প্রকাশিত হল জয় গোস্বামীর কবিতার বই, 'দগ্ধ'। কবির হাতেই। কবিতার বই কি বলা যায় একে? কবি যেখানে নিজেই বলছেন, "এই ঘটনার পর কবিতা বলে কি কিছু বাকি থাকে নাকি?" ... ...
আমাদের গ্রামে বা আশপাশের গ্রামে খুন জখম হতো না। তা বলে কি, হাতাহাতি হতো না? সে-ও বলার মত নয়। তবে তেড়ে যাওয়া, কুঁদে কুঁদে ছুটে আসা ছিল। ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল। মারপিটের উপক্রম হতো। বউ বেটিরা টেনে ধরত। ... ...
এমনি গোঁজ করে থাকা প্যাঁচা মুখ এই প্রথম নয়, আগেও দেখেছি আমি। অল্পবয়সে একবার পিজি হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি ছিলাম কয়েকদিন। একদিন গভীর রাতে দেখি ওয়ার্ডের সব আলো জ্বলে উঠল। ডাক্তার, নার্স – সব খুব ছোটাছুটি করে বেড রেডি করছেন। তারপর বেনারসী পরা এক সালঙ্কারা মেয়েকে সেখানে শুইয়ে দেওয়া হল। আনতে আনতে মেঝেতে রক্ত গড়িয়ে যাচ্ছিল। বিশাল ওয়ার্ডের সেই অনন্ত সংখ্যক বেডে পড়ে আছি পেটকাটা মেয়ের দল। কিছুটা নির্বিকার উদাসীনতা, কিছুটা ক্রোধ, কিছুটা উদ্বেগ – সব খেলা করে মেয়েদের মনে। গরীব কিংবা বড়লোক, হিন্দু নাকি মুসলমান, বিয়েওলা বা অনূঢ়া, অল্পবয়সী না পাকাচুলো - সব ধরণের মেয়ে সাক্ষী রইল ঘটনার। চোখের পাতা এক হল না। এরপর সকাল হলে ... ... ...
৭ই অক্টোবর, শনিবার, শিবির গোটানো হল। মাংস-প্রেমী পেটুক এনগোয়ানাদের খুবই দুঃখ। তারা ভোরবেলা আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য বোম্বেকে ধরেছিল। ওখানে আরও একদিন থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানানোর জন্য। সবসময়ই এরকম হয়। মাংস পাওয়া গেলে আর কাজ করতে ইচ্ছে করে না। ... ...
বাংলা করে বললে, এই রাজ্যের শনির দশা চলছে। একের পর এক গ্রাম মফস্বল থেকে রাজনৈতিক কর্মী বা তার পরিবারের মানুষের হত্যার খবর আসছে। হত্যার বহর বাড়তে বাড়তে ঘরে আগুন দিয়ে গণহত্যার খবরও আমরা দেখতে বাধ্য হলাম, গতকাল, বীরভূমের বগটুই গ্রামে। ... ...
২৪শে অক্টোবর ১৯১৭, দুর্গা পুজোর মহানবমীর দিন আগুন লেগেছিল রায়বাগানের মতিলাল সেনেরবাড়িতে। সেখানেই থাকত রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানির সমস্ত ছবির ফিল্ম। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলভারতের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেনের সারাজীবনের পরিশ্রমের যাবতীয় ফসল। বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছিল এক অবিশ্বাস্য ইতিহাস! পরের এক শতাব্দী জুড়ে মান্যতা এবং প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এক ঐতিহাসিক ভুল তথ্য! না! দাদাসাহেব ফালকে নন! ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রকৃত পথিকৃৎ ছিলেন এক বঙ্গসন্তান। তাঁর নাম হীরালাল সেন। ... ...
অন্যান্য শিল্পীর সঙ্গে জাঁ লুক গোদারের পার্থক্য যে তিনি এতে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন নি। তারঁ নিজের সঙ্গে সিনেমার সম্পর্ককে, ইমেজের সঙ্গে বাস্তবতার সম্পর্ককে, জীবনের সঙ্গে শিল্পের সম্পর্ককে বরাবর প্রশ্ন করে গিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি এই সিনেমা। গোদার নিজেই বলেছেন "এটা ফিল্ম নয়। ফিল্ম করার এক প্রচেষ্টা এবং সেইভাবেই এটা উপস্থাপিত।" এটা কি কোনো গিমিক? তা নয়, আসলে গোদারের মতে শুধু ফিকশন শিল্পীকে বাঞ্চিত স্পেস এবং তাঁর কণ্ঠস্বর দেয় না। এখানেই ফিকশনের অসম্পূর্ণতা। ... ...
