লোকজনের প্রতিক্রিয়া বিবিধ রকমের। কেউ কেউ যেমন এই সব পরীক্ষা নিরীক্ষার থেকে পালাতে চাইছেন, কেউ কেউ আবার ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখে বা নিজের অজান্তেই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ভেবে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছেন। কিন্তু টেস্ট করাতে চাইলেই করানো হচ্ছে না। ICMR এর শর্ত না পূরণ করলে টেস্টও হবে না। আর কাদের টেস্ট হবে সেটা ডাক্তাররাই বলবেন। ফলে হালকা ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। আরো বেশি পরীক্ষা করার সমস্যাটা কি? প্রথমত: সরকারী পরীক্ষাগারের অপ্রতুলতা। শুরুর থেকেই 72 টা সরকারী পরীক্ষাগারে টেস্ট করা যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে দিনে 9000 টা টেস্ট করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গে যেমন মাত্র দুজয়গায় হচ্ছিল এই পরীক্ষা। এখন দুটো আরো বড় টেস্টিং ল্যাব করা হয়েছে। এতে দিনে আরো 2800 টি টেস্ট বেশি করা যাবে। অবশ্য সম্প্রতি সরকারী, বেসরকারী মিলিয়ে আরো 111 টি জায়গায় পরীক্ষা করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। দিন দশেকের মধ্যেই তারাও কাজ শুরু করবে। ... ...
আমার বিশ্বাস যে সম্ভবত আগামী কয়েক মাসে, আমরা খুব সম্ভবত এখানকার ওষুধগুলোরই এমন কোন off-label” ব্যবহার পাব যেটা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিত্সা করতে সাহায্য করবে। অন্য ভাবে বললে, এখনকার কোন ওষুধেরই, যেটা আদতে হয়ত HIV র মত অন্য কোন ভাইরাল সংক্রমণ সারাতে ব্যবহার হয়, তার নতুন কোন ব্যবহার পাব । তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সময় লাগবে আর অনেক অনেক সত্যিকারের পরীক্ষা করতে লাগবে। নতুন রোগাপহরক ওষুধগুলোর ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে চলছে অনেক জায়গাতেই, বিশেষত চীনে। এটা খুবই আশার কথা। ... ...
যাদবপুরের এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে সার দিয়ে যে চার কী পাঁচজন রোলওলা বসতেন, তারা যাদবপুরের ছাত্রদের দৈনান্তিক সর্বগ্রাসী খাই-খাইয়ের টোটকা হিসেবে আলু রোলের উদভাবন করেছিলেন। সেদ্ধ, চটকানো আলু গোল করে টিকিয়ার মতন করা থাকত। মাংসর বদলে রোলের পুর হিসেবে সেই চালনো হত। সস্তা এবং পেট-ভরানো। পপুলার ছিল এগ-পোটাটো। তাছাড়া আলু বিশেষ চলেছিল বলে মনে হয় না। পরে অন্য কোথাও দেখিনিও। ... ...
এর মধ্যে যেটা জানা, তা হল চাকরি বাকরি হারানোর মধ্যেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনার কেসের সংখ্যা। সিএনএনএর সঞ্জয় গুপ্তার মতে, এখন যে তথ্য জানা যাচ্ছে, সেটা আসলে দুসপ্তাহ আগের। এবং কার্যত সংখ্যাটা প্রতিদিনই দ্বিগুণ হচ্ছে। ফলে সংখ্যাটা এখন কোথায়, এবং কোথায় গিয়ে ঠেকবে, বলা কঠিন। অবশ্য, এসবই খুব বেশি হলে আন্দাজ। আসল সংখ্যা কী, তার মাপ কী, কী অভিঘাত, কেউই জানেন বলে মনে হচ্ছেনা। প্রভূত রোগির আশঙ্কায় নিউ-ইয়র্কের গভর্নর জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে একটি ভেন্টিলেটার দিয়ে দুজন রোগির চিকিৎসা করে দেখা হবে। ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে নতুন এবং জটিল। চিকিৎসা নিয়ে অন্যান্য জটিলতাও আছে। যথেষ্টই আছে। আমেরিকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা সরকারি নয়, পুরোটাই বীমানির্ভর। বীমাকোম্পানিরা জানিয়েছে, যে, করোনার পরীক্ষা হবে বিনামূল্যে, কিন্তু চিকিৎসার খরচ পুরোটা তারা বহন করবেনা। এখন শোনা যাচ্ছে, সব ক্ষেত্রে পরীক্ষাও বিনামূল্যে হচ্ছেনা। অর্থাৎ কাগজেকলমে পরীক্ষা বিনামূল্যেই বটে, কিন্তু তার সঙ্গে সার্ভিস চার্জ, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ফি, ইত্যাদি হাবিজাবি যোগ করে, কাউকে নাকি ৩০০০ ডলারও বিল করা হয়েছে। ... ...
