ছত্তিসগড়ে হিংসামূলক কাজকর্মের জন্য উৎখাত হওয়া ১৬,০০০ জনেরও বেশী মানুষ অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম অঞ্চলে ২০৩ টে অস্থায়ী উপনিবেশে রয়েছেন। এইসব ক্যাম্পগুলির কিছু কিছু গ্রামের আশেপাশে। কিছুসংখ্যক এই ক্যাম্প মানবাধিকার সংস্থাগুলির দ্বারা নথিভুক্ত। তা সত্ত্বেও রাজ্য এই উপনিবেশগুলির অস্তিত্ব স্বীকার করতে নারাজ। বাস্তবিকই, রাজ্যের গন্ডীর মধ্যে এই ১৬,০০০ মানুষের বাঁচা বা মরা রাজ্যের দায় নয় – এটা বুঝিয়ে দিতে অন্ধ্রপ্রদেশ এই মানুষগুলির অস্তিত্বকেই অস্বীকার করেছে। এ যেন এমন এক অদৃশ্যকরণ জাদুকৌশল যেটা দক্ষতম জাদুকরেরও ক্ষমতার বাইরে। আপনি সরকারি নথিপত্র দেখতে পারেন, কিন্তু কোথাও এই মানুষগুলির উল্লেখ নেই। ... ...
বাংলা সিনেমা ভুল বুঝতে পেরেও, ভাঙবে তবু মচকাবে না। ‘বলো দুর্গা মাঈকী’ নামেও নাকি একটা ছবি হয়েছে! ‘ঢাকের তালে’ বলে একটা গান শুনতে পাই মাঝেমাঝেই। তবে যে কথা বলছিলাম, ‘অনুসন্ধান’ একটা বিগ ব্রেক। অমিতাভ বচ্চন বাংলা ছবি করলেন। বাংলা বললেন। “আমি বলছিলাম কি” বাক্যবন্ধ সুপার ডুপার হিট হল এবং তিনি ঢাক বাজিয়ে মায়ের সামনে নাচলেন। রাখী আনন্দ-র সিল্ক শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে রইলেন। কালীরামের ঢোল ফাটল। দুর্গাঠাকুরের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই লোকে বচ্চনবাবুকে বেশি দেখল, আমজাদ খানকে বেশি দেখল। তাঁরও এটি প্রথম বাংলা ছবি। বাংলা বোল। অর্থাৎ মহামায়া-কেন্দ্রিক ছবি থেকে বেরিয়ে এসে দুর্গাপূজাকে একটা এলিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করার জায়গা তৈরি হল। ‘অনুসন্ধান’ একটা ব্যাপার ছিল। তাতে দুর্গাপূজার আয়োজন, বাঙালিয়ানা বোঝানোর জন্য যতটা, তার থেকে বেশি বচ্চনসাহেবের নাচ দেখানোর জন্য। ... ...
এ অধ্যায়ে ফের শুরু হল উন্যানয়েম্বের জীবনের বর্ণনা ও উজিজির দিকে এগিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু। ... ...
কিন্তু গোলুর মনকেমন যায় না। ক্রমশ বাড়ে। চোখের সামনে মেয়েটাকে কষ্ট পেতে দেখতে ভালো লাগছে না গোলুর। হঠাৎ আকাশ থেকে একটা শিউলিফুল এসে পড়ে। একটু বড়! গোলু যেই না হাতে নেয়, ফুলটা কথা বলতে শুরু করে। বলে, "গোলু, তোমার মনে আছে মেঘ দিদির কথা?" গোলু বলে, "হ্যাঁ। কেন বলো তো?" "ওই আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছে। তোমার দুঃখ মেটাতে। কি হয়েছে তোমার?" শিউলি ফুল বলে ওঠে। কিন্তু গোলু কিছু বলেনা। ওর মনে হয় স্বপ্ন দেখছে। গোলু বলে, "জানো তো, ওই যে মুখুজ্যেদের বাড়ির কাছে, একটা মেয়ে বসে আছে, পুরনো গোলাপি জামা পরে, ওর খুব কষ্ট। পুজোয় একটাও জামা হয়নি। খুব দুঃখ। এদিকে দেখো। ... ...
রোহতক, এপ্রিল ২০১৮। জনৈক স্মিতা চক্রবর্তি ভারতের সংশোধনাগার ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলছিলেন মানসরোবর পার্কে। উনি সংশোধনাগার ব্যবস্থা নিয়ে স্বাধীন ভাবে গবেষণা করেন। সংশোধনাগারগুলির দূরাবস্থার কথা, সেখানকার বাসিন্দাদের দুর্দশার কথা বলতে বলতে হাঠাৎই এক রূপকাথা শোনান তিনি। রাজস্থানের আইজি সংশোধনাগার, এক আশ্চর্য বিপদে পড়ে ওনাকে সাহায্যের জন্য মারিয়া হয়ে ডেকে পাঠান। সমস্যা – সাজাপ্রাপ্ত মানুষেরা সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেতে নারাজ। এমনটা হয় কি? ... ...
