ধীরে ধীরে পোল্যান্ডের জার্মান বিদ্বেষ কমতে থাকে বা সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি উষ্মা এবং তার প্রকাশ বৃদ্ধি পায়।সাতের দশকে উইলি ব্রান্ডের পশ্চিম জার্মান সরকার ওডার / নাইসে নদীকে পোল্যান্ডের সীমানা বলে মেনে নিলেন। রিয়াল পলিটিক শুরু । তারপর একদিন চ্যান্সেলর উইলি ব্রান্ড এলেন ওয়ারশ ঘেটোর স্মারক বেদি দর্শনে। । ১৯৪৪ সালে ৬৩ দিন ধরে এই ঘেটোর ইহুদিরা লড়েছিলেন মহা পরাক্রান্ত জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে এক নিতান্ত অসম লড়াই । সেই সময় রাশিয়ান লাল ফৌজ সহজেই ওয়ারশ ঢুকে শহরের দখল নিতে পারতেন। করেন নি । ভিসতুলা নদীর অপর পারে সমবেত হয়ে ভদকা সহযোগে এই হত্যাকাণ্ড উপভোগ করছিলেন শুনেছিলেন আহতের আর্ত চিৎকার। আজকের ওয়ারশর পুরনো শহরের দেওয়ালে দাঁড়িয়ে নদীর পানে তাকালে সেটা সহজেই কল্পনা করে নেওয়া যায়। সাত হাজার ইহুদি প্রাণ হারালেন। জার্মানরা সেই প্রতিরোধ শেষ করে দিলে নদী পার হয়ে লাল ফৌজ বিজয়ীর বেশে নিরঙ্কুশ ভাবে ওয়ারশ প্রবেশ করে জার্মানদের পিটিয়ে মারলেন। শত্রুর শেষ রাখতে নেই। ... ...
ক্যামেরার সামনে একের পর এর খুন হয়ে চলেছে। খুনীদের চেহারা ক্যামেরায় স্পষ্ট। অথচ তাঁদের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। ক্যামেরা বন্ধ করানোর কোনও চেষ্টা নেই। বরং, বীরত্ব, জিঘাংসা আরও ফুটে বের হচ্ছে। আইনের শাসনের প্রতি মানুষের মনে কতদূর অবজ্ঞা জন্মালে এটা হতে পারে, সেটা ভেবে দেখুন। ধরুন, আমি গয়নার দোকান থেকে চুরি করছি। ক্যামেরা চলছে জেনেও আমার কোনও হেলদোল নেই। কেন না, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি, কোই মাই কা লাল, আমার কিছুটি বাঁকা করতে পারবে না। ... ...
২০১৯ - আমার দেখা প্রথম রমজানে ফুড ডিস্ট্রিবিউশনে বিএমডাব্লিউ, অডি, মার্সেডিজ চড়ে লোক আসছে ডোনেশন নিতে। যেমন পোশাকের জৌলুস, তেমন গয়না। মহিলারা সবাই বোরখা আর হিজাব। শরীরের যতটুকু দেখা যায় দামিদামি মণি-মুক্তো-হিরে। চড়া মেকআপ। আপাদমস্তক ব্র্যান্ডেড। তখনো রোহিঙ্গা ক্লায়েন্ট আমি দেখিনি। আমার জ্ঞানের পরিধি যতটা জানে রিফিউজি শব্দকে - তাকে গরিব হতে হবে। আমার রিফিউজি কলিগ আর এই ডোনেশন নিতে আসা মানুষদের সাথে ঐ সংজ্ঞার কোন মিল নেই। রোহিঙ্গা ক্লায়েন্টরা ওদের ধারেকাছে আসতে পারবে না। আফগানি, ইরানি ক্লায়েন্টের বাড়ি ঢুকলে সুন্দর গন্ধ। দারুন সব চায়ের সেট। অসাধারণ চা, পেস্তা, বাদাম, বিরিয়ানি, ফিরনি। রোহিঙ্গা ক্লায়েন্টের বাড়ি জুতোর জঙ্গলের পাশে রান্না, দুর্গন্ধ ভরা ঘর। দম বন্ধ হয়ে আসে। জুতোর পাশে বসি। পানের পিকের পাশে বসি। নিজেও পান খাই। ... ...