সচরাচরের অধিকার আন্দোলনের রাজনীতি কামনাকে বিষয়বস্তু হিসেবে গ্রহণ করতেই চায়না। আমার মনে হয়, আমি হয় একজন নারী-মানুষ নই, নয় একজন যৌন-নারী-মানুষ নই, কিংবা একজন যৌন-নারী-সমকামী মানুষ নই, অথবা যৌন-নারী-সমকামী-একনিষ্ঠ মানুষ নই। কারণ ব্রাত্য হওয়া শুরু হয়েছিল নারী বলে, তারপর যৌন নারী বলে, তারপর সমকামী যৌনতাবোধসম্পন্না নারী বলে, শেষপর্যন্ত বহুগামী নারী বলে। প্রান্তিকরণের রাজনীতি কামনাকে ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করে। আমাকে ক্রমাগত রাজ্যপাট ছেড়ে বনে যেতে হয়, বন থেকে বনান্তরালে, চষা ক্ষেত ছেড়ে নোনা লাগা মাটি পেরিয়ে সমুদ্রের মাঝে কোন এক দ্বীপেও আশ্রয় মেলে না। "স্যাফো ফর ইক্যুয়ালিটি'তে বন্ধু পেতে আসিনি। সমমনস্ক, সমরাজনীতিতে বিশ্বাসী সহকর্মী চেয়েছিলাম। যাদের পেলাম তারা সহকর্মী, সহমর্মী বন্ধুও বটে। আমার কামনার ইতিহাস বা ভূগোল তাদের সবার মত নয়, কিন্তু প্রান্তিকরণের বিরুদ্ধে আমার রাজনীতি তাদের সঙ্গে আমাকে একসূষেন গেঁথেছে। ভিন্নতার উৎসবে আমরা সবাই শরিক। আমি, নারী, যৌন-মানুষ,সমকামী, বহুগামী, প্রান্তিক, কিম্ভুত - আমি। ... ...
লকডাউন নিজে নিজেই কোনো সমাধান নয়। লকডাউন অসুখ সারায়ও না, অসুখের বিরুদ্ধে সমষ্টিগত প্রতিরোধের ক্ষমতাও তৈরী করে দেয় না। বাকি সব ব্যবস্থাগুলোর সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা গেলে লকডাউন, অবশ্যই, খুব কার্যকরী ব্যবস্থা - কার্যকরী মহামারীর ভয়াবহতা ঠেকানোর ক্ষেত্রে, কার্যকরী একজন মানুষ থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে, কার্যকরী অসুস্থ মানুষের সংখ্যা কমিয়ে রাখতে, যাতে আমাদের পরিকাঠামো দিয়ে সেই সীমিতসংখ্যক মানুষের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা যেতে পারে - কার্যকরী, আরো প্রস্তুত হওয়ার জন্যে সময় কিনতে। কিন্তু, মনে রাখুন, এগুলো সবই হতে পারে - যদি লকডাউনের সাথে সাথে বাকি ব্যবস্থাগুলোও নেওয়া হয়, তবেই। ... ...
গত রাত থেকে শুরু হয়ে গেছে ২১ দিনের সর্বভারতীয় লকডাউন। সরকারী নির্দেশের একটি প্রতিলিপি আমাদের হাতে এসেছে। যেভাবে এসেছে, সেভাবেই তুলে দেওয়া হল। ... ...
করোনা প্রতিরোধে কী করবেন, কী করবেন নাঃ ডা. চিরঞ্জিত সামন্ত'র আঁকায় ... ...
