যদি কৃষকরা লাল কেল্লার ঐতিহাসিক কাঠামোর কোনও অংশ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতেন, যদি লাল কেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার চেষ্টা করতেন, যদি লাল কেল্লাতে ঢুকে জাতীয় পতাকার উপরে অন্য কোনও পতাকা ওড়ানোর চেষ্টা করতেন, তাহলে অবশ্যই কৃষকরা ভারতের সংবিধানের উপরে আঘাত করেছেন বলা যেত, এবং কৃষক আন্দোলন যাঁরা করছেন তাঁদের এই ব্যাপারে দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্ন আসত। ... ...
আগামীতে এ দেশে বামপন্থার বিকাশের চাবিকাঠিও রয়েছে এই বিশাল বহুত্ববাদী সমাজের মাঝে বামমন্থীরা কতটা নিজেদের সাক্ষর রাখতে পারে এই জনজাতি সমূহের য়ার্থ-সামাজিক অস্মিতার উত্থানে। বাংলা, তামিলনাড়ুর বা কেরালায় বিজেপির পরাজয় আসলে বিজেপির আরএসএস-এর একমাত্রিক ভারত গড়ার প্রকল্পে এক বড় ধাক্কা যেমন বাংলায় ‘জয় শ্রীরাম’ পরাস্ত হল ‘জয় বাংলা’ র কাছে। কিন্তু এই লগ্নে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল নানা ধারা-উপধারায় বিভক্ত বামেরা কি পারবে এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে? হিটলারের উত্থানের পশ্চাতে অন্যান্য নানাবিধ কারণের সাথে সে দেশের বামেদেরও অবদান ছিল বলে মনে করা হয়। সবচেয়ে অদ্ভুত হল রাজ্যে রাজ্যে বাম দলগুলি অবাম দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে নির্বাচনী আঁতাতে সেই বোধ উধাও হয়ে যায়। আরও দুর্ভাগ্যজনক এই অতীব সংকটকালীন সময়েও এদের কেউ কেউ অপরকে ব্যঙ্গ করে বিপ্লবী আত্মপ্রসাদ লাভ করছেন যা ভবিষ্যতে বাম ঐক্য গঠনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। প্রশ্ন জাগে বিহারের বিজেপি বিরোধী জোটে বামেদের সাফল্য থেকে কি কিছুই শিখবে না তথাকথিত বড় বাম দলগুলি? ... ...
যথারীতি রঙ্কির পেট ব্যথা চাগাড় দিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে টিনের দরজা বন্ধ করেছে, কিন্তু এমন পেট মোচড়ানো যে শেকল তুলে দিতে পারেনি। কিন্তু আমাশার যেমন হয়, মোচড়াবে, কিন্তু একবারে ক্লিয়ার হবেনা, রঙ্কি কোঁথ পেড়েই যাচ্ছে ,পেড়েই যাচ্ছে, পেট আর পরিষ্কার হয় না। শেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যখন এসে উপস্থিত হল,অমনি রঙ্কি গোল গোল চোখে দ্যাখে একজোড়া কালো হাত নিচের টিন কাত করে বড় গামলায় উবুড় করছে। ভয়ে রঙ্কি চিৎকার করতে যাবে। দ্যাখে ওপর দিকে মুখ করে হাসছে তিলোয়া, চুলে অব্দি হলুদ হলুদ কী সব, কিন্তু দাঁতগুলো সাদা ঝকঝকে। ... ...
বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিত মাথায় রেখে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলি এই ধর্নামঞ্চের দিকে যে লক্ষ্য রাখছে সে কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। সংগঠকদের কথা মত গ্রাম ও শহরতলি থেকে ক্রমশ কৃষক ও তাঁদের সমর্থক, অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও গণআন্দোলনের কর্মীরা নিয়ত আসা-যাওয়া শুরু করলে যে মেলবন্ধন তৈরি হবে, তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ... ...
চলছে খিচুড়ি মহারহস্য অ্যাডভেঞ্চার। জাহাঙ্গির নন, মুঘলাই শাহি দস্তরখওয়ানে খিচড়ির রমরমা মহামতি আকবর বাদশার জমানা থেকে। কিন্তু তেমন খিচুড়ি আর কোনও দিন রসনা-রসিকের পাতে পড়বে না। গৃহস্থালি, ভোজবাড়ি, রেস্তোরাঁ কোত্থাও তা আর মিলবে না। ভ্যানিশ! নীলাঞ্জন হাজরা। ... ...
প্রকাশিত হল আরও পাঁচটি পুস্তক পরিচিতি। লিখেছেন রন্তিদেব রায়। ... ...
