হয়তো নিজেদের অজ্ঞাতেই, আমরা (পদার্থবিদরা) পদার্থবিদ্যা-র পেশাকে, ‘যোগ্যতমের উদ্বর্তন’-এর একটি উদাহরণ হিসেবে দেখি – যে রূপকে সর্বদাই, অনেক লড়াইয়ের পর, সবচেয়ে কেঁদো বাঘটিই জঙ্গলের রাজা হয়ে ওঠে। সেই কারণে, পড়ানোর বা আলাপচারিতার সময়, নিয়োগের সময় এবং সর্বোপরি নিজেদের মাথার মধ্যেই, আমরা পদার্থবিদদের একটি তালিকায় ক্রমানুসারে সাজাই, আর “সর্বোত্তম”-এর সন্ধান করতে থাকি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের বোধ, রাশিবদ্ধ এবং অঙ্কের ভাষায় প্রকাশিত না হচ্ছে, আমাদের শান্তি নেই। স্বভাবতই, পদার্থবিদদের নিয়ে চিন্তা করতে বসেও, আমরা অভ্যাসবশত সেই চিন্তাকে ‘গাণিতিক’ মাপজোকে ফেলি। ঠিক তখনই আমাদের বক্তব্য হয়, “যদি আমাদের সাজানো লিস্টে শ্বেতাঙ্গ পুরুষ প্রার্থী ‘ক’, সংখ্যালঘু প্রার্থী ‘খ’-এর উপরে থাকে, তবে আমরা ‘ক’-কে নিতে বাধ্য, আর সেই কারণেই, ‘বৈচিত্র্যে’র জন্যে আমাদের পক্ষে কিস্যুটি করা সম্ভব নয়!” এর থেকে বড় ভুল কথা আর হয় না! ... ...
গান্ধিজী ১৯৩৫ সালে তাঁর হরিজন পত্রিকায় চকচকে পালিশ করা মিলের চাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কারন ওই চাল খেয়ে ভারতবাসীর স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আজকে তাঁর কথা মিলে গিয়েছে। মধুমেহ রোগ ঘরে ঘরে। অন্যান্য কারণের সঙ্গে আগাছা নাশক গ্লাইফোসেটও দায়ী। বিভিন্ন খাবার ও জলের মাধ্যমে গ্লাইফোসেটের অবশেষ শরীরে প্রবেশ করে এবং ইনসুলিন তৈরির প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দেয়। সেটা মানুষের শরীরের উপর নির্ভর করে। অনেকের শরীরে হয় না বা দেরীতে হয়। তাছাড়া ওই বিষ কিডনির রোগ ও ক্যানসার সৃষ্টি করে। রেললাইনে ও সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। বিষমুক্ত খাবার নিয়ে কেউ সচেতন নয়। ... ...
উচ্চশিক্ষায়তনগুলির ঝকঝকে দেওয়াল, চকচকে আসবাব, ছিমছাম পড়ুয়ার দল। ধূলো ঢোকে না - এমন পরীক্ষাগার, মাছি গলে না - এমন পাহারা। খাওয়া ভাল, হাওয়া ভাল, সবচেয়ে ভাল - পরিবেশ। সত্যিই কি সবই পাউরুটি আর ঝোলাগুড়? ছায়া পড়ে না, আলোকোজ্জ্বল করিডরের কোথাও? মেঘ জমে না - সাজানো ক্যাম্পাসের ওপর? নিঃসীম অন্ধকার নেই কোনো ঝলমলে মুখের আড়ালে? আছে হয়তো - খবরে আসে না। কিল খেয়ে কিল হজম করেন - কখনো ছাত্র, কখনো শিক্ষক। অনুচ্চারিত কোড আছে কোথাও - আর্মি ক্যাম্পসদৃশ। চোখের তলায় পরিশ্রমের কালি দেখা গেলেও, পিঠের বিশাল ডিপ্রেশনের বোঝা অদৃশ্যই থাকে। ঘনঘন নষ্ট হয় একেকটা স্বপ্ন। কদাচিৎ, একটা করে জীবনও শেষ হয়ে যায়। কোথাও তো দরকার, এই গুনগুন, ফিসফাস গুলোর জায়গা হওয়ার? অ্যাকাডেমিয়ার কণ্ঠস্বর অনেক, বক্তব্যও বিভিন্ন - এ সব কথা মনে রেখেই, শুরু হল গুরুর নতুন বিভাগ, "উচ্চশিক্ষার আনাচেকানাচে" ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী - উচ্চশিক্ষার অঙ্গনের যে সব কথা এতদিন জানাতে পারেননি কোথাও - লিখে পাঠান গুরুচণ্ডা৯-তে। নিজের কথা, পাশের কিউবিকলের কথা, পরিবারের লোকের কথা। এমন কাউকে চেনেন - যাঁর আছে এমন অভিজ্ঞতার সঞ্চয়? লিখতে বলুন তাঁদের। সব লেখাই প্রবন্ধ হতে হবে তার মানে নেই। প্রবন্ধ আসুক, অভিজ্ঞতার ভাগাভাগি হোক, বিতর্ক জমুক। ফিসফিসগুলো জোরে শুনতে পাওয়া গেলেই হল। আজকের লেখা - 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' একজন প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতা। ... ...
