পুলিশ অফিসার, এস পি অঙ্কিত গর্গ আমাকে বললেন " শালী হারামী,কুত্তি। তুই তো একটা বেবুশ্যা। নকশাল লীডারদের কাছে তোর শরীর বেচিস তুই। ওরা আসেও তোর বাড়ীতে সারা দিনরাত ধরে। জানি,জানি, আমরা সব জানি।' আরো বল্লেন " তুই নিজেকে বলিস তুই একটা ভালো টিচার কিন্তু তুই তো দিল্লি গিয়েও তোর শরীর বেচে আসিস। তুই কি ভাবিস নিজেকে? তোর ধারনা তোর মতন একটা পাতি মেয়েছেলেকে বাঁচাতে কোনো হোমড়া চোমড়ারা ছুটে আসবে? " কোন অধিকারে কোনো পুলিশ অফিসার ঐ কথা বলতে পারে? আজকের দিনে ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যাবে সব দেশেই যুদ্ধের সময়ে সেই দেশের মেয়েরা স্বদেশের জন্য কতো আত্মত্যাগ করেছেন। ঝাঁসীর রাণী লক্ষ্মীবাইও তো বৃটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন - তিনি তো নিজেকে বিক্রি করেন নি। ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন - তিনিও কি নিজেকে বিক্রি করেছিলেন? আর আজকের দুনিয়ায় যতো মহিলারা নিজের নিজের জায়গায় কাজ করছেন তারাও কি নিজেদের বেচে দিচ্ছেন? আমাদের সবারই তো একই সাথে থাকার কথা, কিন্তু আমাকে সাহায্য করতে কেন কেউ এগিয়ে আসছে না? আমি এর উত্তর চাই। ... ...
ইঁদুর আমাদের সারা গাময় ঘুরে বেড়াত, পায়ের পাতার কাছে খুঁটে খুঁটে কামড় দিত। সকালে উঠে রক্ত পড়ে থাকতে দেখলে আমরা সবাই ভীত হয়ে যে যার নিজেদের পায়ের দিকে তাকাতাম। একদিন ১৬ ঘণ্টা ধরে হোসাঙ্গাবাদে লোডশেডিং ছিল, আমরা সেই অন্ধকারেই বসে খাচ্ছিলাম। সেই সুযোগে ইঁদুর এসে আমাদের রুটি নিয়ে চলে গেল।ও আমরা হাঁ করে বসে রইলাম। হরদা জেল ইঁদুরে ছেয়ে গিয়েছিল। আমাদের চাদর মুড়ি দিয়ে শুতে হতো তাতেও আমাদের চুলের কাছে এসে ইঁদুর গুলো জটলা পাকাত। আমি জেলারকে বলেছিলাম এই ইঁদুরের উপদ্রবের কথা। জেলার তার উত্তরে বলল, -এইটা জেল ম্যাডাম, ফাইভ স্টার হোটেল নয়। - তা বলে কি বন্দীরা এইভাবে ইঁদুরের কামড় খাবে, এইরকম কথা কোথাও লেখা আছে নাকি? দেখাতে পারলে আমারা আপনার কথা মেনে নেব। তা অন্ততপক্ষে আমাদের তো একটা মশারী দিতে পারেন? মশা না হোক ইঁদুরের থেকে তো আমরা রেহাই পেতে পারি। ... ...
নতুন কলেবরে শ্রমজীবী হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনাকে রূপায়িত করতে যাঁরা সাহায্য করতে চান তাঁরা প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায় - ৫, জি টি রোড, বেলুড়, হাওড়া। ফোন - ২৬৫৪-১১৮১/২৮৭৭-০১১২। শ্রীরামপুরে অস্থায়ী কার্যালয় - অগ্রিমা অ্যাপার্টমেন্ট, ১৯ মুখার্জি পাড়া লেন (ইউ বি আইয়ের রিজিওনাল অফিসের পাশের রাস্তা)। ... ...
