বিভিন্ন সময়ে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এপিডেমিক বা প্যানডেমিক একদমই নতুন বিষয় নয়। আদিম যুগ থেকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে গ্রাম-জনপদ শহর তছনছ হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। অতীতের সেই সব এপিডেমিকের থেকে বর্তমানের মূল প্রভেদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে গোটা পৃথিবী প্রায় একটা জনপদের আকার ধারণ করেছে। ইতিপূর্বে এই ধরনের অজানা ভাইরাসের আবির্ভাব হলে এক একটি জনপদ মুছে যেত এখন মানুষ নিমেষে একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে ফলে এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে আসতে পারছে। আবার চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ফেললেও দ্রুত তথ্যের আদান প্রদান করে ভাইরাস প্রতিরোধ করতেও অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। ... ...
১৫ ই মার্চ থেকে শুরু হয়ে ছিল সতর্কতামূলক গ্ণসংক্রম পরীক্ষা। প্রথম দিন হয়ত একটু এলমেলো অবস্থা ছিল কিন্তু পরে যথেষ্ট সুষ্টু ভাবে অঞ্চল অনুযায়ী মিশর, লেবানন, সিরিয়া থেকে আসা যাত্রী পরীক্ষা করা হয়। অনুপস্থিতিতে জেল ও নির্বাসন এর ভয়ে সকলেই এই পরীক্ষা নিতে বাধ্য। WHO নিয়মাবলী মেনে উপস্থিত সকলের মধ্যে ১ মিটার দুরত্ব বজায় রেখেই তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়, ছিল খাবার এর ব্যাবস্থা ও। পরীক্ষার জন্যে কুয়েত ফেয়ার গ্রাউন্ড এর হলঘর টিতে ৮ ফিট দূরে দূরে চেয়ার পেতে দলে দলে শয়ে শয়ে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, নেওয়া হয় ভ্রমণ বৃত্তান্ত। সপ্তাহব্যাপী এই পরীক্ষা চলা কালীন বাকী কুয়েতবাসী কিন্তু ঘরবন্দী। যেহেতু শপিং মল, পার্ক, সিনেমা হল সমস্ত বন্ধ ছিল, ছিল ‘ঘর থেকে কাজ করবার’ কঠিন নির্দেশ রাস্তা য় একদম দরকার না হলে তেমন লোকজন দেখা যায়নি। ... ...
ছেলে বলেছিল আজ মায়ের হাতের রান্না খাবে।তাতেই নয়নতারার মাথাটা ধরেছিল। পার্টিশন! যত দোষ পার্টিশনের। না হলে এক গামলা ভাত রান্ধনের জন্য নয়নতারাকে ছেলে বৌ খোঁচা দিতে পারে? তাও যদি আরেকটা ছেলেপুলে হত। একটা মেয়ে নিয়ে দ্যাবাদেবী সারাক্ষণ আদিখ্যেতা করছে! মাণিকগণ্জের বাড়িতে নয়নতারা নিজের সাতটা ব্যাটা বেটির সঙ্গে কতগুলো ভাগ্নে ভাগ্নীও মানুষ করে ফেলেছেন। তবে ভাত রাঁধতে হত না। অতগুলো মানুষের ভাতের হাঁড়ি কি তেরো বছরের নতুন বউ সামলাতে পারে না মাড় গালতে পারে? বড় জা আর শাশুড়ি প্রায় সমবয়সী। তাঁরাই বলেছিলেন , এ বাড়িতে বউরা ভাতের মাড় গালে না। অত বড় হাঁড়ির ওজন বউ মানুষের নেওয়া নিষিদ্ধ। মাড় গালে মইনা নাগী। মণিভূষণ নিয়োগী।বাপ মা মরা ছেলে। ভাতের মাড় গালা থেকে শুরু করে তরতর করে নারকেল গাছে উঠে নারকেল পাড়া, সব পারে।এমনকী ইজারা নেওয়া পদ্মার বুকে জাল ফেলে যে কটি ইলিশ ওঠে, সবকটি ঘরে এনে তুলতে পারে মইনা নাগি। ... ...
