(ইদের রিপোর্টিং যখন একঘেয়ে হয়ে ওঠে, ঠিক তখনই রিপোর্টংয়ে বৈচিত্র আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ওঠে কোনো কোনো রিপোর্টার, একনিষ্ঠ তিনি, শক্ত চোয়াল, হাতে উদ্যত মাইক্রোফোন, তাঁর পেছনে ক্যামকর্ডার, চোখ ঈগলের মতো, মগজে তাঁর ফুটন্ত লাভার মতো প্রতিভার টগবগে প্রবাহ, খবরের ফসিল থেকে কার্বন ডেটিং করে হলেও খবর খুঁড়ে আনতে বদ্ধপরিকর যিনি ... ...
উপন্যাসটা পড়ার ইচ্ছে জেগেছিল মূলত দুটো কারণে --- এক, এর অদ্ভুত প্রচ্ছদ, এবং দুই, অদ্রীশ বর্ধনের মৌলিক লেখা। এরকম একটা প্রচ্ছদের ওপরে আকর্ষণের কারণ আমি প্রথমে বুঝতে পারি নি। অনেকদিন ধরেই বইটা চোখের সামনে ঘোরাফেরা করছিল, এমনিই ফেলে রেখেছিলাম, কিন্তু তবুও, টানছিল আমাকে নিতাই ঘোষের আঁকা ওই অদ্ভুত প্রচ্ছদটা। কিছু একটা চেনা, তবুও যেন চিনতে পারছিলাম না। অবশেষে একটানে বইটা শেষ করলাম। কিশোর উপন্যাস। পড়তে পড়তে একটা কনসেপ্টে এসে আসল ব্যাপারটা খোলসা হল। তা হল, মগজ ধোলাই টাইপের মেশিন, যার নাম এখানে ‘মগজ’। ‘হীরক রাজার দেশে’ ১৯৮০ সালে নির্মিত, আর ‘মিলক গ্রহে মানুষ’ লেখা হয়েছে ১৯৮৪ সালে। আমি জোর করে অবশ্যই ... ...
শেষ বারের মতো আর এক বার্তা পাঠান হচ্ছে বিদ্রোহী বুন্দেলা রাজা ঝুঝর সিংহের কাছে যে তিরিশ লাখ টাকা আর কিছু এলাকা শাহী সোপর্দ করলে মাফ করা হবে তাঁকে, কিন্তু এ বার্তাও বিফলে গেল। ষোলোশো পঁয়তিরিশের বর্ষা কাটা অবধি অপেক্ষা করল মোঘল ফৌজ। তারপর শুরু হল দ্বিতীয় বুন্দেলা বিদ্রোহ দমন অভিযান যার সামগ্রিক দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে ষোলো বছরের শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবকে ... ...
১. তোমার শহরে বিকেল হচ্ছে বুঝি? এমন করেই আলো-মেঘে তোলপাড়? নিছক তোমায় ভাবতে চাইছি বলে, তোমার শহরে বিকেলটা
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত তথ্যভান্ডারের ডিজিটালকরন যেমন প্রয়োজন, তার চেয়েও বেশী দরকার সাধারনের চিকিৎসাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো। বেসরকারি ও কর্পোরেট হাসপাতালের লাগামছাড়া চিকিৎসার খরচ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের মৌলিক দাবিটুকু জানানোর সময় এসেছে।
আপনি কি আঁতেল? -- লিখেছেন Rajkumar RaychaudhuriRajkumar Raychaudhuri আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ বার্লিনে প্রেম বনে রোদন পুরোটা পড়ুন
অত্যন্ত বিশ্বস্তসূত্রে আমি জানতে পেরেছি যে আপনাদের যুদ্ধাপরাধী সুভাষচন্দ্র বসুকে স্তালিন রাশিয়াতে ঢুকতে দিয়েছেন। এটি রাশিয়ানদের পক্ষে পরিষ্কার বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। যেহেতু রাশিয়া, বৃটিশ ও আমেরিকার সাথে মিত্রপক্ষেই ছিল সেহেতু তাদের এটা করা উচিত হয়নি। অনুগ্রহ করে এই ব্যাপারটি মনে রাখবেন এবং এই ব্যাপারে যা প্রয়োজনীয় ও সঠিক বলে মনে করবেন তাই করবেন। ... ...
সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে। বাস থেকে নেমে জাস্ট উদোর মত দৌড়াচ্ছি এলগিনের রাস্তায়। সামনে চোখ কিন্তু কেবলমাত্র অফিসের গেটটা চোখে ভাসছে। হঠাৎ কট করে একটা আওয়াজ। নিচের দিকে তাকিয়ে দেখলাম এমন কিছুর উপর একটা পা পড়েছে যেটা কিনা আমার শরীরের চাপে কিছুটা বসে গেছে। মূহুর্তে মনে পড়ে গেল ল্যান্ড মাইনের কথা। চারপাশটা অন্ধকার হয়ে এল। শান্ত হয়ে গেল চারিদিক। আশেপাশের উঁচু বিল্ডিং, পিচঢালাই রাস্তা, শপিং মল আর কিছুই নেই। শুধু শাল সেগুন গাছ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। শহরটা পরিনত হয়েছে একটা ঘন জঙ্গলে। জুতোটা তখনও চেপে আছে নিচের বস্তুটাকে। ... ...
শান্তিনিকেতন যাতায়াতের পথের জীবন দর্শন আর আমার শেষ হয় না। পাঁচ দশক অতিক্রান্ত। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নবাবহাটের মোড়ে রাজ্য সড়কে পড়লে উত্তরা বাসস্ট্যান্ডের পাশে দিয়ে গুসকরা, ভাতার, ভেদিয়া, বোলপুর, শান্তিনিকেতন আসার রাস্তা আজ অতি পরিচিত ও অতি ব্যবহৃত। অতিবৃষ্টিতে দুপাশের কিছু কিছু জমিতে জল দাঁড়িয়ে। পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ বীরভূমের দিগন্ত সারা জীবন আমায় মুগ্ধ করেছে আজও করে। কিন্তু কর্মী মানুষের সম্মানের ব্যাপারে উদাসীনতা আমাদের দেশের প্রতি কোণায় এত ব্যাপক, এত পরিচিত, এত দৃশ্যমান আমরা এতই অভ্যস্ত তাতে আমাদের বেদনা, ক্রোধ, লজ্জা, ন্যূনতম অসোয়াস্তি জেগে ওঠাটাই আশ্চর্যের। ... ...
নেড়াদা এমনিতে বেশ চালাক চতুর লোক। পাড়ায় সবাই বেশ সমীহ করে। পল্টু জগার কথা তো বলার নেই। নেড়াদা বললে ওরা চাঁদও নিয়ে এনে হাজির করবে এমন। অফিসেও নেড়াদা লিডার গোছের। কেবল বাড়িতেই এখনো সেভাবে নেড়াদার প্রভাব গড়ে ওঠে নি। সে কথা থাক। তবে নেড়াদা বরাবর এমন চালাক চতুর ছিল না। ... ...
প্রশ্নটা রীতিমতো উস্কানিমূলক। আগে উত্তর দিন তো দেশপ্রেম মানে গোমাতার মূত্রপান? নাকি ইতিহাসের সত্যের ষষ্ঠীপুজো করে ঐতিহাসিক ভুল করে যাওয়া? আগে এসব প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দিন,তারপর না হয়।.. আ মোলো, জবাব চাইতেই অমন লাঠিসোঁটা নিয়ে মারতে আসেন কেন? হে হে হে হে আমি হচ্ছি মানে ইয়ে - মানে ওই আর কি - যাকে বলে ---বুঝলেন না? ... ...
আজ ঝলমলে রোদ আমার মন। আজ গুমোট মেঘ, কাল ভোরবেলা শীত এসেছিল- জাপটে ধরেছে!
