চলছে খিচুড়ি মহারহস্য অ্যাডভেঞ্চার। জাহাঙ্গির নন, মুঘলাই শাহি দস্তরখওয়ানে খিচড়ির রমরমা মহামতি আকবর বাদশার জমানা থেকে। কিন্তু তেমন খিচুড়ি আর কোনও দিন রসনা-রসিকের পাতে পড়বে না। গৃহস্থালি, ভোজবাড়ি, রেস্তোরাঁ কোত্থাও তা আর মিলবে না। ভ্যানিশ! নীলাঞ্জন হাজরা। ... ...
তখন আমি সবে মাধ্যমিক, কিন্তু বাংলা আকাডেমিতে দিব্য যাতায়াত, লাইব্রেরির থেকে Esperanto-র ওপর একটা বই নিয়ে বাবার ঘরে বসে বসে পড়ছি। বাবার সঙ্গে তখন একজন ঝকঝকে মানুষ তরতর করে অনেক গল্প করছেন, আমি কিছু শুনছি, কিছু বইতে মন। যাই হোক, একটা ছটফটে বাচ্চা মেয়েকে এস্পেরান্তো পড়তে দেখে তাঁর আমাকে খুব মজাদার লেগেছিল, সেদিনই প্রথম তাঁর মুখে শুনেছিলাম স্প্যানিশরা J কে খ বলে, আর উনি তার মানে খাদবপুরের অধ্যাপক! ... ...
জগৎ পারাবারের তীরে বিক্রম জগৎ পারাবারের তীরে লেগেছে কী ঝামেলা জুনের শেষ, জুলাই মাস ঝিলিক মরে স্বল্পবাস বাজিল বুঝি শীতের রাতে নিবিড় ভুভুজেলা ... ...
বিশ্বসাহিত্যের ২২ জন বিখ্যাত লেখকের কয়েকটি সাক্ষাৎকারের সমাহার নৈঃশব্দের সংলাপ বইটি। এখানে লেখকেরা জানিয়েছেন তাঁরা কীভাবে লেখালেখি করেন, কী ধরনের লেখা পড়তে ভালোবাসেন, কোন কোন লেখক তাঁদের প্রভাবিত করেছেন, লেখার ক্ষেত্রে কত ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা তাঁদের করতে হয় ইত্যাদি নানা বিষয়। পড়লেন সৌভিক ঘোষাল। ... ...
উৎসবের দেশ জাপানের পাঁচটি ঋতু-কেন্দ্রিক উৎসবের অন্যতম দুটি হল পুতুল-কেন্দ্রিক। পুতুল উৎসবের একটি ৩রা মার্চ অনুষ্ঠিত “হিনা মাৎসুরি”। এর অন্য নাম “বালিকা-উৎসব”। অন্যটি হল ৫ই মে অনুষ্ঠেয় “তানগো-নো-সেক্কু” বা “বালক-উৎসব”। জাপানের অন্যান্য উৎসবের মত এই পুতুল উৎসব দুটিরও শুরু বহুযুগ আগেই। তবে নিঃসন্দেহেই বলা যেতে পারে যে, নানা পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের পথ পেরিয়ে বর্তমানের উৎসব অন্যরূপে প্রতীয়মান। ... ...
ঝিম। এসময় বড়ো মায়াবী লাগে চারপাশ। গোধূলির জাদু আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে গাছেদের পাতায় পাতায়। সামনে শ্যাওলা-ঝাঁঝিতে ভরা ছলাৎছল ঝিলের জল। একপাশে ভিড় করে আছে কুচো কচুরিপানা। ত্রস্ত পায়ে জলপিপি ছুটে যায় জল বেয়ে বেয়ে। রূপসী জলসাপ সোনা ও কাজলে মুড়ে ডুবে থাকে নিঝুম আলস্যে। পানাকৌড়ি যুগল ডুবে যায় ভেসে ওঠে এমনিই। ওপারে এক দারুণ বালক চার খুঁটিতে বাঁধা নৌকায় এক মনে দাঁড় বায়। সে নৌকা কোথাও যায় না। স্থির সেই নৌকাটিতে দাঁড় বেয়ে চলে বালক অবিরাম, অক্লান্ত। সে বুঝি অনুশীলনরত। নৌকা যাবে না কোথাও, কোত্থাও। তেমনই কথা দেওয়া আছে ঘাটের সাথে। অথচ বালকটিকে যেতে হবে দূরে বহুদূরে....। আর আমরা, তাম্বুরিন বাজানো ডিলানের মানুষটির মত, কোথাও যাবার নেই যার, গাইতে থাকি। ... ...
