ওঁদের ১৫ অগাস্ট সরকারি ছুটি নেই। অথচ এ দেশেই জন্মেছেন ওঁরা। ভিন দেশের নাগরিক হয়ে যাওয়া পাঁচ বাঙালি লিখছেন এ দেশের স্বাধীনতা নিয়ে তাঁদের বোধ। ... ...
জানা জরুরি হিন্দুত্বের তত্ত্ব ও তা রূপায়ণের হালহকিকত, যার মধ্যে হিন্দুত্ব সন্ত্রাসের পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রথিত আছে। পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলিতে আরএসএস নতুন নতুন শিবিরের উদ্বোধন করে চলেছে। বিভিন্ন লোকসংস্কৃতি সংগঠনের মাধ্যমে লোকসংস্কৃতিতে ভক্তি ও সহজিয়ার চিরায়ত পথে হিন্দুত্বের মিশেল ঘটাতে সচেষ্ট থাকছে। ‘আমরা, এক সচেতন প্রয়াস’ এই সব কিছু জানতে এবং রাজনৈতিক ধর্মের স্বরূপ উন্মোচনে প্রায় দশক-অধিক কাল তথ্যানুসন্ধান চালাচ্ছে। আরএসএস সদর দপ্তরে যাওয়া সেই ধারাবাহিকতার এক অংশ মাত্র। ... ...
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। সংকীর্ণতার পরিধি অতিক্রম করে কবিতার দুনিয়ায় তিনি বিশ্বনাগরিক। দুঃখী মানুষের মুখ নিরন্তর সঙ্গে রেখে বারবার ফিরে আসতে চেয়েছেন দেশ ও মাটির কাছে। আবার পরিভ্রমণ করেছেন গোটা বিশ্বে। আলোচনায় লেখক রাহুল দাশগুপ্ত ... ...
আপনি যে একদিন বিখ্যাত হবেন তা আমার জানা ছিল, আমি মুজফ্ফর সাহেবকে বলছিলুম, আমার বিশ্বাস ছিল আপনি একদিন দেশবিখ্যাত এক লেটোশিল্পী হবেন। এখন তো দেখছি আপনি একজন দেশবিখ্যাত লেখক কবি এবং গায়ক, প্রায় ঠিকই ছিল আমার ধারণাটা। কিন্তু আপনি কি জানেন, ছেলেবেলায় আলাপ না হওয়া সত্ত্বেও আমি কেন আপনাকে মনে রেখেছি? আমার মায়ের কাছে শুনেছিলুম আমি নাকি এক ফকিরের আশীর্বাদে জন্মেছিলুম। ফকির মানে কী, আমি জানতুম না তখন। কিন্তু আপনার বাবা তো অজয়ের দুপারেই বিখ্যাত ছিলেন। আমি যখন শুনলুম তাঁর নাম ফকির আহ্মদ, কেউ না বলা সত্ত্বেও আমি ধরে নিলুম, ইনিই নিশ্চয়ই সেই ফকির, এঁর আশীর্বাদেই আমি জন্মেছি। ... ...
১৯৭৬ সালের ২৬ নভেম্বর। বাঁকুড়ার ছোট্ট মফস্সল শহর বিষ্ণুপুর থেকে বিশ্বভ্রণে বেরিয়ে পড়লেন দুই তরুণ। গন্তব্য—আফ্রিকা। একজন হাল ছাড়েন কিছু পরেই। অন্যজন চলতে থাকেন—১৭ বছর। ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। ১৫৪ টি দেশ। আজও এ কীর্তিতে তিনি অদ্বিতীয়। এই প্রথম দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সে পরমাশ্চর্য সফরের অনুপুঙ্খ কাহিনি শোনাচ্ছেন জয় মণ্ডল। আলাপে নীলাঞ্জন হাজরা। ... ...
আসামে এমন কোনও রাজনৈতিক দল নেই যারা এনআরসি বিরোধী। এবং বিজেপি বাদে বাকি সবাই সিএএ বিরোধী। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার (বিজেপির সহযোগী বা প্রতিযোগী) সব রাজনৈতিক দলই সিএএ বিরোধী, কারণ সিএএ এনআরসি-র মূল অবস্থানটিকেই চ্যালেঞ্জ করে। বাঙালি হিন্দুরা সিএএ-র পক্ষে, কিন্তু বাঙালি মুসলিমরা বিপক্ষে। বরাক উপত্যকার প্রায় সব রাজনৈতিক দল সিএএ-র পক্ষে কিন্তু এনআরসির বিরুদ্ধে। ... ...
