প্রতিটি পদে পদে পরিষ্কার যে পুলিশ প্রথম থেকেই ঘটনা সম্পর্কে নিঃস্পৃহ ছিল। তাঁর বাবা সালেম খান থানায় ফোন করেন রাত তিনটেয়। পুলিশ এতোটাই অসংবেদনশীল যে তারা সদ্য পুত্রহারা পিতাকে বলে যে তিনি তো আনিসকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি তাহলে কী ভাবে প্রমাণিত হল তিনি মৃত? ... ...
বিশ্বরূপে মোহিত হলে মাটি খাবে ঘরের ছেলে / খুলো না ওর হাতের দড়ি আটকে রাখো রান্নাশালে / কোন্ মথুরায় চলে যাবে এইবার যদি সুযোগ মেলে / তখন দেখবে নন্দরানি শূন্য যে ঘর রাত পোহালে- // বলে দিও দিব্যি কেটে ঐ যমুনা আর না পেরোয় / পাড়ার মাঠেই খেলুক ঘুরুক নিজের পাঠে বসুক ভোরে / ননীর অঙ্গে ছপটি মেরো বকলে যদি না করে ভয় / যার অন্তরে জগৎ কাঁদে কাঁদাও তাকেই শাসন করে ... ...
পেদ্রো পারামোর দেশ থেকে আলো আসে, যদি তারে নাই চিনি, আমার সদর পুরো খুলবে না আর! অচিন ডানায় মেলা প্রেমের আহার, নেশা, রণের আহার তুমি কাছে টেনে নাও, শিস দাও মধ্যরাতে মেধার মাতাল, অপরিচয়ের ক্ষতে আলিঙ্গন রাখো, ... ...
তবে বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দানীর উৎসে পাশ্চাত্যের ঋণ থাকলেও এ কথা মানতেই হবে, পিতৃতান্ত্রিক অপরাধ-সাহিত্যপরিসরে গোয়েন্দা হিসেবে নারীদের উঠে আসা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ছিল। আর এই উত্থান যে ধূমকেতুর মতো সহসা দেখা দিয়েই মিলিয়ে যাওয়ার মতো নয়, সে কথাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তার পরবর্তী দুই দশকেই। তাই কৃষ্ণা-শিখার মতো অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় মাতোয়ারা সম্পন্ন তরুণী কিংবা বিন্দিপিসি-সদুঠাকুমার মতো ঘরোয়া বয়স্কা মহিলা নন, ক্রমশ এই দুনিয়ায় আসর জাঁকিয়ে বসতে শুরু করলেন সেই মেয়েরা, যাঁরা পেশাগতভাবেই গোয়েন্দাগিরি বা অন্য কোনও বৃত্তিকে অবলম্বন করেছেন। অজিতকৃষ্ণ বসুর ডিটেকটিভ নন্দিনী সোম সায়েন্স কলেজ থেকে এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজির স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানাধিকারিণী। ... ...
তুলনামূলক সাহিত্যের সঙ্গে তরজমার যে আত্মীয়তা তা মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো করে আর কেউ সম্ভবত দেখাননি। শুধুমাত্র ঘরের জানালা খুলে দিয়ে একটা মুক্ত এলাকা তৈরি করে তিনি সন্তুষ্ট থাকেননি। চেয়েছিলেন মননে স্বরাজ আনতে, তৃতীয় বিশ্ব বা এখনকার ভাষায় দুই-তৃতীয়াংশ বিশ্বের নানা স্তরীয় সমৃদ্ধ মায়াময় বাস্তবের আর পৃথিবীর অবদমিত মানুষের সংগ্রামের কাহিনি বাঙালি পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে। বিশ্বসাহিত্যের দরজায় এসে তিনি প্রশ্ন করলেন, কার বিশ্ব, কোন্ সাহিত্য? ... ...