অবশ্য চায়ের অর্ডারে এখন আর তার কোনো আফশোস নেই৷ অবাক হতে হয় এমন আইডিয়া দেখে, গরম চায়ের সাথে চমকপ্রদ গল্প পরিবেশনা যেন চোখের সামনে অভিনীত কোনো দৃশ্য৷ একটাই আক্ষেপ, গল্পটা বেশ ছোট৷ সব কিছু নিখুঁতভাবে শেষ হবার আগেই যেন মঞ্চে পর্দা পড়ে গেল। অনেকটা যেন সেই অণুগল্পের মতো। ... ...
পরিশেষে এসেছে আমার আপনার নাম। হ্যাঁ, নাগরিক সমাজ। ব্যক্তিগতভাবে যে কথাগুলো আমি সুযোগ পেলেই আপনাদের গেলাবার চেষ্টা করি, সেই আমার মন কী বাত- পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে জনসাধারণকে যুক্ত করা। বিশ্ব জুড়ে এখন ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার কথা বলা হচ্ছে। শুধু সরকার, কমিটি আর কমিশন নয়, পরিবেশ বাঁচানোর লড়াই লড়তে হবে আমাদের সবাইকে। তাই বাম জোটের ইশতেহারে পরিবেশের নীল নকশা দেখে আশান্বিত হলাম। ... ...
সারাটা দাঙ্গার সময় খোকনের কলকাতায় কাটলো। কি আতঙ্ক, কি আতঙ্ক রে বাপ। রোজ অপেক্ষায় থাকে এই বোধহয় কেউ ছুরি হাতে বাসায় ঢুইক্যা আইলো। দাঙ্গা কি আর আগেও দ্যাখে নাই খোকন, ছোটখাটো কম হয় নাই দ্যাশেও।কিন্তু মাতব্বররা সালিসি করসে, কার দোষ ঠিক কইরা দিসে, থাইম্যা গেসে। ১৯৪৬ এর দাঙ্গার এক্কেরে আলাদা। কলুটোলা, রাজাবাজার,পার্কসার্কাস সব বেবাক চুপচাপ। লিচুবাগানের ঘটনার পর তো কলকাতা থম মাইর্যা গেলো। দ্যাশের খবরও খুব খারাপ। নোয়াখালি, আরও কত জায়গার খবর আসে। খোকন অস্থির হইয়া ওঠে, ভিতরে ভিতরে। দাঙ্গার আগুনে সব ছাড়খার।সন্ধ্যাবেলা পিসা আর পিসার বন্ধু অমলবাবু কত কথা কয়, খোকন শোনে একমনে।অমলবাবু বলেন " বুঝলে মিত্তির, লীগ আর হিন্দুমহাসভার নেতাদের বোঝানোই গেলো না, এ লড়াই হিন্দু মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়, এ ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে" পিসা কয়,"স্বাধীনতা ও যেই ভাবে আইলো, তাতে লাভ কী হইল অমলবাবু? দ্যাশভাগ আর লাখে লাখে মানুষ আজ ভিটা মাটি ছাইড়া আইতাসে পূর্ব পাকিস্থান থিকা,দাঙ্গা কমলেও এই ভয় কী কমবো কোনোদিন! দুইটা জাতির বিশ্বাস, ভালোবাসা তলানিতে আইসা ঠেকলো ব্রিটিশের শয়তানি আর নেতাদের ভুল চালে।" অমলবাবু কন, ' দাঙ্গা সাধারণ হিন্দুও চায় না মুসলমানও চায় না।চায় শুধু দাঙ্গাবাজগুলো" খোকন ভাবে মামুদ, আনোয়ার তো তারে ভালোবাসে, চিঠি দেয়। খোকন কবে আইবি রে? খোকন তুই নাই তাই ফুটবল খেলা জমে না। তাদেরও অন্তরে বিষ? ... ...
নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী জয়ে কেঁদেছিলেন। বিপুল পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণার পাশাপাশি সহজ ভাষ্যে সাধারণের পাঠযোগ্য লেখালিখি করেছেন প্রচুর। মগ্ন থাকতেন রবীন্দ্রনাথে। সমাজসচেতন বামপন্থী। তবু যা শিক্ষণীয়, নিঃসংকোচে নিতেন ভিন্ন মতের মানুষের কাছ থেকেও। স্মৃতিচারণে কন্যা ইতিহাসবিদ তনিকা সরকার। আলাপে ইতিহাসকার রণবীর চক্রবর্তী ... ...
