দিল্লিতে বাঙালি দুই প্রকার। প্রথম প্রজন্ম, এবং দিতীয় বা ততোধিক প্রজন্ম। এই দুই রকম বাঙালির আচারে বিচারে, কথা-বার্তায় এবং চাল্চলনে তফাৎ এতটাই প্রকট যে ব্যাপারটা বেশ একটা কালটিভেট করার মত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ... ...
পুলিশ ঘুষ খায় - ধ্যার মশাই, এ আবার একটা লেখার মত জিনিস হল? পুলিশ ঘুষ খায়? এ তো চিরন্তন সত্য! অলমোস্ট প্রত্যেককেই কোনও না কোনও সময়ে পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়েছে, যাঁরা এখনও দ্যান নি, নিকট ভবিষ্যতেই দেবেন টেবেন হয় তো। সেই বৃদ্ধ সর্দারজির অভিশাপ যেমন গ্যাঁড়ার জীবনে অচিরেই সফল হয়েছিল, ও অমন খুচরো অভিশাপের বোঝা অনেককেই বয়ে বেড়াতে হয়। ... ...
মোটরসাইকেল ডায়েরিজ - ভুবনেশ্বর থেকে পাকাপাকি পাট তুলে দিল্লিতে আসার সময়ে নিজের হোল্ডঅল আর সুটকেস ছাড়াও গ্যাঁড়া আর দুটো জিনিস নিয়ে আসতে পেরেছিল। এক, টিভি, আর দুই, মোটরসাইকেল। সেই ওড়িয়া মোটরসাইকেল গ্যাঁড়ার বেশ প্রিয় ছিল। ... ...
দিল্লির পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সব দিক থেকেই ইউনিক। এখানে এমন এমন সিস্টেম চলে, যা সম্ভবত ভারতের আর কোনও জায়গায় চলে না। প্রথম প্রথম এসে ব্যাপারগুলো ডাইজেস্ট হতে গ্যাঁড়া গেঁড়ি দুজনেরই বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল। আর যেহেতু এর পূর্বে মেট্রো সিটি তথা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অভিজ্ঞতা বলতে দুজনেরই কলকাতাতেই সীমাবদ্ধ, ফলে তফাৎগুলো প্রচন্ডভাবে চোখে লেগেছিল। ... ...
বাংলায় বলে প্রজাতন্ত্র দিবস, কিংবা সাধারণতন্ত্র দিবস, দূরদর্শনপ্রচারিত হিন্দি মাধ্যমে এরই নাম গণতন্ত্র দিবস। শুদ্ধ হিন্দিতে মূর্ধণ্য ণ-টা একেবারে মূর্ধণ্য ণ-য়ের মতই উচ্চারণ হবে, খানিকটা "ড়ঁ' ঘেঁষা। গড়ঁতন্ত্র দিবস। ... ...
দিল্লি অতি খাজা জায়গা .... সেই কবে কোন বিস্মৃত অতীতে অর্ণব চ্যাটার্জি অ্যালিয়াস ন্যাবা চিঠিতে লিখে সাবধান করেছিল তার প্রিয় বন্ধু আসমা চৌধুরি জয়িতা, ওরফে জয়ি-কে। তা, কে কার কথা শোনে! এই যুগে ভালো কথার কে-ই বা দাম দেয়, কে-ই বা শোনে। গ্যাঁড়ারই বা অতএব, শোনার কী দায় পড়েছে! একবিংশ শতাব্দী ঝক্কাস করে এসে পড়েছে তার স্লোডাউন সমেত, ওয়াইটুকে-র ম্যাজিক তখন একেবারে গায়ব-ইট'স গন-চলে গেছে কেস, তখন গ্যাঁড়ার দিব্যদৃষ্টি খুলে গেল, একেবারে পোষ্কারভাবে গ্যাঁড়া বুঝতে পারল জীবনের সমস্ত সাফল্য দিল্লিতেই মিলবে। ভুবনেশ্বরে নয়, বাড়ির পাশে কলকাতাতে তো নয়ই, প্রেমিকাকে বিয়ে করে শুরু থেকে পাশে পেতে হলে দিল্লিই একমাত্র সম্ভাব্য ডেস্টিনেশন। ... ...