ঋগ্বেদে কবি নেম ভার্গব ঘোষণা করেছেন, ইন্দ্র নেই, কারণ কেউ তাঁকে দেখেনি। চার্বাক দর্শন বস্তুজগৎকেই একমাত্র অস্তিত্ব বলে মনে করেছে। তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ বলে, যতদিন জীবন আছে যজ্ঞ ক’রে যাওয়া উচিত, কারণ মৃত্যুর পর মানুষের কী হয় তা অজ্ঞাত। ‘বেদে সংশয় ও নাস্তিক্য’ গ্রন্থে সুকুমারী ভট্টাচার্য তুলে ধরেছেন বৈদিক সাহিত্যে প্রশ্ন, সংশয়, অবিশ্বাসের উত্তরাধিকার। লিখছেন ইতিহাসের অধ্যাপক কণাদ সিংহ ... ...
ঘাসে ঢাকা ফুল - কৌশিক বাজারীর কবিতা ... ...
সে এক ঝলমলে দিন ছিলো গ্রীষ্মকালে। বাকেট্লিস্টের একটা বাক্সে টিকচিহ্ন দেবার জন্য আমি সাঁতার কাটতে গেছিলাম । গ্রেট লেকগুলোর মধ্যে একটায়। মিশিগান। গভীর অন্ধ্কার জল, তার মধ্যে আস্তে আস্তে নিজের বল্গা খুলে দিতে হয়। আমি টের পেয়েছিলাম জল আমার সাথে কথা বলছে। না, ওর কথা 'শোনা' যায়না। তোমায় বুঝতে হবে, সারা শরীর দিয়ে। ও স্রোতের ভাষা বলে। ঢেউ এর ভাষা। অতলের ভাষা। তরলের। আর আরো কতকিছুর, পৃথিবীর শব্দ দিয়ে যার নাম বলা যায়না। বিশাল গভীর মিশিগান, আমার সাথে কথা বলেছিলো। আপনজনের মত। সেই থেকে আমি জলের সঙ্গে কথা বলতে পারি। মিসিসিপি নদী ভয়ানক রেগে থাকে। মানুষরা ওকে এমন বিষিয়ে দিচ্ছে। রাগবে না তো কি করবে? হুরন লেক আবার খুব লক্ষ্মী মতো। মিশুকে, হাসিখুশি। মস্ত লেক সুপিরিয়র কি গম্ভীর! আমার সেই কঠিন নিষ্ঠুর শিকারী কাকুর মত। যিনি এককথায় আমার জন্য নিজের প্রাণটা দিয়ে দিতে পারতেন! ডেড সী ও চুপচাপ খুব। ইন্ট্রোভার্ট। সমাহিত। অথচ ভূমধ্য সাগর? ভূমধ্য সাগর আমাকে বলেছিলো ওকে 'খাতুনা' বলে ডাকতে। এক নম্বরের ফ্লার্ট একটা! না, এসব আমি বলতে যাইনা কারুর কাছে। বলে কী হবে? আমি যে জলের সঙ্গে কথা বলতে পারি কেউ তো আর বিশ্বাস করবে না? ... ...
সপ্তদশ শতাব্দীতে ইউরোপের ভয়াবহ ধর্মযুদ্ধে আশি লক্ষ মানুষ (ইউরোপীয় জনসংখ্যার দশ শতাংশ) মারা যান। সে সময়ে ক্যাথলিক ক্রোয়েশিয়ার সৈন্য ফরাসিদের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বিধর্মী প্রটেস্টান্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, আজকের বিচারে ভাড়াটে সৈন্য কিংবা রাশিয়াতে এই ভাগনারের মতন মারসিনারি হিসেবে। ফরাসি সমর বাহিনির পোশাক পরার অধিকার তাদের নেই - যুদ্ধক্ষেত্রে তারা নামে নিজেদের ইউনিফরম পরে আর গলায় রঙ্গিন রুমাল বেঁধে,আমাদের যুবাকালে দেব আনন্দ যেটাকে স্টাইলে পরিণত করেছিলেন! রুমাল বাঁধার ফলে জ্যাকেটের ওপরের বোতাম থাকে টাইট, সেটি কারণে অকারণে খুলে গিয়ে অস্ত্র চালনায় বাধা সৃষ্টি করে না – এই তাদের ভাষ্য। ... ...
যাইনি কখনো ও বাড়িতে / চানঘরে দেখিনি কখনো জল পড়ে যায়— / অথচ শরীর ভেজেনি একটুও / শুনিনি রবি ঠাকুরের গান বসবার ঘরে বসে / শুধু দেখেছি সিঁড়ি ঘরে আলো— ... ...