সাহিত্যে লিখে দেওয়া যত সহজ চলচ্চিত্রে করে ফেলা ততটাই কঠিন। চলচ্চিত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণত ভাঁড়ামোয় পর্যবসিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এব্যাপারটা আমাদের দেশে সত্যজিৎ রায়ের থেকে ভালো আর কেউ বুঝতেন না। এর কারণ শুধুমাত্র এই নয় যে সিনে-টেকনিক বা সিনে-প্রকরণবিদ্যার উপর তাঁর দখল ছিল ঈর্ষণীয়, এর সঙ্গে এটাও সত্যি যে তাঁর আঠাশটি পূর্ণ-দৈর্ঘ্যের ছবির মধ্যে কমবেশি বাইশটিই অন্যের লেখা সাহিত্য থেকে করা! ফলত তুলসীর সহজাত অভিনয় ক্ষমতা ও মৌখিক-দৈহিক বৈশিষ্ট্যকে ব্যবহার করে যতটুকু করা যায় তাই করেছিলেন সত্যজিৎ ... ...
প্রকাশিত হল জয় গোস্বামীর কবিতার বই, 'দগ্ধ'। কবির হাতেই। কবিতার বই কি বলা যায় একে? কবি যেখানে নিজেই বলছেন, "এই ঘটনার পর কবিতা বলে কি কিছু বাকি থাকে নাকি?" ... ...
বাংলা করে বললে, এই রাজ্যের শনির দশা চলছে। একের পর এক গ্রাম মফস্বল থেকে রাজনৈতিক কর্মী বা তার পরিবারের মানুষের হত্যার খবর আসছে। হত্যার বহর বাড়তে বাড়তে ঘরে আগুন দিয়ে গণহত্যার খবরও আমরা দেখতে বাধ্য হলাম, গতকাল, বীরভূমের বগটুই গ্রামে। ... ...
২৪শে অক্টোবর ১৯১৭, দুর্গা পুজোর মহানবমীর দিন আগুন লেগেছিল রায়বাগানের মতিলাল সেনেরবাড়িতে। সেখানেই থাকত রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানির সমস্ত ছবির ফিল্ম। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলভারতের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেনের সারাজীবনের পরিশ্রমের যাবতীয় ফসল। বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছিল এক অবিশ্বাস্য ইতিহাস! পরের এক শতাব্দী জুড়ে মান্যতা এবং প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এক ঐতিহাসিক ভুল তথ্য! না! দাদাসাহেব ফালকে নন! ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রকৃত পথিকৃৎ ছিলেন এক বঙ্গসন্তান। তাঁর নাম হীরালাল সেন। ... ...
অন্যান্য শিল্পীর সঙ্গে জাঁ লুক গোদারের পার্থক্য যে তিনি এতে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন নি। তারঁ নিজের সঙ্গে সিনেমার সম্পর্ককে, ইমেজের সঙ্গে বাস্তবতার সম্পর্ককে, জীবনের সঙ্গে শিল্পের সম্পর্ককে বরাবর প্রশ্ন করে গিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি এই সিনেমা। গোদার নিজেই বলেছেন "এটা ফিল্ম নয়। ফিল্ম করার এক প্রচেষ্টা এবং সেইভাবেই এটা উপস্থাপিত।" এটা কি কোনো গিমিক? তা নয়, আসলে গোদারের মতে শুধু ফিকশন শিল্পীকে বাঞ্চিত স্পেস এবং তাঁর কণ্ঠস্বর দেয় না। এখানেই ফিকশনের অসম্পূর্ণতা। ... ...
ঘনঘন পট পরিবর্তন হচ্ছে দেউচা-পাঁচামিতে। গত বছর নভেম্বর ডিসেম্বর নাগাদ দু-তিনটি স্থানীয় ভাবে গড়ে ওঠা গণ কমিটির নেতৃত্বে আন্দোলন হচ্ছিল। ইতিমধ্যে, জানুয়ারিতে মূলত দেউচার বাইরে, রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় উপস্থিত থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিও, কিছু দেউচার স্থানীয় নেতৃত্বের সাথে মিলে, বীরভূম জমি, জীবন, জীবিকা ও পরিবেশ বাঁচাও মহাসভা গড়ে তোলে। পাল্টা, ওই সিঙ্গুরের ন্যানো বাঁচাও কমিটির মত- ... ...
