নির্জনতা কাটিয়ে ফের মেতে উঠুক শিক্ষাঙ্গনভাইরাসের আতঙ্কে আর কতদিন গৃহবন্দী থাকবে ছাত্রসমাজ?করোনা ভাইরাস এক বছরেরও কিছু সময়কাল প্রায় গোটা বিশ্বকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। গত বছর যখন যাব যাব করছে শীত, ঋতুর হিসেবে বসন্ত ছিল সমাগত, গাছে গাছে এসেছিল নতুন কুঁড়ি, নতুন পাতা। উদাসী হাওয়া বইছিল উত্তরের মাঠঘাট-বনজঙ্গল-পাহাড় জুড়ে, ঠিক তখন থেকেই এই ভাইরাসের আতঙ্কে একপ্রকার গৃহবন্দি মানবসমাজ তথা ছাত্রসমাজ। একটাই বার্তা ছিল এই ভাইরাস মোকাবিলা করতে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে এবং মানসিকভাবে জোটবদ্ধ হয়ে যথাসম্ভব পৃথক থাকতে হবে। না হলে একে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলো একযোগে জোরকদমে এই ভাইরাস প্রতিরোধে প্রচার চালিয়ে গেছে ... ...
সদিচ্ছা থাকলে এড়ানো যায় যে কোনো অকল্যাণগৌতম চক্রবর্তী (তুলে আনলাম আত্মনির্ভশীল ভারতের কোলাজ যেগুলো ঠাঁই পেয়েছিল সংবাদপত্রের এককোণে বছরখানেক আগে। ভারতীয় অর্থনীতি এবং বর্তমান শ্রমনীতি নিয়ে দ্বিতীয় দফা এবং আগত তৃতীয় দফার করোণা সংক্রমনের প্রাক্কালে তাই ফিরে দেখা এই সময়কাল গুরুচন্ডালীর খেরোর খাতায়। প্রথম পর্ব ) বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে গত বছরের ঘটনা। টুকরো খবরের কোলাজগুলো বেড়িয়েছিল বিভিন্ন সংবাদপত্রের স্বল্প পরিসরে চোখে না পড়ার মত খবর হয়ে। আসলে খবরগুলো কোন কেষ্টবিষ্টুদের খবর নয় যে খুশী হয়ে বিজ্ঞাপনের অর্থে এক শ্রেণীর সংবাদপত্রের তবিল স্ফীত হবে অথবা পেইড নিউজের অর্থে খবরের স্থানবিশেষ জায়গা পরিবর্তিত হবে সংবাদপত্রের পাতায়। তাই ছোট আকারের খবর জায়গা পেয়েছিল সংবাদপত্রের ... ...
এইসব সময়ে রাজ কাপুরের কথা মনে পড়ে। বা রাজেশ খান্না। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মারা যাবার পর বাংলায় টানা শোকজ্ঞাপন চলছে। পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাংলায়, এপার এবং ওপারে। সামাজিক মাধ্যমে, গণমাধ্যমে। কিন্তু তথাকথিত সর্বভারতীয় মাধ্যমে তার কণামাত্র নেই। কোনো খবর নেই, বলা যাবেনা হয়তো, এক-আধ লাইন কোথাও বলা হয়ে থাকতেই পারে, কে আর টানা টিভি দেখে, বা সমস্ত চ্যীনেল দেখে। কিন্তু মোটের উপর অভ্রংলিহ নীরবতা। যেন কোথাও কিচ্ছু হয়নি। কোনো মহীরূহ পতন? বালাই ষাট। এইসব সময়েই রাজকাপুরের কথা মনে পড়ে। বা রাজেশ খান্না। সর্বভারতীয় মাধ্যমের অশ্রুজল ইত্যাদি। সেই আশির দশক থেকে ২০১২। কিছু বদলায়নি। সর্বভারতীয় টিভি দেখে মনে হয়েছে, এঁরা ছিলেন 'ভারতীয়' সিনেমার রূপকার। ... ...
স্টেশনের নাম খন্যান। শেয়ালদা-ডানকুনি কর্ড লাইন। নেহাৎই ছোট স্টেশন। এখান দিয়ে শুধু মাত্র লোকাল ট্রেন নিয়মিত ভাবে যাতায়াত করে। সেদিন এই স্টেশনে সিগন্যাল না পেয়ে আচমকাই দাঁড়িয়ে গেল দিল্লিগামী ভেসটিভিউল ট্রেন।এখন যাকে আমরা রাজধানী এক্সপ্রেস বলে ডাকি। ওই ট্রেনেই জাতীয় পুরস্কার আনতে দিল্লি যাচ্ছেন মহানায়ক। ট্রেন হঠাৎ বেশ কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে যেতে স্রেফ কৌতুহলবশত তিনি নিজের আসন ছেড়ে, কামরার দরজা খুলে, বাইরে উঁকি দিয়ে ব্যাপারটা আন্দাজ করার চেষ্টা করলেন। তখন স্টেশনের নাম খন্যান চোখে পড়ল। স্টেশনের সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক চিরকালই বেশ নিবিড়। ... ...
