কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পীঠস্থান, শান্তিনিকেতন - বিশ্বভারতী আগে কি ছিল এখন কি হয়েছে তা বোধহয় বিশ্বের বেশির ভাগ লোকেরই জানা হয়ে গেছে। কেন্দ্র পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দিন মোটামুটি ভদ্রভাবে চলছিল। প্রথম ধাক্কা এল 'নোবেল' চুরি - কোনও সুরাহাও তার হল না। এরপর নতুন নতুন ভাইস চ্যান্সেলার এর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন কিছু বদলও হয়ে চলল। কিন্তু আজ বছর পাঁচের বেশী সময় ধরে বিশ্বভারতী যাঁর বা যাঁদের হাতের মুঠোয় তাঁরা ভালোভাবেই মুচড়ে দুমড়ে ... ...
আমার এক মেসোমশায় বলতেন যে যারা ক্রিয়েটিভ হয় তারা নাকি নিষ্ঠুর হয়। সেই নিষ্ঠুরতা বোঝার ক্ষমতা নাকি শুধু আরেকজন ক্রিয়েটিভ মানুষেরই থাকে। আরো বলতেন যে ক্রিয়েটিভ মানুষদের সত্তর শতাংশই নাকি রোমান্টিক আর বদমেজাজী হয়। এরা দেখতে যদিও খারাপ হন (অবশ্য হওয়াটা আবশ্যিক নয়) তবুও এদের চোখে নাকি একটা জ্যোতি থাকে।সেই জ্যোতির বিচ্ছুরনে জগতসংসার তাঁর সামনে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তো আমি প্রশ্ন করলাম যে একজন মানুষ একাধারে রোমান্টিক আর নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে? তিনি হেসে গাট্টা মেরে বললেন যে রোমান্টিক মানে কি আর জড়িয়ে ধরে আদিখ্যেতা রে পাগলা!! রোমান্টিক তাদেরি বলে যারা সবকিছু একটু অন্যদৃষ্টিতে দেখে আর নান্দনিক ভাবে উপভোগ করে। এর সাথে ... ...
আমাদের পাঠকদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় লেখকদের মেরে ফেলার অদ্ভুত এক প্রবণতা রয়েছে। অনেকের ধারণা একজন জনপ্রিয় লেখক মাত্রই মৃত। ধৈর্য্য ধরুন, খুলে বলছি।
ক্রুশবিদ্ধ পাখি / প্রতিদিন আমি সন্ন্যাসী সেঁজে ট্রেনে যাই। / দাড়াই স্টেশনে, স্টপিজে। / মানুষ অন্ধ-বিশ্বাসি হয়ে আমার সামনে নিচু হয়। / আমি জানি এই ঈশ্বর ধারণা আদিকাল থেকে / কি'ভাবে বয়ে এসেছে।
ঔরঙ্গজেবের আমল থেকে ফারুখ শিয়র পর্যন্ত ওনার আয়ুষ্কাল। উর্দু ব্যঙ্গ কবিতার জনক বলা হয় মির জাফর জাটেল্লিকে (শাটেল্লি ?)। আসল নাম মির মুহম্মদ জাফর। ললিত ফার্সি জবানে কাঁচা মুখের ভাষার সব শব্দ বসিয়ে - নতুন মিশ্র-রাখতা ভাষা তৈরিতে, যৌন ইঙ্গিতে সব শালীন ছক উল্টে দিয়ে সময়ের অনেক আগের এক আলোর বর্তিকা হলেন জাটেল্লি। ওই শৈলীকে বলত হুজ্জু বা সমাজদেহের নানা হিপোক্রেসি আর ক্ষমতার চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া নেওয়া শুধু নয় সেই খালবোশ শরীরে রীতিমত ঝাল নুন ছিটোন ল্যাম্পুনিং করার শৈলী। ওনার ব্যক্তিগত জীবন ... ...