শীতের রাতে আগুনে তিনজোড়া হাত উপুড় হয়ে আছে। উত্তুরে হাওয়ায় চাদরমুড়ি দেওয়া তিনটে শরীর আগলে থাকে আগুনকে। তিনজোড়া চোখে তার ছায়া কাঁপে। কাঠ ফাটার পট পট শব্দ। জমা খড়কুটো থেকে অল্প তুলে আগুনে দিলে চিড়বিড়িয়ে ওঠে। দূর হাইওয়ে ধরে শব্দ করে ছুটে যাচ্ছে ট্রাক। তাদের ব্রেক কষার আওয়াজে মিলন পিয়াসি হস্তিনীর ডাক ভ্রম হয়। ধীরেই কথা বলে তারা। ফিসফিস হাসি। রাত গভীর হু হু নীরব। জোরে শব্দ উঠলেই একটা স্থির ভেঙে টুকরো হয় বুঝি। শীত আর আগুন ঘেঁষাঘেঁষি থাকলে শরীর-কথায় ওম চায়। কেউ বলে ওঠে, - একজন করে আমাদের গোপন গল্পগুলো বলি চল আজ। শর্ত হলো, যে গল্প এর আগে কোথাও করিনি। অবসর পাইনি, অথবা তুমুল সংসারী, শান্তি বিঘ্ন হোক চাইনি, কিংবা বেমালুম ভুলেই ছিলাম,মনে করতে চাইনি। আগুনে কুটো পড়ে কিছু। হাইওয়ে ভেঙে আরও কয়েকটি ট্রাকের গর্জন দূরে মিলায়। একজন কেউ তার গল্পটা শুরু করবে এখন। ... ...
হঠাৎ যুবকদের মধ্যে একজন জিজ্ঞাসা করে, এখানে যদি থেকে যেতে চাই আমরা দুদিন, কাছাকাছি অ্যাকোমোডেশন কোথায় পাবো? এখান থেকে বাঁ দিকে গিয়ে মাইল আষ্টেক দূরে বান্দোয়ান নামে একটা ছোট শহর আছে, সেখানে শুনেছি পি-ডব্ল্যু-ডি-র একটা ডাক-বাংলো গোছের কিছু আছে, খোঁজ করে দেখতে পারেন। বাঁদিকে না গিয়ে যদি ডান দিকে যান, তিন-চার মাইলের পর সাত-ঘুরুং নদীর কাছে একটা সরকারি ট্যুরিস্ট লজ গোছেরও আছে শুনেছি। এ ছাড়াও যেখানে বসে আছেন সেই চৌহদ্দির মধ্যে চারখানা ঘর আছে, তবে তা কী পছন্দ হবে আপনাদের? ... ...
উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গের আকাশে লাশগুলোর ওপর ভোর থেকে বিকেলে তিনদিন ধরে সূর্য ছিল নানা পজিশনে। কালো প্লাস্টিকের ভেতর শুয়ে থাকা আধপোড়া, বেশি পোড়া, ঠান্ডা ঠান্ডা লাশগুলোর শরীর হয়ে উঠছিল গরম। কখনও রাতের অন্ধকারে কালো-কালো, উঁচু-নীচু, রোগা-মোটা প্লাস্টিকের উপর আধ-খাওয়া চাঁদের আলো এসে পড়ছিল। ভোররাতের দিকে আবার কিছুটা তাপ ছাড়ছিল ওই স্থবির শরীরগুলো। ঠান্ডা আস্তে আস্তে আরও বেড়েছিল। ... ...
