সত্যিই বড়ো বিচিত্র জীব মানুষ! সবকিছুকেই সে নিজের রঙে, নিজের ঢঙে সাজিয়ে নিতে চায়। মনখারাপের দিনেও সুরুচি ও শিল্পকলা তার সঙ্গ ছাড়ে না। মানুষের সাজপোশাক বলুন বা ফ্যাশন, সবকিছুর মধ্যেই তা জেগে ওঠে। বিহারের মধুবনী শিল্পীরা এখন বাঁচার তাগিদেই তৈরি করছেন মাস্ক। আর সেই মাস্কের গায়ে তারা এঁকে দিচ্ছেন মধুবনী চিত্রকলার মোটিফ। একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়াগ্রামে। সেখানকার পটুয়ারা করোনা মাস্কের গায়ে ফুটিয়ে তুলছেন পটচিত্রের ছোটো ছোটো ছবি। ... ...
দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন মেরুনা। সম্প্রতি জেনারেল ক্যাটেগরিতে এক ওবিসি মহিলার সিলেকশনের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট মহিলাটির নিয়োগ আটকে দেয়। পরে যদিও উচ্চআদালত হাইকোর্টের এই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় কিন্তু বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। অথচ ২০০৪ সালে সুপ্রিমকোর্টের রুলিংয়েই অনগ্রসর শ্রেণির জেনারেল ক্যাটেগরির আসনে চলে আসার প্রতিবিধান রয়েছে! দ্বিতীয় ঘটনাটি মেরুনার নিজের। কলকাতা সংলগ্ন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংরক্ষিত জেনারেল ক্যাটেগরির মেধাতালিকায় প্রথম নির্বাচিত হন তিনি। এই নির্বাচন মেনে নিতে পারেনি জনৈক ব্রাহ্মণ অধ্যাপক এবং মেরুনা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন, অভ্যাগত সদস্য হিসেবে সমস্ত মিটিং এড়িয়ে গিয়েছেন অধ্যাপক মহাশয়। মেরুনা সেখান থেকে স্থানান্তরিত হবার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভদ্রলোকের সম্পর্ক সহজ হয়! ... ...
লোকজনের প্রতিক্রিয়া বিবিধ রকমের। কেউ কেউ যেমন এই সব পরীক্ষা নিরীক্ষার থেকে পালাতে চাইছেন, কেউ কেউ আবার ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখে বা নিজের অজান্তেই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ভেবে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছেন। কিন্তু টেস্ট করাতে চাইলেই করানো হচ্ছে না। ICMR এর শর্ত না পূরণ করলে টেস্টও হবে না। আর কাদের টেস্ট হবে সেটা ডাক্তাররাই বলবেন। ফলে হালকা ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। আরো বেশি পরীক্ষা করার সমস্যাটা কি? প্রথমত: সরকারী পরীক্ষাগারের অপ্রতুলতা। শুরুর থেকেই 72 টা সরকারী পরীক্ষাগারে টেস্ট করা যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে দিনে 9000 টা টেস্ট করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গে যেমন মাত্র দুজয়গায় হচ্ছিল এই পরীক্ষা। এখন দুটো আরো বড় টেস্টিং ল্যাব করা হয়েছে। এতে দিনে আরো 2800 টি টেস্ট বেশি করা যাবে। অবশ্য সম্প্রতি সরকারী, বেসরকারী মিলিয়ে আরো 111 টি জায়গায় পরীক্ষা করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। দিন দশেকের মধ্যেই তারাও কাজ শুরু করবে। ... ...