১। জনৈক দীপক চৌবে তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন ¢ত¢ন নারায়ণ সান্যালকে পু¢লশ গ্রেপ্তার করার ¢কছু¢দন আগে ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর সুপা¢রশক্রমে ¢নজের বা¢ড়তে ভাড়া থাকতে ¢দয়ে¢ছলেন। ¢বচারপ¢ত এই তথ্য¢ট উপেক্ষা করেছেন যে দীপক চৌবে আদৌ ঐ বা¢ড়র মা¢লক নন এবং বা¢ড়¢ট ¢ত¢ন ভ¢গ্নপ¢তর হয়ে ভাড়া ¢দয়ে¢ছলেন। ¢ত¢ন বা¢ড়র মা¢লক না হওয়া সত্ত্বেও পু¢লশ বা¢ড়র মা¢লক ¢হসেবে তাঁর সাক্ষ্য ন¢তভুক্ত করেছে। ২। রায়ে প্রকাশ, ডাক্তার ¢বনায়ক সেন মাওবাদী নেতা নারায়ণ সান্যাল-এর সঙ্গে গত ১৮ মাসে ৩৩ বার দেখা করে¢ছলেন, ¢কন্তু এই তথ্য অনু¢ল্ল¢খত থেকে ¢গয়েছে যে প্র¢ত¢ট সাক্ষাৎই জেল কত«Ñপক্ষের আগাম অনুম¢তর ¢ভ¢ত্ততে হয়ে¢ছলো। ¢বচারপ¢ত একজনও জেল কর্মচারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ¢ন। ৩। ¢বচারপ¢ত প্রশ্নাতীতভাবে পু¢লশের ¢ববরণী গ্রহণ করেছেন জব্দকালীন সাক্ষী অ¢নল ¢সং-এর বয়ানের ¢ভ¢ত্ততে। এ¢বষয়ে পীযূষ গুহ ও সহ-অ¢ভযুক্ত ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর আপ¢ত্ত - যে পু¢লশ পীযূষ গুহকে গ্রপ্তারের পরে গুহ এবং পু¢লশের এক¢ট কথোপকথন সাক্ষীর কণর্গোচর হয়ে¢ছলো এবং পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন পীযূষ গুহ-র সমع বক্তব্য ভারতীয় প্রমাণ আইন, ১৮৭২ অনুসারে প্রমাণ ¢হসাবে বে-আই¢ন - তা সম্পূর্ণত: অস্বীকার করা হয়েছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সাক্ষী অ¢নল ¢সং তল্লা¢শ ও ধরপাকড়-এর সময়ে পু¢লশের সহগামী ¢ছলেন না, ও ¢ববরণানুযায়ী একজন ¢নকটবর্তী ব্য¢ক্ত, যাঁকে পু¢লশ গুহ-র গ্রেপ্তারের পরে থা¢ময়ে সক্ষক্ষী করে¢ছলো। আসামী পদ্ধ¢ত ¢ব¢ধ-র ১৬২ ধারা অনুসারে কোন অ¢ভযুক্ত / সাক্ষী পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর সমع বক্তব্য সাক্ষ্যপ্রমাণ ¢হসেবে ব্যবহার করা যায় না - ¢কন্তু এই ¢বচারে তা সর্বতোভাবে উপে¢ক্ষত হয়েছে। ৪। ¢বচারপ¢ত পীযূষ গুহ-র আবেদন - যে চার ¢দন তাঁকে বেআই¢নভাবে আটকে রাখা হয়ে¢ছলো ও হেফাজতে অত্যাচার করা হয়ে¢ছলো - পুরোপু¢র উপেক্ষা করেছেন। ¢বচারের এই উপেক্ষা পু¢লশী অত্যাচারকেই আড়াল করে। ... ...
