এর পরের অংশগুলো স্মৃতিকোষ থেকে মুছে গ্যাছে। এদিকে সম্পাদিকা বললেন দোলের কবিতা দিতে, হাতে সময় পনেরো মিনিট। আর সেই কলেজবেলার সারল্য নিজের মনে গুনগুন করা ভালো, ইন্টারনেটে ছেপে ফেললে খোরাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং দশ বছর ধরে বহন করে যাওয়া শব্দ, কবিতা কবিতা চাপগুলো আর টুকরো টুকরো মনে পড়া ছবি দিয়ে পড়তে ভালো লাগে এমন একটা টেক্সট নামিয়ে ফেলা। যা হলো, তা প্রকৃতপ্রস্তাবে পাপবিদ্ধ-ই ... ...
প্রথম যে জিনিসটা বোঝা দরকার, সেটা হচ্ছে ভারতবর্ষের কৃষির কোনো স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম নেই। ভারতবর্ষের কৃষিব্যবস্থা প্রত্যেক জায়গায় বেশ কিছুটা আলাদা। যেমন ধরুন কেরালা। কেরালায় প্রায় প্রত্যেক কৃষকেরই একটা করে হোমস্টেড ল্যান্ড আছে। সবথেকে বোধ হয় বড় কাজ, যেটা সিপিএম গভর্নমেন্ট করেছিল সেটা হচ্ছে হোমস্টেড ল্যান্ড দেওয়া। ওয়েস্টবেঙ্গলে তার যে করেস্পন্ডিং কাজটা সিপিএম করেছিল, সেটা হচ্ছে গিয়ে যেটাকে বলে ওই জমিতে ভাগচাষিদের সত্তা দিয়ে দেওয়ার কথা। আমি যে সময়টায় ঘুরে দেখেছিলাম সেই সময় থেকে শুরু হয়েছিল নকশাল আন্দোলনের, পরে যাতে ভাগচাষিরা শুধু তাদের ভাগ পায় এমন নয়, তাদের জমিতে মোটামুটি একটা থাকার ব্যবস্থা হয়। আমি তখন প্রথম লক্ষ করি, আমার তখনকার কিছু পুরোনো ছাত্র, আমার প্রথম জেনারেশন ছাত্র, যাদের মধ্যে কয়েকজন তখন মন্ত্রীও ছিল, এদের কৃষি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। ... ...
এই পুজোতে একজনের কষ্টের কথা শুনে যেন চোখের কাজলের মতো আরো ঘোরা কৃষ্ণবর্ণা হয়ে গেলেন দেবী। তার সঙ্গে আমার আলাপ তো বেশি দিনের নয়। তার গায়ের রঙ কুমারী গাছের ছায়ার মতো, বসন্তের শুরুতে যার ঝাঁকড়া মাথা জুড়ে নতুন পাতার রঙ হয় টকটকে লাল। সে মেয়ের চোখেমুখে কষ্টের কালি। স্বামী সন্তান ঘর, সব সে খেইয়ে লিয়েছে গ্য। সে এক আস্ত ডাইন। পিনাকী মিত্র বললো অন্য মানুষের পুজোর গল্প চাই, তাইতে আমার মনে পড়ল ফুলকুমারি মেঝেনের কথা। পুরুলিয়ার ফুলকুমারি। তার হাত ধরে গল্প করার সময় একবারও তো মনে হয়নি সে নাকি এক সব-খাওয়া ডাইন, যার নামে তার গ্রাম তো গ্রাম, আশেপাশের গ্রামগুলিও ভয়ে কাঁপে। ... ...