সর্বভারতীয় বলে পরিচিত যে ইংরেজি কাগজগুলো, সেগুলোর শিরোনামে প্রায়শই হিন্দি শব্দ/শব্দবন্ধ নিয়ে খেলা লক্ষ্য করা যায়, রোমান হরফে পুরোপুরি হিন্দি শিরোনামও দেখা যায়। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে ২০১০ এর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এন ডি এ জোট জয়ী হওয়ার পর ‘দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর শিরোনাম ছিল ‘Rajnitish’। ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ র পাতায় অভিনেত্রী জেসি রনধাওয়া সম্বন্ধে প্রতিবেদনে ‘Jesse jaisi koi nahin’ শিরোনাম ব্যবহৃত হয়েছে। স্পষ্টতই এইসব কাগজের হিন্দিভাষী সম্পাদকরা ধরে নেন যে পাঠকের মাতৃভাষা হিন্দি নয়, সে-ও হিন্দি বোঝে। বাংলা, ওড়িশা বা দক্ষিণ ভারতের পাঠকদের অসুবিধার কথা ভাবা হয় না। ... ...
আর দেখুন, রবীন মণ্ডল তো কলকাতার লোক কেনে নি। কিনেছে দিল্লী আর মুম্বাইয়ের বায়াররা। লাস্ট ফোর-ফাইভ ইয়ার্স, দে আর বায়িং টু বিল্ড আপ দেয়ার স্টক। এরপর কী হবে? মার্কেটে যা পড়ে আছে, ওরাই কিনে নেবে - দরকার হলে, বেশী দামে হলেও। দেন, দে উইল ক্রিয়েট আ ডিমান্ড, আ ক্রাইসিস - প্রাইস চড়চড় করে বাড়বে। দিস হ্যাপেনড উইথ সুজা অ্যান্ড টেক মাই ওয়ার্ডস, দ্য সেম ইজ গোয়িং টু হ্যাপেন উইথ রবীন মণ্ডল। বেশ কথা। শাঁসালো কালেক্টর কদ্দূর সহমত হলেন, বলতে পারি না। আমার শুধু মনে পড়ে গেল, রবীন মণ্ডল চেয়েছিলেন, তাঁর ছবি দেখে দর্শক যেন দর্পণের মুখোমুখি হন। কে সেই দর্শক? দর্পণের মুখোমুখি হয়ে ডিজাইনার হেয়ার-সালোঁ থেকে ছেঁটে আসা চুলটুকু গুছিয়ে নেওয়া বাদে সেই ধনী মানুষটি আর কী করবেন? ... ...
ছবিটি প্রথম দর্শনে যতটা সরলরৈখিক দেখায় ততটা একতলবিশিষ্ট আদপে নয়, এবং ঠিক সে কারণেই পরিসর বা বিনির্মিত বিষয় বৈচিত্রে গাঢ় মনোযোগ ও বিশ্লেষণ দাবী করে। ছবি দেখে ফেলার পর যে চিন্তা ভাবনার অবশ্যম্ভাবী বুদবুদ ধীরে ধীরে আচ্ছন্ন করে দর্শকের মন এবং মগজকে। তার এক সুদূরপ্রসারী আমেজ আর কথাজাল তৈরি হয়। অনেকটা সময় ধরে সে আমেজের বিস্তার, অনেকগুলি কথামুখের ধাপে তার অবধারিত আলোকপাত। মানসমুকুলের গপ্প তৈরি করার উপাদান অথবা গপ্পের বুননের ধরন, তার বাধাহীন এগিয়ে চলা, বাঁক নেওয়া বা ন্যারেটিভের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে উপনীত হওয়া, সমস্তটাই মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় গল্পের মেজাজ, অনুভূতির ভিত্তি এবং বিষয়ের সংগে। বলার ধরন এবং কি বলা হচ্ছে সেই বিষয়ের সনির্বন্ধ সমণ্বয়ে যে অভূতপূর্ব নির্মাণ প্রকল্পের ছায়াপ্রতিমা ক্রমপ্রতীয়মান হতে থাকে এই আপাত সহজ অথচ গভীর চলচ্ছবি-আখ্যানের সরল দ্রুতির চালে ছন্দে, বিষাদে, হরষে – সেই একান্ত শিল্পরূপটিই সহজ পাঠের গপ্প-কে চলচ্চিত্র হিসেবে একুশ শতকের বাংলা সংস্কৃতির চালচিত্রে অসাধারন করে তুলেছে। ... ...