শাহরুখ খান একটা ডাইলোগ মনে পরেছে হালকা হালকা। ঠিক মনে নেই, তবে বোধহয় কথাটা এরকম ছিলো হারকে ভি যো জিতা হে ওহি বাজিগর। মাফ করবেন আমার হিন্দি টা পিসিমার চেয়েও বাজে। আমার শুভ চিন্তকরা বলেছেন পিসিমার বিরুদ্ধে কথা বললে আমাকে সোসিয়াল মিডিয়া থেকে একঘরে করে দেবে। তবুও আমি হাজার বার বলবো।হেরেও জিতে গেল বিজেপি। না তিন থেকে ৮২ টা, প্রধান বিরোধী দল হয়েছে বলে বলছিলাম না তাঁরা সফল । এর পিছনে অন্য গল্প ও আছে। বেশীর ভাগ বাঙালি যখন আনন্দ উল্লাসে ব্যাস্ত বিজেপির মত একটা সাম্প্রদায়িক দলকে হারিয়ে। ... ...
সকালে আজকালে প্রকাশিত (১৯শে মে ২০২১) লেখায় শোকোচ্ছ্বাসকে আপনি যতই কুশলী আমলার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আবেগহীনতার শক্ত খোলসে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, ডাবের ভেতরে যে নরম শাঁস থাকে আমরা সবাই সেটা জানি। মনে হচ্ছিল আপনি যেন তিন কন্যার এক কন্যা অপর্ণা সেনের মতো ছেলেমানুষী করছেন। কোঁচড়ে লুকিয়ে রেখেছেন কাঠবিড়ালি। সেটা যে বেরিয়ে পড়বে সে খেয়াল নেই। শেষ অনুচ্ছেদের শেষ কতিপয় লাইন পাঠ করার সময় আমার চোখ সহসা ভিজে গেল। ... ...
ভোট মিটে গিয়েছে। মোদী-শাহের আর দেখা নেই। গত দুই-তিন মাস যেভাবে মোদী-শাহ নিয়মকরে বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন, মনে হয়েছিল তাঁদের মতো বঙ্গপ্রেমী আর দুটি নাই। ভোট শেষ, তাঁরাও ডুমুরের ফুল। আসলে, এই মুহূর্তে বঙ্গে বড় কিছু হেতু নেই। আপনি বলবেন, ক্রমহ্রাসমান করোনা পরিস্থিতি কি সেই হেতুর মধ্যে পড়ে না। ভোটের থেকে বড় কিছু নয়। ভোট হল এমন মোহ, সেখানে সব কিছুর মাফ আছে। ভালবাসা আর যুদ্ধে এত দিন সব ভুল মাফ ছিল। বাংলার নির্বাচনের পর মনে হয়েছে, ভোটেও যা কিছু করা যায়, তার জন্য সব মাফ হয়ে যায়। ভোট প্রচারে এই লাখো লাখো লোকের সমাহারে করোনা পরিস্থিতি কি আরও ভয়ঙ্কর হবে ... ...
পাঁচ পাঁচজনকে পিটিয়ে মেরেছে ওরা। গাছের ডালে ঝুলিয়ে আগুনে জ্বালিয়ে মেরেছে। পুরো গ্রামের চোখের সামনে মেরেছে । উফ্ কি বর্বরতা! পুলিশ প্রশাসন ! ঘুমিয়ে ছিল নাকি ওরা? না বাবা, তা নয়। এদের নয়; ওদেরকে মেরেছে। বুঝুক ওরা যে জনতা জেগেছে। ওঃ তাই বল। বাবা শান্ত হলেন। চায়ের কাপে দুধ পড়ল বেশী। বাবা কিন্তূ মাইন্ড করলেন না। মাকে কিছু বললেন না। নিজেই চাএর পট টা টেনে নিয়ে আরো খানিকটা লিকার ঢেলে নিলেন। তারপর আমাদের কে খেয়াল করে বললেন,এটা অন্যায়। পুলিশের হাতে দেওয়া তুলে দেওয়া উচিত ছিল। এই ভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া, এটা ঠিক নয়। বিকেলে শম্ভু কাকু, দিলীপ জ্যাঠা ওদের হোয়াটস অ্যাপ দলের আরো ... ...
