দেয়ালে দেয়ালে 'প্রস্রাব করিবেন না' লিখেও যখন কোনোভাবেই বাঙালীদের আটকাতে পারে না পৌরসভা, তখন তাদের জন্য নতুন সুখবর বয়ে নিয়ে এলো NASA । এই মুহূর্তে NASA র মেসেজ বোর্ডে রয়েছে বড় করে প্রস্রাব করার বিজ্ঞপ্তি। সাহায্য চাওয়া হচ্ছে সবার কাছ থেকে, ডোনেশান হিসেবে শুধু আপনাকে দিতে হবে একটু 'ছোট বাথরুম'। ... ...
প্রথমেই রেসিজম নিয়ে সাম্প্রতিক খবরটা দিয়ে দেওয়া যাক। আমেরিকার এনসিবি ( National Children's Bureau ) শিশুদেরকে বর্ণবিদ্বেষজনিত অপরাধের আওতায় আনার সুপারিশ করে আপাতত খবরের শিরোনামে। সরকারী সহায়তায় চলা এই সংগঠনটির মতে, শিশুদের আচরণবিধি ভালো করে পরীক্ষা করা উচিত, এবং তাদের সাধারণ কথাবার্তা থেকে রেসিজমের নামগন্ধ পেলেই যথাস্থানে জানানো উচিত। এই সুপারিশে তিন বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত শিশুদেরই নতুন নিয়মের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। এনসিবির রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার সময় ছোটোরা অন্য সম্প্রদায় সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলে ফেললে বা কোনো খাবার সম্পর্কে ঘৃণাসূচক প্রতিক্রিয়া জানালে সেগুলো বর্ণবিদ্বেষের মধ্যেই পড়বে। ... ...
অনেক দিন আগে, মনে পড়ছে, পঁচিশে বৈশাখের আগে পরে দূরদর্শন একটা সার্ভে মত করেছিল, আজকের বাঙালি রবীন্দ্রনাথকে কতটুকু জানে-টানে। তাতে টিভি ক্যামেরায় মুখ দেখাবার সুযোগ পেয়েছিলেন শহর কলকাতার আপিসবাবু থেকে মেদিনীপুরের চাষীর বউ পর্যন্ত। গ্রামের লোকজন দেখা গেছিল অনেকেই রবীন্দ্রনাথের নাম পর্যন্ত শোনে নি। কলকাতার এক ভদ্রলোক তো রবীন্দ্রনাথের নাম শুনেই এমন আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন, "তাঁর মত এত বড় একজন শিল্পস্রষ্টা, একাধারে কবি, গায়ক, পেইন্টার, রাজনীতিক ...' ওখানেই থামিয়ে অ্যাঙ্কর তাঁকে রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা স্মৃতি থেকে বলতে বলায় তিনি প্রচন্ড আবেগের সাথে হাত পা নেড়ে আবৃত্তি করেছিলেন "দুর্গম গিরি কান্তার মরু'। ... ...
হাওড়া স্টেশনে নেমে সবার আগে কিসের দিকে চোখ পরে বলুন তো? হ্যাঁ, ঠিকই, সবার আগে দরকার হয় কুলীর। সাথে বাক্স প্যাঁটরা তো কম থাকে না। নিজেদের দুটো সুটকেশ, একটা বড় ব্যাগ ছেলে মেয়ের, পুরী থেকে আনা প্রসাদের চ্যাঙারি, বাপের বাড়ি আর শ্বসুর বাড়ির জন্য কেনা গিফটের বোঁচকা বুঁচকি। ভারী তো কম নয়, কে বইবে বলুন তো এই সব !! তার চেয়ে কুলি ডাকা ভাল। না হয় দুটো পয়সা বেশী যাবে, তবু আরামে হাঁটা তো যাবে। তবে এই সব কষ্টের দিন ফুরিয়ে এলো প্রায়। দুটো পয়সা বেশী দেবেনই যখন , তখন আরো দুটো পয়সা বেশী ঢেলে কিনে ফেলুন অ্যান্টি গ্র্যাভিটি সুটকেশ। এই নতুন ধরনের সুটকেশে আপনি যতই জিনিস রাখুন না কেন, আপনার সব সময়েই ওটা খালি মনে হবে। পাঁচ বছরের গবেষনার পরে শেষ পর্যন্ত সফলতা মিলেছে এমন ধরনের সুটকেশ বানানোতে। ... ...
