অর-দা আমাকে মাঝে মাঝেই বলে, “সুকান, তুই তো সবাইকে নিয়েই লিখিস – আমার ব্যবসাটা নিয়ে লেখ না একদিন”। মজা করেই বলে – আমি চেষ্টা করলেও কিই বা আর করতে পারব! আমার আর পরিচিতি কতটুকু। কোভিডের জন্য দাদার ব্যবসা বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত – আরো অনেক ক্ষুদ্র এবং ছোট ব্যবসায়ীদের মত। তা গুরুচণ্ডা৯ কর্তৃপক্ষ যখন বলল, পুজো সংখ্যায় ‘ওরা কেমন আছে’ – এইভাবে কোভিডকালের ব্যবসায়ীদের কথা ছাপাতে ইচ্ছুক – তখন মনে এল দাদার ব্যবসার কথা। এই লেখায় আমি ফার্স্ট-হ্যান্ড অভিজ্ঞতাতেই জোর দিয়েছি – তাই একদিন এক প্রশ্নমালা তৈরি করে দাদার ইন্টারভিউ নিলাম। তবে এ শুধু আমার দাদার একার কাপড়ের ব্যবসার গল্প নয় – ওর কথা, ওই অঞ্চলের বাকি ক্ষুদ্র এবং ছোট কাপড়ের ব্যবসায়ীদের জীবন কথা – এই ভাবেই এখন আছে তারা। ... ...
পুজোর চালচলন যে বদলাচ্ছে এ আর কোন নতুন কথা নয়। অতিমারি এই বদলানোর পালে বাতাস লাগিয়েছে। তবে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক চালচিত্র বদলালেও প্রতিমার পিছনে চালচিত্র এখনও একইরকম। থিম, টিম, স্পনসর, মেন্টরদের ধামাকার সামনে দাঁড়িয়ে সে এখনও আমাদের মনে করিয়ে দেয় বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতিকে। চালচিত্র যেন বাংলার প্রাচীন সামাজিক জীবনের এক রেট্রসপেকটিভ, অতীতের এক ঝাঁকি দর্শন। প্রতিমার পিছনের অর্ধচন্দ্রাকৃতি পরিসরে দাঁড়িয়ে সে বলে অসুর বিনাশের জন্য সমস্ত দৈবশক্তির মহামায়ার রূপ নেওয়ার কাহিনি; দেবীর গার্হস্থ্য জীবন; ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ছাড়াও নানা দেবদেবীর ছবি ও কাজকর্মের চিত্রকল্প। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষায়, “ক্রমে দুর্গার গায়ে রঙ উঠিল, রঙ শুকাইল, চালচিত্রে ঘরবাড়ি, সাজসজ্জা ক্রমে যেন ফুটিয়া উঠিতে লাগিল। বোধ হইতে লাগিল মহাদেব যেন সত্যসত্যই ষাঁড়ের উপর বসিয়া বিবাহ করিতে যাইতেছেন।” ... ...
পানু পাল আঠারোতেই দানা ভরতে শিখে গিয়েছিল। প্রথমবার মাথা ফাটে ষোলোতে। সে আদতে বকুলতলার। সদ্য অ্যাক্সিলেটর গিয়ারের রহস্যভেদ করতে শিখে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছিল। ধাবার মালিক হরদয়ালের ভেস্পা নিয়ে মুচিপাড়ায় গিয়েছিল রং ওড়াতে। কিন্তু বেশি উৎসাহে ভুল জায়গায় আওয়াজ দিয়ে ফেললে তরুণতীর্থ ক্লাবের ছেলেরা তাকে ধরতে আসে। সে ভেবেছিল একবারে ফোর্থ গিয়ারে ফেলে ঝড়ের বেগে উড়ে যাবে। কিন্তু স্ট্যাটিক পজিশন থেকে একবারে ফোর্থ গিয়ারে ফেললে ভেস্পা প্রয়োজনীয় গতিজাড্য পায়না, সামনের চাকা উঠে যায় এবং প্রাণেশ মাটিতে পড়ে যায়। ক্লাবের ছেলেরা এই নবকর্ণকে আচ্ছাসে বানিয়েছিল। প্রথমবারের মত তার মাথা ফাটল। ... ...
