দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পরে মার্কিন সাংবাদিক মিল্টন মায়ার গিয়েছিলেন জার্মান মহানগর ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে একটা গ্রামে। উদ্দেশ্য: গ্রামের সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলে বোঝা যে, নাজ়ি পার্টির শাসনে থাকাটা সাধারণ গ্রাম্য জার্মান নাগরিকের চোখে কেমন ছিল। মায়ার সেখানে দশ জন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করেছিলেন, এবং তাঁদের সাথে কথা বলে তাঁদের চিন্তাভাবনা বুঝে দেখার চেষ্টা করেছিলেন। মায়ার আবিষ্কার করেন যে, সেই দশজনের মধ্যে কেবলমাত্র একজন (হ্যাঁ, ঠিক-ই ভাবছেন, মানে মাত্র ১০ শতাংশ) মনে করতেন যে, হিটলারের নাজ়ি পার্টির শাসন ছিল স্বৈরাচারী শাসন। ... ...
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে প্রচারিত 'প্রোনিং' বিষয়ক পরামর্শ - বাংলা অনুবাদ। ... ...
বাঙালি এতকাল ভোটমগ্ন ছিল। ঘুম ভাঙছে এতদিনে! যখন বলা হচ্ছিল, মহারাষ্ট্র দিল্লি গুজরাট মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা ট্রেনের যাত্রী দের সবাইকে অন্তত 'ৱ্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট' করে ট্রেনে ওঠানো হোক, সবাই ভোটধ্যানে ছিলেন। আগেরবারের অভিজ্ঞতা বলছে, একমাস আগে থেকে এবার অন্তত এয়ারপোর্টে টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক হলে এত রোগ ছড়াতে পারত না বাঙলায়। এসব বলতে গিয়ে 'জিঙ্গল বেল আইটি সেল' এর খাতায় নাম তুললেন যারা, তাদের গাল দিন মনের সুখে। শুধু মাথায় রাখুন, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। মাস্ক না - পরে, দূরত্ববিধি না মেনে যারা ঘুরে বেড়িয়েছি যত্রতত্র, দিল্লি বাঙলা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে গেলেন যারা, সঙ্গে আনা বহু স্ট্রেনের করোনা ভাইরাস তাদের অনেককেই রেয়াত করবে না। 'ভাইরাসের স্মৃতি নেই', বিলকুল ঠিক, তবে ভাইরাসটা কিন্ত মানুষ মারতে আসে নি, এসেছে নিজেদের বাঁচাতে। নিজে বাঁচতে মরণকামড় এবারও হয়তো দেবে না, এখনো পর্যন্ত সংক্রমিত মানুষের মৃত্যুহার কুড়ি সালের তুলনায় সামান্য বেশি, খুব বেশি নয়। তবে, এই ঢেউই শেষ নয়, লাইনে আছে আরও অনেক বাস্তুচ্যুত ভাইরাস, গোটা বিশ্ব জুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে একের পর এক স্ট্রেন, কোনটা নবজাতক, কোনটা হাইব্রিড, বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন ভাইরাস নিয়ে কাজ করে চলা বিজ্ঞানীরা। ... ...
আরেকদল বলে চলেছে, সরকার কী করবে? মানুষগুলোই বদ। মানুষগুলোই কোনও কথা শোনে না। তাই তো বটে। রাজনৈতিক প্রচার থেকে কুম্ভমেলা, তাতে তো সরকারের কোনও দায় নেই। যাবতীয় সচেতনতার প্রচার যে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে শূন্যে পৌঁছে গিয়েছিল, তাতে সরকারের দায় নেই। দাবাই ভি আওর কড়াই ভি বলে চলা নেতা মাস্ক না পরে ব্রিগেডে সভা করছে, সরকারের কোনও দায় নেই। কোভিড টাস্কফোর্স যে গত দু-মাস কোনও মিটিং করে নি তাতেও সরকারের দায় নেই। মানুষ যে আজ লকডাউন শব্দটা শুনলে রেগে যাচ্ছে, তাতেও রাষ্ট্রের দায় নেই। অক্সিজেন বিদেশে এক্সপোর্ট হল, সরকারের কোনও দায় নেই। খাদ্য থেকে ওষুধ, কোনও কিছুতেই সুরক্ষা দেওয়ার কোনও দায় রাষ্ট্রের নেই। সব মানুষদের দোষ। এর বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে আছে আরেক যুযুধান পক্ষ। মাস্ক পরতে বললে তারা নিয়ে চলে আসছে গরীব মুটে-মজুরদের অসহায়তার কথা। তারা দুটো কথা ভুলে যাচ্ছে। এক, মহামারীতে সব থেকে বেশি কষ্ট সহ্য করবে ওই নীচেরতলার মানুষগুলোই। যে যত ওপরে, তার চিকিৎসা পাওয়ার সুরক্ষা তত বেশি। দুই, একথা অর্থনীতিতে প্রমাণিত সত্য যে গরীবদের চিকিৎসা ও তৎসংক্রাম্ত আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা কম। ... ...