শিরোনাম যতই আধুনিক কবিতাসম হোক না কেন, ইহা আদি ও অকৃত্রিম বৈজ্ঞানিক বিষয়। আ মরি ইনজিরিতে এরে কয় ক্রপ সার্কল্। শস্যক্ষেত্রে বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্ন তৈরী করার এই প্রথা অনেকদিনের পুরোনো। খেতের কিছু শস্যকে আংশিকভাবে নুইয়ে এই প্যাটার্নগুলো বানানো হয়ে থাকে। একটা সময় অবধি সবাই জানতো, এই ছবিগুলো প্রাকৃতিকভাবেই তৈরী। অন্য একদল এদের ভিনগ্রহের মহাকাশযানের চিহ্ন বলে প্রচার করতে চাইতেন। সত্যি-মিথ্যেয় মেশানো এই ক্রপ সার্কলের ইতিহাস। ... ...
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক কারণেই লোকজনের প্রচুর ক্ষোভ জমা থাকে! তা উগরানোর জন্য তারা বিভিন্ন উপায় বারও করে। এত কাল শহরের সুপরিচিত ব্যস্ততম রাস্তায় কুশপুতুল পোড়ানোর কাজই হয়ে আসছিল। এ বার ইতালিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার নতুন পথ দেখালেন জনৈক ইতালীয়। বর্তমান ইতালির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ইতালির সংসদীয় নির্বাচনে ভোট দিতে এসে এই ভদ্রলোক ভনক রেগে গিয়ে গোটা ব্যালট পেপারটাই গিলে ফেলেন। ... ...
ভেড়াদের চাকরী দেবার জন্য জব-পোর্টাল এখনও তৈরী হয় নি বটে, তবে কিছু ভেড়া যে নিয়মিত চাকরী করছে, সম্প্রতি সে খবর পাওয়া গেল। ইটালীর তুরিন শহরের বিভিন্ন অংশে ও পার্কে ঘাস ছাঁটার জন্য দুই পাল ভেড়া নিয়োগ করা হয়েছে। লন-মোয়ার চালিয়ে ঘাস ছঁটতে যা খরচ হয়, দেখা গেছে ভেড়ারা খেয়ে সাফ করলে তার চেয়ে অনেকটা কম খরচে ঘাসের রক্ষণাবেক্ষণ ও ল্যান্ডস্কেপিঙের কাজ করা যাবে। ANSA জানিয়েছে প্রথম নিযুক্ত ভেড়ার পালটি এপ্রিলের ৩ তারিখ থেকেই Melsino Park এ ঘাস খেতে শুরু করে দিয়েছে। পরবর্তী দলটিও ৭ তারিখ থেকে কাজে লেগে গেছে। ... ...
ছোট্ট থেকে শুনে এসেছি। মা কানের কাছে মন্তর পড়ত, যখনই ডাক্তারের কাছে গেছি, ডাক্তারও ঐ একই মন্তর পড়ত, বেশি করে জল খাও, প্রচুর পরিমাণে জল খাও, শরীর ভালো থাকবে, স্বাস্থ্য ভালো হবে। কত বেশি? মোটামুটি আট আউন্স জলভর্তি আট গ্লাস প্রত্যেকদিন। তা হলেই একদম সুন্দর স্বাস্থ্য বজায় থাকবে, রোগব্যাধি সহজে কাছে ঘেঁষবে না। ইহা মার্কেটে কমনলি 8x8 rule নামে পরিচিত। কেবল আমাদের দেশের ডাক্তার নয়, সারা পৃথিবীতেই এই রকম একটা ধারণা চালু আছে। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে এই ধারণা? এর কোনও বিজ্ঞানসম্মত এভিডেন্স আছে কি? এত জল খেতেই হবে কেন ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে? ... ...