একটা দল খুনোখুনিতে ছিল না, কিছু লুটও করেনি – তাদের লক্ষ্য ছিল ভেতর বাড়ি। প্রতিটি ঘর, রান্না ঘর, বারান্দায় তারা কী যেন খুঁজে শেষে ভাঁড়ার ঘরের ভেতরে জাহেরাদের তিনজনকে আবিষ্কার করে। এইবার এই দলটি ‘নেড়েটার মাগীগুলোকে পেয়ে গেছি রে!’ বলে উল্লাস করে ওঠে। তারা জাহেরাদেরকে টেনে হিঁচড়ে ভেতরের শোবার ঘরে নিয়ে এসে উপর্যুপরি ধর্ষণ শুরু করে। ধর্ষণ কি জিনিস তা জাহেরা বা ঝিয়ের জানা থাকলেও তেরো বছরের মাহিরার অজ্ঞাত ছিল। তাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে চেপে ধরাতে সে চেঁচাচ্ছিল, কিন্তু প্রথমবার তাকে যখন বিদ্ধ করা হল তখন সে এক অপার্থিব জান্তব চিৎকার দিয়ে উঠল। ... ...
সেপ্টেম্বরের এক রাত্রিবেলা যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিনে স্বেচ্ছাশ্রমিকরা প্যাকেট তৈরির কাজ শেষ করে ক্যান্টিন থেকে বেরোচ্ছে, তখন তিনি এলেন। দরজার সামনে রাস্তার ওপর জটলার মাঝে এসেই বললেন- 'আপনারা কি কমরেড?' সম্মতিসূচক উত্তর পেয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে রেড স্যালুট দিয়ে জানালেন - 'আমিও কমরেড।' ... ...
সাহিত্যসৃষ্টি পঠিত হয় বারংবার। সময়ের ব্যবধানে। কখনো বা একই পাঠক তাঁর প্রিয় বইটিতে ফিরে ফিরে যান, জীবনের নানা মুহূর্তে। প্রায়শই একই লেখা পাঠ থেকে পাঠান্তরে আনে ভিন্ন অনুভব, ভিন্ন অর্থ। এ কথা মাথায় রেখেই নির্মিত হয়েছে এই বিশেষ সংখ্যা। শঙ্খ ঘোষের যে কোনও একটি বই ফিরে পড়ুন, লিখুন এ মুহূর্তের ভাবনা— এই ছিল এই সংখ্যার লেখকদের কাছে অনুরোধ। কোন বই নিয়ে কে লিখবেন, ছিল না তার কোনো নির্দেশ। ফলত, একই বইয়ের পৃথক পাঠপ্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে একাধিক লেখকের কলমে, ঘটেছে এমনটাও। সংখ্যাটিকে তা আরও সমৃদ্ধ, কৌতূহলোদ্দীপক করেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। ... ...
অনেকক্ষণ ধরে জল ফোটায় শিউলি। চাপাতা। দুধ। চিনি। সব ফুটলে একটা আরামের গন্ধ পাওয়া যায়। পায়ের পাতা টনটনায়। কড়া হয়ে গেছে পা। ফাটা জায়গাগুলোতে হাত বোলাতে বোলাতে চায়ের ঘ্রাণ নেয়। এইসময়টা তার একেবারে নিজের। মোতি বা পার্বতী থাকতে পারে। রচনা থাকতে পারে। কিন্তু তারা যেন নিজের মনে কথা বলে যায়। শিউলি জবাব দিল কি না দিল, কিছুই এসে যায় না। ... ...
যদি জিজ্ঞাসা করেন, আমার জাতীয়তা নিয়ে আমার মনোভাব কি, মুশকিলে পড়ে যাব। স্বাধীনতা সঙ্গ্রামীর নাতি হিসেবে এই দেশ নিয়ে হৃদয়ের খুব গভীরে একটা নরম কোণ আছে। আবার মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে- যে দেশে কার্টুন ফরওয়ার্ড করে জেলে যেতে হয় সেই দেশের মানুষ হওয়াটা আদৌ গর্বের কিনা। কখনো ইচ্ছে করে চতুর্থ বা পঞ্চম উদাহরণটির মত হতে। ছোটবেলায় চাকমা শরণার্থীদের দেখতাম তাড়া খাওয়া পশুর মত সীমান্তের এপার ওপার করতে বাধ্য হতে। সেই স্মৃতির দিকে তাকালে মনে হয় দেশ বা জাতীয়তা এগুলো সব অর্থহীন। এই লেখার শেষ প্যারাগ্রাফ লেখার আগে ভেবে চিনতে দেখছি, যে, দিনের শেষে আমার ভারতীয়ত্ব নিয়ে আমি মোটের ওপর গর্বিত। ... ...