অনেক দূরের একটি নক্ষত্র, যার আলো আর তাপ সে একদা খুব ভালোবাসতো, আর এখনো সে শীত বুঝলে সেই আলো আর তাপের কাছে ফিরে ফিরে যায়, যদিও অনেক কাল খুব একটা দেখাশোনা নেই। এইমাত্র সেই নক্ষত্রপতনের শব্দ হল। লোকটার মন খারাপ লাগছে। তার বেঁচে থাকার টুকরোটাকরা দিয়ে তাই সে লিখে ফেলছে আবোলতাবোল। সেই সব দিনগুলি-রাতগুলির কথা, যাদের মধ্যে একদা সেই নক্ষত্রের আলো, আগুন আর জলের ছাপ পড়েছিল। ... ...
কাজে লাগে না বলে সাধারণ চাকুরিজীবী মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত যখন নিজের সংস্কৃতিকে বাতিলই করে দিয়েছেন তখন আর ভয় কী? ছেলেমেয়েকে বাংলা বই পড়ানো দূরে থাক, বাংলা টিভি চ্যানেল পর্যন্ত দেখতে বারণ করেছেন। তা কেন্দ্রীয় সরকার আর আপনার হিন্দিভাষী প্রতিবেশীরা যদি বাংলা বলাটুকুও বন্ধ করে দেন, সে তো ভালই, তাই না? আসলে এত দিনে মাথায় ঢুকেছে যে শক্তিশালী জাতিবিদ্বেষী যখন মারতে আসে তখন স্রেফ নামটা দেখেই মারে। ... ...
খাপ পঞ্চায়েত প্রেম, বিয়ে, জাতপাত, নারী বিষয়ক অবস্থান থেকে সরে খানিক অন্য ধারণায় উপনীত হবে কিনা আড্ডা আর সেদিকে গড়ায় না। নওদীপ ঘুম থেকে উঠে আমাদের মাঝে এসে বসে। ওকে নিয়ে ‘সাথী’রা রসিকতা করতে থাকে, ‘হামারে নওদীপ সেলিব্রিটি বন গ্যায়ি।’ সবাই মিলে হো হো হেসে ওঠে। নওদীপ–এর হাসিতে মিশে থাকে লাজুক আভা। ... ...
এটাও বুঝতে হবে যে আমার ১৩৫ কোটির দেশ। প্রতিদিন তার প্রত্যেকটা মানুষকে যদি দিনের শেষে দু-বেলা খাওয়াতে হয় তাহলে আমাকে কোথাও না কোথাও একটা ব্যালেন্স করতে হবে। যদি আপনি বলেন যে ব্যালেন্সটা কী হওয়া উচিত অভিষেক, সত্যি আমার কাছে তার কোনো উত্তর নেই। হয়তো অর্গানিক ফার্মিং একটা বিকল্প কিন্তু শুধু এই অর্গানিক ফার্মিং দিয়ে আমি ১৩৫ কোটি মানুষের মুখে অন্ন কালকেই জোগাতে পারব কি না আমার কাছে উত্তর নেই। তাই অবশ্যই আমাদের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে যারা হয়তো একটা ভালো ভবিষ্যৎ আমাদের উপহার দেবেন। ... ...
হ্যাপি নিউ ইয়ার হ্যাপি নিউ ইয়ার বলতে দু হাজার কুড়ি এসে গেছে। দু হাজার কুড়ির সাথে সাথে ভাইরাস এসেছে। বিদেশের ভাইরাসের খবরে পাত্তা না দিয়ে ফ্লাইটে করে রোগ নিয়ে মানুষদের আসতে দিয়েছে। ঘুরে বেড়াতে দিয়েছে। তারপর হঠাৎ ভয় পেয়েছে সরকার। তাই চব্বিশ ঘণ্টার নোটিসে সারাদেশের ট্রেন বাস রোড সব বন্ধ করে দিয়েছে। সিল করে দিয়েছে সব বর্ডার। দেশে দেশে বর্ডার। রাজ্যে রাজ্যে বর্ডার। ব্যবস্থা করেছে বাইরে বেরোলেই গ্রেপ্তার করার আর দেদার লাঠির বাড়ি মারার। জারি করেছে লকডাউন। মাসের পর মাস জারি করে রেখেছে লকডাউন। রাজ্যে রাজ্যের হাইওয়েতে বর্ডারে এসে জমা হয়েছে লাখে লাখে মানুষ। ট্রাকের মাথায় পাইপের ভেতর জঙ্গলের মাঝে মানুষ দিন কাটিয়েছে। হাজার কিলোমিটার হেঁটেছে। সাইকেল চালিয়েছে । ট্রাংক বাক্স গ্যাস সিলিন্ডার কোদাল ঝুড়ি বালতি বাচ্চা বুড়ো কাঁধে নিয়ে হেঁটেছে। ... ...
