কোন আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ইচ্ছে গুলো-পতাকা তুলতে পারবে? প্রিয় স্বাধীনতার! খুন হতে হবেনা! তেত্রিশ বছর কাটলো-ফতোয়া জারি ছিল, ছিল না হাদি মাতার। নীল সমুদ্রে শঙ্খচিল হিতোসি ইগারাশিমৌলিক মাঞ্জার ঘায়ে ভোকাট্টা সুনীলে! কতযুগ আর মানব জমিনে মূক রবে কৃষিকত শতাব্দী রইবে ধরা রক্তবীজের দখলে?
জোরকদমে বাঙালী অবাঙালী পূজোর তোড়জোড় চলছে। কোয়ার্টারের সামনের রাস্তার পূজো নবরাত্রির পূজো। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পূজোর প্রস্তুতি দেখা বেশ উপভোগ করছি তখন। ঐ পূজো ছিল বাঁড়ুজ্যেদের staff দের পূজো। বেশিরভাগ উত্তরপ্রদেশ বা বিহারের বাসিন্দা। একদিন সন্ধ্যায় তাঁরাও দল বেঁধে এসে নিমন্ত্রণ জানিয়ে গেলেন। অষ্টমীর রাতে অর্কেস্ট্রা হবে। 'ভাভীজী কো লে কে জরুর আইয়েগা সাহাব' --- তাঁরা বলে চলে গেলেন।মহালয়া এসে গেল। জীবনে প্রথমবার মহিষাসুরমর্দিনী ক্যাসেটে শুনলাম সেই বছর। জানতে পারলাম মহালয়া নামটি আমাদেরই, বাংলার। ওখানে 'পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা'। গুরুত্বপূর্ণ দিন একটি। বাচ্চাদের সব স্কুল ছুটি থাকে সেদিন। বেলা বাড়তেই আমার "একান্ত আপন শশীকলা" এক ব্যাগ নিয়ে এসে হাজির, "ভাভী, ইয়ে রখো। নবরাত্রি মে লগেগা।" দেখলাম অনেকগুলো শাঁকালু। জিজ্ঞাসা করে ... ...
নিজের ঘরে বিছানার উপর বসতে না বসতেই, পুতুল হন্তদন্ত হয়ে মুখ ভার করে বলে, 'দিদিভাই, তুমি নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে গিয়েছিলে। বাড়িতে কাউকে কিছু বলে যাওনি। আমাকে তো সাথে নিতে পারতে।'কুসুম দু'হাতে জড়িয়ে ধরেন পুতুলকে, 'নারে বোনটি, আমার যাওয়ার কোনো ঠিক ছিল না। জানালা দিয়ে হঠাৎ দেখি মানুষের ঢল, সব চলেছে রমনা রেস কোর্সের দিকে। আমি একটা ঘোরের মধ্যে বেরিয়ে পড়ি ... ...
আজকের সমৃদ্ধ ইউরোপ গড়ে উঠেছে কলোনিয়াল যুগে সারা বিশ্ব থেকে লুট করে আনা সম্পদের উপর ভিত্তি করে।,সমৃদ্ধি অর্জন করে তারা এখন দু'চারটি ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ইস্যু করে লিবারেল সাজতে চায় আর কলোনিয়াল যুগের রক্তাক্ত ইতিহাস ধামাচাপা দিতে চায়।,কিন্তু তাদের ভেতরে সেই ঘৃণ্য বর্ণবাদ আগের মতই রয়ে গেছে। একটু সুযোগ পেলেই তা বেরিয়ে আসে।,মেসুত ওজিল একবার দুঃখ করে বলেছিলেন তিনি যখন জেতেন তখন হয়ে যান জার্মান, আর যখন হারেন তখন হয়ে যান তার্কিশ ইমিগ্র্যান্ট। বর্ণবাদী আচরণের কারণে তিনি জার্মানি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।,বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ হ্যারি কেইন পেনাল্টি মিস করলে ব্রিটিশরা টু শব্দ করেনি। কিন্তু ইউরোর ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউট মিস করায় ... ...
"হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন... অনু, পার্থ, কুন্তল; তাপস, অয়ন মক্ষিরাণী অর্পিতা, কৃষ্ণ জীবনজনগণের গাঁ* মারে বরাহ
(১) বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এই প্রথম স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে আলোচনার জন্ম হয়েছে তা হয়তো অতীতে আর কখনো ঘটেনি। সেই আলোচনা পত্রিকার প্রথম পাতায় পাতায় বা চায়ের টেবিলে এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির মাঠে ময়দানে। এই স্যাংশন নিয়ে কবে আন্দোলিত হয়েছিল রাস্ট্র আর সেই ইতিহাস ও খুঁজে পাওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিমন্ডলে যদি ও এই স্যাংশন একটা ডাল ভাতের মতো বিষয়। কিন্তু এর ... ...
