুড়ে আছে সেই সব তিনি ডিকোড করবেন ধীরে ধীরে। এই নিয়ে পরে লিখছি, তবে এটা বলে নিই, সেদিন ফলসার রঙ, ওই যে বেগুনী, বাদামী, হালকা নীল – এই সব মিশে থাকা – এটা তাঁকে এর আকৃষ্ট করেছিল যে রশ্মির মুগ্ধতা থেকে আর বেরুতে পারেন নি। ... ...