ঠিক সকাল ছ'টায় ঘুম ভাঙল দেশপ্রিয় ক গ সাঁইত্রিশ এর। সুন্দর সকাল, লাউডস্পীকারে শোনা যাচ্ছে রক্ষকদের সুন্দর কন্ঠস্বর, কাজে যাবার ডাক। ব্রেকফাস্টের জন্য খাবারের বাক্সটা খুলে দুধে মিলেট ঢালতে লাগল সাঁইত্রিশ। গত মাস থেকেই লাঞ্চ ও ডিনারের দৈনিক হারে দায়িত্ব নিয়েছে দেশ, আগে সাপ্তাহিক রেশন ছিল, নিজে রাঁধো, নিজে খাও, এখন সহজ হিসেব, কাজ করো, খাবার খাও, সুন্দর ব্যাপার। আর চল্লিশ মিনিট পরেই ওর ডাক পড়বে, তৈরী হয়ে গলায় আই কার্ডটা ঝোলাতে ঝোলাতে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো সাঁইত্রিশের। ... ...
ভোট মিটে গিয়েছে। মোদী-শাহের আর দেখা নেই। গত দুই-তিন মাস যেভাবে মোদী-শাহ নিয়মকরে বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন, মনে হয়েছিল তাঁদের মতো বঙ্গপ্রেমী আর দুটি নাই। ভোট শেষ, তাঁরাও ডুমুরের ফুল। আসলে, এই মুহূর্তে বঙ্গে বড় কিছু হেতু নেই। আপনি বলবেন, ক্রমহ্রাসমান করোনা পরিস্থিতি কি সেই হেতুর মধ্যে পড়ে না। ভোটের থেকে বড় কিছু নয়। ভোট হল এমন মোহ, সেখানে সব কিছুর মাফ আছে। ভালবাসা আর যুদ্ধে এত দিন সব ভুল মাফ ছিল। বাংলার নির্বাচনের পর মনে হয়েছে, ভোটেও যা কিছু করা যায়, তার জন্য সব মাফ হয়ে যায়। ভোট প্রচারে এই লাখো লাখো লোকের সমাহারে করোনা পরিস্থিতি কি আরও ভয়ঙ্কর হবে ... ...
ছোটোবেলায় দূর সম্পর্কের এক দাদুর বাড়ি বেড়াতে যেতাম স্কুলের ছুটিছাটায়। প্রত্যন্ত গ্ৰামে বৈদ্যুতিক বাতি বিহীন ছিল সেই বাড়ি। গ্ৰামের সাথে পরিচয় আমার সেই সময় থেকে। যেখানে রাতের অন্ধকারে জোনাকের আলো আর জোড়ায় জোড়ায় জ্বলন্ত নিশ্চুপ চোখের চাহনি ছিল চাঁদের সাথী। সেইরকম সত্যি কারের রাতের কোলে লন্ঠনের আলোয় দিদিমা পড়ে শোনাতেন ঊপেন্দ্রকিশোরের টুনটুনির বই। ঘুম ঘুম চোখে আমরাহাঁ করে গিলতাম সেসব। সব চরিত্রের মধ্যে আমার আগ্ৰহ হত শেয়াল কে নিয়ে। মনে হত রাতের অন্ধকারে একা একা একটা শেয়াল চোখে চশমা এঁটে হেঁটে চলেছে। সে যেন বড় একা। মন জানতে চাইত শেয়াল যে পন্ডিত এ কথা জানলে কে? ... ...