কিন্তু পত্রিকার একটা ইসে আছে না? মানে ক্যারেকটার। সেই বুঝে খুব উদাসীন ডিরেকশন থাকে। যেমন ধরুন লেখা আছে "এবারে প্যাঁজ দিন"। আপনি যদি প্রশ্ন করেন, আরে,পেঁয়াজ যে দেবো, কতোটা তো বলবেন? তার কোনো সদুত্তর মিলবে না। বড়জোর উত্তর পাবেন, "দিন না, দিন না। এক খাবলা দিয়ে দিন"।তবে এও ঠিক মাপ জোক দেওয়াও মুষ্কিলের। সারা বিশ্বজুরে পাঠককুল - এক মাপে সবাইকে বোঝাবেনই বা কী করে? যদি বলেন তিনটে পেঁয়াজ দিন - তো সেটা কলকেতার তিনটে বিমর্ষ মুড়ির মোয়া সাইজের হতে পারে আবার টেক্সাসের পাঠিকার কাছে থান ইঁট সম ইডাহোর রাক্ষুসে আলুও হতে পারে। ... ...
ফ্লোরেন্স। ২০০৭। দ্বিবার্ষিক শিল্পকলা উৎসবে আমন্ত্রিত। নানা অনিশ্চয়তার উৎকণ্ঠা কাটিয়ে প্রদর্শনী অংশ নেওয়া। সহসা এক ফিল্ম-দলের তৎপরতা। তোলা হবে বিশেষ তথ্যচিত্র। স্মৃতিচারণে হিরণ মিত্র ... ...
টাকলা অফিসার লাঠিটা নাচাতে নাচাতে রামকথা শুনছে। রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছছে। তার মানে বুঝছে। রামের কথকতার তোড় বেড়ে যায়। ও এবার মহল্লার নেতাদের সমান হয়ে উঠছে। ও বোঝাতে থাকেঃ এখন তো লোকতন্ত্রের জমানা। ভোটের সময় নিয়ম করে দলবেঁধে দেশে ফেরে ওরা। সরকার মাই-বাপ, সে তো ওরা জানে পরদাদার কাল থেকে। সত্ত্বাধারীদের সঙ্গে মানিয়ে চলাই ওদের অস্তিত্বের শর্ত। বিনিময়ে সরকার ওদের বিপদে-আপদে শরণ দেবে, এটাই প্রত্যাশা। তাছাড়া ও তো এটাও শুনেছে প্রধানমন্ত্রীও উঁচু জাতির নয়। গরীব চায়েওয়ালা ছিলেন। তপস্যার জোরে উপরে উঠে এসেছেন। তবে ওদের ভোট না পেলে তাঁর তপস্যা সফল হত কি? ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ কিস্তিতে আফ্রিকায় মাছির উৎপাতের সমস্যা। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। চলছে সিম্বামওয়েন্নি থেকে উগোগো অঞ্চলের উদ্দেশে পথচলার কথা। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
খাই খাই কর কেন? এসো বোসো আহারে। দুই শো বছর পরে খাবে যা-যা বাহারে, এসো ভায়া ট্রাই করো, আজই খাও তাহারে। আরশোলা-চচ্চড়ি, গুবরের কালিয়া, মশক-পুডিং খেও সেলফি-টি তুলিয়া। আরও দু-শতক পরে, জেনে রেখো নির্ভুল, খানা মানে খাবে শুধু ক্ষুধাহরা ক্যাপসুল! কী হবে রেসিপি তার, ভারী শখ জানবার? এখানে লিখলে যদি ‘গুল’ বলে পড়ে ঢিঢি? দক্ষিণে পাড়ি দাও, কানে কানে জেনে নাও, হেঁশেলেতে যথারীতি হুঁশিয়ার আছেন ডিডি ... ...