গোদার বিপ্লব। গোদার নাশকতা। গোদার ধ্বংস, সৃষ্টি, স্পর্ধা সব কিছুই। বিংশ শতাব্দী জ পল সাত্র, বব ডিলান বা বিটলস ছাড়া এরকম সুগভীর চুম্বনের স্বাদ খুব একটা পেয়েছে বলে মনে করা যায় না। তাঁর যাবতীয় রহস্য, দুর্বোধ্যতা, ইমেজ সমস্ত কিছু নিয়ে পাতার পর পাতা লেখাপত্র হয়েছে, তুফান উঠেছে চায়ের কাপে, গবেষণা কাটাছেঁড়া বিতর্ক কিছুই নেই যা এই নামটিকে ঘিরে হয়নি। তিনি সিনেমার শতাব্দী স্পন্দিত নায়ক। তাঁর অরৈখিক সম্পাদনা, কাহিনী বিরোধিতা, জাম্প কাট, প্রতিবিল্পব ও প্রতিসংস্কৃতি প্রায় রূপকথার মতন পঠিত। আজ বিয়োগের মুহূর্তে সেইসব আলোচনা করে আমি এই শূন্য দেবস্থানে বিলাপ করতে চাইনা। কেবল রইল গোদার নামক কোন এক ধ্রুবতারার সাথে একুশ শতকের একটি তাল-ভোলা যুবকের আলাপ আর সম্পর্কের কিছু চিরকুট। ... ...
সংখ্যার ভিতরেও অজস্র সংখ্যারা থাকে যেন বাসাবাড়ি, বৃক্ষকোটরে অরণ্য প্রয়াস দরজা জানলা ডালপালা, ফুলফল পাতায় মানুষ বা কীটের বসবাস, যাতায়াত বারোমাস ... ...
কবিতা - জগন্নাথদেব মণ্ডল ... ...
সাতক্ষীরায় সব কিছু শান্ত হয়ে আসবে। এই ঘটনা সবাই ভুলে যাবে। ভুলিয়ে দেওয়ার সকল আয়োজন চলছে। এরপরে আবারও সাতক্ষীরার বদলে হয়তো ঝিনাইদাহে ঘটবে। কুড়িগ্রামে ঘটবে। অথবা নরসিংদীতে, ভোলায়, হবিগঞ্জে বা যে কোনো স্থানেই ঘটতে পারে। তারও ক্ষেত্র প্রস্তুত আছে। পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। এই দাঙ্গার প্রধান টার্গেটই ছিল সংখ্যালঘুরা। একাত্তরে পাকিবাহিনীর প্রধান লক্ষ্যই ছিল এই সংখ্যালঘুদের নির্মুল করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও বিরানব্বইতে, ছিয়ানব্বইতে, দুই হাজার এক সালে নির্বাচনোত্তর সহিংসার শিকার হয় এই সংখ্যালঘুরা। এগুলো করেছে এরশাদের জাতীয় পার্টি, খালেদার বিএনপি, গোলাম আযমের জামাতে ইসলামী এবং হাসিনার আওয়ামী লীগ তেমন সোচ্চার হয় নি-- চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পছন্দ করেছে। প্রকারন্তরে তাদের এই চুপ করে থাকাটাই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে শক্তিশালী করে। চিনাপন্থী রাজনীতিকদের সমর্থন সবসময়ই বিএনপি-জামাতের দিকে। আর প্রগতিশীল বামদের শক্তি ক্রমশ কমছে। তাদের কণ্ঠ ক্ষীণ হয়ে আসছে। ভরসা কমছে। ... ...
শেষ হতে চলেছে ২০০৭, এক রক্তাক্ত বছর। সাদ্দামের ফাঁসির ভিডিও আর নিঠারীর নালা থেকে পাওয়া শিশুদের হাড়গোড় দিয়ে শুরু হয়েহিল এই বছরটি। জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা তাপসী মালিকের আংরা হয়ে যাওয়া ছবিটাও তখনও বেশ টাটকা। তারপর শুধুই রক্ত আর লাশের মিছিল, ভালবেসে বিয়ে করে লাশ হয়ে যাওয়া, বিস্ফোরণে ছিন্নবিচ্ছিন্ন, মানবদেহের টুকরো; মক্কা মসজিদ থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেস, মইনুদ্দিন চিস্তির দরগা থেকে চাট সেন্টার ---- এবং নন্দীগ্রাম, এবং নন্দীগ্রাম, এবং নন্দীগ্রাম। ... ...
