রোল নিয়ে বাঙালির প্রেমের শেষ নেই । কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক , অফিসে বসে কাছে ঝাড় খাওয়া সেলসম্যান থেকে কোচিং এর কিপটে ম্যাথের টিচার সবার ই সস্তায় পুষ্টি খেয়ে সন্তুষ্টি হল রোল, বাজেট একটু বেশি থাকলে চিকেন নাহলে ডিমেই সই ...তেমন ই এক বিখ্যাত রোলের মন্দির হল কলকাতার নিউ মার্কেট এরিয়ার নিজাম । *নিজামের কাঠি রোল*মুচমুচে পরোটার ভিতরে তুলতুলে চিকেন কাবাব, পেঁয়াজ স্লাইস আর হাল্কা লেবুর রস দিয়ে মুড়িয়ে খালি মুখে তোলার অপেক্ষা ... আর পকেটেও পড়বেনা টান , অক্ষুন্ন রোলের মান কলকাতার রোল প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য ... ... ...
কাটারির কোপ, নেমে আসা / এক অভিশাপ অতি
মানব সভ্যতার ইতিহাসে চাকার আবিষ্কার এবং তার গুরুত্ব প্রশ্নাতীত! - তাই কি? একবার ভাবুন, গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রায় ১৩ লক্ষ লোক মারা যায় এবং গাড়ি চলবার জন্য যেহেতু চাকাই দায়ী তাই চাকার ব্যবহার বন্ধ করা হোক, অন্তত লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণ বাঁচবে। এবার আগুনের ব্যবহার নিয়েও ভাবুন, প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ লোক আগুনে পুড়ে মারা যায় - কি মারাত্মক প্রযুক্তি! এর থেকে কাঁচা শাক-সবজি, মাছ-মাংস খাওয়া খুব ভালো, বাকি পশুপাখিরা যেভাবে থাকে; মানে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেচে থাকা যাবে। আপনি বাড়িতে কি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন? এখুনি বন্ধ করুন, একটি একটি গ্যাস সিলিন্ডার যেন এক একটি বোমা, ... ...
অবশ্যই মানুষের কারণেই প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনা। মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রকৃতিকে বিনষ্ট করে চলেছে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। মানুষের চাহিদার শেষ নেই। সে বাড়ি বানাচ্ছে, ফ্ল্যাট বানাচ্ছে এন্তার। গাছ কাটা চলছে পুরোদস্তুরে। তার জায়গায় নতুন গাছ তেমন ভাবে লাগানো হচ্ছে না। মানুষ পুকুর বোজাচ্ছে। গত কুড়ি বছরে শুধু কলকাতাতেই তিরিশ শতাংশ সবুজ আচ্ছাদন গায়েব হয়ে গিয়েছে। পুকুর নালার স্বাভাবিক বহমানতা শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক নিকাশী ব্যবস্থা সব শেষ। তাই জল জমছে একটু বৃষ্টিতেই। ডাঙার তাপমাত্রা বেশি উষ্ণ হয়ে চলেছে। তাই দু তিন মাস পর পরই আসছে নিম্নচাপ ও সাইক্লোন। প্রকৃতিও প্রতিশোধ নিচ্ছে এত অত্যাচারের।। ... ...
কোন আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ইচ্ছে গুলো-পতাকা তুলতে পারবে? প্রিয় স্বাধীনতার! খুন হতে হবেনা! তেত্রিশ বছর কাটলো-ফতোয়া জারি ছিল, ছিল না হাদি মাতার। নীল সমুদ্রে শঙ্খচিল হিতোসি ইগারাশিমৌলিক মাঞ্জার ঘায়ে ভোকাট্টা সুনীলে! কতযুগ আর মানব জমিনে মূক রবে কৃষিকত শতাব্দী রইবে ধরা রক্তবীজের দখলে?
জোরকদমে বাঙালী অবাঙালী পূজোর তোড়জোড় চলছে। কোয়ার্টারের সামনের রাস্তার পূজো নবরাত্রির পূজো। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পূজোর প্রস্তুতি দেখা বেশ উপভোগ করছি তখন। ঐ পূজো ছিল বাঁড়ুজ্যেদের staff দের পূজো। বেশিরভাগ উত্তরপ্রদেশ বা বিহারের বাসিন্দা। একদিন সন্ধ্যায় তাঁরাও দল বেঁধে এসে নিমন্ত্রণ জানিয়ে গেলেন। অষ্টমীর রাতে অর্কেস্ট্রা হবে। 'ভাভীজী কো লে কে জরুর আইয়েগা সাহাব' --- তাঁরা বলে চলে গেলেন।মহালয়া এসে গেল। জীবনে প্রথমবার মহিষাসুরমর্দিনী ক্যাসেটে শুনলাম সেই বছর। জানতে পারলাম মহালয়া নামটি আমাদেরই, বাংলার। ওখানে 'পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা'। গুরুত্বপূর্ণ দিন একটি। বাচ্চাদের সব স্কুল ছুটি থাকে সেদিন। বেলা বাড়তেই আমার "একান্ত আপন শশীকলা" এক ব্যাগ নিয়ে এসে হাজির, "ভাভী, ইয়ে রখো। নবরাত্রি মে লগেগা।" দেখলাম অনেকগুলো শাঁকালু। জিজ্ঞাসা করে ... ...