লাইফ ইনশিওরেন্স কর্পোরেশন, মানে এলআইসির কথাই বলছি। সেই মানুষটির কথা ভাবুন - অফিস-ফেরত এক-কাপ চায়ের খরচ বাঁচিয়ে, সস্তা সাবানে দাড়ি কামিয়েও, প্রতিটি পাই-পয়সা তুলে রেখেছেন প্রভিডেন্ট ফান্ডে - যাতে শেষ বয়সে টাকার জন্য বৃদ্ধ মা-বাবার চিকিৎসা, ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষা - আটকে না যায়। কোনও এক শুভ্র, নির্মল সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি তিনি জানতে পারেন - এই প্রতিষ্ঠানগুলি বেমালুম ভ্যানিশ হয়ে গেছে, তাহলে তো তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ারই কথা। হ্যাঁ, এটাই ঘটতে চলেছে। আমাদের আপাত-নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের আড়ালে নিঃশব্দে মাথা তুলেছে এক সর্বগ্রাসী সর্বনাশের আয়োজন। পড়তে থাকুন... ... ...
বই ছাপতে গেলে প্রথমে কী লাগে? বা কী কী লাগে? মাল মানে অর্থ লাগে, লগ্নি লাগে – তার পর তো অন্য কথা। অর্থাৎ একজন ইনভেস্টর চাই – কিন্তু তাঁকে তো ইনভেস্ট করিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া যায় না – সুতরাং…। তাহলে দাঁড়াচ্ছে, একজন গাইড করার লোক চাই, এবং সেই মালটিই আসল মাল যে মাল এনে দেওয়ার রাস্তা দেখাবে। হ্যাঁ, ইনিই হলেন এডিটর বা সম্পাদক – আসলে দুকান কাটা এবং চার অক্ষর। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হবে আফ্রিকার গভীরে অভিযান। আপাতত তিনি সেই শহরে। তারপর? স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। শুধু সফরের অ্যাডভেঞ্চারই নয়, এ কিস্তিতে একজন অবনেদি নীচুতলা থেকে উঠে আসা শ্বেতাঙ্গের চোখে ঊনবিংশ শতকের অফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ এবং সেখানে উপস্থিত ভারতীয় ও আরব ব্যবসায়ী আর ঔপনিবেশিক বনেদি শ্বেতাঙ্গদের জীবনের অনুপুঙ্খ বর্ণনা। এই প্রথম বাংলায়। তরজমায় স্বাতী রায়। ... ...
১৭৯৯ সালের ১৯ জুলাই মিশরের রাশিদ গ্রামে পিয়ের বুশা নামক এক ফরাসি মাটিতে পোঁতা একটি শিলালিপি উদ্ধার করেন। এমনধারা পাথরের ছড়াছড়ি মিশরে। কিন্তু পিয়ের লক্ষ করলেন এখানে পাশা পাশি তিন স্তরে কোন ভাষ্য লিখিত হয়েছে। হয়ত তিনটে আলাদা ভাষায়। তার একটি গ্রিক। হঠাৎ আলোর ঝলকানি। তবু সময় লাগে। দুই দশক বাদে জন ফ্রানসোয়া শামপিলিওঁ হায়ারোগ্লিফিকে লুকনো মিশর রহস্যের সমাধান করলেন। ১৮২১। নাপলেওঁ তখন সেন্ট হেলেনায় বন্দি। তিনি কি সে খবর পেয়েছিলেন? ... ...
অন্য সবাই বসার ঘরে গল্পে ব্যস্ত, তিনি এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে খিড়কির দরজার দিকে গিয়ে দেখেন বেশ কজন অঙ্গনওয়াড়ি মহিলাকর্মী বসে হাপুস নয়নে কাঁদছেন। জানা গেল দুইমাস ভাতা পান নি, উপরন্তু আজকের খাওয়া দাওয়া হয়েছে তাঁদেরই থেকে সংগ্রহ করা চাঁদার টাকায়। লজ্জায় দুঃখে কোনমতে নিজের ব্যাগে যেটুকু যা টাকা ছিল বের করে ভাগ করে দেন ওঁদের মধ্যে। পরবর্তীতে অবসর নেওয়া পর্যন্ত আতিথেয়তার ভার নিজেই বহন করেছেন, আর কখনো চাঁদা সংগ্রহ করতে দেন নি মিটিঙের নামে। সেই আই এ এস অফিসার, প্রখ্যাত লেখক ও দক্ষ প্রশাসক অনিতা অগ্নিহোত্রী, পড়ছিলাম তাঁর কর্মজীবনের স্মৃতিকথা ‘রোদ বাতাসের পথ’। ... ...