বাঙালির বেড়াতে যাওয়ার সাধ, অনেক সময়েই তার সাধ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়তে গিয়ে পিছিয়ে পড়ে। জাপান তো যাব ঠি ক করেছি কিন্তু পকেটে হাত পড়লেই মনখানা গুটিয়ে যাচ্ছে। ছবিতে জাপান ভ্রমণ খুব খারাপ হবে কি? মিন মিন করে বোনকে প্রস্তাব দিতেই রে রে করে উঠলে সে। বুঝলাম বিদেশ বিভুঁইয়ে আপনজনের সান্নিধ্য পাবে বলে তারাও বেশ কাতর হয়ে আছে। অগত্যা মনের জোরে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। প্রথম ধাপ তো ভিসার জন্য আবেদন। ... ...
সিনেমা দেখতে যেকোনো বয়সের মানুষ ভালোবাসে , কারণ অন্য অনেক শিল্প মাধ্যমের (বই, আঁকা ছবি, শাস্ত্রীয় সংগীত) তুলনায় ছবি অনেক সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এবং দৃশ্যশ্রাব্য মাধ্যম হওয়াতে যেকোনো বয়সের মানুষের [যিনি লিখতে পড়তে জানেন না তার ক্ষেত্রেও] ছবিটার গল্প বুঝতে অসুবিধা হয়না। কিন্তু অনেকসময় একটা ছবি দেখে পছন্দ না হলেও আমরা দেখি ছবিটা বিপুল ব্যবসা করছে। আবার উল্টোটাও ঘটে, ভালো ছবি ব্যবসা করতে পারে না। আবার অনেক সময় বহু ছবি দারুণ ব্যবসা করলেও আমরা শুনতে পাই সেই ছবির প্রযোজক আর কোনো ছবি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পিছনে রহস্য কি? ছবির পিছনে যে ব্যবসার মডেল আছে তা কিভাবে কাজ করে? প্রথমে যদি ... ...
রক্তাক্ত জনতা, বাঘিনীর থাবায়। উন্নয়নের আঁচড়ে প্রাণ যায় যায়! তাই দেখে কুমীর কাঁদছে, মেকি কান্না, আপন খেয়ালে, বলছে, জনতা তোমায় আগলে রাখবো, আমার চওড়া চোয়ালে! একই মালিকের পোষ্য দুজনে, একই মালিকের নুন খায়। ক্ষমতার মধু চাটতে গিয়ে একে অপরের বিরোধী দেখায়! বাঘিনীর কবলে জেরবার জনতা, ভাবছে কুমীরের চোয়াল ভালো-অথচ এই বাঘিনীই সেই বাঘিনী, কুমীরকে যে পথ দেখালো। বাঘ-কুমীরের দালাল মিডিয়া জনতার মাথা চিবিয়ে খায়! ধর্ম আর জাতীয়তাবাদে জনতার দাবী হারিয়ে যায়! জাত-পাত ভুলে জনতা তুমি ঐক্যবদ্ধ হও। চেতনা জাগিয়ে প্রশ্ন করো, লড়াইয়ে সামিল হও। "মন্দির -মসজিদ নয়; কাজ চাই, ভাত চাই"-এই দাবীতে লড়াই হোক। লড়াই হোক, লড়াই হোক; শাসকের চোখে রেখে চোখ! জনতা তোমার নখ-দাঁত বার করে আজ পাল্টা হামলা হানো-বাঘ-কুমীরের দিন ... ...
প্রতিবিম্বর মামা পরমানন্দ বোস বললেন, ' একটু কথা বলতাম ওনার সঙ্গে ... একটা সমস্যা ছিল ... উনি কি আছেন ? ' সুমনা পলকে নিজের মধ্যে ফিরে এল। লজ্জিত স্বরে বলল, ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... আসুন আসুন .... কিছু মনে করবেন না মেসোমশাই ... ' সুমনাকে অনুসরণ করে প্রতিবিম্ব আর তার মামা দোতলায় ... ...
চলছে জগৎ, কে যায় সরে, উপবৃত্তাকারে ? ছেঁদো প্রেমে আকাশে উঠি, প্রশ্ন এসে পড়ে ; মকড় থেকে মিথুন হারুন কিম্বা জিতুন নিরাসক্ত অবস্থানে সেই তো রাব্বি মরে!!