সব একসময় কোনসময় লাইন হয় বিচ্ছেদ পেতে স্ট্যাম্প পেতে বালুঘড়ি নৌকাসফরেও প্রতিশব্দ অভিধান নেই অমিল একটা কাটাকুটি ঘর সুডোকু হচ্ছে না হাওয়া ভর্তি প্যাকেট ফাটিয়ে কটা ছড়ানো খাওয়া ফুলফল এই ভাঙা লেটারবক্স ছোঁয়া বিসিসিতে কয়েক লাইন মাত্র নীল গোলাপি পিল জড়িয়ে সাদাকালো ধূসর নোঙর পোঁতা পোর্ট পোর্ট পোর্ট পোর্ট পোর্ট একটা লক ডাইরি বন্ধ দেখা শতকরা শতাংশ ভগ্নাংশ মোরামজমা ঘষা স্ফটিক হাউই উড়ছে ক্যালেন্ডার লগঝোলা নতুন চাদর মাঠ বারান্দা বাঁধা জল ভাঙছে থিসিস ডিফেন্ড কীভাবে করা যাবে? ... ...
আব্দেল্লাতিফ লাবি। মরক্কোর প্রথম সারির কবি। লেখেন ফরাসি ভাষায়। বহু পুরস্কারে সম্মানিত। কিন্তু দীর্ঘকাল মরক্কোর শাসকশ্রেণির চক্ষুশূল। ফলত প্রথমে আট বছর কারাবাস ও পরে নির্বাসন। তিরিশ বছর দেশছাড়া হলেও মরক্কো তার কবিতার প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি উচ্চারণে। লিখছেন পার্থপ্রতিম মণ্ডল ... ...
জানো সেদিন রাতে খুব ঝড় এসেছিল। মনে পড়লো সেদিন আমি নৌকাটি বাঁধতে ভুলে গিয়েছিলাম। এই কারণে আগে দু দুবার আমি নৌকা হারিয়েছি। ঝড় একটু থামলে চটপট ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ঘাটে গিয়ে দেখি নৌকা ঠিক বাঁধা আছে। আমি তো সেদিন নৌকা বাঁধিনি। স্পষ্ট মনে আছে। হঠাৎ দেখলাম নৌকায় একটি ছোট বাচ্চা বাঘ। বাঘ দেখে আমার শরীর ভয়ে কাঁপছিল। বাঘটির দিকে তাকিয়ে খুব মায়া হল। আহারে এত ছোট্ট বাচ্চা বাঘ। এই ঝড় বৃষ্টিতে বেচারা কষ্ট পাচ্ছে। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ কিস্তিতে উঙ্গেরেঙ্গেরি নদী পার হয়ে সিম্বামওয়েন্নি পৌঁছোনোর কথা। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
ফোনটা পেয়েই এই সাত-সকালে বের হতে হলো। জিরো পয়েন্টে একটা ডেড-বডি পাওয়া গেছে। আপাতত এটুকুই জানতে পেরেছি। সাব-ইন্সপেক্টর কল করে জানালেন বিষয়টি। এ আর নতুন কী! প্রথম প্রথম এ-ধরনের সংবাদ শুনে বেশ ঘাবড়ে যেতাম, মনটা বিষিয়ে উঠত, আবার এক ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদও জেগে উঠতো ভেতরে ভেতরে। এখন হই বিরক্ত— সময়মতো না ঘুমাতে পারার বিরক্ত; খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম ঠিকঠাক না হওয়ার জন্য বিরক্ত, স্ত্রী-সন্তানদের সময় দিতে না পারার কারণে বিরক্ত। গিয়ে দেখি একঝাঁক মানুষ জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কারও কারও চোখ থেকে ঘুমের ঘোর তখনো কাটেনি। কেউ কেউ বেরিয়েছিল হাঁটাহাঁটি করতে, লাশটা দেখে সংগত দূরত্ব রেখে দাঁড়িয়ে গেছে। সবার দৃষ্টি খানিকটা ওপরে। জিরো পয়েন্টের মাঝামাঝি পরিত্যক্ত পোলের সাথে গলাই দড়ি পেঁচিয়ে ঝুলে আছে মাঝবয়স্ক এক লোক। লোকটির কাঁধে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে একটি কাক। এতগুলো লোক তার দিকে তাকিয়ে আছে দেখে সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। নিজেকে নিরাপরাধ প্রমাণ করার জন্যই কিনা কা-কা-কা করেই যাচ্ছে; কিংবা ঘটনার সাক্ষী দিচ্ছে কি সে? আমাদের পরিভাষায় লোকটার নাম এখন ডেড-বডি। বোঝা গেল কেউ মেরে এখানে টাঙিয়ে রেখেছে। খুনিরা মাঝে মধ্যে পাবলিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে এ-ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়— কখনো আবার শরীর থেকে হাত-পা-মাথা আলাদা করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ছড়িয়ে দেয়। একবার আমাকে সেরকম একটা কেস সামলাতে হয়েছিল— শরীর মেলাতে মেলাতে হয়রান। মাথাটাই পাওয়া যায় না। শরীর দেখে সরকারি পক্ষের একটা পরিচয় দাঁড় করানো হলো, কিন্তু মাথা পেয়ে দেখা গেল ... ...