ধর্তব্যের মধ্যে পড়িনা, অন্ধকারের মধ্যে পড়ি ওইখানেই আমার গ্রাম্যসুরের গানগুলি, আর একটা সাদাকালো সার্ট, ফ্যাকাসে ট্রাউজার। মাঝে মাঝে ট্রেনের হুইসল বাজে ঘাড় বাঁকিয়ে, চোখ নামিয়ে চলে যাইওসব রোদলাগা বাতিক, স্পষ্টতই স্থিতিস্থাপকতার বিপরীত। মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে
মন বলল কবিতা লেখো, / হাত টেনে নিল তুলোট কাগজ
সকালে উঠে একটা আরশোলার সাথে দেখা -গুন্ গুন্ করে গান ভাঁজছে - মনে খুব স্ফূর্তি - হঠাৎ একটু থমকে দাঁড়ালো - সকালের আধো ঘুমে, আধো জাগরণের আমেজ - একটু আড়মোড়া ভাঙলো - চোখ দুটো দেখে মনে হলো পুরোটা খুলতে পারে না - অনেকটা টোসিস্ - রোগগ্রস্ত - এর মতো আমাকে গলা খাকারি দিয়ে উইশ করলো খাঁটি হিন্দি তে : शुभ प्रभातভব্যতা'র স্বার্থে বললুম সুপ্রভাত - আরশোলা মুখ ভেংচে উঠলো , বললো : ধ্যাৎ ! থামুন তো মশাই, আপনাদের এই মুশকিল বাংলায় কথা বলেন, বাংলায় সব ভাবেন, বাংলায় সব করেন - আবার মাঝেই মাঝেই ইংরিজিতে বুকনি মারেন, নিজেদের ভাবেন ইন্টেলেকচুয়াল - ইন্টেলেক্ট তো ... ...
সব থেকে সহজ বোধ হয় কোনো কিছু না লেখা। তারপর না লেখা পাতায় বাজারের ফর্দ টুকে ফেলা। সেই বাজার হয়তো করে আনতে হবে কোনো এক রবিবার। তারপর লেখা ফুরিয়ে যায়। যেমন বহুদিন পুকুর পাড় দিয়ে হাটা হয়না বিকেলে, হাটা হয়না পুরনো পাড়া ধরে বাজারের পথে। তেমনই এই ছোট্ট লেখাটা শেষ হয়ে যাবে কোনো এক নির্দিষ্ট শব্দতে পৌঁছে। সেই শব্দ কী আমি জানি? ... ...
1/ নাম:নিপা আপু = 23500, 2/ আজিবর দোকান্দার =200 3/রাজিব দোকান্দার=150 4/রায়হান দোকান্দার কলোনি মাদ্রাসা=400 5/মেম্বার দোকান্দার কলোনি মাদ্রাসা =100 6/ডক্টর দোকান্দার কলোনি মাদ্রাসা =50 7/মমতাজুল উলুম মাদ্রাসা বোডিং=5500 8/ মমতাজুল উলুম মাদ্রাসা লতিফ টাওয়ার দোকান্দার=150 9/ইসলামিক জোন 1000 10/হরিপুর ব্রিজ বাইক মিকার 11/রাফি স্টডিও=550 12/শরিফুল বন্ধু 3340 13/বোরিয়া মিকার 100 14/সাকেরা=1000 ... ...
"তুমি সনাতন, তুমি বিদ্রোহঝড় জলে তোলপাড় ।তোমার জন্য পৃথিবীর পথেমুঠো ছুঁড়ে সোচ্চার ।বিক্ষোভে আছো, বিশ্বাসে বাঁচোপ্রতিরোধে বাঁধো সুর ।পায়ে পায়ে চলো সূর্যের দেশেগায়ে মেখে রোদ্দুর ।পথের দাবী, পথেই রাখাপথেই দেখা হবে ।বন্ধু তোমার স্বপ্ন বাঁচুকআগামীর বিপ্লবে ।" কয়েকটি বিষয়কে সামনে আনতে চাই যা দেশ এবং সমাজকে ভাবাবে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুপোকাত করে দেবে। রাষ্ট্রযন্ত্র ভাবো এবং জবাব দাও। রাষ্ট্রযন্ত্রের যারা চালিকাশক্তি তাদের বক্তব্য ক্লীব লিঙ্গ তথা তৃতীয় লিঙ্গ তথা বৃহন্নলা তথা শিখন্ডী ... ...
ওপরের ছোট ঘরটাতে একটা ছোট টেবিল আর তিনটে চেয়ার আছে । একপাশে একটা তিন তাকওয়ালা দেয়াল আলমারি আছে । তাতে পুরণো ফাইল আর কাগজপত্র ঠাসা । কোন সিলিং ফ্যান নেই । একটা পেডেস্টাল ফ্যান আছে।বনবন করে ঘুরছে । কলতান বসে আছে মিস্টার সিনহার অপেক্ষায় মিনিট পাঁচেক ধরে ।সিদ্ধার্থবাবুকে একজন কনস্টেবল ওপরে পৌঁছে দিয়ে গেল । বিকেল চারটে বাজতে চলল ।------ ' আসুন আসুন মিস্টার সিনহা ... বসুন 'মিস্টার সিনহা কলতানের সামনের চেয়ারটায় বসে পড়লেন। ----- ' আপনার কোন অসুবিধে হচ্ছে না তো এখানে? ' কলতান খোঁজ নেয় ।----- ' মিনিংলেস কোশ্চেন ... এখানে সুবিধেটা কি হবে ... এটা কি মামার বাড়ি ... ...