---মাংসের দাম--- কলমে-রশ্মিতা দাস ---বুঝলো কাকা,পকেট ফাঁকা আজ রাতের আসরে স্ন্যাক্সকেই করো মদের দোসর। আগুন মাংসের দরে। ---বলিস কি রে,বলিস কি রে, কালীপূজোর রাতে স্ফূর্তি
পড়তে পড়তে একজনের লেখা বড্ড মনে ধরলো। দেখি বেশ সুন্দর আমার মনের কথাগুলোই তিনি লিখে রেখেছেন। ছোটদের মনের জগতের হদিশ বেশ জানেন তিনি। পাতা উল্টে নাম দেখলাম — লীলা মজুমদার। তাঁর লেখার ভাষাগুলো বসতে লাগলো মনের কোণে। তাঁর গল্পের ছোট্টদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হল।
কেলো করেছে! বিজ্ঞাপন লেখার ক্ষ্যামতা থাকলে কি আর মাঝারি বুদ্ধিধারী হতুম! তাইলে তো আঁতেল ই হতুম।প্রশ্নগুলো যেমনই থাকুক ,উত্তর দেওয়ার সময় ঠিক অপশন পাই নি কয়েকটিকে। বাধ্য হয়ে তাতেও উত্তর দিতে হয়েছে যেটা আমি নই।কিন্তু পরীক্ষকের রিমার্ক্স যারপরনাই পসন্দ হুয়া ।
১) যারা ভাল ক্রাইম থ্রিলার না পেয়ে হাহুতাশ করছেন।২) যারা ক্রাইম থ্রিলার লিখবে বলে পরিকল্পনা করছেন।৩) যারা বিনামূল্যে রাইটিং মাস্টারক্লাস করতে চান।
হাজং উৎসব : প্যাঁক খেলা -- লিখেছেন বিপ্লব রহমানহাজংদের ‘প্যাঁক খেলার’ মতো কক্সবাজার-পটুয়াখালির রাখাইনদের রয়েছে আরেক ঐতিহ্যবাহী পানি-খেলা উৎসব-- সাংগ্রেং। পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমারাও পানি খেলার আয়োজন করেন, তারা একে বলেন-- সাংগ্রেই পোয়ে। সেটি অবশ্য বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরণের ভিন্ন এক উৎসব। আর বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে বসবাসকারী গারো বা মান্দি জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে বীজ বপনের উৎসব ‘রঞ্চুগালা’ ও নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’। আর চাকমাদের বর্ষ বরণ ও বর্ষ বিদায় উৎসবের নাম ‘বিঝু’। ত্রিপুরারা তাদের চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবকে বলেন ‘বৈসুক’। সাঁওতাল আদিবাসীর রয়েছে নবান্ন উৎসব ‘সোহরাই বাহা’ ও বৃক্ষ বন্দনা ‘কারাম’ উৎসবের ঐতিহ্য। পুরোটা পড়ুন ... ...
আলী আনোয়ার রাজকীয় নর্শ্ক দূতাবাসের আয়োজনে নর্শ্ক গিয়ে ইবসেন নিয়ে ঘোরাঘুরি-বাতচিত করে এসে এ বইটা লেখেন; বইটা নর্শ্ক দূতাবাসের অর্থানুকূল্যেই বেরিয়েছিল ২০০১ এ। নর্শ্ক জানেন তিনি, তা না; এখানে হয়ত দ্বিতীয় আতশ কাঁচ এসে পড়ার ঝামেলাটা হতে পারে। তবে নর্শ্ক জানলেই ইতনা বৃহৎ কলেবরের বই লিখে ফেলা যাবে, তা তো নিশ্চিতভাবেই না।১৯৬০ সালে প্রকাশিত নাওয়াল আস-সাদাউইর مذکرات طبیبة (মুজ়াককিরাত ত়বিইবাহ—ডাক্তারের দিনপঞ্জি) ইংরেজি ভাষান্তর। শেলফের তিরিশ-চল্লিশেক অন্য লেখকদের মধ্য থেকে তাঁকেই চোখে পড়ল, কারণ তাঁর ওপর নাতিদীর্ঘ উইকিপিডিয়া নিবন্ধটা আমার লেখা: কারণ ফারহানা আজিমের 'শূন্য বিন্দুতে নারী' বইটার মাধ্যমে নাওয়ালের সাথে প্রথম পরিচয়। ওখানে দেখছি, তাঁর A Daughter of Isis-এর বাংলা ... ...
অন্ডকোষে দুইটি বিচিমোটাভাই গুজরাটিবিচিগুলো সব ফুলে ঢোলপিনের খোঁচায় ফাটলো বোলচৌকিদারের চৌকিদারিচোরেরা দেয় বিদেশ পারিআদাম্বানি চোকসি মোদিপোঁদের নিচে সড়বে গদি মোদি মিডিয়া বাজায় সানাইগেরুয়া নাচে, ধানাই পানাই
দুছর আগে,আজকের দিনে আদিত্য দা চলে গেছেন। আমার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার মশাইবাপি 40 বছর( 1968-2008) প্রেসিডেন্সি তে স্ট্যাটিসটিক্স পড়িয়েছেন। তার ফলে 1994 এ যখন CU তে ঢুকলাম তখন দেখি হেবববি চাপ। সৌমেন্দু দা, মণীষা দি, আশিস দা,সুগত দা বাবার ছাত্র। শৌটির বাবু, শ্যামাপ্রসাদ বাবু বাবার মাস্টারমশাই। অধীর বাবু বাসুদেব বাবু বাবার সমসাময়িক। নৃপেশ দা, কল্যাণ দা, উত্তম দা আর তথাগত দা আশুতোষ থেকে এলেও বাপির বিশেষ পরিচিত। সেকেন্ড ইয়ারে পেলাম নিপাট ভালোমানুষ গৌরাঙ্গ দা কে। উনি নরেন্দ্রপুরের। বাংলা কথা হল ক্লাস কাটা বেশ চাপের হয়ে গেল। সবাই জানে BD র ছেলে। তাই আশুতোষের (91-94) সেই সুখের তিন বছর যা কিনা হোস্টেলে 29 ... ...
হৃদপিন্ডের অস্ত্রোপচার —————————— সুপ্রিয়া চৌধুরী —————————— কান্নায় ককিয়ে উঠছে হৃদপিন্ড বলছে :- “আমায় বের করো ! মুক্তি দাও আমায় ! আমি আর পারছি না”। —সকাল থেকেই চলছে চীৎকার। কি করে বেরোবে সে ? পথ নেই বেরোবার। তাই হবে অস্ত্রোপচার