নিজের ঘরে বিছানার উপর বসতে না বসতেই, পুতুল হন্তদন্ত হয়ে মুখ ভার করে বলে, 'দিদিভাই, তুমি নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে গিয়েছিলে। বাড়িতে কাউকে কিছু বলে যাওনি। আমাকে তো সাথে নিতে পারতে।'কুসুম দু'হাতে জড়িয়ে ধরেন পুতুলকে, 'নারে বোনটি, আমার যাওয়ার কোনো ঠিক ছিল না। জানালা দিয়ে হঠাৎ দেখি মানুষের ঢল, সব চলেছে রমনা রেস কোর্সের দিকে। আমি একটা ঘোরের মধ্যে বেরিয়ে পড়ি ... ...
আজকের সমৃদ্ধ ইউরোপ গড়ে উঠেছে কলোনিয়াল যুগে সারা বিশ্ব থেকে লুট করে আনা সম্পদের উপর ভিত্তি করে।,সমৃদ্ধি অর্জন করে তারা এখন দু'চারটি ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ইস্যু করে লিবারেল সাজতে চায় আর কলোনিয়াল যুগের রক্তাক্ত ইতিহাস ধামাচাপা দিতে চায়।,কিন্তু তাদের ভেতরে সেই ঘৃণ্য বর্ণবাদ আগের মতই রয়ে গেছে। একটু সুযোগ পেলেই তা বেরিয়ে আসে।,মেসুত ওজিল একবার দুঃখ করে বলেছিলেন তিনি যখন জেতেন তখন হয়ে যান জার্মান, আর যখন হারেন তখন হয়ে যান তার্কিশ ইমিগ্র্যান্ট। বর্ণবাদী আচরণের কারণে তিনি জার্মানি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।,বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ হ্যারি কেইন পেনাল্টি মিস করলে ব্রিটিশরা টু শব্দ করেনি। কিন্তু ইউরোর ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউট মিস করায় ... ...
"হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন... অনু, পার্থ, কুন্তল; তাপস, অয়ন মক্ষিরাণী অর্পিতা, কৃষ্ণ জীবনজনগণের গাঁ* মারে বরাহ
(১) বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এই প্রথম স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে আলোচনার জন্ম হয়েছে তা হয়তো অতীতে আর কখনো ঘটেনি। সেই আলোচনা পত্রিকার প্রথম পাতায় পাতায় বা চায়ের টেবিলে এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির মাঠে ময়দানে। এই স্যাংশন নিয়ে কবে আন্দোলিত হয়েছিল রাস্ট্র আর সেই ইতিহাস ও খুঁজে পাওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিমন্ডলে যদি ও এই স্যাংশন একটা ডাল ভাতের মতো বিষয়। কিন্তু এর ... ...
---মাংসের দাম--- কলমে-রশ্মিতা দাস ---বুঝলো কাকা,পকেট ফাঁকা আজ রাতের আসরে স্ন্যাক্সকেই করো মদের দোসর। আগুন মাংসের দরে। ---বলিস কি রে,বলিস কি রে, কালীপূজোর রাতে স্ফূর্তি
পড়তে পড়তে একজনের লেখা বড্ড মনে ধরলো। দেখি বেশ সুন্দর আমার মনের কথাগুলোই তিনি লিখে রেখেছেন। ছোটদের মনের জগতের হদিশ বেশ জানেন তিনি। পাতা উল্টে নাম দেখলাম — লীলা মজুমদার। তাঁর লেখার ভাষাগুলো বসতে লাগলো মনের কোণে। তাঁর গল্পের ছোট্টদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হল।
কেলো করেছে! বিজ্ঞাপন লেখার ক্ষ্যামতা থাকলে কি আর মাঝারি বুদ্ধিধারী হতুম! তাইলে তো আঁতেল ই হতুম।প্রশ্নগুলো যেমনই থাকুক ,উত্তর দেওয়ার সময় ঠিক অপশন পাই নি কয়েকটিকে। বাধ্য হয়ে তাতেও উত্তর দিতে হয়েছে যেটা আমি নই।কিন্তু পরীক্ষকের রিমার্ক্স যারপরনাই পসন্দ হুয়া ।
১) যারা ভাল ক্রাইম থ্রিলার না পেয়ে হাহুতাশ করছেন।২) যারা ক্রাইম থ্রিলার লিখবে বলে পরিকল্পনা করছেন।৩) যারা বিনামূল্যে রাইটিং মাস্টারক্লাস করতে চান।
হাজং উৎসব : প্যাঁক খেলা -- লিখেছেন বিপ্লব রহমানহাজংদের ‘প্যাঁক খেলার’ মতো কক্সবাজার-পটুয়াখালির রাখাইনদের রয়েছে আরেক ঐতিহ্যবাহী পানি-খেলা উৎসব-- সাংগ্রেং। পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমারাও পানি খেলার আয়োজন করেন, তারা একে বলেন-- সাংগ্রেই পোয়ে। সেটি অবশ্য বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরণের ভিন্ন এক উৎসব। আর বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে বসবাসকারী গারো বা মান্দি জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে বীজ বপনের উৎসব ‘রঞ্চুগালা’ ও নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’। আর চাকমাদের বর্ষ বরণ ও বর্ষ বিদায় উৎসবের নাম ‘বিঝু’। ত্রিপুরারা তাদের চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবকে বলেন ‘বৈসুক’। সাঁওতাল আদিবাসীর রয়েছে নবান্ন উৎসব ‘সোহরাই বাহা’ ও বৃক্ষ বন্দনা ‘কারাম’ উৎসবের ঐতিহ্য। পুরোটা পড়ুন ... ...