ফ্রান্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফ্রান্সিস হল্যান্ডের আমলে ৩৬টি যুদ্ধবিমান ক্রয়ের এই নয়া রাফাল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপরেই তিনি এক-একটি ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার বলপূর্বক তাঁদের বাধ্য করেছে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে পার্টনার হিসেবে এই প্রকল্পের অংশীদার করতে। ব্যাবসার স্বার্থে এই চুক্তিটি হাতছাড়া করতেই এই গা-জোয়ারি মেনে নেন তাঁরা। ফ্রান্সিস হল্যান্ডের এই দাবি দ্যসল্ট সংস্থার মুখপাত্র মেনে নিতে চাননি। কিন্তু ফাঁস-হওয়া তথ্য থেকে পরিষ্কার, সংস্থার বহু কর্মকর্তা চাননি, ভারতীয় অফসেট পার্টনার হিসেবে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বেছে নেওয়া হোক। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই চুক্তির প্রাক্-শর্তই ছিল, রিলায়েন্সকে শরিক হিসেবে নিতে হবে। এদিকে মোদী সরকারের প্রতিনিধিরা, বিজেপি-র নেতারা বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ান, রাফালে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে অন্তর্ভুক্তিকরণ একান্তই দ্যসল্টের সিদ্ধান্ত। ভারত সরকারের নাকি এই সিদ্ধান্তে কোনও ভূমিকাই নেই। দ্যসল্ট কেন এমন অনভিজ্ঞ দেউলিয়া সংস্থাকে শরিক হিসেবে অগ্রাধিকার দেবে, যারা অতীতে এমন কোনও কাজ করেনি? দ্যসল্টের তরফে এই অস্বস্তিকর প্রশ্ন সবসময়েই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ... ...
বিজ্ঞান মানে তো শুধু যুগান্তকারী আবিস্কার নয়, রোজ একটু একটু করে প্রদীপের সলতে পাকানোটাও বিজ্ঞান, যাতে পরের আবিষ্কারের কাজটা সহজতর হয়। তবে আমাদের সাধারণ হিরো-নাহলেই-জিরো ভাবার মানসিকতার প্রেক্ষিতে এই সলতে পাকানোর কাজটাও যে গুরুত্বপুর্ণ, এ না হলে বিজ্ঞানের এগোন বন্ধ হয়ে যাবে এই বোধ তৈরি করা খুব দরকার। এই বইটা খুঁজে খুঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন শাখার বিজ্ঞানীদের নীরব কাজ তুলে এনে কিছুটা সেই ধারণাও তৈরি করতে পেরেছে। আর বহুদূর দেশের বিদেশিনী না বা ইতিহাস খুঁড়ে বার করে আনা আগের যুগের বিজ্ঞানী না, আমারই সময়ে আমারই দেশে এই বিজ্ঞানীরা এত কিছু কাজ করছেন, এটা পড়ে বুড়োরাও এক্সট্রা উজ্জীবিত বোধ করছেন, বাচ্চারা এ লেখা পড়ে মোটিভেটেড হবে বলেই মনে হয়। কোন কোন বাচ্চা হয়তো এই বইএর চরিত্রদের মধ্যে থেকে রোল মডেল খুঁজে নেবে। ... ...
১৯৭১-এ ভয়ের বাতাবরণ কেটেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে। বরুণ সেনগুপ্ত লিখলেন সাতক্ষীরে অভিযানের কথা। আমরা সাতক্ষীরের লোক। বাড়ির সকলে হুমড়ি খেয়ে বরুণ সেনগুপ্তর প্রতিবেদন পড়লাম। বাঙালি লড়াই করছে স্বাধীনতার জন্য। ছেড়ে আসা মাটি, দেশ, গ্রাম, ভিটে কেমন ছিল তা আমার অজানা ছিল। ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের পর দুই দেশে বৈরিতা আরও বেড়েছিল। পূর্ববঙ্গের খবর আসা ক্রমশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। খবরের কাগজ এবং রেডিও খবর দিতে লাগল। পাকিস্তান ভেঙে যাচ্ছে। উদ্বাস্তু স্রোত আসছে সীমান্ত পার হয়ে। আমি তখন কী করব কী করব ভেবেই দিন কাটাচ্ছি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শামিল হতে চাই। একটা দেশ স্বাধীন হবে। সেই দেশটি আমার পিতৃকুল, মাতৃকুলের দেশ। ... ...
গল্প শেষ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে ভিলমন্ত শুধুমাত্র পাস্তারনাকের কথা শুনেছিলেন। স্তালিনের কথাগুলো তাঁর বন্ধু তখনই নিজে তাঁকে বলেছিলেন। লাইনটা কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাস্তারনাক আবার ফোন করার চেষ্টা করেন। তিনি জানাতে চেয়েছিলেন যে মান্দেলস্তাম সত্যিই তাঁর বন্ধু নন, এমনটা নয় যে তিনি ভয় পেয়ে তাঁর সাথে বন্ধুত্ব অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বৃথাই চেষ্টা, ফোন ডেড! ... ...