উনিশ শতকে নারীর লেখক হয়ে ওঠার যুদ্ধ বহুমাত্রিক অবদমনের গল্প, যার প্রারম্ভে আছে লেখিকার নির্বাসিত মননকল্পনার জিজ্ঞাসা আর অন্য পিঠে এর পরিণামে তার creative unity র ভেতর থেকে উঠে এসেছে বিবাহিত জীবনের ক্লীবত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিশোধস্পৃহা। ... ...
স্কুলে যেতে শুরু করলো সতীনাথ, মহা উৎসাহে। বাবার টোলের মতো আসন পেতে বসতে হয় না সেখানে, চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চি-ডেস্কের ব্যবস্থা। স্যররা চকখড়ি দিয়ে দেয়ালে টাঙানো ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে লিখে পড়ান, সমস্ত ক্লাসের ছেলে একসাথে দেখতে পায় সে লেখা। টিফিনের ছুটিতে দৌড়োদৌড়ি-খেলাধুলো হয়, খুবই মজা। অনেক কিছু নতুন নতুন শিখেছে সে, কিন্তু বাড়িতে শেখাবার কাউকে পাওয়া যায় না। বড়দিকে পড়তে বললেই রান্নাঘরে মায়ের কাছে পালিয়ে যায়, ছোড়দির সাথে খুব ভাব তার, ভাইকে খুশি করার জন্যে খাতা পেনসিল নিয়ে পড়তে বসেও সে, কিন্তু কী বোকা ! এতদিনেও ঠিক ঠিক মতো এ-বি-সি-ডি শিখতেও পারলো না। দশ বার দিন পর পর ফুলকাকা আসে খড়গপুর থেকে, তাকেই সতীনাথ পড়ায়, সে শিখেও যায় চটপট। ... ...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনকালে সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম একটি অসমর্থিত খবর ছেপে চলেছে যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো শ্রীলংকার জাতীয় সংগীতটির রচয়িতা ও সুরকারও রবীন্দ্রনাথ। এ খবর সত্য হলে সেটা আমাদের জন্য নিরানন্দের ব্যাপার নয় নিশ্চয়ই। বরং আমরা এ অর্থে গর্বিত বোধ করতে পারি যে, পৃথিবীতে বাংলাভাষার লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই একমাত্র ব্যক্তি যিনি তিন-তিনটি স্বাধীন দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা। কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে যে, এ সংবাদটি যারা প্রকাশ করছেন, তারা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র ব্যবহার করছেন না কেন? আর এরকম একটা খবর দেশের বড়ো বড়ো সংবাদ মাধ্যমগুলো চেপে যাচ্ছে কেন? তা ছাড়া আমার জানা নেই, আজ পর্যন্ত কোনো রবীন্দ্র জীবনীকার বা গবেষক এরকম দাবি করেছেন কি না ... ...