সপ্তাহে চারদিন ভোর চারটে বেজে পনেরো মিনিটে টড ম্যাথিউজের দিন শুরু হয়। এগারো ঘন্টা কাজের পর ছুটি। আধ মাইল দূরের পাহাড়ঘেরা বাড়িতে তখন বেলা পড়ে এসেছে। স্ত্রী লোরি, দুই পুত্র ডিলান আর ডেভিনকে খানিকটা সময় দিতে না দিতেই, সময় ফুরিয়ে আসে। পরবর্তী সাত-আট ঘন্টা টড কাটান অন্য এক জগতে, আক্ষরিক অর্থেই যা মৃতদের দেশ। তাঁর কাজের টেবিলে ছড়িয়ে থাকে নানা আকারের অসংখ্য মানবকরোটির ক্ষুদ্র সংস্করণ, কম্পিউটারের স্ক্রিন জুড়ে অজস্র মুখ-- মর্গে তোলা আলোকচিত্র, স্কেচ, ফরেনসিক রিকনস্ট্রাকশান .... হাজার হাজার মুখ আন্তর্জালে ভেসে উঠতে থাকে। সেইসব মৃত মুখ, যাদের পরিচয় তো দূরের কথা, নামই জানা যায় নি। ... ...
মারুতি গাড়িতে আছে, আপনার বাড়ির সদর দরজায় আছে, ব্যাঙ্কের লকারে আছে, কিন্তু কখনও ভেবেছেন সদ্যোজাত শিশু চুরি রুখতেও অ্যান্টি থেফট ডিভাইসের ব্যবহার করা যায়? নরওয়ের অসলোর এক হসপিটাল কিন্তু ভেবেছে এই রকম, এবং হসপিটাল বোর্ড যদি সম্মতি দেয় তা হলে এই নতুন "কম-খরচের' যন্ত্র বসানো যাবে প্রতিটি নবজাতকের ক্ষেত্রে, রুখে দেওয়া যাবে শিশু চুরির যে কোনও ঘটনা। ... ...
কেরালার কোট্টায়ামের এক মেরীভক্ত হোটেলিয়ার দাবি করেছিলেন সুর্যের দিকে তাকালেই মা মেরীর অলৌকিক ছবি দেখতে পাওয়া যাবে। তা, এমন অলৌকিক ব্যাপার স্যাপারে বিশ্বাস করার জনতার কখনও অভাব ঘটে না, বিশেষত ভারতে। অতএব মা মেরীর অলৌকিক দর্শন পাবার আকাঙ্ক্ষায় দলে দলে লোক পূর্ণদৃষ্টিতে সূর্যের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। ফল, অন্তত পঞ্চাশজন লোক পাকাপাকিভাবে অন্ধ হয়ে গেছেন। কোট্টায়ামের এক জেলা হাসপাতালে ৪৮ জন ভর্তি হয়েছেন জ্বলে যাওয়া রেটিনা নিয়ে। সেই বিশ্বাসী হোটেলিয়ার আরও দাবি করেছিলেন তাঁর কাছে এক মেরীর মূর্তি আছে যা কাঁদলে চোখ দিয়ে মধুগড়ায়, কেটে গেলে রক্তের বদলে তেল আর সুগন্ধী বেরোয়। সেই কোথায় যেন কোন ধর্মের এক দেবতা শুনেছিলাম শুঁড়ের সামনে চামচে করে দুধ ধরলে চেটেপুটে দুধ খেয়ে নেন। সব ধর্মের অন্ধবিশ্বাসেই কী মিল! ... ...
--বাবা, বাবা, আমি বিট্টুর সাথে পুকুরে যাচ্ছি, সাঁতার শিখতে। -- আচ্ছা যাচ্ছো যাও, কিন্তু মনে রেখো, যদি ডুবে যাও, তা হলে আমি আর এ বাড়িতে ঢুকতে দেব না। ছোটবেলায় আনন্দমেলায় জোক্টা পড়ে বেশ নির্মল আনন্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু সত্যি সত্যি যদি কেউ কাউকে এমনতরো হুমকি দেয়, "যদি মরে যাও, তবে কঠিন শাস্তি দেব'? ঠিক এমনটাই ঘটেছে দক্ষিণ ফ্রান্সের এক গাঁয়ে। সে গাঁয়ের নামটা বাঙালি জিভে কেমন উচ্চারণ হবে জানি না, Sarpourenx নাম তার। গ্রামের মেয়র কাউন্সিল অফিসে সম্প্রতি এক অর্ডিন্যান্স জারি করেছেন যে গ্রামের কবরখানায় ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই, তিলমাত্র ঠাঁই নাই। শবদেহে শবদেহে ওভারক্রাউডেড। অতএব যাঁদের গ্রামের কবরখানায় প্লট অ্যালট করা নেই, তাঁদের মরা বারণ। নিচে লেখা: Offenders will be severely punished . ... ...