উনিশশ’ পাঁচে বঙ্গ-ভঙ্গ হয়েছিল। মামনুর রশিদের লেখা নাটক ‘ভঙ্গ বঙ্গ’। কাস্টমস আর ইমিগ্রেশনের সময়। বেনাপুল, হরিদাসপুরের কথা। স্মাগলার রাজা আর যৌনকর্মী মালিনীর কাহিনী। দেশভাগের সঙ্গেই এসেছে কাঁটাতার। বর্ডার। স্মাগলিং। মেয়েরা দেহব্যবসাতে নেমেছে। এই কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে, ঘুরে বেড়াতে চায় এক আশ্চর্য মানুষ। যদি নদীকে, বাতাসকে দু’ভাগ করা না যায়, যদি পাখি সব আকাশে ঘুরে বেড়াতে পারে, তবে মানুষ কেন পারে না? কেউ আটকাতে পারে না তাকে। সে চলে যায় সীমানা পার হয়ে। ইমিগ্রেশন আউট অব কন্ট্রোল। এইখানে যুক্ত হয় রক্তকরবীর রাজা, রঞ্জন, নন্দিনী। সেই আশ্চর্য মানুষ, নিয়মভাঙা মানুষ রক্তকরবী খুঁজছে। ... ...
কুমোরদের বাসস্থান কুমোরটুলী। উৎসবের চাকচিক্য, নগর কলকাতার বৈভব থেকে অনেক দূরে, শীর্ণ অলিগলি, খাপড়া ছাওয়া ঘর আর দু-একটা জীর্ণ হয়ে যাওয়া বুনো লতাপাতায় ঢাকা প্রাচীন প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ, এখানেই সৃজনের ঠিকানা। এখানেই দেবী দূর্গা মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন তিলে তিলে। এই ম্লান জনপদ, এই অপ্রশস্ত গলিপথ, এই পথিপার্শ্বের ছাউনিতে সৃষ্টি হয় এমন সব মায়াবী অবয়ব যা জন্ম দেয় এক অপার্থিব, অনিন্দ্য অনুভুতি চরাচর জুড়ে। ... ...
কোভিড থেকে বাঁচার জন্যে সুরক্ষাসামগ্রীর দাম বেড়েছে বহুগুণ। N95 মাস্কের দাম কোভিড পরিস্থিতির আগে যা ছিল, কিছু ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে তার দশগুণ - পরবর্তীতে দামে কিছুটা লাগাম টানা গেলেও, কোভিড-পূর্ব দামে পৌঁছানো যায় নি। পিপিই কিট বা হেড শিল্ড সবকিছুর ক্ষেত্রেই তা-ই। এর সাথে বাড়তি বিপদ, নিম্নমানের সামগ্রীকেও চড়াদামে বেচে দেওয়া। সরকারি কমিটি, যাদের দায়িত্ব গুণমান যাচাই করা, তাঁরা প্রবল উদ্যোগে এবিষয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন - এমন অপবাদ কেউই দিতে পারবে না। যাঁরা এইধরণের সুরক্ষাসামগ্রী তৈরী করেন, যাঁদের এবিষয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে - বিশ্বজুড়ে কোভিড মাথাচাড়া দেওয়ার সময়েই তাঁরা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কী পরিমাণ বাড়তি সামগ্রী প্রস্তুত করে রাখা প্রয়োজন - অভিযোগ, সরকার তাঁদের একাধিক চিঠির উত্তরটুকুও দেননি। ... ...
সর্বোপরি, আবার একবার বলি- স্টেরয়েড নিয়ে অযথা ভয় পাবেন না কিন্তু সতর্ক থাকুন। স্টেরয়েড একটি আশীর্বাদ। স্টেরয়েড আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার অন্যতম স্তম্ভ। স্টেরয়েডের যুক্তিযুক্ত ব্যবহার অসংখ্য মানুষকে রোগমুক্তি দিয়েছে। ভবিষ্যতেও দেবে। এবং, এটা ভাবুন- যখন লাভক্ষতির হিসেব করবেন তখন যদি লাভের ঘরে অনেক বেশি জমে তাহলে সামান্য সাইড-এফেক্টের দুশ্চিন্তা ভুলে থাকাই শ্রেয়। দুর্ঘটনা এড়ানোর ভয়ে কে কবে রাস্তায় নামা বন্ধ করেছে? ... ...