ধ্যাৎ, আমরা জানি যে ওসব কূটকচালিতে আমাদের মত ছাপোষা মানুষদের পড়তে নেই। তাই শহরের কোন মানবাধিকার কর্মী, কোন সংগ্ঠন এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইছে না। ঘরে জব্দ দাস ক্যাপিটাল, দুটো চিঠি আর একটি লোকের কথায় যদি বিনায়ক সেনের মত হাই প্রোফইল লোক, যাঁর বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল কেস নেই, যিনি বহুবছর ধরে গরীবদের জন্যে স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁকে জেলে পোরা যায় তবে আমরা তো শাকভাত খাওয়া ভেতো বাঙালী। দাস ক্যাপিটাল যে আমার ঘরেও আছে, স্যার। আর ওই হাই প্রোফাইল কেসের পাশাপাশি আরেক কোর্টে এক লো-প্রোফাইল মামলায় এক সত্তর পার বুড়ো বাঙালী অসিত সেনগুপ্ত ঘরে মাওবাদী সাহিত্য রাখার ও এক ছাত্রকে সরকার বদলে মাওবাদী সরকার বানাতে হবে বলার অপরাধে ঐ দেশ্দ্রোহের ধারায় আটবছর জেলে থাকার সাজা পেয়েছেন। বেশ হয়েছে। এবার পি ইউ সি এল এর ছত্তিশগড় ইউনিট বাঙালীমুক্ত হবে। বিনায়ক সেনেরা রায়পুরে মানবাধিকার আন্দোলনকে স্বাস্থ্য ও শিশুদের পরিপ্রেক্ষিতে জুড়ে দিয়ে যে সম্মানজনক ও ঈর্ষণীয় স্তরে নিয়ে গেছিলেন তাতে প্রাক্তন সচিব রাজেন্দ্র সায়েলকে বাঙ্গালোরের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন বিনায়ক জেলে যাওয়ায় সায়েল (যাঁর পেশা বলতে আমেরিকান ক্রিশ্চিয়ান সংস্থার গ্র্যান্ট পাওয়া) আবার রায়পুরে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কাজের স্তর কি হবে কে জানে? ... ...
দিল্লীর কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে হট্টগোলের শেষ নেই। হাতে গরম রেফারেন্স হিসেবে রইল তারই এক ঝলক। খবর্নয়ের আজাদি ইস্পেশাল ১। ... ...
দিল্লী থাক। কেমন চলছে ভারতের কমন ওয়েলথ? রইল আরেকটি হাতে গরম রেফারেন্স । খবর্নয়ের আজাদি ইস্পেশাল ২। ... ...
কমন ওয়েলথ ৩। আরও কিছু টুকরো। আজাদি ইস্পেশাল খবর্নয়ের শেষ পর্বে দেখুন-- ভারতবর্ষ: এক উদীয়মান গ্লোবাল সুপারপাওয়ার। ... ...
গুরুর পাঠকেরা আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি আদৌ পরীক্ষায় নকল করার পক্ষপাতী নই। বা ব্যাংকে ঘুষ খেয়ে ফাঁক করে দেবে অথচ বহাল তবিয়তে থাকবে এটা মানতে রাজি নই। কিন্তু ওর থেকে দশগুণ করাপ্ট অফিসার উচ্চবর্ণের এবং প্রভাবশালী হওয়ার ফলে ক্ষমতাসীন লবির তদ্বিরে শুধু মাইনর পানিশমেন্ট পেয়ে বেঁচে গেছে তাই নয়, পরে প্রমোশন পেয়েছে, বাড়িগাড়ি করেছে। ছেলেমেয়েকে ভাল জায়গায় পড়িয়েছে। ... ...
এই লোকগুলো আর কিছু চায়নি, বনজ সম্পদের ওপরে ওদের ন্যায্য অধিকারটুকুর দাবী জানিয়েছিলো মাত্র। শুধু এরই জন্য পুলিশ ওদের জেলে পুরেছে, খোলাখুলি গুলি চালিয়ে কিম্বা পিটিয়ে মেরেছে,বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। গুজরাটে, অসমে, উত্তরপ্রদেশে, ওড়িশায়। মার্চ মাসের একুশে, তিরিশে,ষোলয়, আবার তিরিশে, যথাক্রমে বলতে গেলে। সরকার জানিয়েছেন "এ তো আইনী নিয়ম'। আইনী নিয়ম? পুলিশ বনদপ্তর আর তার বন্ধু কোম্পানীদের ভাড়াটে গুন্ডার কাজ করবে। এটাই কি ঐ নিয়ম? ... ...
সম্প্রতি ভারত সরকার ভারতেরই অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঘটছে UAPA র মত কালা কানুনের প্রয়োগ। আঘাত হানছেন মাওবাদীরাও। মরছেন মানুষ। প্রতিবাদ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সাধারণ মানুষ,অ্যাক্টিভিস্টরা। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ভূমিপুত্রেরাও। এবারের খবর্নয়ে রইলো কিছু ঝলক। ... ...
সংবাদমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করার দাবীতে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে Reporters Without Borders নামে একটি এন জি ও। ... ...
বছর পাঁচেক আগের ঘটনা। ইশরাত জাহান,মুম্বই এর গুরু নানক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরতা উনিশ বছরের এক কলেজ ছাত্রী ও আর তিনজন মুসলমান যুবক। এই চারজনকেই বআহমেদাবাদের উপকন্ঠে গুজরাট পুলিশ খুন করে, সন্ত্রাসবাদী অভিযোগে । বলা হয় এরা মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যা করার জন্য। ... ...
একদিকে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে বিনায়ক সেন সোজাসুজি পার্সোনাল বন্ড দিয়ে বেল পেলেন ,( যদিও বন্ডের টাকার রকম ও অন্যান্য শর্ত ছত্তিশগড় হাইকোর্টের হিসেবে হয়েছে), আর এক দিকে বিজেপি শাসিত রাজ্যে ওদের ফ্রন্ট সংগঠন ও পোষা খবরের কাগজ প্রচার শুরু করেছে যে উনি শুধু মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে বেল পেয়েছেন, ওনার বেল পাওয়ার খবরে উল্লসিত নকসালরা নাকি হ্যান্ডবিল ছড়িয়েছে; অথবা এই বেল দেয়া ""দুর্ভাগ্যজনক'', বিচারব্যবস্থার ওপর প্রশ্নচিহ্ন-- ইত্যাদি। যেটা চেপে যাওয়া হচ্ছে তা হল বিজেপির এককালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট সিনিয়র অ্যাড্ভোকেট রাম জেঠমালানি সুপ্রীম কোর্টে বলেছিলেন---- সমস্ত সরকারী সাক্ষী(শতাধিক)র আদালতে বয়ান হয়েগেছে। কেউ ড: সেনের ওপর অভিযোগের আঙুল তোলেনি। ... ...
সাত বছর একটানা বন্দী থাকার পর অবশেষে এতদিনে গুয়ান্তানামো থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন আব্দুল রহিম রজ্জাক। ত্রিশ বছর বয়সী আব্দুলকে গুয়ান্তানামো তে নিয়ে যাওয়া হয় ২০০২ তে। তার পর সাত সাতটা বছর তাঁর কেটে গেছে অন্ধকারে। বিচারের নামে চলেছে প্রহসন আর অত্যাচার। অবশ্য আব্দুলের বন্দী জীবনের শুরু কিন্তু এখানে নয়। এর আগে ২০০০ সালে প্রথম বার বন্দী হন আব্দুল। তখন অবশ্য পশ্চিমী দেশগুলোর গুপ্তচর সন্দেহে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আল-কায়দা বাহিনী। অকথ্য অত্যাচারের পর আব্দুলকে বন্দী রাখে তারা জেলে। সেখানে কেটে যায় দুটো বছর। তারপর মঞ্চে আবির্ভাব আমেরিকার। গণতন্ত্র 'রক্ষার' খাতিরে তারা আল-কায়দার জেল থেকে তুলে আনে আব্দুলকে। আর শুরু হয় তার গুয়ান্তানামোর জীবন। অভিযোগ যে আব্দুল আল-কায়দার সাথে যুক্ত ছিল বহুদিন। ... ...
ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের, যেখানে, দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের সঙ্গে সরকারের ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। সরাসরি যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে সরকারের পক্ষ থেকে নামানো হয়েছে "সালোয়া জুডুম' নামের এক তথাকথিত শান্তি আন্দোলন। এই আন্দোলনের নামে মাওবাদী কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য সাধারণ আদিবাসীদের বাধ্য করা হচ্ছে, নিজেদের গ্রাম ছেড়ে এসে সরকারি ক্যাম্পে বসবাস করতে। বিশেষ পুলিশ অফিসার (এসপিও) তকমা দিয়ে কমবয়সী যুবকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। ঠেলে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের ময়দানে, দেওয়া হচ্ছে খুন-জখম-লুণ্ঠনের অবাধ অধিকার। ... ...