রমাপদ চৌধুরীর লালবাঈ ও লীলা মজুমদারের সুকুমার - দুটি বই নিয়ে আলোচনা করলেন দিব্যেন্দু সিংহ রায়। ... ...
এটি পড়া বই বিভাগের বিশেষ একটি প্রকাশনা। একটি একটি সাক্ষাৎকার, কিন্তু লেখা নয়। দৃশ্য শ্রাব্য। নিয়েছেন ইন্দ্রাণী দত্ত। যাঁরা শুনতে বা দেখতে চান, চালিয়ে দেখে বা শুনে নিন। ... ...
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টিম জুকারবার্গের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন ফেসবুকেরই ডেটা সাইন্টিস্ট সোফি ঝাং। এক বছর এক মাসের মাথায় আরও একবার বিশ্বজুড়ে তোলপাড়। নেপথ্যে এক মার্কিন সংবাদপত্র-ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং আরও এক খাপখোলা তলোয়ার, তাঁর নাম ফ্রান্সিস হাউগেন। ফ্রান্সিসের দেওয়া তথ্যকে হাতিয়ার করে জুকারবার্গের তৈরি করা মহাপ্রাণের মিনারকে টলমলো করে দিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের পো়ড়খাওয়া ফেসবুক সাংবাদিকরা, ফেসবুক ফাইলস নামে একটি ধারাবাহিকে একে একে উঠে আসছে ফেসবুক সংক্রান্ত একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আর এই তথ্যই বলছে আঁচ পোহাতে হবে আপনাকেও, কারণ ফেসবুক-জাত সমস্যার শিকড় আস্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে এই বাংলাকেও। ... ...
হাঁ করে গিলছিল আলেফ আর বসির। রেলের ইস্টিশানে নেবে অবধি দেখেছে এই শহরের রঙ-ঢঙ। যেন রোজকার উৎসব লেগে আছে। পথে পথে রঙ্গ রসিকতা, নাচ গানের আওয়াজ, গ্রাহকের প্রতীক্ষায় পশরা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েরা, কিছুই চোখ এড়ায়নি তাদের। নিউ ইয়র্কের দশ-বিশ তলা ইমারত ওদের কাছে নতুন ছিল। কি তার চমক আর চেকনাই। আশবারি পার্কে দরিয়াপারের মেলা দেখে চুঁচড়োর দরগার বচ্ছরকার পরব ফিকে পড়ে গেছিল এ জন্মের মত। কিন্তু এই শহরের সাজ সহরত নকশা এমন, যেন চারদিকে আমোদের ভিয়েন বসেছে। এমন কোন রঙ তারা জানে না, যার কয়েক পোঁচ পড়েনি কোথাও না কোথাও। থেকে থেকে নিশেন উড়ছে। তাতে কত রকমের মুখ, জন্তু জানোয়ারের চেহারা দিয়ে চিত্র বিচিত্র করে রেখেছে। এই শহর তার উচ্ছল প্রাণ আর বেঁচে থাকার জীবন্ত ছবি নিয়ে শুরুতেই তাদের খুব টেনেছে। ... ...
আমরা তো কাজ করতাম কোম্পানি থেকে দূরে। জঙ্গল পাহাড়ের ভিতর। ওইসব কোম্পানির ব্যাপার। কোম্পানি বডি নিয়ে কি করবে, বডি পাঠাবে কিনা, সেসব খবর আমাদের কাছে আসত না। কে খবর দেবে! আমরা তো বোরিং করার জন্য ঘুরছি। শ্মশান মশান কোনও বাছাবাছি নেই। গু মুত যা থাক! যেইখানে বোরিং করে বোম ফাটিয়ে তেল আছে জানতে পারবে আমাদের সেইখানেই থাকতে হবে। কোম্পানির লোক যেখানে থাকতে হবে বলেছে, সেইখানে একটু পরিষ্কার করে জঙ্গল কেটে সাপ কোপ মেরে তাম্বু টানিয়ে থেকে গেছি। দু হাজার কুড়ির বাইশে মার্চ ওরা শ্মশানে জঙ্গলে পাহাড়ের ঠিক কোন খাঁড়াইতে ছিল সে জায়গার নাম ওদের জানা হয়নি। ওই জঙ্গল পাহাড় থেকে দূরে টি ভি চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখা গেল। ঘোষণা হল লকডাউন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, যে যেখানে আছেন সে সেখানেই থাকুন। খবর হল সারা দেশের ট্রেন বাস বর্ডার সবকিছু বন্ধ হল একুশ দিনের জন্য। ... ...