বিষভাবে-পীড়িত একদল ভগবতী-অন্বেষী সম্প্রতি দূরদর্শনে-সম্প্রসারিত-ফুটবল-ম্যাচ ও সাস-বহু-ধারাবাহিক সম্বন্ধে একটি দীর্ঘ তুলনামূলক গবেষণা প্রকাশ করিয়াছেন এই আখ্যানে তাঁহাদের সিদ্ধান্তেরই একটি ব্যাখ্যান পেশ করা হইল| লিখিবার সুবিধার্থে এই রচনায় ফুটবল ম্যাচকে 'ফু:' ও সাস-বহু-ধারাবাহিককে 'সাবধা' রূপে সংক্ষেপিত করা হইবে । ... ...
তালাশ মাহমুদ বললেন, বেশি বুজরুকি দেখালে, আর বেশি বললেই যুক্তি শক্ত হয় না। আপনার ম্যাডামের সব কেচ্ছাকাহিনী শেষ করে দেব সামনের লেখায়। তাই সময় লাগছে। এর মধ্যে এখন আবার আরেক জরুরী কাজে যেতে হচ্ছে। সেখানে ক'দিন থাকতে হবে, পরিস্থিতি কেমন হবে, কীরকম সময় পাব জানি না। যদি সময় পাই তাহলে ওখানে বসেই লেখা শেষ করে আপনাকে পাঠিয়ে দেব। চিন্তার কিছু নেই। একশো ভাগ নিশ্চিত থাকুন, আমি জিতবই। কারণ আমার আগ্রহ সত্যে। সবুর খান বললেন, তাহলে আগে কিছু বলুন, দুয়েকটা পয়েন্ট। তালাশ মাহমুদ বিরক্ত স্বরে বললেন, কী আর বলব, এসব রেট্রোফিটিং, কিছু জেনারালাইজড অনুমান করে, তারপর যেটা মিলে ওইটারেই আপনারা সবাই মিলে সামনে আনেন। এসব চালাকি তো নতুন না। ... ...
আগরতলা বইমেলাতে বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর কাছে ছবি ও কবিতার দাবী জানাতেই পাওয়া গেল দুটি ছড়া ও তাঁর অলঙ্করন। পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হলো এখানে! ... ...
রিনকিন বলেন তাঁর গভীর মানসিক দ্বন্দ্ব বা Moral Dilemmaই নানাভাবে হানা দিচ্ছে তাঁর দুঃস্বপ্নে। সাদা পবিত্রতার প্রতীক। যেহেতু তিনি তাঁর ধর্মবিশ্বাস, স্কাউটিংয়ের শপথ, গীর্জায় নেওয়া বিবাহ শপথের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারেন নি তাই তাঁর হারানো পবিত্রতাবোধ প্রতিশোধ নিতে স্বপ্নে শ্বেত-কঙ্কাল হয়ে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। র-বাবু বলেন, যদি স্ত্রীকে ত্যাগ না করি - ফ-মণিকেও বিয়ে না করি - তবে স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ তলানিতে ঠেকেছে বলে ফ-মণির সাথে মেলামশা করে নিছক আনন্দ পেতে চাই - কেমন হয়? রিনকিন বললেন, এভাবে দু নৌকায় পা দিয়ে চলা শক্ত তবু চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যদি দুই মহিলাই, বিশেষ করে আপনার স্ত্রী, তা মেনে নেন তো ভালোই। তবে আমার পরামর্শ এখন কিছুদিন কার্টুন আঁকা থেকে বিশ্রাম নিন, ফ-মণি থেকেও দুরে থাকুন, দেখুন তাও ঐ দুঃস্বপ্ন ফিরে আসছে কিনা। ... ...