সংবাদপত্রের খবর, প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে খোলা হচ্ছে করোনা আইসোলেশন ইউনিট - উইথ ক্রিটিকাল কেয়ার ফেসিলিটি। পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকতে থাকা সরকারি ব্যবস্থা, যা এই পরিস্থিতিতে ভিড়ে উপচে পড়ছে - নাকি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা মেনে প্রস্তুত আইসোলেশন ইউনিট উইথ ফুল ফেসিলিটিজ - সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কোনখানে বেশী? আক্রান্ত হলে সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশী তাহলে কোন শ্রেণীর? ঘরে বসে নিরাপদ দূরত্বের সুবিধে নিয়ে আপনার আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা আন্দোলনকারীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে না তো?? ... ...
১৬ মার্চ হু-র ডিরেক্টর জেনারেল এখনও আমরা যে জায়গায় উপযুক্ত ফোকাস করতে পারছিনা সেদিকে দৃঢ়ভাবে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন – (১) টেস্টের সংখ্যা আরও অনেক বাড়ানো, (২) আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজন আক্রান্তকে আলাদা/বিচ্ছিন্ন করে রাখা, এবং (৩) যারা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছে তাদের খুঁজে বের করা। তাঁর ভাষায় - Social distancing measures can help to reduce transmission and enable health systems to cope... But the most effective way to prevent infections and save lives is breaking the chains of transmission. And to do that, you must test and isolate. তাঁর সর্বশেষ আহ্বান - Once again, our key message is: test, test, test. হু-র তরফে ১২০টি দেশে দেড় কোটি টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছে। ডিরেক্টর জেনারেল স্মরণ করিয়েছেন, এরকম সংকটের সময়েই মানুষের মহত্তম এবং কুৎসিৎতম দুটি চেহারাই ধরা পড়ে। ... ...
করোনা ছড়ানোতে অশীতিপরদের ভূমিকা একেবারে শূন্য। তাদের ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ নেই, খাদ্যতালিকায় প্যাঙ্গোলিন বা বাদুড় না থাকারই কথা। না চাইলেও তাদের বেশিরভাগই কোয়ারেন্টাইন্ড হয়ে থাকতে বাধ্য। থাকেনও প্রায় বারোমাস। চাহিদা বলতে পুষ্টিকর সহজপাচ্য খাদ্য, বিশ্রাম, যত্ন, চিকিৎসা আর সবচেয়ে যা অধরা, ঐ কিঞ্চিৎ ভালবাসাবাসি। এর ঠিক উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে যৌবনের স্পর্ধা, যা অতিমারীর কালেও ভ্রমণ সূচি বা রাত-জাগা হুল্লোড়ে পার্টি বাতিল করে না । আমাদের বয়স অল্প, আমরা ফিট, আমাদের প্রাণে মরবার ভয় নেই, এই বিবেচনায় যারা অকুতোভয়। তাদের ওপরেই কিন্তু ঝুলছে এই ডেমোক্লিসের খাঁড়া - বয়স্ক প্রিয়জনকে মেরে নিজে বাঁচবে কিনা। সমস্যাটা বুড়োবুড়ি নিকেশ হয়ে গেলে ক্রমশ নীচের দিকে নামবে, বৌ না আমি, কে বেশি বাঁচবার অধিকারী ? আমিই যদি না থাকি তাহলে আমার সন্তানকে রাষ্ট্রের পক্ষে প্রয়োজনীয় করে গড়ে তুলবে কে ? এই প্রশ্নগুলো আসতে বাধ্য কারণ এই অতিমারী আমাদের সভ্যতার ভিত ধরে নাড়িয়ে দিচ্ছে। ফিরে আসছে বেঁচে থাকবার অন্ধ আদিম দৌড়, যেখানে বাঁচবার একমাত্র অধিকারী সে, যে সবচেয়ে তন্দুরস্ত বা বলশালী। বাঁচো, শুধু নিজের জন্য বাঁচো, অন্য সমস্ত বিবেচনা তুচ্ছ হয়ে যাক তার কাছে। ... ...
কোরোনা ভাইরাস চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে চীনের লেভেল - ৪ (সর্বোচ্চ সুরক্ষা স্তর) ভাইরাস গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। যেহেতু নিশ্চিত করে উৎপত্তির কারণ চিহ্নিত করা যায় নি, বাদুড়, সাপ বা প্যাঙ্গোলিন থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে আশংকা করা হচ্ছে তাই এর উৎপত্তির পেছনে ষড়যন্ত্রের একাধিক জোরালো তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে। ... ...