ফাইনম্যান নাসার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা নিয়ে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট লিখে মতামত দেন, যে এই ভেঙে-পড়া ব্যবস্থা ঠিক না হওয়া অবধি মহাকাশযাত্রা স্থগিত থাকুক। বলেন, “For a successful technology, reality must take precedence over public relations, for nature cannot be fooled”। রজার’স কমিশনের ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও সে রিপোর্ট শেষমেশ প্রকাশ পায়, তবে একেবারে শেষে অ্যাপেন্ডিক্স-এফ হিসেবে। অথচ, থিওকল, বইসজলি আর তাদের সঙ্গীদের সমস্ত সাবধানবাণী ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে, নাসার ম্যানেজমেন্ট উৎক্ষেপণের আগে যে প্রি-লঞ্চ এস্টিমেটটি কষেছিলেন, তাতে বলা ছিল, লঞ্চে শাটল ফেল করার সম্ভাবনা ১০০,০০০এ মাত্র ১ – প্রায় নেই বললেই চলে। তাহলে? ... ...
বিবিধ প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য ও লাভজনক নয় বলে ডেউচা-পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলনের পরিকল্পনা কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড দীর্ঘদিন আগেই পরিত্যাগ করেছিল। নানান পরিকল্পনা ও সেগুলি ভেস্তে যাওয়ার পর ২০১৮-এর সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে আসে ডেউচা-পাঁচামির কোল ব্লক, ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (ডাবলুবিপিডিসিএল) এই ব্লকের মালিকানা পায়। ... ...
চমকে উঠলাম। ওর ঘুম জড়ানো ঘোলা দু’চোখে বিরক্তি রাগ আর ভয় দেখে। যিনি আমাকে নিয়ে গেছিলেন তিনি খানিক ভূমিকা করে রেখেছিলেন মেয়েটি সম্পর্কে। ওর প্রথম কাজে যাওয়া চৌদ্দ বছর বয়সে। ২০০২ সাল। পাড়ার কোনো মেয়ে এই পাড়া থেকে মেয়ে জোগাড় করত। বলেছিল, কাজে যাবি? কাজ আছে। - পাঠাও না কাকা তোমার জামাইয়ের সাথে। খেতে পাবে, পরতে পাবে, মায়না পাবে। ... ...
একটু একটু করে পিছলে যাওয়া মেয়ের স্মৃতি, তারপর শুধু নিশ্ছিদ্র নিকষ আঁধার। একটাই আকুতি শেষ পর্যন্ত: পরিবার টা যেন ভেসে না যায়! সঙ্গে সঙ্গে আমার আরেকটি অনুভূতি হলো, নিজের জীবনে আমি লোকটা protagonist, কিন্তু এই পরিবারের জীবনের চলচ্চিত্রে আমি জীবনের এক অন্ধকার চৌমাথায় দাঁড়িয়ে থাকা এক চরিত্র। এক মহাজাগতিক উইপোকার ঢিপির অজস্র ক্রসরোডের একটা অকিঞ্চিৎকর মোড়ে এই পরিবারের সঙ্গে আমার দেখা। ছোট্ট কোণায় আমার জীবন বেঁচেছি, এদের জীবনও তেমনই আরেক কোণায় চলছে। এদের জীবনের ট্র্যাজেডি এরা সবটা দিয়ে অনুভব করছে, আমি তার খানিকটা পারছি। ... ...
নূতন সোভিয়েত সরকারের জাতি-উচ্ছেদ নীতি কিন্তু পুরোনো জার শাসিত রুশ সাম্রাজ্যেরই ধারাবাহিকতা। ঊনবিংশ শতকেই পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন উচ্ছেদের সূচনা হয়। সেই যুগে রাশিয়ার সামরিক পরিসংখ্যানবিদরা রীতিমত এই নিয়ে গবেষণা করে স্ট্রাটেজি বানাতেন – কোথা থেকে কাকে সরানো উচিত! যেটা পাওয়া যায়, সেটা হল “অবিশ্বাসযোগ্যতার ভৌগোলিক অভিমুখ”। এই কাজের জন্য মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় – স্লাভিক (রুশ এবং সমজাতীয় ভাষাগোষ্ঠীগুলি) ও অ-স্লাভিক (পশ্চিম ইউরোপীয়, মধ্য এশীয়, ইহুদি, ও ককেশাস পর্বতীয় জাতিগুলি)। তারপর কোন ভৌগোলিক অঞ্চলে কাদের অনুপাত কীরকম – তার ভিত্তিতে অঞ্চলগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য ও অবিশ্বাসযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়। তারপর হত অবিশ্বাসযোগ্য অঞ্চলগুলিকে বিশ্বাসযোগ্য বানানোর প্রক্রিয়া – মূলত রুশিকরণের মাধ্যমে। ... ...