আলো, আনন্দ, প্রেম কই সেভাবে তো ছুঁয়ে গেল না করতল! সেভাবে একটা কোনও সীমারেখা হয়ে উঠল না আমার দেশ। কোথাও ইচ্ছেমতো বাঁচতে চাওয়া হলো না। তবে এত না এর মধ্যে একটা সমাজ কাকে চাইবে! কাকে দেবে তার আয়ের শতাংশ! চারপাশে ছড়িয়ে আছে অধিকার। অধিকার আর অধিকার। যে তোমাকে কেড়ে নিতে শেখাবে, যে শেখাবে হত্যা, রক্ত আর বিরাট একটা অধঃপতন। মানসিক এবং মানবিক কোনও ভাবালুতা তার কাছে বোকামি মাত্র। এইযে দেশ ছেড়ে যারা বসবাস গড়ে তুলেছিল অন্য একটা সীমারেখায়। ... ...
জম্বুদ্বীপের ঘটনাকে ""মানুষকে বাদ দিয়ে সংরক্ষণের"" এক নেতিবাচক উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয় - ""জম্বুদ্বীপের মৎস্যজীবিকা ছিলো প্রকৃতির অনুযোগী অভ্যাস - তাঁদের জাল হাতে বোনা হতো। জালের এমন ব্যবস্থা ছিলো যাতে শুধু বয়স্ক মাছ ধরা পড়তো, শিশু মাছ ধরা হতো না। তাঁরা সূর্যের আলোয় মাছ শুকোতেন। তাঁরা প্রকৃতির থেকে ঠিক ততটুকুই নিতেন, যতটুকু তাঁদের প্রয়োজন ছিলো""। এই কথাটাই তাঁদের পাশে থাকা পরিবেশবাদীরা বলতে চেয়েছিলেন। জম্বুদ্বীপের বাদা বন সমুদ্রের লবণাক্ত ঝড় থেকে মৎস্যজীবীদের পেশাকে রক্ষা করত বলেই মৎস্যজীবীরা এই বাদাবনের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। এ তাঁদের বই পড়ে বক্তৃতা শুনে প্রকৃতি রক্ষা করার প্রয়াস নয়। একেবারে জীবিকার প্রয়োজন থেকে পরিবেশ রক্ষার চেতনা। দু:খের কথা "বিশুদ্ধ পরিবেশবাদীরা" একথা বুঝলেন না। মৎস্যজীবীদের উৎখাত করার অতি উৎসাহে তারা এমনকি বাংলাদেশ থেকে আসা দুষ্কৃতীদের চোরাচালান ইত্যাদির অভিযোগ তুললেন। অথচ জম্বুদ্বীপের অবস্থান বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের যেকোন অঞ্চল বা দ্বীপের তুলনায় সবথেকে দূরে, পশ্চিম প্রান্তে। আর সীমান্ত থেকে ৯৬ কি.মি. দূরে এই দ্বীপে কোন চোরাচালান বা সাধারণ অপরাধের একটি অভিযোগও কখনও কোনোদিন পুলিশের খাতায় ওঠেনি। অথচ শুধু অনুমানের ভিত্তিতে এরকম অভিযোগ মৎস্যজীবীদের উচ্ছেদের যুক্তিকে সবল করেছিলো। কিন্তু আসলে উচ্ছেদের যুক্তি কি ছিলো? ... ...
ওই পুরোনো খবরটাতেই জানতে পারি মাণিক্যপুরে থাকতো দুরকম মানুষ, আঁখি আর নয়ন| প্রথমে সবাই বেশ মিলে মিশেই থাকতো, তারপর তাদের ধর্ম আলাদা হলো, এলো বিচ্ছেদরেখা | সেকি বাইরের মানুষের জন্য? কে জানে? আঁখি চা চাষ করে, নয়ন ধান। আঁখি ভেড়া পোষে, নয়ন গরু। আঁখি গাঁজা খায় তো নয়ন তামাক| রাত্রে নিজেদের বানানো নেশাটুকু খেয়ে আঁখি নাচ গান করে, নয়নও | আর তাদের মধ্যে লড়াই চলতেই থাকে| সীমানা নিয়ে লড়াই, ধর্ম নিয়ে লড়াই,চাষের জমি, জল, মাণিক্যপুরে নতুন কি হবে সব কিছু নিয়ে লড়াই| ... ...