যেন ট্রেনে উঠেছিল লিপি- হুইশল দিতে দিতে প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে ট্রেন আর লিপি বার্থে উঠে বসছে, তারপর রেলের কামরা বদলে যাচ্ছে ওর বাপের বাড়ির পুরোনো ঘরদোরে - মলিন দেওয়ালে ঝুলে থাকা ছবি, ক্যালেন্ডার- খড়খড়ির ফাঁক দিয়ে আলো ঢুকছে আর দেওয়ালে ছবি তৈরি হচ্ছে- বকুল গাছ, জবা, টগর, এই উঁচু নারকেল গাছ তারপর মেপল। লাল হলুদ ঝরা পাতার রাশ পেরোচ্ছিল ট্রেন খুব আস্তে, সে ট্রামে করে চলেছে এরকম মনে হচ্ছিল - তারপর একটা লম্বা ব্রিজে উঠল , স্পীড বাড়াল- ঝমঝম ঝমঝম ঝমঝম; ট্রেনের তীব্র গতিতে ভেঙে গেল বাপের বাড়ির দেওয়াল, ঘরদোর, দেওয়ালের ছবি- ... ...
দুপুরে খাওয়ার সময় পুলকেশও বসেন ওদের সাথে, এবং পুলকেশের বিশেষ অনুরোধে জয়মালিকাও। য়্যোরোপের গল্প হয়, পাঁচ জায়গায় সেমিনারে বক্তৃতা দিয়েছে জয়মালিকা, ধরণী মাতার আরাধনা যে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম আর ভারতের ইণ্ডিজেনাস পপুলেশনের দার্শনিক চিন্তার মহাসম্মিলনের ফসল, ভারতীয় ধর্মের শ্রেষ্ঠ প্রতীক, আদিবাসী ধর্ম আর ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মিলনস্থল, এ চিন্তা নাকি আলোড়ন তুলেছে যেখানে যেখানে গেছে ও সেখানেই। ও যে বক্তৃতা দিয়েছে তার ইংরিজি অনুবাদ, এক একটি কপি পাঁচ য়্যুরো হিসেবে একশো কপি – যা ও সঙ্গে কোরে নিয়ে গিয়েছিলো – সবই বিক্রি হয়ে গেছে ! এসব আলোচনা খুব একটা প্রভাব ফেলে না সোমেশ্বরের ওপর, ও মনে মনে ভাবছিলো জয়মালিকা কী বাচ্চাদের পাদুকাবিহীন ফাটা-পাগুলো লক্ষ্য করেছে আজ ! ... ...
যে কোনো বাঙলা সাহিত্য বা ভাষার ইতিহাসের স্কুলপাঠ্য সিলেবাস বা বইতে চর্যাপদকেই আরম্ভ বা প্রথম নিদর্শন বলা হয়েছে। যেটা আমাদের স্কুলপাঠ্য বইতে লেখা নেই, সেটা হল, এই পুঁথি শুধু বাঙলার নয়, ওড়িয়া, অহমীয়া, ভোজপুরি এইরকম বেশ কয়েকটি ভাষারও পূর্বপুরুষ। ওই সব ভাষার সাহিত্যের ইতিহাস বইতেও একই কথা লেখা আছে। তাই প্রশ্ন আসে, এটা আদি নিদর্শন বটে, কিন্তু এ ভাষা তখনো কি বাঙলা হয়নি? এই চর্যাপদের কবি বা গীতিকাররা নিজেদের কোথাকার লোক ভাবতেন? তাঁরা কি নিজেদের বঙ্গবাসী ভাবতেন? এই ভাষাকে কোন সময় থেকে বাঙ্গালা বলা শুরু হয়েছিল? বাঙ্গাল অরিজিনালি কারা ছিল? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা, যা স্কুলপাঠ্য বইয়ে নেই.. পড়তে থাকুন। ... ...