ঘনঘন পট পরিবর্তন হচ্ছে দেউচা-পাঁচামিতে। গত বছর নভেম্বর ডিসেম্বর নাগাদ দু-তিনটি স্থানীয় ভাবে গড়ে ওঠা গণ কমিটির নেতৃত্বে আন্দোলন হচ্ছিল। ইতিমধ্যে, জানুয়ারিতে মূলত দেউচার বাইরে, রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় উপস্থিত থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিও, কিছু দেউচার স্থানীয় নেতৃত্বের সাথে মিলে, বীরভূম জমি, জীবন, জীবিকা ও পরিবেশ বাঁচাও মহাসভা গড়ে তোলে। পাল্টা, ওই সিঙ্গুরের ন্যানো বাঁচাও কমিটির মত- ... ...
ঝড় বয়ে যাওয়ার পরে নিবিড় হতে সময় নেয়। রাস্তা বহুক্ষণ থরথর করে দোলে, কাঠের বাড়িরা ঠকঠক করে কেঁপে আতঙ্ক বজায় রাখে অনেক সময় ধরে। রাস্তার ধুলোর ঝড় ধীরে ধীরে থিতু হয়। এমনকি পথের পশুপাখিও গা ঝাড়া দেয় না ততক্ষণ। ওরা এই অবস্থায় পড়ে রইল, সেও কত মুহূর্ত, কত পল। হামলার শেষ প্রতিধ্বনি মিলিয়ে যেতেই আলেফ ঝটকা দিয়ে উঠে দাঁড়াল। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে। যেকোনো মুহূর্তে এমনই আরেকটা দল এসে যাবে, এরপর পালাবার উপায় না-ও হতে পারে। ... ...
খবর শুনে মা কাঁদল না, তবে পরের দিন আমাদের বস্তিতে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হল। পেট পুরে খেল ওই দুজন লোক, তারপর চলে গেল। আমি ততদিনে সেকেণ্ড ক্লাশ, মানে ক্লাশ নাইন-এ উঠেছি। মা আমাকে বলল, আমাকে যুদ্ধে যেতে হবে। আর যেতে হবে মেসপটমা না কী বলে, সেই আরব দেশেই। শুধু আমাকে বলেই ক্ষান্ত হল না মা, বস্তির সবাই জানল পিংলাকে তার মা যুদ্ধে পাঠাবে। আমাদেরই বস্তির মাতব্বর গোছের একজন শুধু মাকে সাবধান করে দিল, এখনই কিছু কোরো না, কেউ যদি বলে দু পয়সা খরচ করলেই সে তোমার ছেলেকে যুদ্ধে পাঠাবার ব্যবস্থা করে দেবে, বিশ্বাস কোরো না তাকে। আঠের বছর অন্তত বয়েস না হলে যুদ্ধে নেয় না। আর তা ছাড়া সাহেবরা সব দেশের ছেলেদের নেয়, কিন্তু বাঙালিদের নেয় না যুদ্ধে। বাঙালিদের জন্যে শুধু ইশকুল আপিস আর কোর্টের কাজ, সাহেবরা বাঙালির হাতে বন্দুক দেবে না। ... ...
ধীরে ধীরে পোল্যান্ডের জার্মান বিদ্বেষ কমতে থাকে বা সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি উষ্মা এবং তার প্রকাশ বৃদ্ধি পায়।সাতের দশকে উইলি ব্রান্ডের পশ্চিম জার্মান সরকার ওডার / নাইসে নদীকে পোল্যান্ডের সীমানা বলে মেনে নিলেন। রিয়াল পলিটিক শুরু । তারপর একদিন চ্যান্সেলর উইলি ব্রান্ড এলেন ওয়ারশ ঘেটোর স্মারক বেদি দর্শনে। । ১৯৪৪ সালে ৬৩ দিন ধরে এই ঘেটোর ইহুদিরা লড়েছিলেন মহা পরাক্রান্ত জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে এক নিতান্ত অসম লড়াই । সেই সময় রাশিয়ান লাল ফৌজ সহজেই ওয়ারশ ঢুকে শহরের দখল নিতে পারতেন। করেন নি । ভিসতুলা নদীর অপর পারে সমবেত হয়ে ভদকা সহযোগে এই হত্যাকাণ্ড উপভোগ করছিলেন শুনেছিলেন আহতের আর্ত চিৎকার। আজকের ওয়ারশর পুরনো শহরের দেওয়ালে দাঁড়িয়ে নদীর পানে তাকালে সেটা সহজেই কল্পনা করে নেওয়া যায়। সাত হাজার ইহুদি প্রাণ হারালেন। জার্মানরা সেই প্রতিরোধ শেষ করে দিলে নদী পার হয়ে লাল ফৌজ বিজয়ীর বেশে নিরঙ্কুশ ভাবে ওয়ারশ প্রবেশ করে জার্মানদের পিটিয়ে মারলেন। শত্রুর শেষ রাখতে নেই। ... ...