আমরা বলেছি দক্ষ স্বাস্হ্যকর্মীর যোগান বাড়াতে হবে। এরপর বলেছি যে, অত্যাবশ্যক ওষুধপত্র ও রোগ নির্ণায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষার খরচ যদি সরকার বহন করে, যা কিনা দেশের জিডিপি-র ০.৫%, তাহলে চিকিৎসা খাতে ব্যক্তিগত ব্যয়ের অঙ্কটা যথেষ্ট পরিমাণে কমানো যাবে। এই পদক্ষেপগুলো নিলে সরকারি স্বাস্হ্য ব্যবস্হার প্রতি লোকেদের আস্হা বাড়বে। তামিলনাড়ুর মডেল অনুসরণ করে রাজস্হান সরকার যখন বিনামূল্যে অত্যাবশ্যক ওষুধপত্র সরবরাহ শুরু করল, সরকারি প্রাথমিক স্বাস্হ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসার সুযোগ নেওয়া লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তার মানে সরকারি স্বাস্হ্য ব্যবস্হার প্রতি লোকেদের আস্হা বৃদ্ধি পেয়েছিল। এরপর আমরা বললাম যে বেসরকারি স্বাস্হ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর যথাযথ নজরদারি ব্যবস্হা চালু করা হোক, নানাধরণের স্বাস্হ্য বিমা প্রকল্পগুলোর বদলে সারা দেশে একটাই স্বাস্হ্য বিমা প্রকল্প চালু করা হোক, এমন একটা চুক্তি করা হোক যাতে বেসরকারি স্বাস্হ্য পরিষেবা সংস্হাগুলো দায়িত্বপূর্ণ ভাবে ও দায়বদ্ধতার সাথে সরকারি স্বাস্হ্য পরিষেবা সংস্হাগুলোর পরিপূরক হিসাবে কাজ করে। ... ...
ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট তৈরি করার সময়ে আন্দাজ পেয়েছিলাম এটা সরকারি সদিচ্ছা এবং অর্থ জোগাড় করে ফেললেই তক্ষুনি করে ফেলা যায় না। এমবিবিএস ডিগ্রি থাকলেই যে এটা সামলাতে পারবেন যে-কোনো ডাক্তার এমন নয় ব্যাপারটা। এখানে কাজ করতে হলে পাস করার পর অন্তত বছর দুয়েক ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা চাই তাঁর, বয়স হতে হবে পঞ্চাশের নীচে, কারণ শারীরিক পরিশ্রমও প্রচুর একাজে, সবকটা ইন্দ্রিয় সজাগ রেখে কাজ করতে হয়। প্রয়োজনে রোগীকে অজ্ঞান করে, তাঁর ফুসফুসে টিউব ঢুকিয়ে, ভেন্টিলেট করার দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে এই চিকিৎসকের। সামান্য এদিক-ওদিক হলেই প্রাণসংশয় হবে রোগীর। অতএব এ কাজ ডাক্তার মাত্রেই করতে পারবেন, এমন নয়। ... ...
উপন্যাস-এর নামটা আমাকে বুঝতেই দেয়নি ভিতরের খনিজের উপস্থিতি। প্রচ্ছদে যুবতীর ছবি দেখে মনে হয় কোনো রগরগে রবিবাসরীয়ের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছি। বুঝিনি এই অতি সংক্ষিপ্ত উপন্যাসের প্রতিটি লাইন এক বিরল জীবনদর্শনের মুখোমুখি করে দেবে আমাকে। এক অন্য ধরণের সত্যানুসন্ধান, সাধারণ খুনের মামলার প্রেক্ষাপটে যা এক যুবক যুবতীর উৎকেন্দ্রিক আরণ্যক ভালোবাসা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে। তেলেগুতে এনক্রিপ্টেড, বাংলায় লেখা, সিডিতে সংরক্ষিত ডায়রি লেখনে বন্দী হয়ে থাকে সেই জীবনকাহিনী। আর কংকাল প্রেমিক-এর জীবন ও মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হয় নোংরা পরির হাতে। ... ...
উনিশশ’ পাঁচে বঙ্গ-ভঙ্গ হয়েছিল। মামনুর রশিদের লেখা নাটক ‘ভঙ্গ বঙ্গ’। কাস্টমস আর ইমিগ্রেশনের সময়। বেনাপুল, হরিদাসপুরের কথা। স্মাগলার রাজা আর যৌনকর্মী মালিনীর কাহিনী। দেশভাগের সঙ্গেই এসেছে কাঁটাতার। বর্ডার। স্মাগলিং। মেয়েরা দেহব্যবসাতে নেমেছে। এই কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে, ঘুরে বেড়াতে চায় এক আশ্চর্য মানুষ। যদি নদীকে, বাতাসকে দু’ভাগ করা না যায়, যদি পাখি সব আকাশে ঘুরে বেড়াতে পারে, তবে মানুষ কেন পারে না? কেউ আটকাতে পারে না তাকে। সে চলে যায় সীমানা পার হয়ে। ইমিগ্রেশন আউট অব কন্ট্রোল। এইখানে যুক্ত হয় রক্তকরবীর রাজা, রঞ্জন, নন্দিনী। সেই আশ্চর্য মানুষ, নিয়মভাঙা মানুষ রক্তকরবী খুঁজছে। ... ...
