তিন
একটা দিনও যায়নি মোটে মায়ের জন্য কাঁদি, কারণ আমার মা ছিলেন ঘোর মিথ্যাবাদী। সচরাচর মায়েরা হন মিথ্যাচারী বটে, সব কষ্ট বুকে নিয়েও হাসেন অকপটে॥বাবা যেদিন চলে গেলেন এই পৃথিবী থেকে, সেদিন প্রথম মিথ্যা কথা শুনি মায়ের মুখে। মা বলতো - “বাবা আছেন দূর আকাশের মাঝে,লেখাপড়া করলে তাঁকে দেখবি সকাল সাঁঝে॥
কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধায় স্মরণে
বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত শিক্ষার্থিদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশে নূন্যতম নম্বর বা যোগ্যতার ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। তার প্রাসঙ্গিকতা বিচার্য।
দীপ্সিতা দু কাপ চা করে নিয়ে এল । সঙ্গে নোনতা বিস্কুট । ----- ' তোমাকে বড্ড কষ্ট দিলাম ..... '----- ' কি যে বলেন ...... আমি কি বা করলাম.... পরে আর একদিন আসলে ঠিকমতো আপ্যায়ন করার চেষ্টা করব ..... '------ ' আরে ..... সে হবেখন ..... 'কলতান বিস্কুটে কামড় দিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিল ।----- ' আ..... আ : ..... দারুণ হয়েছে .... ... ...
এই মঞ্চের যে সব মেয়ে,মহিলারা ফেসবুকে আছেন তাঁদের যে কি পরিমান ভার্চুয়াল হেনস্তা হতে হয় সেটা লিখলে মহাভারত হবে। সঞ্চারী বলে আমার এক বান্ধবী আছে। আমায় ফোন করে বল্ল ইনবক্স চেক কর।আমি ইনবক্স খুলে দেখে অবাক হয়ে গেলাম।পুরুষ মানুষ স্বভাবজাত ভাবে লম্লট প্রকৃতির হয়, বক্তা নিজেও যে আসলে ভাল তার কোনপ্রমাণ নেই। সুযোগ আর সাহসের অভাবে ভদ্র। কোন মেয়েকে ভালো লাগতেই পারে, তার সাথে প্রেম করতে ইচ্ছা হতে পারে,এই ইচ্ছাগুলিতে কোন দোষ নেই দোষ হচ্ছে এমন কিছু করা যাতে মেয়েটি ভাবে সে নিরাপদ নয়। অনলাইনে সুনামের জন্য ভদ্র আর অফ লাইনে; কিয়া মাল হ্যায়, ইচ্ছা করছে তুলে নিতে জাতীয় মন্তব্য যারা করে ... ...
সুহৃদ,গুরু-ভাইবোন, বন্ধুরা, এককালীনও মাসিক সাবস্ক্রাইব করতে পাঠকদের নগদে নিবন্ধন করে গুরু’র বইপত্র তো আছেই এছাড়া নানান পরিসেবা গ্রহণের উদ্যোগটির জন্য আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। বিশেষ করে গুরু’র পরিকল্পনা ও পরিচালনা সদস্যদের দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সবচেয়ে বড় কথা, বাংলার পুস্তক প্রকাশনা, বিপণনে ব্যবসাটি দীর্ঘদিন থেকেই বড় পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে "বাজারে আনন্দ" লাভের মধূ খেয়ে যাচ্ছে। এদের মতো আরো অনেক সংস্থার পুঁজির দাপটে প্রকাশনা নিয়ন্ত্রণ করে। আর বিজ্ঞাপন হতে তো এদের লাভের ভান্ডারকে স্ফীত করছে । কিন্তু আজকের দুনিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি ও তথ্যের অবাধ আদান-প্রদান বিস্তার, ক্রমশ এই নব প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহারের ফলে ,পত্র-পত্রিকা ও পুস্তক প্রকাশনার মোড়লদের একচেটিয়া মূনাফার বাজার আজ ... ...