ক্ষমতার লোভ বরাবরই ছিল, তার ওপর বড় নেতা আর মন্ত্রী হওয়ার উচ্চাশা তাঁকে নিয়ে গেলো হিন্দু মহাসভায়। তিনি তাঁর ডায়েরিতে লিখছেন যে তৎকালীন সরকারে যোগ দেওয়া তাঁর মত সাচ্চা হিন্দুর পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু দু'বছরের মধ্যেই, ১৯৪১ সালের ১২ই ডিসেম্বর, তিনি ফজলুল হকের মন্ত্রিসভায় যোগদান করলেন অর্থমন্ত্রী হিসেবে। রাজনৈতিক জীবনে বারংবার তাঁর দল বদল করা কিন্তু শ্যামাপ্রসাদের মনের অস্থিরতার পরিচয় দেয়না। বরং উল্টোটাই। অত্যন্ত 'বিচক্ষণতার' সঙ্গে মওকা বুঝে, হাওয়া যেদিকে যাচ্ছে, বিবেক বিসর্জন দিয়ে সেদিকে যেতে তিনি কখনোই পিছপা হননি। ... ...
সাফল্যের ইতিহাস উল্লেখ্য বিষয় হলেও সেই ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা এই প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য নয়। প্রবন্ধের প্রধান উদ্দেশ্য পাঠকদের কাছে এই সত্য পরিবেশন করা যে প্রাণঘাতী জীবাণুর সঙ্গে মানব সভ্যতায় সংঘাত এই প্রথম নয়। একশ বছর আগে ১৯১৮-র আর একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যাকে স্প্যানিশ ফ্লু বলা হয়, এক বছরে প্রায় পাঁচ কোটি (৫০,০০০,০০০)মানুষের প্রাণ হরণ করেছিল। শিশু, বৃদ্ধ, তরুণ, জওয়ান কেউ রেহাই পায়নি ভাইরাসের কবল থেকে। ১৯১৮র ভয়াবহ প্যান্ডেমিকের পর এক শতাব্দী পেরিয়ে গেছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, এবং প্রযুক্তিগত বিদ্যায় অভাবনীয় উন্নতি সত্ত্বেও, স্প্যানিশ ফ্লুএর চেয়ে শতভাগ দুর্বল কোভিড-১৯-এর হাতে এক বছরে সাতাশ লক্ষ (২,৭২০,০০০)মানুষের প্রাণনাশ কি এই প্রমাণ করে যে রক্তপিপাসু প্রকৃতির হাতে মানুষ আজও অসহায়? ... ...
দেশভাগ যেহেতু সংঘটিত হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে, নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষকে লোক বিনিময়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে আসার সুযোগ করে দেওয়া ছিল রাষ্ট্রেরই কর্তব্য। রাষ্ট্র সে কাজ তো করেইনি, উল্টে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তুদের ফেরৎ পাঠানো বা ১৯৫০-এর দাঙ্গার পরেও সে দেশেই তাঁরা যাতে থেকে যান, সেজন্য নেহেরু সরকার দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পাঠিয়ে তাদের নিরস্ত করেছেন। বাংলাভাগের উদ্দেশ্য মেনে নিলে পূর্ববঙ্গের সংখ্যালঘুরা পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক অংশীদার। দীর্ঘদিন কৌশলে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পর, ২০০৩-এ পাকাপোক্ত আইনই করে ফেলা হলো। ... ...
আসামের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা দরকার যে অসমিয়াভাষী জনগণকে আসাম চুক্তির ৬ নং ধারা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাংবিধানিক আইনগত প্রশাসনিক সুরক্ষা দেওয়ার নামে শর্মা কমিটি যে শক্তিশেল প্রয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, তাতে গাঁওপঞ্চায়েত হেকে জেলা পরিষদ, পুরসভা, বিধানসভা, লোকসভা, রাজ্যসভা পর্যন্ত অসমিয়া ভূমিপুত্রদের জন্য ১০০% সংরক্ষণ নিশ্চিত হবে। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ১০০% জীবিকা তাদের জন্য সংরক্ষিত হবে। এ ছাড়া হরিশঙ্কর ব্রহ্ম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সমস্ত জমি কেনাবেচার অধিকার অসমিয়া ভূমিপুত্রদের জন্য ১০০% সংরক্ষণ করা হবে। ... ...