লখিমপুর-খেরি বিজেপির গলায় কাঁটা হয়ে খচখচ করছে। তার কারণ দুটো। প্রথমত বিধানসভা নির্বাচন ঘাড়ের ওপর। এখন এই গন্ডগোল খুনখারাপির কারণে বিজেপি-বিরোধী জনমত আরও না দানা বাঁধে। দ্বিতীয় কারণটিও খুব গুরুতর। লখিমপুর-খেরি উত্তর প্রদেশের সবচেয়ে বড় জেলা, এর অবস্থান রাজ্যের পূর্বদিকে। অতীতে এখানে কৃষক আন্দোলনের অতো বাড়বাড়ন্ত ছিল না, কিন্তু এখন হচ্ছে, তার মানে নতুন নতুন জায়গায় এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। এতোদিন উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশে ৩০টি জেলায় আন্দোলনটি সীমাবদ্ধ ছিল। এখন পূবেও তা যদি ছড়িয়ে পড়ে, সে দাবানল নেভাবে কে? অতএব সামনের কয়েকটি দিন লখিমপুর-খেরি বিজেপির শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে থাকবে এটা একেবারে নিশ্চিত। ... ...
উন্যানয়েম্বে ১৯ শতকে একটি রাজ্য ছিল। এখানে বাস করতেন মূলত নিয়ামওয়েজি গোষ্ঠীর মানুষেরা। এই অঞ্চলেরই বর্ণনা করছেন হেনরি মর্টান স্ট্যানলে। ... ...
আজকের গল্প ভিয়েতনামের সেই লাঙ-কো টাউ এলাকার ফ্লোটিং রেস্টুরান্টে খেতে গিয়ে। বড়ই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গা – ভৌগোলিক ভাবে দেখতে গেলে এই জায়গাটা হচ্ছে মধ্য-ভিয়েতনামের একদম পূর্বদিকে, লাপ-আন লাগুন এবং ভিয়েতনাম-সি এর মাঝখানে। এই গোটা এলাকাটাই সি-ফুড এর জন্য বিখ্যাত। আপনি ওই ফ্লোটিং রেস্টুরান্টে খেতে গিয়ে অবশ্যই যা ইচ্ছে খেতে পারেন সি-ফুড ছাড়াও – কিন্তু সি-ফুড না খেলে জার্নি অসম্পূর্ণ থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস। কত সিম্পল ভাবে রান্না করে সি-ফুডে স্বর্গীয় স্বাদ আনা যায়, তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া না এলে ঠিক বোঝা যায় না। এখানে বেশ কিছু ফ্লোটিং রেস্টুরান্ট আছে – তবে লাঙ-কো কিন্তু বিখ্যাত তার সেই বিস্তৃত সাদা বালির বিচের জন্যও। তা দেখতে অপরূপ – গোটা জায়গাটা আরো সুন্দর হয়ে উঠেছে ছোট ছোট পাহাড়ের মতো থাকায়। এখানেই কিছু দূরে আছে বাখ-মা্ ন্যাশনাল পার্ক – পাহাড়ের আশেপাশে কিছু উঁচুতে উঠলে আপনি পেয়ে যাবেন প্যানোরামিক ভিউ! দেখে চক্ষু জুড়িয়ে নিতে পারেন খাওয়া দাওয়ার পরে – ... ...
শুনেছিলাম, এই বসুশ্রীতেই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় আর সত্যজিৎ রায়ের আলাপচারিতার গল্প। যদিও সত্যজিৎবাবুর ছবিতে শেষ পর্যন্ত ভানুর অভিনয়ের সুযোগ হয়নি, তবে দু’জনের পরিচয় অবশ্য ‘পথের পাঁচালী’র সময় থেকে। বসুশ্রীতে সেই ছবি দেখে মন্টু বসুর অফিস ঘরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন ভানু। সত্যজিৎও তখন সেখানে বসে। ভানু তাঁকে চেনেন না। পরিচয় হতেই ভানুর ভবিষ্যদ্বাণী, ‘‘মশাই, করেছেন কী! আপনি তো কালে-কালে কানন দেবীর মতো বিখ্যাত হবেন!’’ অনেকদিন পরে, এই বসুশ্রীতেই, সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’র প্রথম ‘শো’-য়ের শেষে বেমক্কা প্রশ্ন করেছিলেন কোনও সাংবাদিক। শুনে আমাগো ভানুর ঝটিতি জবাব, “লেখাপড়া না-জানলে উনি (সত্যজিৎ রায়) তাঁর ছবিতে পার্ট দেন না।” শুনে অপ্রস্তুত সত্যজিৎ রায় তখনই ‘না-না’ বলে ওঠেন। সবিনয় বলেন, আমি ওঁর খুবই গুণগ্রাহী। উপযুক্ত রোল থাকলে অবশ্যই ভানু বাবুকে নেব।” ... ...