ভারতে কিছু কিছু কমিউনিটির বিয়েতে অত্যধিক খরচাপাতি করার ট্র্যাডিশন আছে আমরা জানি। লাখ লাখ রুপিয়া উড়ে যায় এক রাতের বিয়েতে, তবে এ সব ঘোড়ারোগ কেবল ভারতীয়দেরই নয়। তৃতীয় ও অনুন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এমন বিয়েতে খরচা করার রীতি আছে। যেমন মেক্সিকো। ওয়েডিং গাউন থেকে শুরু করে, খবরের কাগজের পাতায় প্রত্যেক অতিথি অভ্যাগতদের দ্বারা প্রকাশিত উইশের বন্যা, নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন, চার্চের খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে একটা বিশাল অঙ্কের টাকা সাধারণত কনের বাড়িকেই খরচ করতে হয়। এর পরেও, বর্তমানে প্রতি দশজোড়া বিবাহিত দম্পতির মধ্যে তিনজোড়া দম্পতির মধ্যে ঘটে যাচ্ছে বিবাহবিচ্ছেদ, ১৯৭০ সালেও যেখানে অনুপাতটা ছিল দশজোড়ায় একজোড়া। যেহেতু জীবন থেমে থাকে না, তাই বিচ্ছিন্ন দম্পতিরা আবার প্রত্যেকেই নিজেদের নিজেদের পছন্দসই সঙ্গী / সঙ্গিনী বেছে নেন, এবং চক্রবৎ এই চক্করে আর্থিকভাবে বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন মেয়েদের বাড়ির লোকই, কারণ বিয়ের সিংহভাগ খরচই তাঁদের পকেট থেকে মেটাতে হয়। ... ...
শ্রী মহেশ প্রসাদ ভার্মাকে চেনেন? ... এই নামে না-ও চিনতে পারেন, কিন্তু মহাঋষি মহেশ যোগী বললে এক্ষুনি চিনতে পারবেন। জীবদ্দশায় তাঁর বিপুল ভ্রমণ, জীবনদর্শন ও কীর্তিকলাপের ডিটেইল খবরাখবর হয় তো আমরা উন্নাসিক তর্কপ্রিয় বাঙালিরা রাখি না, মোটামুটি তাঁকে এই জন্যেই চিনি যে, তিনি পপ গ্রুপ বীট্লসদের ধর্মগুরু ছিলেন, মানে বীটল্সদের শিষ্যত্বই তাঁকে বেশি খ্যাতি এনে দিয়েছিল, আর এ মাসের পাঁচ তারিখে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন। ... ...
সেই যে রাজা মন্ত্রীর জামায় গন্ধ পেয়েছিলেন, সেই গন্ধ বিচার করতে সাহস করে কেউ এগিয়ে আসে নি, শের পালোয়ান ভীমসিং থেকে রাজার শালা চন্দ্রকেতু, সকলেই নিজ নিজ নাক এই বিচারে গলাতে অস্বীকার করেছিলেন। শেষমেশ ভাগ্যিস নবতিপর বৃদ্ধ নাজির হাজির ছিলেন, তাই সে যাত্রা শেষরক্ষা হয়েছিল। কিন্তু মজার কবিতাতেই শুধু নয়, গন্ধের ক্ষমতা আসলে মোটেই হেলাফেলা করার মত নয়। জীবনসঙ্গী / সঙ্গিনী বাছার ক্ষেত্রেও গন্ধবিচার যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। ক্লেইম করছে একটি ডেটিং ওয়েবসাইট, সঙ্গী নির্বাচনের চাবিকাঠি নাকি আসলে লুকিয়ে আছে গায়ের গন্ধে। মেয়েরা পছন্দ করে সেই ছেলেদের, যাদের গায়ের গন্ধ তাদের নিজেদের গায়ের গন্ধের থেকে সবচেয়ে বেশি আলাদা। অ্যান্ড ভাইসি ভার্সা। ... ...
কিছুদিন আগে মঙ্গল গ্রহের ধূসর প্রান্তরে একলা এক নারীকে দেখে যারা উৎফুল্ল হয়েছিলেন, তাদের জন্য একটা সুখবর আছে। কিছুদিন অপেক্ষা করলেই তাঁরা হয়তো দেখতে পাবেন কোনো এক বিশাল UFO বা স্পেসশিপ এসে থামলো তাঁদের বাড়ির সামনে, আর তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো ভিনগ্রহবাসী নারীরা, গান গাইতে গাইতে। হয়তো তখন ভিনগ্রহবাসীদের কন্ঠে থাকবে Now let me hold your hand, I want to hold your hand । খুব অদ্ভুত লাগছে তো শুনতে? যদিও আজ শুক্রবারের রাত্রি, তবুও এই খবরটা আমি এখন লিখছি খুব ঠান্ডা মাথায়। আসলে সদ্য পাওয়া খবরে জানা গেছে যে NASA এইবারে মহাকাশে বীটল্সদের দের গান বাজাবে। ... ...
