কৃষি-বিলের ফলে কৃষকের অবস্থা এক থাকলেও শস্য ব্যবসার উদ্বৃত্ত যদি স্থানীয় ব্যবসায়ীর পরিবর্তে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুঁজির পকেটে ঢোকে তাতে আর্থিক অসাম্য আরো বাড়বে যেটা মোটেই কাম্য নয়। দ্বিতীয়ত সমস্যাটি দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য সংক্রান্ত। স্থানীয় পুঁজির বদলে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুঁজির হাতে টাকা গেলে দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য বদলে যাবে। স্থানীয় পুঁজি আঞ্চলিক দলের অর্থের জোগানদার, যেখানে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুঁজি অর্থ যোগায় জাতীয় দলগুলিকে। কৃষিতে স্থানীয় পুঁজির আধিপত্য শেষ হলে লাভ বিজেপির মত জাতীয় দলের, ক্ষতি আঞ্চলিক দলগুলির। এতে অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে। ... ...
এ এক মহাসংকটের কাল। যার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এপিসেন্টার রাজধানী দিল্লি। সামাজিক সাংস্কৃতিক বৌদ্ধিক উপকেন্দ্রটি অবশ্যই নাগপুর। কাশ্মীর থেকে অসম—দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ওপর তার প্রত্যক্ষ প্রভাবের চিত্র। একটি নিবন্ধসংকলন। পড়লেন সৌমিত্র দস্তিদার ... ...
নারীর বিদ্বান (বিদুষী) হয়ে ওঠার পথটি কখনোই সহজ ছিলনা, আজও নেই। অদূর ভবিষ্যতেও যে অবস্থার খুব পরিবর্তন হবে এমন আশা এখনও করা যাচ্ছে না। কারণ মানবসমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্যের মূল অতি গভীর। অন্য অনেক প্রাণীই যূথবদ্ধ হয়ে থাকলেও মানবসমাজ প্রথম থেকেই স্বতন্ত্র - নারী-পুরুষের ভূমিকার দিক থেকে। এর কারণ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। সকলে যে একমত এমনও নয়। কিন্তু এটা অনস্বীকার্য যে মানুষের শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যই এর প্রাথমিক কারণ। মানুষ এক নখ-দন্ত-লোম-পালক-বিহীন প্রাণী। প্রাকৃতিক শীতাতপ, ঝড়-ঝঞ্ঝা বা শ্বাপদের আক্রমণ - কোনকিছু থেকেই নিজেকে রক্ষা করতে সমর্থ নয় তার শরীর। ... ...
সেনাবাহিনীর জীবনবীমার প্রিমিয়ামের টাকা এদের শেয়ার কিনতেই লগ্নি হয়েছে। এবং এই টাকা কিন্তু সরকারের দেওয়া নয়। কত টাকা? একটা মোটামুটি হিসেব ধরা যাক - ভারতীয় সেনা (শুধু মিলিটারি) তে জেনারেল এর সংখ্যা কমবেশী ৩৫০ জন - এরা জীবনবীমা বাবদ প্রিমিয়াম দেন মাসে ৫০০০/- অর্থাৎ বছরে ৬০০০০/- টাকা - ৩৫০ x ৬০০০০/- = ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। জওয়ান এর সংখ্যা কমবেশী ১৩ লক্ষ - এরা দেন মাসে ২৫০০/- অর্থাৎ বছরে ৩০০০০/- টাকা - মোট ১৩,০০,০০০ x ৩০০০০/- = তিন হাজার ন’শো কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বছরে মোট তিন হাজার এগারোশো কোটি টাকার মত - এই বিপুল অঙ্কের টাকার দায়ীত্ব কার? ফান্ড ম্যানেজমেন্ট কে করেন? ভক্তবৃন্দ জানতে চান না - আপনি জানতে চাইলেও পাবেন না - কারণ এর কোন সদুত্তর কারো কাছে নেই। একটি ডুবন্ত কোম্পানির শেয়ার কিনতে এই টাকা লগ্নি করা হয়েছে এবং হচ্ছে - অথচ কোম্পানি বা সেনাবাহিনী কোন তরফেই এই টাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন সদুত্তর নেই। আমাদের মহান সেনাবাহিনী যখন দেশের সেবা করতে নিজের প্রাণ হাতে করে যুদ্ধ করেন, সিয়াচেনে দাঁড়িয়ে পাহারা দেন, তখন তার পরিবারের ন্যুনতম নিরাপত্তা বিধানে সরকার বাহাদুর উদাসীন থাকেন - তাঁকে দেখিয়ে ভোট কেনাটা বেশী জরুরী। ... ...