সাহিত্যে লিখে দেওয়া যত সহজ চলচ্চিত্রে করে ফেলা ততটাই কঠিন। চলচ্চিত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণত ভাঁড়ামোয় পর্যবসিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এব্যাপারটা আমাদের দেশে সত্যজিৎ রায়ের থেকে ভালো আর কেউ বুঝতেন না। এর কারণ শুধুমাত্র এই নয় যে সিনে-টেকনিক বা সিনে-প্রকরণবিদ্যার উপর তাঁর দখল ছিল ঈর্ষণীয়, এর সঙ্গে এটাও সত্যি যে তাঁর আঠাশটি পূর্ণ-দৈর্ঘ্যের ছবির মধ্যে কমবেশি বাইশটিই অন্যের লেখা সাহিত্য থেকে করা! ফলত তুলসীর সহজাত অভিনয় ক্ষমতা ও মৌখিক-দৈহিক বৈশিষ্ট্যকে ব্যবহার করে যতটুকু করা যায় তাই করেছিলেন সত্যজিৎ ... ...
প্রসঙ্গ - টাকার খেলা কে কে খেলেছে। আমাদের জানা নেই। তবে টাকার খেলা ছাড়াও অনেক ঘটনাই ঘটা সম্ভব। মামলায় অপরাধী দোষী সাব্যস্ত হলে পুলিশের ক্রেডিট মেলে, সরকারি আইনজীবীরও। এই পরিস্থিতিতে সহজে যাকে দোষী প্রমাণ করা যায়, পুলিশের তাকেই পছন্দ হবে। ফ্ল্যাটবাড়িতে খুন হয়ে সিকিউরিটি এজেন্সি যদি চাপে পড়ে থাকে, তারা পুলিশকে সাহায্য করবে নিজের স্বার্থেই। আর আদালত এই মামলার রায়ে নিজেই বলেছে - মেয়েদের উপর আক্রমণ বেড়ে চলেছে, বহু দোষী ছাড়া পেয়ে যায়, সমাজ সুবিচার চায়, তার আকুতিতে সাড়া দেওয়ার দায় আছে আদালতের, ধনঞ্জয়ের শাস্তিবিধান হয়েছে এইসব বিবেচনা করে। অর্থাৎ যে-খেলা এই মামলায় চলেছে, তা এই সব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব লজিকের দৈনন্দিন খেলা। ধনঞ্জয়ের জন্য বিশেষ করে এবং অর্থব্যয় করে এর আয়োজন হয়েছিল এমন নাও হতে পারে। ... ...
কর্পোরেট নার্সিংহোম বা সরকারি হাসপাতাল নয়। পাড়ার একরত্তি চেম্বার। অতিমারির প্রবল প্রকোপেও খোলা। নিরন্তর লড়াই সেখান থেকেই। বিরল উদাহরণ। সেই লড়াইয়ের দিনলিপি। অভূতপূর্ব এক সময়ের অবশ্যপাঠ্য দলিল। একটি সদ্য প্রকাশিত বই। পড়লেন চিকিৎসক বিষাণ বসু ... ...
অনেক হয়েছে ভায়া ন্যাকা-নস্টালজিয়া। ‘মায়ের রান্না’, মনে পড়তেই সে কী কান্না। আহা পিসির হাতের সেই চ্যবনপ্রাশ-ভাতে! তার চেয়ে বরং ছেড়ে সব ঢং রেঁধেই ফেলুন তুখোড় ‘পটাটাস মাতাদোর’। কিংবা ছেড়ে আজেবাজে কথা, রাঁধুন ‘চিকেন বনলতা’। ভয় নেই, বলেছি তো সেই কবেই, পড়বে না মোটে ঢিঢি—মিছে ঘাবড়াচ্ছেন, রেসিপি বাতলাচ্ছেন স্বয়ং ডিডি ... ...
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টিম জুকারবার্গের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন ফেসবুকেরই ডেটা সাইন্টিস্ট সোফি ঝাং। এক বছর এক মাসের মাথায় আরও একবার বিশ্বজুড়ে তোলপাড়। নেপথ্যে এক মার্কিন সংবাদপত্র-ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং আরও এক খাপখোলা তলোয়ার, তাঁর নাম ফ্রান্সিস হাউগেন। ফ্রান্সিসের দেওয়া তথ্যকে হাতিয়ার করে জুকারবার্গের তৈরি করা মহাপ্রাণের মিনারকে টলমলো করে দিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের পো়ড়খাওয়া ফেসবুক সাংবাদিকরা, ফেসবুক ফাইলস নামে একটি ধারাবাহিকে একে একে উঠে আসছে ফেসবুক সংক্রান্ত একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আর এই তথ্যই বলছে আঁচ পোহাতে হবে আপনাকেও, কারণ ফেসবুক-জাত সমস্যার শিকড় আস্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে এই বাংলাকেও। ... ...