লোকে বলে ৮০ তে আসিও না। সে নিয়ে সিনেমা ও আছে। কিন্তু আমি তো ৪০ এই জর্জরিত। ৮০ অব্দি যদি পৌঁছাই চাইলে নিজের ইমোশন কেজি দরে বিক্রি করে হয়তো ভালোই উপার্জন করবো। চিরদিন জানতাম আমার ইমোশন কম।আর তার প্রকাশ আরো কম। আমার বন্ধুরাও আমাকে এ ভাবেই চিনে এসেছে চিরদিন। এইবয়সে আমার নবজন্ম হয়েছে এই কথা কটা লোকে
স্কুল-কলেজে থাকতেই খুব বেশিই সাধারণ টাইপের একজন ছাত্রী ছিলাম। স্কুলে থাকতে যাও বা টুকটাক গান বাজনা করতাম, বা সিনিয়র ব্যাচ হয়ে গেলে যেমন শেষ বছরের সব অনুষ্ঠানগুলো ক্লাস টেন এর মেয়েদেরকেই এরেঞ্জ করা লাগে, সেটুকুই করেছিলাম। অতটুকু অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়েই এলাম শহরের টপ কলেজে। এখানে এসে তো আরও সংকুচিত হয়ে গেলাম। কলেজের স্যারেরা কোনোদিন জানেনই নি যে আমি গান গাইতে পারি, দৌড়াতে পারি, ছবি আঁকতে পারি, উপস্থাপনা করতে পারি, রচনা লিখতে পারি। সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। একমাত্র ফোকাস ছিল এডমিশন, ভালো রেজাল্ট। এর মধ্যে অবশ্য বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখেছি। কলেজে শহরের, অবশ্য শুধু শহরের বলছি কেন বিভাগেরও অনেক ভালো স্কুলের ... ...
আমি আসলে পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের পার্থক্য,সবশেষে বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি (নিজে ধর্ম পালন করেও রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখা) এই সংক্রান্ত লেখা খুঁজছি।আমি এইখানে একেবারেই নতুন। সবার জন্য শুভকামনা
দত্তপুলিয়ার ইতিহাস। লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। প্রথম অধ্যায়। প্রাচীনকালে দত্তপুলিয়া। (১৪১৩ থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ।)~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ ◆ দত্তপুলিয়া গ্রামের উৎপত্তির ইতিহাস। ◆ ◆ বিভিন্ন জনশ্রুতি থেকে জানা যায়,15 শতকে বাংলার গণেশ রাজবংশ (1414 থেকে 1436 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসনকাল) শাসনকালের প্রথম বর্ষে বর্তমান দত্তপুলিয়া গ্রাম অর্থাৎ ১৪১৪ খ্রিস্টাব্দের দিকে জন বসতি স্থাপন হয়। অর্থাৎ ১৪১৪ থেকে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের হিসেবে ৬০৯ বছর আগে বর্তমান দত্তপুলিয়ার জন্ম মনে করা হয়। ◆ তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন নামে ডাকার রেওয়াজ ছিল। শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর দত্তপুলিয়া বাবুপাড়া কৈলেশ্বর দত্ত মহাশয়ের বাড়িতে ... ...