বিরতির সময় পলাশের সাথে দুই সেকশনের কয়েক জন খেলোয়ারের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা হারাধন জানে না। কিন্তু খেলা আবার শুরু হবার পর থেকে দেখা গেলো বল বার বার তার প্রান্তে চেপে আসছে। হারাধন প্রাণপনে বল ফেরাতে থাকে। একপর্যায়ে বলের দখল নিয়ে সৃষ্ট এক জটলায় কেউ একজন হারাধনকে খুব জোরে ধাক্কা মারে। তাল সামলাতে না পেরে সে পড়ে যেতে হঠাৎ কে যেন তার বাঁ হাতের উপর লাফিয়ে পড়ে। সেটা কি সেকশন-এ’র মোটকা সাদমান নাকি সেকশন-বি’র বখা বাদল সেটা বোঝা যায় না, তবে হারাধনের কবজিতে কড়াৎ করে একটা শব্দ হয়। তারপর তীব্র ব্যথায় তার আর কিছু মনে থাকে না। ... ...
মালদায় নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়িতে বড় হলেও নিজের রোখে কলেজের পড়া শেষ করেছিল সে। সহপাঠি এবং অন্যান্যদের ঠাট্টাবিদ্রুপের শিকার হয়েও। কিন্তু চাকরির কোনো ব্যবস্থা তো সমাজ এবং রাষ্ট্র করে রাখেনি, রাখেও না। বাধ্য হয়ে দুটো অপশন থাকে সামনে - হয় হাতে তালি দিয়ে রাস্তায় নামা অথবা আদিম পেশার হাতছানি। কোনটাই করবে না জেদি হিয়া, তাই সে একদিন ট্রেনে চাপলো বিহারে যাবে বলে। ... ...
আমি মনে করি না ঘরে বসে কেক কেটে বা পার্টি করে, শপিং মলে কিছু বিশেষ ছাড়, পার্লারে কিছু বিশেষ ইভেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে নারী দিবস পালন করা যায়। নারীদের জন্য বছরের প্রত্যেকটা দিনই সমান। প্রতিটা দিন সমান লড়াইয়ের, সমান ভাবে বাঁচার। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে যখন নিজের শিক্ষার অধিকার নিজে বুঝে নিয়েছেন, নিজের পেশাগত যোগ্যতায় কারো থেকে কম নন, কারোর চেয়ে এক বিন্দু কম প্ররিশ্রম করেননি উলটে প্রতি মূহুর্তে আপনাকে প্রমাণ দিয়ে যেতে হয়েছে নারী বলে আপনি মেধায়, দক্ষতায় কম নন তখন নিজের ভালো লাগা, মুক্তির স্বাদ টুকু বলি কেনো দেবেন কারোও কথা ভেবে? জীবন বিশাল বড়। বুড়ো বয়েসে অচল অবস্থায় শুয়ে আক্ষেপ করবেন না অ্যালবামের পাতা ওল্টাবেন আপনার পছন্দ। নিজেকে ভালোবাসা স্বার্থপরতা নয় এটা বুঝতে বুঝতেই জীবন অতিক্রান্ত করে দেবেন? নিজেকে ভালো রাখতে না পারলে যে পৃথিবীর কাউকে ভালো রাখার ক্ষমতা কারোরই নেই। ... ...
যে মঞ্চ মধ্যে মেয়েরা, মানে অধিকাংশ মেয়েরাই পুতুল মাত্র। ডিরেক্টর নন। কোরিওগ্রাফার হলেও হতে পারেন। আলোকসম্পাত করেন না। প্রোডাকশন ম্যানেজার নন। আর যদি বা ঐ যেগুলো নেতিবাচক বললাম, সেগুলো দৈবক্রমে হয়ে পড়েন, তার বিস্তর জ্বালা। পেশাদারী অভিনেতা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে মেয়েদের অনেক সমস্যা ।এখনো। তার কারণ অবশ্যই বিয়ে আর সংসার।কথাগুলো পুরনো হলেও সত্যি। নাটক করবি? তাহলে তো বিয়ে হবে না। আর যদি হয় তবে বিয়ের পর আর নাটক করা যাবে না।কারণ আজো মেয়ের দল বিয়ে হলে চাকরি ছেড়ে ও শ্বশুরবাড়ি চলে যেতেই ভালোবাসে।নাটক তো কোন ছাড়। মঞ্চে ওঠা, মেকাপ আর হাততালির মোহ অভিনয়ের প্যাশনের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। ডাক্তার হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন পড়াশোনা করতে হয় ।শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল , অধ্যাপক যাই হও না কেন, ঘাম ঝরিয়ে পড়াশোনা আর চর্চা। ক্রিকেট,ফুটবল যাই খেলো না কেন, দীর্ঘদিন অনুশীলন চাই।শুধু নাটক এমনি এমনি করা যায়! মানে কোনো পড়াশোনা বা অনুশীলন ছাড়া স্রেফ ডায়ালোগ মুখস্থ করেই মঞ্চ কাঁপানো যায়, এমন মূর্খ ধারণা নিয়ে নাটক করতে আসেন বহু মানুষ। ... ...