একদম হালআমলের শিল্পী এবং কবি। মেয়েটির জন্ম পাকিস্তানে, করাচীতে। ইউটিউব,ব্লগ,সোশ্যাল মিডিয়াতে অতি অভ্যস্ত। সমালোচকের বক্তব্য- "...নূর বলেছেন তাঁর নামের অর্থ, দিনের আলো। এই নাম,যথার্থ, কারণ তাঁর বইয়ের প্রতিটি লেখায় আছে এক আলোভরা জাদু। যা, আমাদের কাজ করতে, বেঁচে থাকতে, ভালোবাসতে প্রাণ জোগায়..." ... ...
সিংঘু সীমান্তে কী চলছে আজ, এখন? অকুস্থল থেকে জানাচ্ছেন ছন্দক চ্যাটার্জি। ... ...
আব্দুস সাত্তার, আমডাঙার সিপিএম নেতা, প্রাক্তন এমএলএ এবং মন্ত্রী। কিন্তু তিনি দল বদলে কংগ্রেসে চলে গেলেন, কেন? আর সিপিএম থেকে তো বিজেপিতে যাওয়ার কোন বিরামই নেই। এর পরেও কি নীতি-আদর্শের বাগাড়ম্বর চলে? রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কতবার দল বদলেছেন? নকশাল থেকে সিপিএম হয়ে আরএসপি এবং অবশেষে কংগ্রেস। তাঁর রাজনৈতিক জীবন কি যথেষ্ট আদর্শ মেনে চলেছে? সুতরাং, দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে ব্রাত্য করে রেখে বিজেপিকে তোল্লা দেওয়া বর্তমান রাজনীতিতে হবে এক অমার্জনীয় অপরাধ। ... ...
বাবার কাছে শুনলাম অনেক নার্স দিদি দু'মাস বাড়ি যেতে পারেননি। নিজের পরিবারকে এক ঝলক না দেখে যারা দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার মত রোগীদের সেবা করছেন তাদের কুর্নিশ জানাই। আমাদের কাউন্সিলর স্যার এবং তার পুরো টিমকে অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌছোনো ও পাড়া স্যানিটাইজ করার জন্য। সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ সেই সকল পরিবারকে যারা আমাদের জন্য ২১ দিন স্বেচ্ছাবন্দী ছিলেন। অনেকের অনেক অসুবিধা হয়েছে জানি, তবু সবাই সহমর্মিতা দেখিয়ে আমাদের পাশে ছিলেন ও নিয়মিত বাবার খোজ নিয়েছেন। ... ...
অনেক দিন পর কবিতা বেরোল হাত থেকে। বেশ কয়েকবার কবিতাটা পড়ে কাজি নিজে। বেশ হয়েছে, ভালই হয়েছে!– নিজের মনেই বলে কাজি, তারপর ব্যাগ থেকে বের করে একটা লুঙ্গি। মাথা দিয়ে গলিয়ে দেয় লুঙ্গিটা, এবার জামাকাপড় বদলিয়ে পুকুরে নামবে সে। এমন সময় দ্রুতপদে দেখা যায় দুলিকে, সে আসছে পুকুরের দিকেই, নিশ্চয়ই তাকেই ডাকতে আসছে। একটু অপেক্ষা করে কাজি, দুলি এসে পৌঁছোয়, তাড়াতাড়ি আসায় একটু জোরে জোরে শ্বাস টানছে সে। কাজি বলে, আমি একটা ডুব দিয়ে আসি, তু্মি ততক্ষণ পড় এই কবিতাটা, খাতাটা দেয় দুলির হাতে। ... ...