মা বনাম বউ লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। সুন্দরী বউ পেয়ে মাকে ভুলে যেও নাতুমি অকালে দুনিয়া থেকে চলে গেলেবৈবাহিক সঙ্গী দুই দিনের বেশি কাঁদবে নাতোমার চেয়ে ভাল একজন সঙ্গী খুঁজে নেবে। সন্তানহারা মায়ের চোখের জল কেউ কখনো মুছতে পারবে না।দশ মাস দশ দিন গর্ভ যন্ত্রণায় ভোগে তিনি যে সন্তানের গর্ভধারিণী
স্টেশনের নাম খন্যান। শেয়ালদা-ডানকুনি কর্ড লাইন। নেহাৎই ছোট স্টেশন। এখান দিয়ে শুধু মাত্র লোকাল ট্রেন নিয়মিত ভাবে যাতায়াত করে। সেদিন এই স্টেশনে সিগন্যাল না পেয়ে আচমকাই দাঁড়িয়ে গেল দিল্লিগামী ভেসটিভিউল ট্রেন।এখন যাকে আমরা রাজধানী এক্সপ্রেস বলে ডাকি। ওই ট্রেনেই জাতীয় পুরস্কার আনতে দিল্লি যাচ্ছেন মহানায়ক। ট্রেন হঠাৎ বেশ কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে যেতে স্রেফ কৌতুহলবশত তিনি নিজের আসন ছেড়ে, কামরার দরজা খুলে, বাইরে উঁকি দিয়ে ব্যাপারটা আন্দাজ করার চেষ্টা করলেন। তখন স্টেশনের নাম খন্যান চোখে পড়ল। স্টেশনের সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক চিরকালই বেশ নিবিড়। ... ...
অনুবাদ : মানুষের মন ইঁট নয়, পাথরও নয়, মানুষ দুঃখ পাবে, আশ্চর্য্য কী? কেউ কাঁদলে তাকে দূর্বল ভাবা সোজা, ভেবে দেখেছ কিনিরন্তর খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কাঁদায় তাকে কারা?
আমি মানুষটা বড় বাজে / আসবো না জানি কোন কাজে। / তবে বলছি " দাদা, মাইরি / ভীষন ভীষণ ভেরী sorry / একদম ভুলে গেছি আজ যে / একুশে ফেব্রুয়ারী।"
কবি জয়দেব থেকে শুরু করে কত কবি লেখকের বাস এই নদীর পাড়ে। তাছাড়া বিভিন্ন পেশার লোকেরা মিলেমিশে থাকেন এখানে।তাদের সুখদুখমাখা গাথা এই উপন্যাসে বিবৃত হয়েছে। প্রথম পর্ব অজয়পাড়ের উপকথাসুদীপ ঘোষাল একঅজয়নদের পাড়ে অবস্থিত কয়েকটি গ্রাম বর্ধিষ্ণু। সেইসব গ্রামের ছেলেরা ধনীর দুলাল।তারা কানডা,সিঙ্গাপুর,সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিন্তু এখানকার বেশিরভাগ লোক গরীবের দলে। আর অজয়নদের আশেপাশের গ্রামগুলিতে কবি জয়দেব থেকে শুরু করে কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বাসস্থল। আমাদের বন্ধু সোমনাথ কমার্শিয়াল আর্টস দু-একটা করেন শিল্পী। পার্থপ্রতিম দেবের কাছে এখন শিক্ষারত। গুরুদেব ছিলেন বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন।শিব চন্দ্র হাই স্কুলে পড়তেন। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়, এইচএস অব্দি পড়াশোনা করেছেন। সেভেন, এইটে পড়তে পড়তে আঁকা শুরু।একদম বালক ... ...