মেহমুদের সংসার জীবন অনুল্লেখিত, বোঝা যায় তার সচ্ছলতা আছে কিন্তু চিত্তে শান্তি নেই। রাতের একটি দৃশ্যে দেখানো হয় – ইউসুফ ও মেহমুদ দুজনেই দেখছে রান্নাঘরে ইঁদুর-কলে একটা ইঁদুর আটকে পড়েছে। ব্যাস, আর কিছু বলা হয় না। ঘর গৃহস্থালিতে এ খুবই সাধারণ ঘটনা, ফলে দৃশ্যটিকে মূল গল্পে আরোপিত বলে মনে হয় না। অথচ বহুবিধ অর্থের ব্যঞ্জনায় পরিপূর্ণ দৃশ্যটি। এই সৌন্দর্য-ব্যঞ্জনা কিন্তু শুধুমাত্র বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে তৈরি হয়নি, বরং নির্মাণ রীতিই অনেকাংশে একে দিয়েছে মহার্ঘ্যতা। পরিচালকের নাম ‘নুরি বিলজ সেলান’ (Nuri Bilge Ceylan) (১৯৫৯-)। ... ...
কয়েকদিন আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত “হিপোক্রেটিক ওথ” আর নয়। একে প্রতিস্থাপিত করা হবে একেবারে নির্ভেজাল ভারতীয় “চরক শপথ” দিয়ে। এতে একদিকে হয়তো আমাদের নিজস্বতার এক দৃঢ় বিজ্ঞাপন হবে, অন্যদিকে একটি জাতীয়তাবাদী মানসিকতার নবজাগরণ ঘটবে। কিন্তু মুশকিল হল “চরক শপথ” বলে যা বলা হচ্ছে সেটি কর্তিত এবং নবনির্মিত। তাহলে চরক শপথ কী? এ নিয়ে আলোচনায় প্রবৃত্ত হব। ... ...
প্রতিটি পদে পদে পরিষ্কার যে পুলিশ প্রথম থেকেই ঘটনা সম্পর্কে নিঃস্পৃহ ছিল। তাঁর বাবা সালেম খান থানায় ফোন করেন রাত তিনটেয়। পুলিশ এতোটাই অসংবেদনশীল যে তারা সদ্য পুত্রহারা পিতাকে বলে যে তিনি তো আনিসকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি তাহলে কী ভাবে প্রমাণিত হল তিনি মৃত? ... ...
মনিকা ভিত্তিকে আন্তনিওনির মানসকন্যা বলার কারণ শুধুমাত্র এই নয় যে ওঁর একক নির্দেশিত চোদ্দ পনেরটি ছবির মধ্যে পাঁচটিতেই মনিকা অভিনয় করেছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের প্রধানতম ছবি গুলির তালিকায় নিশ্চয়ই সব ছবি পড়বে না। পড়বে ‘অপুত্রয়ী’, পড়বে ‘চারুলতা’, পড়বে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ইত্যাদি। কারণ, এগুলিতেই সত্যজিৎ-বীক্ষার সর্বোত্তম প্রকাশ ও বিকাশ দেখা গেছে। একই ভাবে আন্তনিওনির ক্ষেত্রে নাম করতে হবে তাঁর প্রখ্যাত ট্রিলজি – ‘লাভেন্তুরা’(১৯৬০) , ‘লা-নত্তে’(১৯৬১), ‘লা-এক্লিপ্স’(১৯৬২)-এর, নাম করতে হবে ‘দি রেড ডেসার্ট’(১৯৬৪)-এর। মনিকা ভিত্তিকে ছাড়া এই ছবিগুলোর কথা স্রেফ ভাবা যায় না! ... ...
হজরত মুহম্মদ অবশ্য নিজের জীবনে ‘চার-স্ত্রী নীতি’ মানেননি, কোরানের ৩৩ : ৫০ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছিল তাঁর চারের অধিক বিয়েকে অনুমোদন দিয়ে। ইসলামীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী তাঁর ‘তেরোজন’ (এ ক্ষেত্রে মতৈক্য নেই, তেরো থেকে পনেরো নানা সংখ্যা বলা হয়েছে) স্ত্রীর কথা জানা যায়। ... ...