আট নম্বর তার আসলে একটি মানসিকতা, একটি মানসিক গঠন বলতে পারেন। কিউয়িদের মানসিক গঠন বোধহয়। খুব সামান্য জিনিসপত্র দিয়ে যতটুকু কাজ সারার সেরে নেওয়ার ক্ষমতা। এই জায়গাটাতে আমি আমাদের ভারতীয় মানসিকতার মিল খুঁজে পাই, আজকাল আবার তাকে অনেকে “জুগাড়” (ইং: Jugaad) নামে অভিহিত করে থাকেন। তবে কিউয়ির ‘Number eight mentality’ আর জুগাড় ঠিক একও নয়। সেভাবে দেখলে আট নম্বর তার একটা আট-গেজ বা চার মিলিমিটার বেড়ের তার বই কিছু নয়, এমনকি ১৯৬৭ সালের আগে অবধি (যে বছর বার্ট মানরো বোনেভিল ফ্ল্যাট রেস জিতে রেকর্ড গড়লেন) সে তার এদেশে আমেরিকা থেকে আমদানি করা হত। এদেশ যেহেতু অনেকটা কৃষি আর পশুপালনের ওপর আর্থিক ভাবে নির্ভরশীল, জমির বেড় দেবার জন্যই সে তার ব্যবহার করত লোকে। সেখান থেকে আট নম্বর তারের বহুধা ব্যবহারের গল্প এতটাই যে সে লোকসংস্কৃতির জায়গা নিল কীভাবে? ... ...
শ্রেষ্ঠ হিন্দি সাহিত্য অতি ক্ষুদ্র অংশেই পৌঁছোয় বাঙালি পাঠকের কাছে। তরজমার অভাবে। যদিও বহুধা প্রবাহিত সেই সাহিত্য প্রায়শই আন্তর্জাতিক সেরা সাহিত্যসৃষ্টির সঙ্গে তুলনীয়। গত শতকের প্রথম ছয় দশকে জন্ম, এমন নয় লেখকের এক ডজন গল্পের তরজমা। পড়লেন সাহিত্যিক ও তরজমাকার তৃষ্ণা বসাক ... ...
কার্ল মিকেল। জার্মানির সাহিত্যিক। কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক। শৈশব-কৈশোর কেটেছে নাৎসি দল ও হিটলারের উত্থান ও শাসনকাল দেখে। দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা—নিজের শহর ড্রেসডেনের বোমারু বিমান-হামলায় গুঁড়িয়ে যাওয়া। যৌবন থেকে প্রৌঢ়ত্বে দেখেছেন পূর্ব জার্মানিতে দমবন্ধ-করা সোভিয়েত-রাশিয়া সমর্থিত কমিউনিস্ট শাসন। তাঁর কবিতা পড়লেন ও জার্মান থেকে তরজমা করলেন কবি হিন্দোল ভট্টাচার্য ... ...
কেল্লার ভেতরে নবাবের দরবারের আলো নিভে গেছে, বহু বছর হল নবাবী গৌরবও অস্ত গিয়েছে। শ্বেত পাথরের ফোয়ারায় আর রঙধনু রং ধরেনা, এখন আর নবাবের ভাঙ্গা প্রাসাদ থেকে দরবারী কানাড়া, দাদরা ঠুংরির আওয়াজ ভেসে আসেনা, প্রতি সন্ধ্যায় সারেঙ্গীর সুরও আর বাজেনা। নবাবের সাধের ফুলের বাগান আজ গভীর জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ... ...
তোমার অসহ্য রূপ পড়ে আছে ভূমিতে খানখান তুলে নিয়ে জোড়া দিই দুহাতের আঙুলে আঙুলে দশ আঙুলে জ্বলে ওঠে শিখা, ভুমা ফেটে যায় তুমি মুখে নিয়ে আগুন নেভাও আমি ফের গড়ে তুলি শূন্য হতে তোমার মৃত্তিকা ... ...
কোভিড-১৯ অতিমারী আমাদের সমাজের বহু বিভাজনকে আরও বেশি প্রকট করে দিয়েছে। অতিমারী একদিন বিদায় নিলেও তার ক্ষতচিহ্ন কিন্তু অত সহজে বিদায় নেবেনা। অনলাইন শিক্ষার সোনার পাথরবাটির সন্ধান ভারতবর্ষের ডিজিটাল ডিভাইডকেও একই ভাবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ... ...