স্থান – ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ড, ২৬ অক্টোবর, ১৮৩১। তথাকথিত “ভারতীয়” কলেরায় আক্রান্ত প্রথম রোগী চিহ্নিত হল। মারাও গেল। এক বছরের মধ্যে ২৩,০০০ মানুষের মৃত্যু হল কলেরায়। যদিও ল্যান্সেট-এর সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী, এ সংখ্যা ৫০,০০০। এ সময়ে এখানে এলেন এডিনবার থেকে সদ্য পাস করে বেরনো ২২ বছরের এক উজ্জ্বল মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট। স্নাতক হন ডাবলিনের বিখ্যাত ট্রিনিটি কলেজ থেকে। ইতিহাস ঘেঁটে আমরা এই যুবকের তিনটি নাম পাচ্ছি – প্রথমে উইলিয়াম স্যান্ডস, পরে উইলিয়াম ব্রুক ও’শনেসি, এবং সবশেষে উইলিয়াম ও’শনেসি ব্রুক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠার যুগের শিক্ষক হিসেবে এবং দ্বিতীয় নামটিতে সবচেয়ে বেশি গবেষণাপত্র লেখার সুবাদে আমরা তাঁকে জানবো উইলিয়াম ব্রুক ও’শনেসি বা শুধু ও’শনেসি বলে। ... ...
‘গরম হাওয়া’র নির্দেশক এম এস সাথ্যু কর্ণাটকের লোক, পুরো নাম মাইসোর শ্রীনিবাস সাথ্যু। গণনাট্য মঞ্চের সাথে যুক্ত ছিলেন বহুদিন। ভাষা নিয়ে ওঁর সিনেমায় প্রায়ই পরীক্ষা নীরিক্ষা দেখা যায়। একটা সিনেমার মধ্যেই লোকে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে থাকে। বহু আগে ওঁর বক্তৃতা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। সিনেমায় ভাষার বহুত্ব নিয়ে প্রশ্ন করায় জবাব দিয়েছিলেন, একটু কান পেতে শুনে দেখবেন তো আমরা রোজকার জীবনে কত ভাষা বলি আর শুনি। ভারত যে বহুভাষী দেশ তার ছাপ সিনেমাতে পড়াটাই স্বাভাবিক। ... ...
করোনা অতিমারীর আতঙ্কের মধ্যেই আরেকটা পুজো এসে গেল। বিগত পুজোয় আমরা দেখতে পেয়েছি লকডাউনের আঘাত কাটিয়ে সাধারণ পেশাজীবী মানুষের উঠে দাঁড়ানোর অসামান্য উদ্যম। এইবারেও পুজোর দিকে তাকিয়ে বসে আছেন অজস্র পেশার মানুষ, দুর্গা এলে যাঁদের ঘরে লক্ষ্মী আসবে। আমরা জানতে চাই, প্রকাশ করতে চাই সেই সকল পেশার কথা, কারিগর ও ব্যবসায়ীদের কথা, যাঁদের কর্মযজ্ঞে প্রাণ পায় আমাদের উৎসব। আর তার সাথে সেই উৎসবের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই তাদের কাছেও, যাদের পুজো কাটবে নির্জন পরবাসে অথবা ভিড়ের থেকে বহুদূর নিভৃতবাসে। পুজোর গন্ধমাখা যা কিছু রাঙিয়ে দিতে পারে আমাদের এই দিনগুলো, হোক সে পুজোর গান, পূজাবার্ষিকী, পুজোর রিলিজ সিনেমা কি পুজোর নাটক। এমন সবকিছু, যার উপলক্ষ পুজো। এমন সবকিছু, যার গায়ে পুজোর গন্ধ মাখা। ৯ তারিখের মধ্যে [email protected]এ পাঠিয়ে দিন আপনার প্রবন্ধ- থিমঃ সব উৎসবেরই জন্যে। ... ...