ভর সন্ধ্যেয় এতসব যুক্তি-তক্কো-গপ্পো মাথায় ভিড় করে এলো। কারণ, আমি মাত্র শেষ করেছি একটি পঁচিশ পাতার চটি বই—স্বাতী ভট্টাচার্যের লেখা ‘অনুদানের লজ্জা’, প্রকাশক অবশ্যই গুরুচণ্ডালী। স্বল্প পরিসরে স্বাতী সহজ প্রসাদ গুণসম্পন্ন ভাষায় আলোচনা করেছেন অনুদানের বিভিন্ন দিক নিয়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। একটু পরে বোঝা যায় কেন স্বাতীর বইটি সচরাচর চর্বিতচর্বণের থেকে আলাদা। এখানে স্বাতী সন্তর্পণে এড়িয়ে গেছেন অনুদানের ভালোমন্দ, করাপশন ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ‘তুই বেড়াল না মুই বেড়াল’ খেউড়। ... ...
কিসের বই তা জানে না মানোয়ারা, শুধু তার প্রথম পাতায় লেখা ‘আশিস চৌধরি’। এই নামটা আম্মি বারে বারে লেখাত। নামটা যে আব্বুর, সেটা মানোয়ারা জেনে ফেলেছিল। আম্মিকে আর জিজ্ঞেস করার দরকার পড়ে নি। আম্মির কথায় ও শুধু বড় বড় অপটু হরফে লিখত, আশিস চৌধরি। একটা কুড়িয়ে আনা পেন্সিল আঁকড়ে। হলদেটে কাগজের উপর আবছা লেখা। আম্মি মারা যাওয়ার পর আবার একদিন কাগজের তাড়াটা নিয়ে বসেছিল মানোয়ারা। আগের লেখাগুলো আর পড়াই যায় না, এতই আবছা। আম্মি মারা যাওয়ার পর এই ঘরটার অলিখিত মালিক হয়ে গেছে মানোয়ারা। কে যেন একবার বলেছিল, বাচ্চা মেয়ে, একা থাকলে জিন-পরিতেও ধরতে পারে, নাজনিনের ঘরের মেঝেতে শুক বরং ও। তাতে খালা ভাগ্যিস রাজি হয় নি। খুব কেঁদে কেঁদে বলছিল, “কী দোষ করেছি আমি যে আমার ঘরে ওই বেজন্মা বাচ্চাটাকে ঢোকাতে বলছ?” ... ...
বলতে বলতে, কী আশ্চর্য, দাদুর গলায় আক্ষেপ ঝরে পড়ে! আগের কথার রেশ টেনে বলেন – “তবু ভাতেরও অভাব কিছু মানুষের।” কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন দাদু। তারপর আবার বলতে থাকেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, বিশ্বযুদ্ধের পরে পরে পঞ্চাশের দুর্ভিক্ষের ছায়া বাংলার এই শস্যগোলাকেও গ্রাস করল।তারপর স্বাধীনতা লাভ। এদিকে স্বাধীনতার পঞ্চাশ -ষাট বছরেই অতিরিক্ত রাসায়নিক সার আর কীটনাশক মাটির গুণ অনেকটা নষ্ট করে দিলো। বড় বড় দেশী আর বিদেশি কোম্পানিগুলো মানুষকে কম শোষণ করল? কোটি কোটি ডলার লুঠ করে নিয়ে গেল। বেশি ফসলের আশায় চাষীরা তা দিল! কী করবে তারা? লোভের দেখানো পথের বাইরে আর কোনো বিকল্প তারা নিজেরা ভাবতে পারল না, কেউ ভাবাল না।” ... ...
আমাদের এই গাইডটি সঙ্গে রাখুন, পড়ুন, পড়ান, কনফিডেন্সের সাথে সমকামিতা সারান। এমনকি এই সব ক’টি ভাট সত্যি হলেও এটি অনুসরণ করুন। অঘটন আজও ঘটে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি হয়না কি ? এই ঘোর কলিতেও ? এছাড়াও আপনার চেষ্টাটাই আসল। এই অসুখ সারাতে উদ্গ্রীব সকলের জন্য রইলো শুভেচ্ছা বার্তা, গেট ওয়েল সুন ! ;-) ... ...