'নীল আর সাইদা' - খুব বেশি বিশেষ বন্ধু। অনেক অনেকদিনের আলোচনা শেষে আজ হয়ত একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে ওদের সম্পর্কের নামকরণে। সাত সমুদ্দুর পেরিয়ে বন্ধু নীল এসেছে- আটপৌরে একটি রেস্টুরেন্টের কাপল টেবিলে বসে নীলের অপেক্ষাই করছে সাইদা… ... ...
নীল রঙা জামা পরা মহিলাটি যেই মাত্র শেষ করল লোকটি দক্ষতার সাথে সুতোর সেই প্রান্তটি ধরে ফেলল৷ যেন রিলে রেসের স্কেল। একজন দিলেই আরেকজন দৌড়তে শুরু করবে,শুধু সময়ের অপেক্ষা। ... ...
মুশকিল হচ্ছে দু'জায়গায়। এমনটা নয় যে আমাদের রাজ্যে খুব শান্তিপূর্ণ ভোট হয় এবং স্থানীয়রা বুথে গিয়ে ঝামেলা করেনা। কিন্তু, শীতলকুচির ঘটনায় যতগুলো ন্যারেটিভ বাজারে ঘুরছে তাতে আমরা মেনেই নিচ্ছি যে স্থানীয়রা ওখানে ঝামেলা করেছিল। এখন অব্দি কোনো প্রমাণ নেই। স্থানীয়রা এরকম কোনো ঘটনার কথা স্বীকার করছেন না। কিন্তু আমরা, ব্যানানা রিপাবলিকের ম্যাঙ্গো পাবলিকেরা প্রকারান্তে মেনে নিচ্ছি যে তারা ঝামেলা করেছিলেন। এবং এরাজ্যে যেহেতু, সংখ্যালঘুদের একটা অংশ বিভিন্ন পলিটিক্যাল পার্টির মাসলম্যান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাতে এ ভাবনা আরও প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের মাসলম্যান হিসেবে ব্যবহার করার তালিকায় মুসলিম বিদ্বেষী প্রচার চালানো বিজেপিও পিছিয়ে নেই। চব্বিশ পরগণার ত্রাস ফিরোজ কামাল গাজী ওরফে বাবু মাস্টার এইমুহুর্তে বিজেপির সম্পদ। প্রসঙ্গত, আমাদের রাজ্যের সংখ্যালঘুরা প্রায়ই গলা ফাটান যে তাদের রাজনৈতিক দলগুলি ব্যবহার করে থাকে এবং অভিযোগটি অসত্য নয়। সমস্যা হচ্ছে তারা নিজেরা কোন যুক্তিতে নিজেদের এতদিন ধরে ব্যবহৃত হতে দিচ্ছেন তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় না। ... ...
নাট্যকারের প্রাণের সঙ্গে তাঁর নাটকও বেঁচে যায়। ঢাকায় বাংলা মুদ্রণযন্ত্র স্থাপিত হয়েছিল ১৮৫৯ সালে। সেখান থেকেই পরের বছর যুগান্তকারী নাটকটি প্রকাশিত হয়। দীনবন্ধু সরকারি চাকরিতে ছিলেন বলে প্রথমে তা প্রকাশিত হয়েছিল 'নীলকর-বিষধর-দংশন-কাতর-প্রজানিকর-ক্ষেমঙ্করেণ-কেনচিৎ-পথিকেনভিপ্ৰাণীতং' ছদ্মনামে। বহুদিন পর্যন্ত তিনি নিজের আসল নাম প্রকাশ করতে পারেন নি। ঢাকার বাড়িতে বসে সরকারি চিকিৎসক ও দীনবন্ধুর প্রিয় বন্ধু ডাঃ দুর্গাদাস কর রাত জেগে নাটকের প্রুফ সংশোধন করেছিলেন। বাংলার আধুনিক নাট্যধারার পথিকৃৎ মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু মিত্র অবশ্য মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্যরচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। এই ধারায় তিনিই হয়ে ওঠেন পরবর্তীকালের নাট্যকারদের আদর্শ স্থানীয়। ... ...