কাদাখোঁচা পাখী দেখেছেন তো সকলেই। ছোট্টবেলায় ভাবতাম সত্যি হয়তো এরা কাদামাটি খায় ক্ষিদে পেলে। পরে জেনেছিলাম যে এরা নরম কাদামাটি খুঁড়ে পোকামাকড় বার করে খায়। আচ্ছা সত্যি কি এমন কোনো প্রাণী জীবজগতে আছে যারা কাদামাটি খেয়ে জীবন কাটায়? নাহ, এর উত্তর খোঁজার জন্য গুগল খুলে বসতে হবে না, এমনকি আফ্রিকার কোনো এক গভীর জঙ্গলের কোনো এক নাম না জানা প্রাণীর কথাও ভাবতে হবে না। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে এক ছোট্ট দেশ আছে হাইতি নামে। সেই দেশের অজস্র মানুষ আপাতত মাটি আর কাদা খেয়েই দু' বেলা নিজেদের পেট ভরাচ্ছেন। ... ...
যতই কালো রঙে বাঙালী পাত্রদের আপত্তি থাক, জগৎ জুড়ে কিন্তু কালো রঙ নিয়ে চিন্তা ভাবনার শেষ নেই। কবিরা কালো রঙে হরিণের চোখ দেখেন, আবার বিজ্ঞানীরা কালো রঙে ব্ল্যাক হোল খোঁজেন। তো সেই কৃষ্ণ জগতে, কিছুদিন আগেই ঘটে গেছে এক নতুন ঘটনা। নিউ ইয়র্কের Rensselaer Polytechnic Institute এর দুজন গবেষক বানিয়ে ফেলেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে কালো বস্তু। গবেষকদের দাবী তাঁদের বানানো এই বস্তুটি ৯৯.৯% আলো শোষণ করে নেয়। বহুদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন সম্পুর্ণ কালো কোনো বস্তু তৈরি করতে। সম্পুর্ণ কালো বলতে বোঝায় এমন এক বস্তু যা ১০০% আলোই শোষণ করে নেবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী অজয়ন এবং শন-ইউ লিনের তৈরী কালো বস্তুটি কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। ... ...
একে তো আমাদের বারো মাসের তেরো পাব্বন। তার মধ্যে আজ বন্ধুর বিয়ে, কাল পাড়ায় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, পরশু পিকনিক এসব তো লেগেই আছে। কিন্তু আজকালকার অফিসগুলো এই সব কথা শুনতেই চায় না। ছুটি চাইতে গেলেই বসের মুখ হাঁড়ি। অজুহাত খুঁজতে খুঁজতে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলার জোগাড়, তবুও দারুণ ভাল কোনো অজুহাত আর মাথায় আসে না। এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় কি? এমন কিছু কি নেই জগতে যা এনে দিতে পারবে অনেক অনেক ছুটি, যখন দরকার তখনই? ... ...
ঝড়, বৃষ্টি বা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুঁশিয়ারী দেওয়াটা আবহাওয়া দপ্তরের একটা বড় কাজ। কিন্তু কতটা নিখুঁত ভাবে তাঁরা আগাম খবর দিতে পারেন এই ব্যপারে? পরিসংখ্যান বলছে যে, আবহাওয়া দপ্তরের ফোরকাস্ট মোটেই খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয়। আমাদের কোলকাতার আবহাওয়া দপ্তরের কথা তো ছেড়েই দিলাম, অতি উন্নত দেশের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, ডপলার রাডার, সুপার কম্পিউটারেরও সাফল্যের হার শতকরা ৬০% এর বেশী নয়। সেখানে কোনো মানুষ যদি দাবী করেন যে এই সমস্ত অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই ওয়েদার ফোরকাস্ট করে দেবেন তিনি, এবং তার সাফল্যের হার ৮৫% এরও বেশী, তবে কেমন লাগবে শুনতে? ... ...