তবে শুধু করোনা কেন ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে দেখলে পশ্চিমবঙ্গে আমফান বিপর্যয়, বিভিন্ন রাজ্যে পঙ্গপাল হানা, উত্তরাখণ্ডে দাবানল—কিছুরই হদিস দিতে পারেনি জ্যোতিষের কারবারিরা। তবে তাতে এই ধাপ্পাবাজির কারবারিদের খুব একটা কিছু যায় আসবে বলে মনে হয় না। কারণ করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে গভীর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবতে চলেছে মানুষ। রোজগারহীন, নিরাপত্তাহীন হাজার হাজার মানুষ খেটে খাওয়া হাত দুটো নিয়ে ছুটবেন তো তাঁদের কাছেই—কপালে কী ভবিষ্যৎ লেখা আছে তা জানতে। ... ...
- এই দেখ, মধ্যবিত্ত গৃহস্থ বাঙালি বিয়ের ভোজ নিয়ে কী লিখছেন মহেন্দ্রনাথ দত্ত: ‘কলাপাতায় বড় বড় লুচি আর কুমড়োর ছক্কা। কলাপাতার এক কোণে একটু নুন। মাসকলাই ডালের পুরে আদা মৌরি দিয়ে কচুরি, নিমকি, খাজা, চৌকো গজা, মতিচুর এইসব সরায় থাকিত। আর চার রকম সন্দেশ থাকিত। আগে গিন্নিরা নিজেরাই রাঁধিতেন। কিন্তু একদল লোক খুঁত ধরে ভোজ পণ্ড করে দিত বলে মেয়েরা আর রাঁধিতেন না। ’ - একদল লোক খুঁত ধরে খাওয়াদাওয়া পণ্ড করে দিত? - হ্যাঁ রে, নিন্দেমন্দ, খুঁত ধরা, গাল পাড়া, ঘোঁট পাকানো, জাতপাত তুলে ভোজ বয়কট – এইসব নষ্টামি খুব ছিল। - এ বাবা! - আবার এটা কি জানিস, কলকাতার বিয়েবাড়িতে অনেক দুষ্ট লোক যেত জুতো চুরি করতে। সেই জন্য গৃহকর্তার সঙ্গে চাকরও যেত জুতো পাহারা দিতে। বিয়েবাড়ির সামনে ঘোড়ার গাড়ি আর পালকির পার্কিং প্লেস বানাতে হত। - হি হি। ... ...
নীতিশকুমারের, বস্তুত বিজেপি-র, সমর্থকটি দাবি করবেন, “বহোত কাম হো রহা হ্যায়”। ঠিক-ই। পাটনা শহরের চতুর্দিক “কাজে” ঢাকা – ফ্লাইওভারের পর ফ্লাইওভার, নতুন নতুন সরকারি-বেসরকারি ইমারত। “কাজ” মানে এক ঢিলে দুই পাখিঃ চোখে আঙ্গুল দিয়ে আর্থনীতিক উন্নয়ন দেখিয়ে দেওয়া, স্টেট জিডিপি-র বাড়-বাড়ন্ত; পাশাপাশি, অথবা সেটাই মূল উদ্দেশ্য, রাজনৈতিক আপনজনদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পথ করে দেওয়া। লোকের জন্য পথ বলতে প্রায় কিছু নেই, যেটুকুবা আছে তা ধনাঢ্যের অশ্লীল বাহনের দখলে। চতুষ্পার্শে ভর্তি নোংরা, দুর্গন্ধে টেকা দায়। ধনিকের কিছু আসে যায়না, তাদের কাচ-তোলা গাড়িতে বাইরের বাতাসের প্রবেশ নিষেধ। আর দরিদ্র মানিয়ে নিতে নিতে একেই জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছে। করে নিয়েও বাঁচার সুরাহা হয়না। দুর্ভাগ্য যেন বিহারবাসীর সহজাত। সেই কবে শুরু হয়েছিল গ্রাম থেকে শহরে আসা – পাটনায় স্থান সংকুলান, অতএব কলকাতা। সে নগরী, ক্রমে, নিজেই হেঁপোরুগী। বঙ্গবাসী জনতাও আজ কাজের খোঁজে দলে দলে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশ বিভুঁয়ে। অতএব, বিহারী কর্মজীবীকে কাজ খুঁজতে যেতে হয়, পঞ্জাব, হরিয়াণা, মহারাষ্ট্র, অথবা অন্যত্র। ... ...
শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং মহাশয়, আমার নাম নীলাভ। ডাক নাম নীল। আমার কিছু জিজ্ঞাসা আছে আপনার কাছে। হ্যাঁ, আগে বলে নিই, আমার বয়স চোদ্দো। ক্লাস এইট। আমার দাদার কুড়ি। ফিজিক্স পড়ে। দাদার জন্মদিনে দাদাকে একটি বই দিয়েছিল বাবা – এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম- সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। দাদার কাছ থেকে নিয়ে বইটা আমিও পড়েছি। সবটা ধরতে পারিনি , কিন্তু পড়তে খুব ভাল লেগেছে। বুঝিনি সবটা বলেই কিছু কিছু প্রশ্ন জেগেছে আপনার লেখা ওই বইটি নিয়ে, বলা যায় সময় নিয়ে। তা রাখছি। ১) বড় হতে কত সময় লাগে স্যার?২) আমার কাছে সময় সবসময় কম মনে হয় কেন? কারোর কারোর কাছে যে সময় আর ফুরোয় না, যেমন অভিরূপ। তার কথা পরে বলছি। ... ...
উপরে উদ্ধৃত কথাগুলি বলেছিলেন গালিলিও। বিজ্ঞানের অগ্রগতির এক মাইলফলক। তাঁরও পূর্বে মধ্যযুগ থেকে একেবারে আধুনিক কাল পর্যন্ত সে অগ্রগতির রূপরেখা দু-মলাটে ধরা সহজসাধ্য নয়। বাংলায় তো তেমন বই দুর্লভ। সেই বিরল সাধ্যসাধন করা হয়েছে একটি বইয়ে। তাও সাধরণ পাঠকের বোধগম্য সহজ ভাষায়। পড়লেন বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের কর্মসচিব, পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় ... ...
আজ থেকে বছর পনেরো আগে,আনোয়ারা'দি অর্থাৎ আমার বু এক কাপড়ে স্বামী-ছেলেমেয়ের হাত ধরে বেলগাছিয়ার বস্তি থেকে বেরিয়ে আসে। শাশুড়ির অকথ্য অত্যাচার দিনের পর দিন সহ্য না করে, রোজ মার খাবার নিয়ম গায়ে না মেখে, জোর করে ভিক্ষা করতে বাধ্য হবার রুটিনকে পায়ে ঠেলে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বপ্নে সমস্ত নাক কুঁচকানো-মুখ ঝামটাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সাহস করেছিল যে মেয়েটি, সেই আনোয়ারা'দির জন্য রইল নারীদিবসের শুভেচ্ছা। ... ...
টার্কি দেশ হিসেবে প্রথম ২০১১-এ কাউন্সিল অফ ইউরোপে ভিক্টিম প্রোটেকশন এবং গার্হস্থ্য হিংসা কমানোর জন্য অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটি লিগাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করে যা, ইস্তানবুল কনভেনশন নামে পরিচিত। ২০১২ সালে তা র্যাটিফাইও করা হয়। তারপর থেকেই এই এরদোগান সরকার এই কনভেনশনের পেছনে হাত ধুয়ে পড়ে আছে, যাতে তা কার্যকরী না হয়। সরকারের মতে এই আইন পারিবারিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে, যা চালু হলে সামাজিক মূল্যবোধও নষ্ট হবে। ... ...
শুধুমাত্র ছবি আঁকার জোরে টাকা-পয়সা আয় করে কলকাতায় কাটিয়ে এসেছে জয়ি কয়েক মাস, শিল্পী-সাহিত্যিকদের অনেককেই চেনে সে এখন, জয়ি এখন স্বাভাবিক নেতা ওর বন্ধু-বান্ধবীদের। সবাই মিলে ঠিক হয়েছে পরের সংখ্যা থেকে শাম্ব ছাপানো হবে, আর হাতে-লেখা নয়। রাঁচি থেকে শ্যামলিমা-অরুণিমাও এলো; দুজন সম্পাদক, অরুণিমা আর জয়ি। তুলি প্রস্তাব দিয়েছিলো শাম্বর ঠিকানাটাও বদলিয়ে এখন কলকাতায় জেঠুর বাড়ির ঠিকানা দেওয়া হোক, সে প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেলো। জয়ি বললো কলকাতার হাজারো লিট্ল্ ম্যাগাজিনের মধ্যে শাম্ব হারিয়ে যাবে, এখানকার ঠিকানাই ভালো। ... ...