আলীয়া মাদ্রাসা আর খারিজি বা কওমী মাদ্রাসার পার্থক্য মানুষকে বোঝাতে হবে। কিন্তু খারিজি বা কওমী মাদ্রাসার সমস্যাগুলি তো তাতে চাপা পড়ে যাবে না। এক বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আমরা আধুনিক যুগে জীবিকানির্বাহের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত করে ছেড়ে দিচ্ছি, যাদের একমাত্র রোজগারের রাস্তা, সাঈদী সাহেবের ভাষা্য়, কারো বাপের জানাজা পড়িয়ে ১০ টাকা আয় করা। ধর্মের শিক্ষা সেকুলার প্রতিষ্ঠানে নিরপেক্ষ এবং স্কলারলি ভাবে ক্লাসিকাল ভাষা আর দর্শন চর্চার মাধ্যমেই হওয়া উচিত, এই ধরনের ধর্ম শিক্ষা পরধর্মবিদ্বেষী মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরগাছা শ্রেণীর মানুষ তৈরি করে, তৈরি করে হুজুরদের ক্যাননফডার। আল্লামা শফি, জুনায়েদ বাবুনগরী এই গরিবের ছেলেদের নাস্তিকদের ফাঁসির দাবীতে পথে নামান, পুলিশের গুলির মুখে ঠেলে দেন। বিনিময়ে নিজেরা রোজগার করেন প্রভূত অর্থ। আওয়ামী-বামপন্থী জোট সরকারের বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই মাদ্রাসাগুলিকে চেয়েছিলেন সরকারের আওতায় আনতে, শফি হুজুররা হুমকি দিয়েছিলেন যে তাহলে দেশে রক্তগঙ্গা বইবে। মাদ্রাসা ছাত্রদের ইংরেজি শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগে জল ঢেলে দেন মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এদের দিয়ে মাদ্রাসায় গ্রেনেড তৈরি করাতে গিয়ে দুটি ছেলেকে বিস্ফোরণে মেরে ফেলেন হেফাজতের নায়েবে আমীর মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী। তবু চেষ্টা করেছিলেন নাহিদ। বাংলাদেশ পারে, আমরা পারিনা কেন? আপনি গেয়েছেন “শোন তালিবান তালিবান/আমি তোমাদের সাথে নেই/ আমি ধর্মে মুসলমান/ আছি লালনের সঙ্গেই”। লালনের হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বাইরের মূর্তি কিন্তু কওমী মাদ্রাসা ছাত্ররা গিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিল সুমন। আর তালিবানরা সকলেই মাদ্রাসা ছাত্র, তালেবা শব্দের মানেই ছাত্র, তাই থেকেই তালিবান। তাদের চেয়ে বেশি আরবী আপনি নিশ্চয় জানেন না। বরং এই বিষয়টা নিয়ে কথা হয়না কেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন গ্রামের গরিব সংখ্যালঘু মানুষকে অবৈতনিক সরকারি শিক্ষা আর মিড ডে মিলের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি, কেন তাকে মাদ্রাসায় যেতে হয়? সবাই ছেলেমেয়েকে কোরআনে হাফেজ করতে চান এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। শিক্ষার অধিকারের দাবী পিছিয়ে পড়ল, উঠে এল মাদ্রাসা শিক্ষার অধিকারের দাবী? ... ...
মেক্সিকোর শিল্পী ফ্রিদা কালো। তাঁর ডায়ারির বাংলা তরজমা। মৃত্যু, যন্ত্রণা, ভিতরের চাপা বেদনা—এ সবই লিপিবদ্ধ পাতায় পাতায়। কিছু টুকরো টুকরো শব্দ। পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক বোঝা দায়। হয়তো তাদের ভিতরে কোনো সংকেত আছে। বিভিন্ন শব্দের আশ্চর্য সম্মোহক সব স্বরভঙ্গির ওঠাপড়া। লিখছেন শিল্পী হিরণ মিত্র। ... ...