ফাইনম্যান নাসার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা নিয়ে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট লিখে মতামত দেন, যে এই ভেঙে-পড়া ব্যবস্থা ঠিক না হওয়া অবধি মহাকাশযাত্রা স্থগিত থাকুক। বলেন, “For a successful technology, reality must take precedence over public relations, for nature cannot be fooled”। রজার’স কমিশনের ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও সে রিপোর্ট শেষমেশ প্রকাশ পায়, তবে একেবারে শেষে অ্যাপেন্ডিক্স-এফ হিসেবে। অথচ, থিওকল, বইসজলি আর তাদের সঙ্গীদের সমস্ত সাবধানবাণী ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে, নাসার ম্যানেজমেন্ট উৎক্ষেপণের আগে যে প্রি-লঞ্চ এস্টিমেটটি কষেছিলেন, তাতে বলা ছিল, লঞ্চে শাটল ফেল করার সম্ভাবনা ১০০,০০০এ মাত্র ১ – প্রায় নেই বললেই চলে। তাহলে? ... ...
শুক্রবার দোল। শনিবার হোলি। এবার শুক্রবার দোলের রঙের সঙ্গে পড়েছে শবে বরাত। চলে যাওয়া মানুষদের স্মরণে দান ধ্যান করেন মানুষ। এছাড়া বাড়িতে তৈরি করা হয় চালের আটার রুটি, পোলাও (বিরিয়ানি হতো না এভাবে ঢালাও আকারে)। নানা রকম হালুয়া, ছোলার ডালের হালুয়া, গাজরের হালুয়া ছিল বিখ্যাত। হতো ফিরনি। এ-রকম শহুরে টাইপ না। ... ...
রামকমল যখন কলকাতার শাসক কেষ্টুবিষ্টুদের সঙ্গে দিনরাত ওঠাবসা করছেন, সেই সময় ১৮৩০-এর অগাস্টের গোড়ার দিকে কলকাতায় পাদ্রি হিলের প্রথম বক্তৃতা। বক্তা একে প্রণম্য ইওরোপীয় পাদ্রি, তায় বক্তৃতার বিষয় রাজার ধর্ম, [কলকাতার] হিন্দু সমাজের পাঁজর পর্যন্ত কেঁপে উঠল। কলকাতার সমাজ কাঁপল ইয়ং বেঙ্গলিদের নতুন খাদ্যাভ্যাসে। রায়বাহাদুর প্রমথনাথ মল্লিক, কলিকাতার কথায় লিখছেন, ‘... হিন্দু কলেজের ছেলেরা হেনরী ভিভিয়ান ডিরোজিও এবং হেয়ার সাহেবের শিক্ষায় প্রকাশ্যভাবে অখাদ্য খাইতে আরম্ভ করিয়াছিল ও হিন্দুধর্মের প্রতি অনাস্থা দেখাইতে লাগিল। মহেশচন্দ্র ঘোষ ও কৃষ্ণ[মোহন] বন্দ্যোপাধ্যায় খৃষ্টান হইল। রামমোহন ব্রাহ্মধর্ম (তখনও ধর্ম হয়নি) প্রচার করিলেন। সমাজে ও কলিকাতার হিন্দুধর্ম গেল গেল রব পড়িয়া গেল। রামকমল সেন হিন্দু কলেজ হইতে উক্ত ডিরোজিওকে ছাড়াইতে গেলেন, কিন্তু উইলসন, হেয়ার ও শ্রীকৃষ্ণ সিংহের (কালীপ্রসন্ন সিংহের পিতামহ) জন্য তাহা পারিলেন না। উক্ত সেনকে মিন্টের ও ব্যাঙ্কের দেওয়ান করিয়া কোম্পানি বশ করিয়া ফেলিল। ডিরোজিও নিজে ইহাদের ধন্যবাদ দিয়া চাকরি ছাড়িয়া দিলেন। ... ডিরোজিওর ছাত্রেরা সকলেই কোম্পানির বড় চাকরীয়া ডিপুটি কলেক্টর হইল’। ... ...