বাবার বিয়ের দিনটা আবছা মনে পড়ে রূপকথার,ওকে দুধটা খাইয়ে দিতে দিতে সুধামাসি বললো,"এই যে রূপি খেয়ে নাও দুধটা চুপটি করে একদম নক্কীসোনা হয়ে বুঝেছো তো।" রূপকথা বলেছিলো," বাপি কোথায়?আমি দুধ খাবোনা..বাপির কাছে খাবো।" "বাপি আজ ব্যস্ত আছে রে মা,তার এখন অনেক কাজ। আজ তার বে না?আমাদের রূপির নতুন মা আসতিছে কত মজা।" গোল গোল চোখ করে মাসির দিকে তাকিয়ে ছিলো রূপকথা। "বে টা কি? মা আবার নতুন হয় নাকি?" কোনরকমে দুধটা খাইয়ে একটা ঢাউস পুতুল দিয়ে ওকে বসিয়ে রেখে সুধামাসি কাজ সারছিলো। আর রূপকথা ওর মেমসোনাকে জড়িয়ে ধরে বলছিলো,"আচ্ছা বলতো মেম বে কি?" ... ...
জয়তু নেতাজী, অমর তুমি ধন্য হলো এ ভারতভূমি তোমাকে পেয়ে; তোমার জয়! তব অবদান ভোলার নয়।নেতাজী আছেন হৃদয়ে মোর।. হয়ে অনেকটা মনের জোর ।।
আমি শুধু অভিনয়ই করছি না, আমি একজন অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করছি। মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ধরা যাক যদি বলি, "নমস্কার, আমি একজন অভিনেতা" তাহলে সেটাও তো অভিনয় করাই হলো। যদি আবারও বলি, "অভিনয় করছি না রে বাবা, সত্যি বলছি, আমি একজন অভিনেতাই;" সেটাও কি আমার অভিনয়ই নয়? অথবা হয়তো সত্যিই বলছি, কিন্তু পর্দা নামার পর এই সমস্তটাই আমার অভিনয় হিসেবেই জাজড হবে। কেউ বলবে, "আহা! কী সাবলীল," তো কেউ বলবে, "তেমন জমলো না।" অথচ আমি হয়তো শুধুমাত্র একটা সত্যি কথাই বলতে চেয়েছিলাম যে, আমি একজন অভিনেতা। আপনার চারিপাশে দেখবেন এমন কিছু হিপোক্রিট আছে যারা উঠতে বসতে সর্বক্ষণ নিজেরাই নিজেদেরকে হিপোক্রিট ব'লে যাচ্ছে। ... ...
শিয়ালদা বা পার্কস্ট্রিটে ওলা বুক করলে কোন মুসলিম ক্যাপ্টেনের নাম দেখলে ক্যানসেল করে দেবেনঃ বললেন অপর ওলা বাইক চালক। বিদ্বেষ কিভাবে জন্মায়? জাত- ধর্মের চেনা ন্যারেটিভ পারকরে বিদ্বেষের চারণ কতটা হতে পারে? তাত্বিক কথা নয়, প্রতিদিনকার যাপনে টের পাই। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বিআর সিং হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
1968 সালে যখন শেষমেষ গাছতলা নিম্ন বুনিয়াদি শিক্ষায়তনে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হলাম তখন বছরের প্রথম তিনমাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। স্কুলের আসা যাওয়ার পথের নিত্যসাথী একই পাড়ার সুনীল ভৌমিক ছাড়াও রাহুল, সম্রাট, বুদ্ধদেব আদি একদল নতুন সহপাঠীর ভিড়ের মধ্যেও আলাদা করে লক্ষ্য করেছিলাম চকচকে কালো রঙের এক এথলেটিক চেহারার সহপাঠী শচীন মন্ডলকে। আর ছিল বিহারী লছমন সাহানী। ... ...