এই চল্লিশজনকে বলা হত চল্লিশ চোর। এই উপাধি দিয়েছিলেন কবি আব্দুল গণি হাজারী। অনেক সইদাতা উত্তরকালে অনেক মূল্যে কলঙ্কমোচনের প্রয়াস পেয়েছেন, অনেকে বাংলার স্বাধীনতার পক্ষে মূল্যবান কাজ করেছেন। কিন্তু সঙ্গতভাবেই 'চল্লিশ চোর'-এর অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধে অনতিপ্রচ্ছন্ন রাজাকার ভূমিকা পালন করেছেন এবং এখনও করে যাচ্ছেন। ... ...
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংহ খাপ পঞ্চায়েতের মধ্যে থেকে গণ আন্দোলন করেছেন। আটের দশক থেকে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার খাপগুলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা যায়। কৃষিতে ভর্তুকি বজায় রাখতে এবং বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে খাপ পঞ্চায়েতগুলিকে নিয়ে মহেন্দ্র সিংহ টিকায়েত দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলন করেন। তিনি অন্যান্য অনেক সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন, আবার সগোত্রে বিবাহের বিরুদ্ধে অনমনীয় মনোভাব রাখতেন। ... ...
সভা বসেছে। শেবার রানি এসেছে। অপরূপ মুক্তোর সাজ তার কালো দেহে। স্নাত, দীপ্র, গভীর। রাজা সলোমন সব সময়েই সুন্দর থাকেন। রানি অনুমতি নিয়ে শুরু করল তার প্রশ্নবাণ। শুরু হল শেবার রানির পরখপর্ব। এতদিন ধরে সে অপেক্ষা করেছে এই সময়ের জন্যেই। ধাঁধাঁ, হেঁয়ালি বা রানির যাচাই সবই জীবনকে ঘিরে। সম্পর্ককে ঘিরে। যাপন, বিবাহ, প্রেম। ঠিক রাজনৈতিক ছিল না সেই সব প্রশ্ন। বা অর্থনৈতিক। জীবনকে ঘিরেই ছিল তার প্রশ্ন ও প্রত্যাশা। ... ...
বোঝো, কাদের নিয়ে সংসার করছি। আমাকে উত্তর দিতে হলো না। তার আগেই শীর্ণ ভদ্রমহিলা ধমকে উঠলেন, 'এই অবস্থায় উপোষ করবি কিরে? উপোষ করলে তোর যা পূণ্য হবে, পেটের বাচ্চাটাকে না খাইয়ে রাখলে তার চেয়ে ঢের বেশি পাপ হবে।' এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন আমি হামেশাই হই। সুগারের রোগীরা, প্রেশারের রোগীরা বারবার নিষেধ সত্ত্বেও রোজা রাখেন এবং অসুস্থ হয়ে আমার দারস্থ হন। আমি গালাগালি দিয়ে রাগ মেটাই। ওনারা বিনা প্রতিবাদে সব শোনেন। মাথা নেড়ে মেনেও নেন। এবং একটু সুস্থ হলে আবার রোজা রাখেন। তবে এ ব্যাপারে হিন্দু ধর্মের বয়স্ক মহিলারাও কম যান না। তাঁরাও একাদশী বা যেকোনো ছুতোয় উপোষ করেন। নিজের শরীরের বারোটা বাজান। ... ...
"দিম্মা, ও দিম্মা! শোনো না, আমাদের না একটা লেখাকে ব্যাখ্যা করতে বলেছে, তুমি আমায় একটু সাহায্য করবে? ও দিম্মা!" মণিমালা দেবী আকস্মিক এই ডাকে পেছন ফিরতেই দেখলেন, মিমি তার গলা জড়িয়ে খাটের উপর বসে! এখনো তার গালে অতীতের কথা চিন্তা করার প্রমাণ দৃশ্যমান। "এ বাবা, দিম্মা! তুমি কাঁদছো?" "না, দিদিভাই! ও এমনি। তুমি বলো কী বলছিলে!" "দিম্মা আমাদের স্কুলে না একটা লেখাকে ব্যাখ্যা করতে বলেছে! তুমি আমায় একটু বলে দেবে?" ... ...