সরু রাস্তাটা একটা বাঁক নিতেই সামনে দিগন্ত প্রসারিত খোলা আকাশ। আর তাতে যেন আগুন ধরেছে। পলাশের রঙে। একেই তো বলে বসন্তোৎসব। শয়ে শয়ে পলাশ আর তার লাল ফুলে রাঙা হয়ে আছে পৃথিবী। লাল বেনারসিতে পৃথিবী যেন বিয়ের কনে। প্রিয়দর্শীর চোখে-মুখে মুগ্ধতা ঝরে পড়ে। খানিক দূরে ঝিরঝিরে নদীটা বয়ে চলেছে। জল কম, কিন্তু যেটুকু আছে তা একেবারে কাঁচের মত স্বচ্ছ। নদীর ওপারে মাঠ আর মাঠ। খানিকটা হলদেটে সবুজ। খানিকটা লাল মাটি। বড্ড বেশি পরিষ্কার আর চকচকে আকাশটা। মাটির সঙ্গে মিশেছে অনেক দূরে কোথাও। খুব বেশি লোক এখনো খোঁজ পায়নি এই অপার্থিব জায়গাটার। এখনো তাই নদীটা তিরতিরে, পলাশে আগুন, আর বাতাসে এমন স্বচ্ছতা। ... ...
রাস্তাগুলো দিয়ে খরস্রোতে বৃষ্টি আর জোয়ারের জল চলল খলবলিয়ে। চারিদিকে নদী আর মাঝখানে বাড়িগুলো যেন দ্বীপ। এমন জিনিস তো দেখিনি বাপের জন্মে। ল্যান্ডফোন বন্ধ, বিদ্যুৎ নেই, তখন তো আর মোবাইল ফোন ছিল না। কেবল উপকূলের মানুষের অভিজ্ঞতার জোরে সে যাত্রা বেঁচে গেলাম সকলে। বৃষ্টি একটু কমতে, রাস্তার ধারে গিয়ে দেখি চুনো মাছের স্রোত চলেছে রাস্তা দিয়ে। সবাই জলের স্রোতে ঝুড়ি আড় করে দাঁড়িয়ে আছে জায়গায় জায়গায়। কয়েক মিনিট পরে পরে তুলে নিলে আধঝুড়ি করে মাছ উঠছে। আমিও ঝুড়ি পাতলাম। হঠাৎ দেখি সবাই চেঁচিয়ে কী একটা ইশারা করছে আমাকে। তাকিয়ে দেখি আমার খুব কাছে কিছু একটা গোল্লা পাকিয়ে ঘুরে ঘুরে চলে যাচ্ছে। আমি কি আর জানি ছাই যে ওটা চিংড়ি মাছের ঝাঁক। ... ...
যেই ঝোপের একপাশে পৌঁছেছি, তখন দু'জন সন্দেহজনক চেহারার দেশিয় লোক ঝোপের অন্য পাশে এসে পৌঁছল- আমাদের দূরত্ব মাত্র কয়েক ফুট। যেই ঘুরেছি, অমনি তাদের মুখোমুখি। হঠাৎ উদয় হওয়া সাহেবের দিকে আদিবাসীরা এক ঝলক তাকাল, এক মুহূর্তে জন্য যেন ভয়ে পাথর হয়ে গেল, কিন্তু তারপর... ... ...
বিবিধ প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য ও লাভজনক নয় বলে ডেউচা-পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলনের পরিকল্পনা কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড দীর্ঘদিন আগেই পরিত্যাগ করেছিল। নানান পরিকল্পনা ও সেগুলি ভেস্তে যাওয়ার পর ২০১৮-এর সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে আসে ডেউচা-পাঁচামির কোল ব্লক, ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (ডাবলুবিপিডিসিএল) এই ব্লকের মালিকানা পায়। ... ...
চমকে উঠলাম। ওর ঘুম জড়ানো ঘোলা দু’চোখে বিরক্তি রাগ আর ভয় দেখে। যিনি আমাকে নিয়ে গেছিলেন তিনি খানিক ভূমিকা করে রেখেছিলেন মেয়েটি সম্পর্কে। ওর প্রথম কাজে যাওয়া চৌদ্দ বছর বয়সে। ২০০২ সাল। পাড়ার কোনো মেয়ে এই পাড়া থেকে মেয়ে জোগাড় করত। বলেছিল, কাজে যাবি? কাজ আছে। - পাঠাও না কাকা তোমার জামাইয়ের সাথে। খেতে পাবে, পরতে পাবে, মায়না পাবে। ... ...