কেন, কী ভাবে ওখানে থাকে, ওর চাকরি এখানে কোন্ সূত্রে হলো, সবটা শুনে হালদার বাবু বললেন, তাহলে তো প্রথমেই আপনার শিফ্ট্ করা দরকার। ওখানে থাকবেন কেন? এখন তো আপনার এনটাইট্ল্মেন্ট ডী-ওয়ানে। দাঁড়ান, আমি দেখছি, বলে একটা ফাইল নিয়ে আসেন হালদার বাবু। উল্টে-পাল্টে বললেন, তিনটে কোয়ার্টার খালি আছে ডী-ওয়ানে, তেইশ নম্বর, একচল্লিশ আর আটাত্তর। আজ যাবার আগে আমার কাছ থেকে চাবি নিয়ে যাবেন তিনটে কোয়ার্টারের, দেখে নিন তিনটেই, বলে দেবেন কোন্টা পছন্দ। রিপেয়ার-পেন্টিং সব করিয়ে দেব তিন-চার দিনের মধ্যে। এই সপ্তাহেই শিফ্ট্ করে নিন, আমি কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে কথা বলে রাখবো, গাড়ি-টাড়ি নিয়ে চলে যাবে, ওর লোকজনরাই সব গুছিয়ে গাছিয়ে দিয়ে আসবে। ... ...
কিন্তু ভেবে দেখুন আমাদের যে কারুর সাথেই তো এমন হতে পারতো। ঘটনাক্রমে যদি আমি বা আপনি আহমদী বা অন্য কোনো ধর্মের পরিবারে জন্মাতাম তাহলে এই আমাদেরই অত্যাচার, অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তায়াহীনতায় দিন কাটতো। একজন মুসলমান নিজের ধর্মে ঠিক যতখানি বিশ্বাস, যতখানি আস্থা রেখে চলেন একজন অমুসলমানের কাছেও তাঁর ধর্ম তো ঠিক ততখানিই। তাহলে সেই বিশ্বাস, সেই আস্থার জন্য তাঁকে বারবার এমন হেনস্থা হতে হবে কেন? আমি জানি রাতারাতি সমস্ত আহমদী বিরোধী নিয়ম কানুন দেশ থেকে উবে যেতে পারেনা। আর নিয়ম কানুন গেলেও মানুষের মন থেকে খুব সহজে এই বৈষম্য মুছে যাবে সে আশাও আমার নেই। কিন্তু অন্তত একটা কাজ আমাদের করতেই হবে।যাঁদের মধ্যে সামান্যতম নৈতিকতা, মানবিকতা আছে তাঁদের আজ এগিয়ে এসে এই ধর্মীয় বৈষম্যের প্রতিবাদ করতে হবে।লাহোরে যা ঘটেছে, সারাদেশেই যা ঘটছে তার প্রতিবাদ করতে হবে। নেই।আজ এই যে আহমদীদের পক্ষ নিয়ে এতগুলো কথা বললাম এর জন্য পাকিস্তানে আমায় কত সমালোচিত হতে হবে তা আমার অজানা নেই।তবু এই কথা আমি বারবার বলে যাবো। কারণ ,এর মত সত্যি কথা আর কিছু নেই। ... ...
বিশিষ্ট কিছু বিজ্ঞানীর কথা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের স্বর্ণযুগের কাহিনি, গণ-আন্দোলনে বিজ্ঞানীদের অবস্থান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক প্রচারে অপবিজ্ঞানের জনপ্রিয় ব্যবহার, গণ-মারণাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের ভূমিকা। বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে একগুচ্ছ প্রবন্ধের সংকলন। পড়লেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মী বিষাণ বসু। ... ...
১৭-ই মে রাজ্যের নন-বোড়োগ্রুপের একটা জোটের পক্ষ থেকে বন্ধ ডাকা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও দিনটা রজনী ফুকানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য। রজনী “সুমা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড”-এ চাকুরি করতেন। এই সুমা এন্টারপ্রাইজ এবং আরও তিনটি কোম্পানি- এল.এন্ড.টি., অ্যালস্টম আর টেক্সম্যাকো কে এন.এইচ.পি.সি দুই হাজার মেগা ওয়াটের নিম্ন সুবনসিড়ি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মানের বরাত দিয়েছে। ঠিক আগেরদিন ফুকান ও তাঁর ৪৬২ জন সহকর্মী একসাথে চাকুরিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন। খুব সম্ভবতঃ সেদিনই তাঁদের প্রাপ্য টাকা পয়সা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ মিটে যাওয়ার কথা। অর্থাৎ এর পরে গেলে আর প্রোজেক্ট সাইটে সম্ভাব্য প্রবেশের উপায় থাকত না। ফুকান শুরু থেকেই বাঁধ বিরোধী আন্দোলনের সমর্থক আবার অক্লেশে একথাও স্বীকার করেন চাকরীটা তাঁর প্রয়োজন ছিল। হয়তো বাঁধটারও। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এঅধ্যায় এমভূমি গ্রাম থেকে রওনা হয়ে মাটাবুরু নামের জনপদে পৌঁছনোর কাহিনি। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
অদ্য ফুল খেলবার দিন তা বলা যায়না, তবে তাতে পদ্য পড়ায় কোন বাধা নেই। পড়ুন ভোটের কবিতা! ... ...