এই কি ধর্মগ্রন্থ? এই কি ধর্ম? এ যদি ধর্ম হয় তাহলে অধর্ম কি? অগঠিত একটা দেশকে নিয়ে লেখা খুব কঠিন কাজ। গার্সিয়া মার্কেজের ভূমিটির ইতিহাস এখনো নবীন। আমাদের ঘাড়ে কয়েক হাজার বছরের দায়। একশো না দশ সহস্র বছরের নির্জনতায় আমরা স্থাপিত। কন্ঠস্বর খুঁজে পেতে গেলে নির্মাণ চাই। সেই নির্মাণ আমাকে দিতে পারে একমাত্র মহাভারত, মহা ভারবাচ্য চ বলে না, দর্শন-রাজনীতি-অর্থনীতির যুদ্ধক্ষেত্র বলে। সেই ক্ষেত্র থেকে কি পাই তা জানতেই এই প্রয়াস। ভূমিকা তাই ভূমিকার মতন হল না, আমার মতন অপন্ডিতের ব্যাক্তিগত পাঠের সামান্য খসড়া। মার্জনা করবেন পাঠক আমার এ অক্ষমতা। এই মহাকথাকে জানতে বসেছি। তার লিখিত-অলিখিত সকল চেহারায়। তাই আমার গমনাগমন ডায়নামিক ইতিহাসের ক্ষেত্রে। কল্পনার পাখায় একটি লৌকিক পাঠ নির্মাণ আমার উদ্দেশ্য মাত্র। মহাভারতের এবং মহা ভারতের বিপুল পরিসরের ব্যাস বংশের নির্মিত এবং সংগৃহিত আখ্যানের প্রতিটি প্রান্তকে যথাসাধ্য মন্থন করেই চেষ্টা করেছি এই রূপ প্রস্তুত করতে। কোনো নির্দিষ্ট পাঠের এটি ব্যাখ্যা না, টিকা-টিপ্পনী না, স্বতন্ত্র মহাভারত রচনাই এ ক্ষুদ্রের বিপুল স্পর্ধা। আসন পেতে বসলে পাঠারম্ভ। সর্বশেষ তিরস্কার-পুরস্কার নতমস্তকে স্বীকার্য। ... ...
ওয়াইসির মতো একজন পোড় খাওয়া নেতা যেখানে হালে পানি পাচ্ছেন না, সেখানে পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির মত নবাগত কিসের জোরে ভোটে লড়ার কথা ভাবছেন? তাঁর জোর তো একটিই— গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফুরফুর সরিফের মুরিদরা। পিরের শিষ্য বা ভক্তদের বলা হয় মুরিদ। ফুরফুরা শরিফের পির আবু বকর সিদ্দিকি (১৮৪৫-১৩৩৯) বা দাদাপির সাহেব ছিলেন একজন সুপ্রসিদ্ধ ইসলামি পণ্ডিত ও ধর্মগুরু। ... ...
সতেরোটি গল্প। প্রাতিষ্ঠানিক খ্যাতির প্রসাদধন্য নয়। কিন্তু প্রত্যেকটি কাহিনিই লেখকই তার নিজস্ব বাকশৈলী ও বক্তব্যের গুরুত্বে গভীরে নাড়া দিয়ে যায় পাঠকমন। বিস্মৃতির গর্ভে লুপ্ত হওয়া থেকে এগুলিকে উদ্ধার করে উপযুক্ত সম্পাদনায় গ্রন্থবদ্ধ করেছেন সাহিত্যিক অমর মিত্র। পড়লেন লেখক বিপুল দাস ... ...
পানু পাল আঠারোতেই দানা ভরতে শিখে গিয়েছিল। প্রথমবার মাথা ফাটে ষোলোতে। সে আদতে বকুলতলার। সদ্য অ্যাক্সিলেটর গিয়ারের রহস্যভেদ করতে শিখে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছিল। ধাবার মালিক হরদয়ালের ভেস্পা নিয়ে মুচিপাড়ায় গিয়েছিল রং ওড়াতে। কিন্তু বেশি উৎসাহে ভুল জায়গায় আওয়াজ দিয়ে ফেললে তরুণতীর্থ ক্লাবের ছেলেরা তাকে ধরতে আসে। সে ভেবেছিল একবারে ফোর্থ গিয়ারে ফেলে ঝড়ের বেগে উড়ে যাবে। কিন্তু স্ট্যাটিক পজিশন থেকে একবারে ফোর্থ গিয়ারে ফেললে ভেস্পা প্রয়োজনীয় গতিজাড্য পায়না, সামনের চাকা উঠে যায় এবং প্রাণেশ মাটিতে পড়ে যায়। ক্লাবের ছেলেরা এই নবকর্ণকে আচ্ছাসে বানিয়েছিল। প্রথমবারের মত তার মাথা ফাটল। ... ...