‘স্বর্গ চেনো না, মিয়ারা, বেহেশত চেনো না, জান্নাতের কথা শুনো নাই কোনদিন?’ ‘শুনছি, শুনছি।’ লোকেরা বলাবলি করে, ‘স্বর্গের আছে মণিমুক্তাখচিত সোনার তৈরি দরজা, সেইখানে সকল দালানের ইট সোনা রূপায় তৈরি, মাটি খাঁটি জাফরানের, কাঁকর হইল মণিমুক্তা আর ইয়াকুত পাথর, আবে রহমতের নদী সুরম্য স্পন্দনে সারক্ষণ বয়ে চলে সেখানে, যার পানি দুধের চেয়ে সাদা, বরফের চেয়ে ঠাণ্ডা, মধুর চেয়ে মিষ্টি, স্বর্গের গাছগুলো সোনা ও রূপার, ফলগুলি নিকটবর্তী, বাতাস মোলায়েম, জান্নাতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেই সোনা রূপার পাত্রে তোমার সামনে চলে আসে সুস্বাদু বেহেশতি খানা, আসে মাছের কলিজার কাবাব, আসে সুমিষ্ট ফলফলাদি, আসে শীতল পানীয় ভর্তি পানপাত্র। আরো নাকি সেইখানে আছে নূর দিয়া তৈরি অলৌকিক হুর। তারা নব্যকুমারী, অতিশয় সুন্দরী, নম্র ও নরম। তারা পরিচ্ছন্ন, স্বপ্নমানসী। হুর বালিকার মৃদু হাসিতে চারদিক আলোকিত হয়, একবিন্দু থুতুতে মিঠা হয়ে যায় দরিয়ার সমস্ত পানি...’ ... ...
স্বাধীনতার ৭৫ বছর মানে দেশভাগেরও সুবর্ণজয়ন্তী। তিন-চতুর্থাংশ শতাব্দী আগে যে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষগুলি দেশ ছেড়েছিলেন, যাঁরা আমৃত্যু স্বাধীনতাকে 'পার্টিশান' বলে এলেন, তাঁদের বেশিরভাগই আর নেই। বেঁচে আছেন তাঁদের সন্ততিরা, তাঁরাও এখন প্রবীণ, যাঁদের স্মৃতিপটে নানা ভাবে সেই বিভাজন এখনও কাঁটাতার তুলে আছে। কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন দেশভাগ, কেউ বাবার ড্রয়ারের দস্তাবেজে। আমাদের এই বিশেষ 'দেশভাগ' সংখ্যায়, বহুলাংশে কলম ধরেছেন সেই সন্ততিরা। এক এক করে প্রকাশিত হবে গোটা সপ্তাহ ধরে। সঙ্গে আছে, টুকরোটাকরা অন্যান্য লেখা। গল্প ও কবিতারা। পড়তে থাকুন গোটা সপ্তাহ ধরে। কারণ, এই বিভাজনের ইতিহাস মনে করা, মনে রাখা, এবং মনে করিয়ে দেওয়া ভীষণ দরকার। কারণ, ওই অযৌক্তিক কাঁটাতার এখনও আছে, আর ঘাতকেরা এখনও আছে দরজায়। ... ...
সাফল্যের ইতিহাস উল্লেখ্য বিষয় হলেও সেই ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা এই প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য নয়। প্রবন্ধের প্রধান উদ্দেশ্য পাঠকদের কাছে এই সত্য পরিবেশন করা যে প্রাণঘাতী জীবাণুর সঙ্গে মানব সভ্যতায় সংঘাত এই প্রথম নয়। একশ বছর আগে ১৯১৮-র আর একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যাকে স্প্যানিশ ফ্লু বলা হয়, এক বছরে প্রায় পাঁচ কোটি (৫০,০০০,০০০)মানুষের প্রাণ হরণ করেছিল। শিশু, বৃদ্ধ, তরুণ, জওয়ান কেউ রেহাই পায়নি ভাইরাসের কবল থেকে। ১৯১৮র ভয়াবহ প্যান্ডেমিকের পর এক শতাব্দী পেরিয়ে গেছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, এবং প্রযুক্তিগত বিদ্যায় অভাবনীয় উন্নতি সত্ত্বেও, স্প্যানিশ ফ্লুএর চেয়ে শতভাগ দুর্বল কোভিড-১৯-এর হাতে এক বছরে সাতাশ লক্ষ (২,৭২০,০০০)মানুষের প্রাণনাশ কি এই প্রমাণ করে যে রক্তপিপাসু প্রকৃতির হাতে মানুষ আজও অসহায়? ... ...