নর্মান নীরবতা ভঙ্গ করলেন। ‘ফ্রান্সেস ছিল নম্র, লাজুক, চাপা স্বভাবের। আমি ছিলাম কটুভাষী, অস্থির-উদ্দাম। যা করতাম তা প্রবলভাবে করতাম। ডেট্রয়েটে ডাঃ মার্টিনের সাথে যখন কাজ করতাম, জলস্রোতের মতো পয়সা আসছিল। কিন্তু আমি হতাশায় ভুগছিলাম। রোগীরা সবাই বিত্তবান। সামান্য অসুখেই ডাক্তারের কাছে আসে, হিসাব না করেই ফি দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই ধিক্কার জন্মালো নিজের প্রতি। আর যে পথে টাকা রোজগার করছি সেই পথের প্রতি। আমি আবার ফিরে গেলাম ডেট্রয়েটের বস্তি অঞ্চলে। দিন রাত এক করে তাঁদের মধ্যে কাজ শুরু করলাম। সেই সময় শত অভাবেও ফ্রান্সেস আমার স্বাধীনতা হরণ করেনি। একবারও প্রশ্ন তোলেনি কেন আমি রাত্রে ঘরে না ফিরে কোনও বেশ্যা-পল্লীতে কারও সন্তান প্রসব করাচ্ছি। আজ কি করে তাঁর স্বাধীনতা হরণ করব আমি?’ ... ...
"আমরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। তাই স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। তার জন্য সরকারকে দায়ী করা মোটেই উচিত নয়!” – ভক্তদের এই প্রচার নিশ্চয়ই আপনার মোবাইলস্ক্রিনে ভেসে উঠেছে বেশ কিছু বার। ভক্তদের চরিত্রই হল অর্ধসত্যর উপর নিজেদের নির্মাণকে খাড়া করা। ওপরের তথ্যটাই যদি আপনি দেশের জনসংখ্যার নিরিখে দেখেন, তাহলে, একদম শুরু, মানে ২০২০-র প্রথম থেকে ৬ মে ২০২১ পর্যন্ত ভারতে ১০ লাখ মানুষ প্রতি (per million) সর্বমোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা *১৫,৪২৯ / ১৬৮*। বিশ্বে আমাদের স্থান *১১৩ / ১১০* নম্বরে। এই পরিসংখ্যান অর্থাৎ প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যার কতজন সংক্রমিত / মৃত - অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে একবার দেখে নেওয়া যাক। ... ...
বাঁকুড়া, বরিশাল হোক আর বার্লিন কি বের্ণ হোক, ভাষা বা শব্দ ব্যবহারের পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব সেই জনগণের ওপরে বর্তায় না। অস্ট্রিয়ান পাবকে বলে বাইসল। জার্মান তাকে চেনে সম্পূর্ণ অন্য নামে ( Kneipe) । আজকের ফরাসি ভাষায় উইক এন্ড বা বিজনেস অনায়াসে ঢুকে পড়েছে (বিশ বছর আগে একজন ফরাসি সি ই ও তাঁর বক্তৃতায় বিজনেস শব্দ ব্যবহার করায় ক্রুদ্ধ রাষ্ট্রপতি শাক শিরাক দ্রুতবেগে সে সভাস্থল পরিত্যাগ করেন)। জর্জ বারনারড শ বলেছিলেন ব্রিটেন এবং আমেরিকা এই দুটি দেশ একই ভাষার দ্বারা বিভক্ত (টু কান্ট্রিস ডিভাইডেড বাই এ কমন ল্যাঙ্গুয়েজ) । এই বিভাজনের ব্যাখ্যা আমেরিকার অভিবাসনের ইতিহাসে নিহিত। ১৫২০ সালে মে ফ্লাওয়ার জাহাজ যাদের নিয়ে আমেরিকার পূর্ব তটে পৌঁছুল, তাঁরা সবাই ইটন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করে থাকলেও মোটামুটি ইংরেজি বলতেন। পরের কয়েকশ বছর ইউরোপ থেকে যারা এলেন তাঁদের মধ্যে কেবল আইরিশদের মাতৃভাষা ছিল ইংরেজি (কেন যে আমেরিকার কথিত ইংরেজি আইরিশ উচ্চারণের উপর আধারিত হল জানি না। এঁদের বৃহত্তর দলটি আসতে শুরু করেন দেরীতে, আলু দুর্ভিক্ষের পরে, উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি)। ... ...