কলতানের ফ্ল্যাটে কিচির মিচির পাখির ডাক ডেকে উঠল সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ। ঠিকানাটা কলতানই জানিয়ে দিয়েছিল। দরজা খুলে কলতান বেশ খানিকটা চমকে গেল। দেখল একজনের বদলে দুজন দাঁড়িয়ে আছে। ইরাবান আর শ্রুতি।— ‘ আরে ... এস এস একেবারে দুই ভাইবোন একসঙ্গে। তা ভালই করেছ। আমার খাটুনি বাঁচিয়ে দিলে।’ কলতান বলে।ইরাবান আর শ্রুতি সংকোচজড়িত ভঙ্গীতে ঘরে ঢুকে সোফায় বসল।— ‘ হ্যাঁ বল .... ‘ , কলতান ওদের মুখোমুখি বসে।ইরাবান একটু চুপ করে থাকার পর বলল, ‘ আমরা দুজনেই খুব ভয়ের মধ্যে আছি। ... ...
সতর্ক থাকা ছাড়া জোটভোটের রাজনীতিতে সিপিএমের আর কিই বা করার আছে।
রোল নিয়ে বাঙালির প্রেমের শেষ নেই । কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক , অফিসে বসে কাছে ঝাড় খাওয়া সেলসম্যান থেকে কোচিং এর কিপটে ম্যাথের টিচার সবার ই সস্তায় পুষ্টি খেয়ে সন্তুষ্টি হল রোল, বাজেট একটু বেশি থাকলে চিকেন নাহলে ডিমেই সই ...তেমন ই এক বিখ্যাত রোলের মন্দির হল কলকাতার নিউ মার্কেট এরিয়ার নিজাম । *নিজামের কাঠি রোল*মুচমুচে পরোটার ভিতরে তুলতুলে চিকেন কাবাব, পেঁয়াজ স্লাইস আর হাল্কা লেবুর রস দিয়ে মুড়িয়ে খালি মুখে তোলার অপেক্ষা ... আর পকেটেও পড়বেনা টান , অক্ষুন্ন রোলের মান কলকাতার রোল প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য ... ... ...
কাটারির কোপ, নেমে আসা / এক অভিশাপ অতি
মানব সভ্যতার ইতিহাসে চাকার আবিষ্কার এবং তার গুরুত্ব প্রশ্নাতীত! - তাই কি? একবার ভাবুন, গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রায় ১৩ লক্ষ লোক মারা যায় এবং গাড়ি চলবার জন্য যেহেতু চাকাই দায়ী তাই চাকার ব্যবহার বন্ধ করা হোক, অন্তত লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণ বাঁচবে। এবার আগুনের ব্যবহার নিয়েও ভাবুন, প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ লোক আগুনে পুড়ে মারা যায় - কি মারাত্মক প্রযুক্তি! এর থেকে কাঁচা শাক-সবজি, মাছ-মাংস খাওয়া খুব ভালো, বাকি পশুপাখিরা যেভাবে থাকে; মানে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেচে থাকা যাবে। আপনি বাড়িতে কি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন? এখুনি বন্ধ করুন, একটি একটি গ্যাস সিলিন্ডার যেন এক একটি বোমা, ... ...
অবশ্যই মানুষের কারণেই প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনা। মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রকৃতিকে বিনষ্ট করে চলেছে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। মানুষের চাহিদার শেষ নেই। সে বাড়ি বানাচ্ছে, ফ্ল্যাট বানাচ্ছে এন্তার। গাছ কাটা চলছে পুরোদস্তুরে। তার জায়গায় নতুন গাছ তেমন ভাবে লাগানো হচ্ছে না। মানুষ পুকুর বোজাচ্ছে। গত কুড়ি বছরে শুধু কলকাতাতেই তিরিশ শতাংশ সবুজ আচ্ছাদন গায়েব হয়ে গিয়েছে। পুকুর নালার স্বাভাবিক বহমানতা শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক নিকাশী ব্যবস্থা সব শেষ। তাই জল জমছে একটু বৃষ্টিতেই। ডাঙার তাপমাত্রা বেশি উষ্ণ হয়ে চলেছে। তাই দু তিন মাস পর পরই আসছে নিম্নচাপ ও সাইক্লোন। প্রকৃতিও প্রতিশোধ নিচ্ছে এত অত্যাচারের।। ... ...