পরিযায়ী শ্রমিক কথাটা তখন শুনিনি। কোনও খবর লিখিনি। শ্রমিক, শ্রমিক নেতা, শ্রমমন্ত্রী, কারও মুখে শুনিনি শব্দ দু’টি। খবরের কাগজ, টেলিভিশনের খবরে এ নিয়ে কোনও খবর, আলোচনা নজরে আসেনি। মইনুল, আমিনুল এবং ওদের আরও অনেকের সঙ্গে আমাদের তখন রোজকার আড্ডার সম্পর্ক। ওদের মুখেই জানতে পারি, মুর্শিদাবাদের গ্রামে জোয়ান ছেলেদের অনেকেই গ্রামছাড়া। কেউ কাজের সন্ধানে ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। কেউ পুলিশের ভয়ে এলাকাছাড়া। সে জেলার খবর শিরোনামে আসে গঙ্গা-পদ্মা-জলঙ্গির ভাঙন আর সিপিএম-কংগ্রেস মারামারি-খুনখারাপির সুবাদে। ছাপা হয়, খোলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার, মানুষ পাচার, নানা সামগ্রী চোরাচালানের খবর। আর ছাপা হয় আইএসআই চর ধরার রোমহর্ষক কাহিনি। ... ...
উনি শেষ পর্যন্ত যখন ‘দ্য মেটামরফোসিস' পাঠটিতে এলেন আমি তখন এটুকু জেনে গেছি যে কিছুই আগে জানা হয়নি আমার। যত দূর মনে হয়, এই ছোটোগল্প পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকেই বোধহয় কাফকার উপন্যাস ‘দ্য ট্রায়াল’-ও পড়িয়ে দিয়েছিলেন। ওটা পাঠ্য ছিল না বলে পড়বার দরকার নেই এমন তো না। এ যুগের স্যারেদের মতো বেশি তথ্য দিলাম ফলে সব জমিয়ে রাখা জ্ঞানটুকু খরচ হয়ে গেল সেই ভয় ওনার ছিল না। জীবনদর্শনই ছিল জানা ও জানানোর। সিলেবাসে যা আছে, যতটা পড়ানোর কথা, তার থেকে সবসময় বেশি পড়িয়ে দিতেন। অনেক পরে দেখেছিলাম মেপে কাজ করা, মিতব্যয়িতা ও যৌক্তিকতা এইসব সামান্য খোপের মধ্যে আটকে পড়ে থাকার মতো মানুষ উনি নন। ... ...
বাগামায়ো ও উসেগুহহার সিম্বামওয়েন্নির মধ্যে আমাদের অভিযান সর্বোচ্চ যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল, সেটা হাজার ফুটের বেশি হবে না, আর কিঙ্গারু হেরার উত্তরে, দিলিমা শীর্ষ নামে যে পাহাড়গুলো পরিচিত, এখানে ওখানে তাদের একেকটা পাহাড়চূড়া বাদ দিলে, মিকেসেহের আশেপাশে ভূমি কিন্তু ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠেছে। টানা সমান্তরাল ঢেউ এর মত, পাহাড়ের শিরগুলো গভীর জঙ্গল বা মসৃণ ঘাসে ঢাকা— ঢালগুলো সুচারুভাবে পশ্চিমদিকে তরঙ্গের তলদেশের গভীরে নেমে যাচ্ছে, এর মধ্যে দিয়েই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে জল বয়ে গিয়ে উঙ্গেরেঙ্গেরিতে পড়ে। ... ...
১৯৭৫। বাঁকুড়ার ছোট্ট মফস্সল শহর বিষ্ণুপুর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন দুই তরুণ। দুনিয়া ঘুরে দেখার আগে সাঙ্গ করছেন ভারতভ্রমণ ইন্দিরা গান্ধির পরামর্শ মতো। সাইকেলে। কিছু পরে হাল ছাড়লেন দ্বিতীয় জন। ঘুরতে থাকে তৃতীয়জনের সাইকেলের চাকা। ১৭ বছর। ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। ১৫৪ টি দেশ। আজও এ কীর্তিতে তিনি অদ্বিতীয়। এই প্রথম দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সে পরমাশ্চর্য সফরের অনুপুঙ্খ কাহিনি শোনাচ্ছেন জয় মণ্ডল। এ পর্বে দিল্লিতে ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে হঠাৎ পরিচয় আর শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের স্নেহের স্মৃতি। আলাপে নীলাঞ্জন হাজরা। ... ...