চোদ্দ বছরের জেমি কুইন জেলে। কারণ, বন্ধুর সঙ্গে হাতাহাতি। হিলারি ট্রান্স্যু-র ক্ষেত্রে কারণটা অন্য। মেয়েটি স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপালের প্যারডি করে একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছিল। মাত্র ৯০ সেকেন্ডের শুনানির পর হিলারিকে ৩ মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়, জেমির কপালে জোটে এক বছরের হাজতবাস। হ্যাঁ,আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়ায় প্রায় ৫০০০ শিশু আদালতের রায়ে এইরকম "দোষী প্রমাণিত' হয়েছে,আর তার মধ্যে জেল হয়েছে ২০০০-এর। অধিকাংশ হাজতবাসই সম্পূর্ণ হাস্যকর কারণে। বিচারপতি মার্ক এ সিয়াভারেলা জুনিয়র ও বিচারপতি মাইকেল টি কোনাহান, বেসরকারি প্রিজন সংস্থার কাছে প্রায় ২.৬ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নিয়ে এই সব শিশুদের জেলে পাঠিয়েছেন। বিশেষ করে যারা কোন আইনজীবী জোগাড় করতে পারেনি তাদের। ... ...
'দ্য ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রোফেশনাল্স' দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টার্ন্যাশনাল সেন্টারে ভারত ও পাকিস্তানের সাংবাদিকদের নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করেছিলেন। তাতে দুইদেশেরই নামী-গিরামী বেশ কজন হাজির ছিলেন। ওপার থেকে দ্য নিউজ এর সংস্থাপক ও এক্জিকিউটিভ এডিটর সমেত বিবিসির উর্দু ও পুশ্তু সার্ভিস এবং টাইম ম্যাগাজিনের জন্যে রিপোর্টিং করা রহিমুল্লা ইউসুফজাই, করাচী থেকে ফ্রি-ল্যান্সার ও ফিল্ম নির্মাতা বীনা সারওয়ার, ডেলী আজকাল এর সম্পাদক সৈয়দ মিন্হাস, বিবিসির নামজাদা সাংবাদিক উস্তুলা খান, দ্য নিউজ এর মুনীবা কামাল ওআরও অনেকে। ... ...
সেই ২০০২এ গোধরা কান্ডের দাংগা থেমে যাওয়ার দু'মাস পর। আহমদাবাদের কাছে রসোল গ্রামের বাইরে হাইওয়ের ওপর দুটো লাশ পাওয়া গেল। ব্যস-, স্থানীয় পুলিশের দল কয়েকটা জীপ ভরে পৌঁছে গেল পাশের মজদুরদের বস্তি মোহম্মদনগরে। ঢুকেই শুরু হল এলোমেলো ফায়রিং। ... ...
গত নভেম্বর মাসে আদিবাসী বিক্ষোভ লালগড়কে আমাদের মিডিয়া মানচিত্রে এনে দিয়েছিল। জে এন ইউ র ছাত্রছাত্রীদের আদিবাসীরা জানালেন, নভেম্বরের ঘটনা কিন্তু আদৌ নতুন কিছু নয়। এরকম ই চলে আসছে গত আট বছর ধরে। নভেম্বরে যা নতুন হয়েছে,তা হলো,তাঁদের প্রতিবাদ। গ্রামের মানুষ জন শুনিয়েছেন, সেই ২০০০ সাল থেকে পুলিশি অত্যাচারের ধারাবিবরণী। কীভাবে 'রেড'এর নামে মাঝরাতে বাড়িতে পুলিশ ঢুকে বেধড়ক মারতে শুরু করতো, সব কিছু ভেঙ্গে তছনছ করে দিত, প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজনকে কখনো না কখনো ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মাওয়িস্ট আখ্যা দিয়ে। তিসাবাঁধের নাইকু মুর্মুকে কিভাবে পিটিয়ে মেরেছিল পুলিশ। নব্বই বছরের বৃদ্ধ নাইকু মুর্মুকে। স্কুলে পড়া মেয়েদের যৌন পীড়ন করা হয়েছে 'তল্লাশি' র নাম দিয়ে। মহিলাদের যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করতে হয়েছে মহিলা বলে নিজেকে প্রমাণ করতে, রাত্রিবেলার পুলিশি রেডের সময়। যেকোনো নির্বাচনের আগে অন্তত তিরিশ চল্লিশ জনকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ, 'মাওয়িস্ট' আখ্যা দিয়ে। ... ...