ভাত বঙ্গ জীবনের অঙ্গ, দুবেলা দুমুঠো ভাত না হলে বাঙালির চলে না। তবে সবকিছুর মধ্যেও পান্তা নিয়ে বাঙালির যা মাতামাতি তা অন্য কিছুতে নেই। আগের দিনের ভাতকে সুস্বাদু করতে তাতে জল ঢেলে কাঁচা লঙ্কা, পেয়াজ, ভাজা আর চচ্চড়ি দিয়ে পান্তা খাওয়ার চল সেই প্রাচীন কাল থেকেই।
ক্লাস টিচার একবার ছবি তুলেছিলেন। রুকুর স্কুলে বসা নিয়ে আমাকে জানাতে। হাই বেঞ্চে বসে থাকতো। পায়ে মোজা নেই, মোজা ফেলে আসতো রোজ। আমি ১০ টাকা পেয়ার মোজা কিনেছিলাম প্রচুর, ফেলে আসতো আমিও পরাতাম আর প্রতিদিন বলতাম আজ মোজা নিয়ে ফিরবে কিন্তু ----- । জুতো অর্ধেক পরে ফতো। পুরো পা ঢোকাতো না, বুটের ফিতে খোলা থাকতো তাই হোঁচট খেতো খুব। একটু বড় হলে ভেলকো বুট ব্যবস্থা হয়। বেল্ট থাকতো না কোনদিন, ডজন খানেক বেল্ট কিনতাম স্কুল থেকে সাথে রাবার, পেন্সিল, স্কেল। ... ...
দ্বিতীয় পর্ব দুইদু
১হাইওয়ের ওপর একটা ডাইনো-সাদা এরোপ্লেনের খোল —ধোঁয়া, আর আগুনে ঢাকা ব্যাকগ্রাউন্ড আকাশ; নিউ ইয়ার্স ইভ।পাশের ঘরে টেলিভিশন চলছে।মেটাল ব্যান্ড: আটটা তুলোর কুকুর বাচ্চা,নাথান-ফিলিপস স্কোয়ারে মানুষ ও মানুষীদের ভিড়;উড়ন্ত ড্রোনগুলি যেন ঝুঁকে নামবে অবতলে। ফ্লাইং সসারটি শুধু ঘুরছিলো, ঘুরছিলো —ফ্লুরোসেন্ট আলো জমে মরা স্থির চোখ তার;মাইক্রোওয়েভের গোঁ-গোঁ আওয়াজ।সাদা দেয়ালগুলোর ভেতর সে দাঁড়িয়েছিল, একা।এও হয় যে, ফ্রোজেন ফুড ক্রমে উত্তাপে প্রস্তুত; কাউন্টডাউনফুরিয়ে আসছিলো কাঁটায় কাঁটায় — চার, তিন, দুই ইত্যাদি। ২ বীভৎস জেটপ্লেন নেমে আসছেড্রয়িংরুম ভেঙে; সিলিঙে বিদ্যুৎ-আলো পুড়ে যাচ্ছে এখন,হাইওয়ে ৭৮ জুড়ে কারচেজ সিকোয়েন্স —মেয়েটা প্যান্টি খুলে রাখল বিছানার ওপর।নীঈঈ ঈ ঈ ঈ ঈ শব্দআর ফোঁটা খসে টপটপ আওয়াজ;দূরের দেশে হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে গ্যাছে যেসব ... ...
তিন
একটা দিনও যায়নি মোটে মায়ের জন্য কাঁদি, কারণ আমার মা ছিলেন ঘোর মিথ্যাবাদী। সচরাচর মায়েরা হন মিথ্যাচারী বটে, সব কষ্ট বুকে নিয়েও হাসেন অকপটে॥বাবা যেদিন চলে গেলেন এই পৃথিবী থেকে, সেদিন প্রথম মিথ্যা কথা শুনি মায়ের মুখে। মা বলতো - “বাবা আছেন দূর আকাশের মাঝে,লেখাপড়া করলে তাঁকে দেখবি সকাল সাঁঝে॥
কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধায় স্মরণে
বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত শিক্ষার্থিদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশে নূন্যতম নম্বর বা যোগ্যতার ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। তার প্রাসঙ্গিকতা বিচার্য।