সরমা ঘরে ঢুকে দরজা ভেজিয়ে দিল। এক পা বাড়িয়ে আবার ফিরে গিয়ে আঁট করল দরজার ছিটকিনি। অনাবশ্যক, কারণ গোটা বাড়িতে আর কেউ তো নেই। টাবুদির বিয়েতে গেছে সবাই। সামনে সরমার পরীক্ষা তাই ওর না যাওয়াই সাব্যস্ত হয়েছিল। সরমা অবশ্য এতসব কিছু ভাবছিল না, একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে এখনো। তার মধ্যেই দক্ষিণের জানালায় এসে জংলাসবুজ পর্দার স্প্রিং টেনে নাবিয়ে দেখল একবার বাইরেটা। আকাশে বেশ রং ধরেছে এখন, এই সময়টাকেই কি গোধূলি বলে? দূরে দূরে অনেক আলো জ্বলতে শুরু করেছে যদিও। সরমার চোখ গেল হাঁদুলের চায়ের দোকানে। ওরা কি এদিকেই তাকিয়ে আছে? এর পর কি প্যাঁচ কষবে তার হিসাব নিকাশ করছে? সরমা কি ভুল করল এইভাবে রিয়াক্ট করে? ... ...
বাম আন্দোলনের ঐতিহ্য ব্যতিরেকেই বলতে পারি সংকটের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস বাংলার সমাজে আছে এবং তা পাপপুণ্যের ভাবনার বদলে সামাজিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে করার বিষয়টাই বাঙালির মনে ঢুকে আছে। অতীতেও দেখেছি হরেক কিসিমের সামাজিক সংগঠন, বিদ্যালয়, ক্লাব, রাজনৈতিক দল কিংবা গণসংগঠন এই কাজে নেমে পড়ে, হয়তো বা কোনো রাজনৈতিক দিশা ছাড়াই। ... ...
২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারা প্রকাশিত জনসংখ্যা সম্পর্কিত পূর্বাভাসের দলিলটি এই দুই মুখ্যমন্ত্রী বা তাদের উপদেষ্টারা কেউই পড়ে দেখা জরুরি মনে করেননি বলেই মনে হয়। এই দলিল অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের জন্মহার (১৫-৪৯ বছর মহিলাদের গড় সন্তানের সংখ্যা) স্বাভাবিকভাবেই “প্রতিস্থাপনযোগ্য জন্মহার”-এ (যেই জন্মহার দেশে বা রাজ্যে স্থাপিত হলে জনসংখ্যার বৃদ্ধি স্থিতিশীল হয়), অর্থাৎ, প্রতি মহিলার গড়ে ২.১ সন্তান থাকবে। আর আসামের ক্ষেত্রে ২০২০ সালেই সেই হারে পৌঁছে যাওয়া গেছে। তাহলে আসামে যদি সেই হার ইতিমধ্যেই অর্জিত হয়ে গিয়ে থাকে এবং উত্তরপ্রদেশেও ২০২৫ এর মধ্যে এমনিতেই তা অর্জনের পূর্বানুমান রয়েছে, তাহলে হঠাৎ করে এই কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতির প্রয়োগের কারণ কী? ... ...
শরৎ চাটুজ্জের শ্রীকান্ত রেঙ্গুনের রাস্তায়, খুঁজছেন, বাঙালি কিধার হ্যায়? দেখে শেষে ল্যাজ খান, বাঙালিকে চিনে যান। বাঙালির নয়, ছি-ছি, মৎসের ল্যাজা সেটি, হাতে থলি বাজারের, তাতেই প্রমাণ ঢের—বাঙালিকে দুনিয়ায়, মাছ দিয়ে চেনা যায়। এইবার যদি চাও, চিংড়ি-পুলাও তাও রেঁধে ফেল, ভয় কী?, এই নাও রেসিপি, পড়বে না আর ঢিঢি, হেঁশেলে যে হুঁশিয়ার স্বয়ং হাজির ডিডি ... ...