চ্যাপলিন তাঁর আত্মজীবনী লিখেছেন, একাধিক ভাষ্যে; তাঁর প্রামাণ্য জীবনী লিখেছেন ডেভিড রবিনসন। কিন্তু সারাজীবন তিনি সযত্নে আড়াল করে রেখেছেন তাঁর ছবি তৈরির প্রক্রিয়া। সাক্ষাৎকারে, বক্তৃতায়, সাংবাদিক সম্মেলনে অনেক কথা বলেছেন তিনি নিজের জীবন ও বিশ্বাস বিষয়ে; এত মানুষের সঙ্গে পরিচয়, আলাপ ও সঙ্গ ঘটেছে তাঁর, তাঁরাও লিখেছেন, তাঁর সম্পর্কে; এই সব কিছু মেলালে চ্যাপলিনের যে জীবনচিত্র তৈরি হয়ে ওঠে, তা তাঁর জীবনী বা আত্মজীবনীর ধরাবাঁধা, সুবিন্যস্ত বৃত্তান্ত তথা পরিচিতি পেরিয়ে আরও বিস্তীর্ণ হয়ে ওঠে। ... ...
সরকার যে শুধুমাত্র চাষির স্বার্থ ভেবে নতুন ব্যবস্থা আনছেন না তা শুধু এই উদ্যোগেই বোঝা যায় যে, এই বিল প্রস্তাব করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জায়গাটি রাখা হয় নি এবং চাষির আইনি পরিসর বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। প্রান্তিক চাষির সুবিধা যদি প্রাথমিক লক্ষ্য হয়, তবে প্রাথমিক শর্তও হবে তার আইনি ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার দিকটি মজবুত করা। স্বাভাবিকভাবে একজন প্রান্তিক চাষি শিক্ষা, প্রযুক্তির ব্যবহার ও আইনি সুবিধায় অনেকটা পিছিয়ে। বড় কর্পোরেটের সাহেবদের সঙ্গে এঁটে ওঠা তার পক্ষে কঠিন। ... ...
যে-কোনো রূপে সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বের দাবির নেপথ্যে থাকে ‘অন্য’-কে চিহ্নিত করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার দুরভিসন্ধি, সে বিষয়ে নিরন্তর চেতাবনি সুকুমারী ভট্টাচার্যের লেখালিখি। চতুর্বর্ণ ব্যবস্থায় সামাজিক সুস্থিতি এবং সহাবস্থান ছিল, কিংবা এই উপমহাদেশে ইসলামের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব কায়েমের আগে সমাজে নারীর মর্যাদা ছিল অতি উচ্চ— ইত্যাকার ভ্রান্ত ধারণা নস্যাৎ করেন তিনি। দেখিয়েছিলেন বৈদিক যুগে শূদ্র ও অবর্ণদের প্রতি ব্রাহ্মণ্য নিষ্ঠুরতা, নারীকে কার্যত এক হস্তান্তরযোগ্য সামগ্রী করে রাখার প্রয়াশ। তাঁর রচনা শুধু বৌদ্ধিক চর্চার জন্য নয়, জীবনযাপনের জন্যও অপরিহার্য। লিখছেন ইতিহাসকার রণবীর চক্রবর্তী ... ...
কলকাতার বিকাশ এবং বাংলার বিকাশ এক ধারায় হয়নি। আজকের দুনিয়ার মতো সেদিনের দুনিয়া “গ্লোবালাইজড” হয়ে যায়নি। এজন্য উপনিবেশের অর্থনৈতিক, সামরিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কলকাতা যেভাবে পরতে পরতে রূপান্তরিত হয়েছে, সেভাবে সমগ্র বাংলার রূপান্তর ঘটেনি। উনবিংশ শতাব্দীর ৩য় দশকের আগে কলকাতার সাথে বৃহত্তর গ্রামীণ বাংলার উভয়মুখী যাত্রাও দুর্বল ছিল। ফলত কলকাতার খণ্ডচিত্র ভিন্নধর্মী – বাংলার অন্য অংশের চেয়ে। সমাচার দর্পণ পত্রিকায় ১০ কার্তিক ১২৪১ তথা ২৫ অক্টোবর ১৮৩৪-এ প্রকাশিত একটি সংবাদে বলা হয়েছিল – “বঙ্গ দেশে যে ৩ কোটি লোক আছে তাহারদিগকে ইঙ্গলণ্ডীয়রা ৯০০ সামান্য গোরা সিপাহী ও ১০০ ফিরিঙ্গি ও ২১০০ সামান্য সিপাহী অর্থাৎ বরকন্দাজ লইয়া জয় করিলেন এবং মুষ্টি পরিমিত সৈন্যের অধ্যক্ষ ৩১ বৎসর বয়সের মধ্যে এক জন অর্বাচীন অর্থাৎ লার্ড ক্লাইব ছিলেন ... দেখুন বঙ্গদেশীয় জমিদারদের মধ্যে ঘোড়ায় চড়িতে পারেন এমত ৫০ জন পাওয়া ভার অতএব বঙ্গদেশীয় লোকেরদের দ্বারা কি প্রকারে ভয় সম্ভাবনা।” (ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদিত, সংবাদপত্রে সেকালের কথা, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃঃ ১৯৩) এ লেখার মাঝে চরম আত্মগ্লানি আছে। কিন্তু কলকাতার জনসমাজকে এ কথাগুলো সেভাবে স্পর্শ করেছিল কি? ... ...