আফগানিস্তানকে সি এ এর আওতায় রাখা হল, কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে হল না, এই বিসদৃশতার পিছনে একটিই কারণ থেকেছে। তা হল, এই আইন ধর্মীয় নিপীড়নের কথা বলেছে, জাতিগত নিপীড়নের কথা বলে নি। ধর্মীয় নিপীড়নের পিছনেও একটি মাত্র ধর্মকে দায়ী করে এই আইনের প্রণয়ন, তা হল ইসলাম। সহজ বাংলায় ইসলাম-বিদ্বেষই এই আইনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। শ্রীলঙ্কান তামিলদের উপেক্ষা করাও সেই কারণে, যে তাঁদের দুর্গতির পিছনে মুসলিম-প্রধান কোনও রাষ্ট্রকে দায়ী করা যায় না। ... ...
২০২০ সালের ছাব্বিশ ফেব্রুয়ারি বুধবার সুখদেব রী শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে জামিনে ছাড়া পেলেন। সুখদেব ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকদয়ের সামনে আমাকে বললেন, “ আপনারা এতোদিন কোথায় ছিলেন ? এখন এসেছেন আমার সঙ্গে কথা বলতে?” ঘর বাড়ি জমি বিক্রি করে 'বিদেশি' হয়েছি, আর এখন এসেছেন আমার সঙ্গে কথা বলতে?” ... ...
উত্তম কুমার সাহা, চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকের একজন। চাকরি যাওয়ার পর অভাবে ছিলেন, তদুপরি ওঁর ৬ বছরের অসুস্থ ছেলের চিকিৎসা করানোর জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছিল। ঋণ-ধার করেও কোনও রকম চালিয়ে গিয়েছেন ছেলের চিকিৎসা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ... ...
গ্রামীণ জীবন ও কৃষি বিষয়ের প্রখ্যাত সাংবাদিক পি সাইনাথ এবং অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশের বক্তব্যের সংক্ষেপিত অনুলিখন, রাইট টু এডুকেশন ফোরামের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করা হল। এই আলোচনাসভাটি গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং মূলত বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক হলেও, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনে যে মতাদর্শের ভূমিকা থাকে তার অবশ্যম্ভাবী উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও, আলোচনাটি, বক্তাদের গুণেই দলীয়, বিশেষত নির্বাচনী রাজনীতির সঙ্গে খুব সম্পর্কিত কিছু হয়ে ওঠেনি। ... ...
মতুয়াদের অসন্তোষ যে বিজেপি দলের বাংলা দখলের পথে সব থেকে বড় অন্তরায় হতে চলেছে এই আশঙ্কা করেই নরেন্দ্র মোদী ওড়াকান্দিতে গিয়ে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি মনে করছেন যে, মতুয়া বিধিমতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারলেই ভারতের মতুয়াদের মধ্যে একটি আলাদা আবেগ সঞ্চারিত হবে এবং মতুয়াদের সামনে রেখে বাংলা দখল সহজ হয়ে যাবে। ... ...
আমার একটা চেষ্টা থাকে, আমার পদ্ধতিতে কিছু বায়ো অর্গানিক বস্তু নষ্ট হলেও, কিছু যাতে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়। কোন কোন মাঠে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করি। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য হল নানা ধরনের ডেটা জেনারেট করা। কোথাও কোন ডেটা নাই, পাঁচবিঘে জমিতে কতটা চুনোমাছ হতে পারে, কেউ বলতে পারে না। পুঁটি, মৈয়ে মাছে কতটা পুষ্টি কী আছে, তার কোন হিসেবও নেই কোথাও। গুণীন চ্যাটার্জি, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী, কিছু কাজ করেছিলেন, কেঁচোর চাষ করেছিলেন, জমির উপকারে লাগবে বলে, ধান মাঠে মাছের চাষ কিছু করেছিলেন। ... ...
কৃষক যে কম দাম পাবে, সেটাকে শুধু তার বিপদ হিসেবে দেখাটাই ভুল। সরষের তেলের দাম, বড় রিটেল প্লেয়াররা যেরকম দাম ঠিক করে দিচ্ছে, সেরকমই চলছে। এসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট এর তালিকা হ্রাস হবার ফলে ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বস্তুটা সরকারি কর্মচারীরা কিসের ভিত্তিতে পাবেন? সেটি উবে যাবে না এরকম কোন গ্যারান্টি নেই। খাদ্য সুরক্ষা কি শুধু ফসল উৎপাদকের লাগে? ... ...