এবার আর মঙ্গল শোভাযাত্রা নেই। হালখাতা নেই। কলকাতার রাজপথ শুনশান, ঢাকার রাজপথে আল্পনা হবে কিনা জানা নেই। তবু বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ দেওয়া পয়লা বৈশাখ আছে, দুর্যোগের মধ্যেও। আজ থেকে শতাধিক বছর আগে, এক দুর্যোগের দিনে, গানটি লিখেছেলন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সে ছিল বঙ্গভঙ্গ রোখার সময়। রাখিবন্ধনের সময়। কলকাতার রাজপথে নেমেছিলেন, কবি স্বয়ং, সেই দুর্যোগের দিনে। এবারও দুর্যোগ আছে। কিন্তু রাজপথে নামা নেই। দুর্বৃত্তরা আছে, আবারও বঙ্গভঙ্গের খাঁড়াও আছে মাথার উপর। গানটিও আছে। হলই বা একটু পুরোনো। যার প্রাসঙ্গিকতা আছে, তাকে নতুন করে গাওয়া যেতেই পারে। অন্য মোড়কে রইল সেই গানই। এবার পয়লা বৈশাখে। ঠিক সকাল সাড়ে আটটায়, দেখার জন্য ক্লিক করুন। ... ...
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। ফিরতে হবে এবার। এই আন্দোলন কোনও ভাবেই যে কুলাকের আন্দোলন, বা শিখেদের আন্দোলন নয়, তা এতক্ষণে নিশ্চিত জেনেছি। দেখেছি বিপুল সংখ্যায় ক্ষেত-মজদুররা এসে পৌছেছেন এই আন্দোলনে। কৃষক-ক্ষেতমজদুরদের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন দিল্লির আশে পাশে থাকা শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকেরা। এছাড়াও এঁদের পাশে রয়েছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানার গোটা সমাজ, যাঁদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছাড়া এই আন্দোলন চালানো সম্ভব নয়। ... ...
নওদীপ কৌর-এর বিষয়ে নতুন করে বলবার অপেক্ষা রাখে না। গত জানুয়ারি মাসে দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের জেরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেশ বিদেশের বহু বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষ গ্রেফতারের বিরোধিতা করেন। দেড় মাস বন্দি থাকার পর ছাড়া পান নওদীপ। তিনি গান পরিবেশনের পাশাপাশি সাহিত্য উৎসবের আলোচনাতেও যোগ দেন, যার শিরোনাম ছিল ‘এক গুচ্ছ বুলেটপ্রুফ কবিতা’। ... ...
চলন জলে ধোয়া সে সর্ষে সারারাত কলার মাইজে গা জুড়াবে। আর সকালের প্রথম রোদ মেখে ঝরঝরে হয়ে উঠতেই ঢেঁকির গড়ে গড়িয়ে পড়বে। বাড়ির সবাই ভাতঘুমে।থেমে থেমে শুধু ঠাকুমার ধামা কূলার শব্দ। ফটিক জল পাখির ডাক থেমে গেছে। পড়ন্ত দুপুরের বুকজুড়ে হলকা হাওয়ায় তাঁতমাকুরের খটাস খটাস। তবে আজকাল মাকুর আওয়াজ সেই আগের মতো সারা পাড়া জাগিয়ে রাখে না। গোলেনূর দাদীর দশখানা তাঁতের চারটা বিক্রী হয়ে গেছে। নদীর ওপাড়ে নতুন পাওয়ার লুম বসেছে। মানিক কাকুর মুখে দু’দিন আগে কথাটি শুনে দাদু অনেকসময় মাথা নীচু করে বসেছিলো। ঠাকুমার সর্ষে ঝাড়া শেষ। ধামা কাঁখে ঠাকুমা লাল বারান্দা থেকে উঠোনে নামতেই আমি বড়ঘরের ভেতর দৌড়ে যাই। মেঝেয় পাটি পেতে ঘুমিয়ে থাকা মনিপিসির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলি, ... ...
‘মা দেখো বুকাই আবার বেডকভার চাপা দিয়েছে’ চেঁচিয়ে, ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় না থেকে চাদর কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করত। পুকাই চিরকালই অস্বস্তিজনকরকম নর্ম্যাল। পরিবেশপরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সাজপোশাকে বিশ্বাসী। শীতে বেশি, গরমে কম, সমুদ্রস্নানে আরও কম। কালই দেখলাম, কার্লসবাড বিচে সপরিবারে উল্লসিত স্নানের ছবি আপলোড করেছে, বিকিনিপরিহিত। না, ফেসবুকে নিজের নামে নেই আমি। ফেক থেকে দেখেছি। ... ...