২০২০ সালের ছাব্বিশ ফেব্রুয়ারি বুধবার সুখদেব রী শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে জামিনে ছাড়া পেলেন। সুখদেব ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকদয়ের সামনে আমাকে বললেন, “ আপনারা এতোদিন কোথায় ছিলেন ? এখন এসেছেন আমার সঙ্গে কথা বলতে?” ঘর বাড়ি জমি বিক্রি করে 'বিদেশি' হয়েছি, আর এখন এসেছেন আমার সঙ্গে কথা বলতে?” ... ...
বেড়াবেড়ি অঞ্চল থেকে এসেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নূর বক্স মণ্ডল। আবার দিঘরা থেকে বছর বিশের আমিনুল মোল্লা। এই জমায়েতের উদ্দেশ্য তাঁদের কাছে স্পষ্ট। তাঁরা মনে করেন ভাইজান বঙ্গ রাজনীতিতে নিয়ামক শক্তি হয়ে উঠবে। অশোকনগর বিধানসভায় জয়ের ব্যাপারে তাঁদের মুখের কথায়, শরীরের ভাষায় আত্মবিশ্বাস স্পষ্ট। কিন্তু ভোটের গতিতত্ত্বের কোন নিয়মে এমন ঘটবে, তা তাঁরা জানেন না। ... ...
যখন খবরের অভাব ঘটে তখন সাধারণ মানুষকেও সেলিব্রিটি করার চেষ্টা হয়। তবে তার জন্য সাধারণ মানুষদের বড় বেশি মূল্য দিতে হয়। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হলে সর্বভারতীয় খবর হয়। তবে তা দিন দুয়েকের জন্য। একজন অভিনেতার আত্মহত্যার ঘটনায় ঘন্টার পর ঘন্টা টিভিতে আলোচনা চলে। সঞ্চালক নিজেই রীতিমতো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে আঠাশ জন কৃষক আত্মহত্যা করলেও তাঁদের পরিবার ছাড়া কেউই চোখের জল ফেলেন না। ... ...
অনেক রোগী খুপরিতে ঢুকে প্রথমেই স্যানিটাইজারের বোতল থেকে দু-চার ফোঁটা তরল বসার চেয়ার, আমার টেবিলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আজ এক ভদ্রমহিলা গঙ্গাজল এর মত আমার গায়ে কয়েক ফোঁটা স্যানিটাইজার ছিটিয়ে দিলেন। মানে চেয়ার-টেবিলের সাথে তিনি ডাক্তারকেও স্যানিটাইজ করে নিলেন। ওদিকে রোগীর সংখ্যা রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অধিকাংশই জ্বরের রোগী। জ্বর আসলেই এখন অনেকে গন্ধ শুঁকছেন। একজন বললেন, 'ডাক্তারবাবু, খাবার-দাবারের গন্ধ পাচ্ছি না। কিন্তু ডেটলের গন্ধ, ডেনড্রাইটের গন্ধ এগুলো দিব্যি পাচ্ছি।' একজন রোগী দুদিন আগেই দেখিয়ে গেছেন। জ্বর কমছে না। আবার এসেছেন। তার পুরোনো প্রেসক্রিপশন পুরো সাদা। আমি অবাক হয়ে বললাম, 'এ কি? আমি কোন ওষুধপত্র লিখিনি নাকি?' উনি বিব্রত মুখে জানালেন, 'হ্যাঁ লিখেছিলেন। কিন্তু বাড়ি গিয়ে প্রেসক্রিপশন স্যানিটাইজ করতেই সব লেখা উবে গেছে।' ... ...
এবারের ই-পত্রিকা, এমনিই গল্পসংখ্যা। এমনিই, কারণ, গুরুর পরিচিত বৃত্তের বাইরে থেকে আমাদের কাছে গল্প আসে কিছু। কিছু গল্প এদিক-সেদিক পড়িও আমরা। কেবলমাত্র সেসবেরই টুকরো-টাকরা নিয়ে তৈরি করে ফেলা হয়েছে এই সংকলন। স্বয়ংসম্পূর্ণ কোনো গল্পসংকলন তো তৈরি করা সম্ভব না। এই সংকলনেরও তেমন কোনো দাবি নেই। পৃথিবীর শেষতম বা শ্রেষ্ঠ গল্পসংকলনও এ নয়। গুরুর নিয়মিত ই-পত্রিকার এটি একটি সংখ্যা মাত্র। ... ...