নবু বলল, “বাঙালির হিন্দি শেখায় প্রধান বাধা কোথায় জানিস, নীরেন ?”বললাম, “তুইই বল ৷”নবু বলল, “অ্যখবারের অ্য উচ্চারণে ৷ কেমনটা বুঝেছিস ? ওই যেমন গ্যধা, ম্যন্দবুদ্ধি, শ্যয়তান – দেখবি, এই সব শব্দের অ্য উচ্চারণে বাঙালির জিভ পেটে সেঁধিয়ে যায় ৷”বললাম, “হতে পারে ৷ তবে, আমি এই নিয়ে কোনো গবেষণা তো করিনি ৷ তুই যা বলবি তাই সই ৷”নবু বলল, “না, না, ৷ বিষয়টা খুব গুরুগম্ভীর ৷ তোকে আমার জীবনের কিছু সত্যি ঘটনা বললে তুই বুঝতে পারবি সমস্যাটা কত গভীর ৷”বললাম, “তোর জীবনের ?”নবু বলল, “মানে, আমার পটলা মামার জীবনের – কিন্তু, অনেকটাই আমার জীবনে চাক্ষুষ দেখা ৷”বললাম, “ও ! ভাবছিলাম ... ...
তুই বলেছিস গান শোনাবি অর্ধবেলা জুড়ে,আমার মনের অন্ধকার টা যাবে নাকি সরে । শীতের পোষাক কাঁপবে যখন পৌষ সূয্যি ঘিরে,রবির কথা তোর মুখেতে ই শুনবো মন ভরে । শেষ মিছিলে হাঁটব যখন ধরবে ওরা ঘিরে,ঔই স্টেশনের শেষ ট্রেনটাও যাবে তখন চলে । একলা হেঁটে কোন মতে হয়েছি পার যখন , শেষ ট্রেন টাও করে তখন মুচকি সম্মোহন । একগুচ্ছো চিঠি যেমন সাজিয়ে রাখিস মনে,দিন শেষে আজ একলা সবাই প্রেরক এর অভাবে । সুরগুলো আজ বড্ডো জেদী চেপেছে চোখের কোনে,ভৈরবী তে মিশছে ওরা তোর ভোরের আভাস নিতে । তালছাওয়া তে বাঁধিস শুধু একচিলতে ঘর । আত্ম হারা মন পাগল বাঁধিস নে আর ।। ... ...
এই দুর্ভিক্ষের দুটো লিখিত বয়ান পাওয়া যাচ্ছে। ১) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী বিখ্যাত ভ্রমণ কাহিনীকার পিটার মুনডির বয়ান গুজরাট দুর্ভিক্ষ ষোলোশো তিরিশের খরার বছরে আরম্ভ হল। পরের বছরও ফসলে ইঁদুরের আক্রমণ আর পঙ্গপালের উৎপাতের সঙ্গে বন্যাও হয়। দুর্ভিক্ষ আর জলবাহিত রোগের মহামারীতে তিরিশ লক্ষ লোক মারা যায়। কম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পালাতে গিয়ে অনেকে রাস্তাতেই মরে পড়ে রইল আর মৃতদেহের পাহাড় ... ...
তুমি কি আদর করো? কে আদর করে? পুরোনো আদর যারা স্বজনে স্বঘরে মিশে ছিলো–ফিরবে কি কোনদিন তারা?আদরের আহ্বানে জাগবে কি পাড়া? পুরোনো বাড়ির মতো, পুরোনো আদর শুধুই হারিয়ে যায়, চর ফেলে রাখে, চরও ভাঙে যখন
মহেশ মিত্তির পড়াশুনো জানা যথেষ্ট শিক্ষিত লোক। চাকরি করেন ভালই। আজকাল করোনার মত সামান্য একটা ফ্লু নিয়ে এত বাড়াবাড়ি দেখলে ওঁর গা জ্বলে । বোকা বোকা লোকজনকে দেখলে বিরক্তি আরও বাড়ে । কারণ এরা বোঝেনা, এ হল ভ্যাকসিন বেচার, স্যানিটাইজার বেচার এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। WHO, বিল গেটস সবাই জড়িত এই ষড়যন্ত্রে। মাস্ক পরে কিছু হয়না, বরং অক্সিজেন স্যাচুরেশান কমে যায়। ভ্যাকসিন নিলেও কিছু তো হবেই না, বরং নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে, এইডসও হতে পারে। সারাদিন মহেশ কোভিড ষড়যন্ত্রতত্ত্ব চর্চা করেন। তাই কোথা থেকে কোথা থেকে ষড়যন্ত্রের অনুকূল প্রমাণে কে কী লিখছে, ইউটিউব ভিডিও বানিয়েছে, তাই দেখে যান। ... ...