ওয়ার্কশপে গেছি। সে আমার প্রথম আম্রিগাবাস। ওয়ার্কশপে বারোটা দেশের তেরোটা ছেলেপুলেদের প্রায় সব কটা ঘোর মালখোর। প্রায়টা জুড়লো, আমার জন্য। তখন আমি মদ টদ মোটে ছুঁতুমটুঁতুম না, মানে বিয়ার মুখে দিয়ে বি গ্রেড নিমের পাঁচন মনে হওয়া আর ওয়াইন খেয়ে মাথা ঘুরে যাবার পরে আর কিছু ছোঁবাটোবার ইচ্ছেটিচ্ছে হয়নি। তো, সে তোরা নিজেরা যা ইচ্ছে খাবি খা, কিন্তু না, আমা হেন ঘোর মদনাস্তিককে দীক্ষিত না করে তাদের আত্মার শান্তি, প্রাণের আরাম কিছুই হচ্ছেনা। বিশেষত আমার রুমমেট হার্মাদ কন্যা তো এই কনভার্টিকরণকে পুরো ধর্মপ্রচারের মতন সিরিয়াসলি নিয়ে নিল। কীসব ফলের ফ্লেভারে বিয়ার দিয়ে আমার ক্লাস শুরু হল। তা, তাতে সবে একটু একটু উন্নতি দেখাচ্ছি বলে টিচার যখন রায় দিচ্ছেন, তখনি সব ভেস্তে দিলেন এক প্রফ। ... ...
এ কোন সরকারী সংকলন নয়, নিতান্তই উড়ু উড়ু বসন্তপবনে জীবনের কিছু ধন জমিয়ে রাখা। অনেক লেখাই চোখ এড়িয়ে গেল, নতুন সাইটে সার্চের গোলযোগের ওপর একটুখানি দায় চাপানো যায়। যা হাতের কাছে পাওয়া গেল। পাঠকের সন্ধানে কোন চোখ এড়িয়ে যাওয়া লেখা থাকলে এখানে দিয়ে দিন, বা নিজের মত আরেকটা পিডিএফ বানিয়ে ফেলুন। ... ...
অনেক অপেক্ষার পর নড়তে চড়তে হেলতে দুলতে অবশেষে হাজির হল লেটলতিফ পুজো ইস্পিশাল। তাতে অবশ্য সমস্যার কিছু নেই। কারণ আমাদের বারো মাসে আঠারো পাব্বন, আর বচ্ছরভোর মোচ্ছব। উৎসব চলছে চলবে। পড়ুন লেটলতিফ পুজো ইস্পিশাল, গুরুর প্রথম ই-বই ... ...
আজ থেকে বছর পনেরো আগে,আনোয়ারা'দি অর্থাৎ আমার বু এক কাপড়ে স্বামী-ছেলেমেয়ের হাত ধরে বেলগাছিয়ার বস্তি থেকে বেরিয়ে আসে। শাশুড়ির অকথ্য অত্যাচার দিনের পর দিন সহ্য না করে, রোজ মার খাবার নিয়ম গায়ে না মেখে, জোর করে ভিক্ষা করতে বাধ্য হবার রুটিনকে পায়ে ঠেলে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বপ্নে সমস্ত নাক কুঁচকানো-মুখ ঝামটাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সাহস করেছিল যে মেয়েটি, সেই আনোয়ারা'দির জন্য রইল নারীদিবসের শুভেচ্ছা। ... ...