'হাত-রথ থাকতে থাকতেই পৃথিবীর সবকিছু দেখে ফেলা উচিত' এমন একটা কথা বলত ক্ষয়ে আসা এক বৃদ্ধা। যখন বলত তখন মুখ থাকত জানলার দিকে ঘোরানো,দৃষ্টি লোহার শিক পেরিয়ে অনেক দূরে। হাত অবধি বোঝা যেত কিন্তু রথ কী করে থাকতে পারে একজন মানুষের! রামায়ণ মহাভারতের কাল তো পেরিয়ে এসেছি অনেকদিন। ওঁর নিজের শরীরকে চাকা লাগানো কাঠের রথ বলে মনে হত হয়তো। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। পাক্কা দু’ বছর। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা ছুটলেন নবীন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। তারপর? স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। তরজমায় স্বাতী রায়। ... ...
চাষে প্রচুর বিষের ব্যবহার আর অন্যদিকে ঝড় বন্যার ফ্রিকোয়েন্সি বাড়তে থাকায় চ্যাং, বাসা, শাল, খলসি, সরপুঁটি ও জিওল রা প্রায় বিদায় নিলো। পুরানো কিছু পুকুরে কোনোরকমে বেঁচে আছে। মাগুরের দেশী জাত খুঁজে পাওয়া কঠিন। জমিদারী যুগে পুকুরের অন্য সম্মান ছিলো তার অন্যতম কারণ পুকুরের জল পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন সে কাল গেছে। পুকুরের প্রতি খুব অবহেলা। পুকুর আগে পুরো সেচে দিতোনা। আর দিলেও হাপা করে কালো মাছ রেখে দিতো। এমন করে পুকুর সংস্কার করতো যে জলের মান নষ্ট হতোনা। এখন সেসব জ্ঞান গেছে। দিকে দিকে মেশিন। হাতে সময় কম। শ্রমিক কম। সবুজ বিপ্লবের পর থেকে কৃষিকে অলাভজনক করে তোলা হয়েছে বলে যুবসমাজের অনেকাংশের প্রবল অনীহা... ... ...
যৌন আধিপত্য নানা স্তরীয়। কে যে কাকে সুবিধে দেয় আর কে সুবিধে নেয়, বোঝা দায় বাইরে থেকে। বিস্তর ন্যাকাপনা করে, ক্লিভেজ বা কেশরাশি ব্যবহার করে কাজ হাসিল করা মেয়েদের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। পোশাক যখন স্টাইল স্টেটমেন্ট তখন তার মাহাত্ম্য আলাদা। তখন বিকিনি সুন্দর। স্প্যাগেটি টপ সুন্দর। হটপ্যান্ট সুন্দর। আবার আপাদমস্তক ঢাকা মধুবালাও সুন্দর। কিন্তু কোনটা স্টাইল স্টেটমেন্ট আর কোনটা সিডাকশন স্টেটমেন্ট সেটা তো বুঝতে হবে। ... ...
বাংলা লিখিত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের যুগ থেকে কোম্পানিরাজের পত্তন পর্যন্ত রচিত নানা বাংলাগাথা চর্ব্যচোষ্যলেহ্যপেয়র রঙিন বিবরণে ভরপুর। উঠে আসে বাঙালির রসনা-সংস্কৃতির বিবর্তনের ছবি। এ কিস্তিতে নানা কিসিমের অন্ন, মানে ভাত, আর, বেশি নয়, মাত্র চোদ্দরকমের শাকের কথা। লিখছেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। ... ...