প্রত্যাশা নিয়ে গল্পের কাছে যাই নি তো। অক্ষরজ্ঞান হয়নি -প্রথম যখন গল্পের কাছে; মা রঙচঙে বই থেকে পড়ে শোনাচ্ছে, সেখানে একটা লাইন- আকাশ ভেঙে পড়েছে রে আকাশ ভেঙে পড়েছে; মা পড়ছে, আর বিশাল একটা কিছু আমাকে গিলে নিচ্ছে, মাথা, মুখ, নাক, কান আর চোখ ঢাকা পড়ছে, দমবন্ধ হয়ে আসছে - এইরকম অনুভূতি হচ্ছে আমার; কিন্তু বিশাল ব্যাপারটা যে কী আর বিরাটত্ব ঠিক কতখানি - সেইটা বুঝতে পারছি না। খাবি খাচ্ছি, তারপর তারস্বরে কেঁদে উঠছি একসময়। অথচ মা কে বারবার বলছি ঐ লাইনটাই পড়তে- ডুবে যাওয়ার অনুভূতি আবার পেতে চাইছি ; মা যখন বাড়ি নেই, বই হাতে আমি ঠাকুমার কাছে যাচ্ছি, তারপর ... ...
পপলার গাছ এখানে আসবার আগে কখনও চোখে দেখেনি আন্নু।... সরু সরু ডালপালা আকাশের দিকে খাড়া হয়ে আছে যেন আঙুল তুলে গাছগুলো কাউকে অভিশাপ দিচ্ছে। ওদের পায়ের কাছে উজ্জ্বল সর্ষেখেত না থাকলে একদলা জমাট কান্নার মতো লাগত পপলার গাছগুলোকে।" (জল) গল্প শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই লেখকের এমন অসাধারণ চিত্রকল্প রচনায় পাঠককে মুগ্ধ হতেই হয়। গল্প একটু এগোতেই আন্নু, গাছেদের অভিশাপ আর একদলা জমাট কান্না একাকার হয়ে যায় কোথায় যেন। এমন উপমা-চিত্রকল্প খুব সহজ স্বচ্ছন্দভাবে এসেছে বারবার মাত্র ১০৫ পৃষ্ঠার সীমারেখা জুড়ে।প্রকৃতিকে বারবার প্রতিভা ব্যবহার করেছেন অসামান্য তুলির টানে। "সূর্য ডুবছে, সবুজ, কমলা, লালচে আলো ছড়িয়ে পড়ছে লঞ্চের নীচে পেষাই হওয়া ঢেউগুলোর গায়ে..."। ... ...
বাংলা হাইকুগুচ্ছ / তালের পাতা / বাবুই নিদ্রাকালে / বাতাসপাখা
পনের বছর ধরে সিংগুর নীতি আঁকড়ে থেকে, নিজেদের যাবতীয় ব্যর্থতার ভার 'নিচুতলার' একশ্রেণির কর্মীর ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে সিপিএম ক্রমে জনবিচ্ছিন্ন এবং পরে বাংলার রাজনীতিতে অকিঞ্চিৎকর হয়ে উঠল। এই নির্বাচনে একঝাঁক তরুণ মুখ তুলে আনলেও, তাদের প্রায় সকলেই সিপিএমেরই নেতা-কর্মীরই বাড়ির সন্তান। তার বাইরে নতুন প্রজন্মের কাছে সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। এমন কী নতুন করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এরকম কোনও দিশাও দেখাতে পারে নি দল। এই নির্বাচনে সিপিএমের সম্পূর্ণ ডেসিমেশন বিভিন্ন সামাজিক পরিসর ও মিডিয়াতেও তাদের গুরুত্বহীন করে তুলবে। এই প্রেক্ষাপটে আশি বছরের বামপন্থী, কমিউনিস্ট রাজনীতির পরিসরে এক বিশাল শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যদি ধরে নিই বিভিন্ন কারণে দেশের গরিব মানুষের সংকট ... ...
নেপোও মারে দই। কথা খেটে গেছে এবার তৃণমূলের জন্য। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কিছু বলতে চাই না ওটা তৃণমূল এর সংস্কৃতি। আজ যারা কমলা সবুজ পতাকা নিয়ে ঘোরাঘুরি জন্য মার খাচ্ছে, দশবছর আগে সি পি এম অফিসে তালা ঝোলানো দেখে, গুটি গুটি পায়ে বিজেপি শিবিরে ঢুকে ছিলো। কারণ সেইদিন পরিবর্তন চাই পরিবর্তন চাই স্লোগান দিতে দিতে সি পি এমের জঞ্জাল গুলো তৃণমূল ঢুকে ছিলো। ফলে আদর্শ হীন তৃণমূল কে বাঙালি কোন দিন ই পছন্দ করেনি। হলফ করে বলতে পারি, দশবছর আগেয় বিজেপি থাকলে বাংলায় শাষণ আজ বিজেপি করতো। পিসি সেইদিন বাম বিরোধী ভোটে জয়ী হয়েছিল। আজো মোদী বিরোধী ভোটে জয়ী ... ...
এখনই দূরে যেয়ো না / কাছে, কাছে থাকো। / দূর আলোর স্মৃতি পড়ে আছে ছাতে
সকাল থেকে টেনশনটা হচ্ছিল। অনেকদিন পর নিজের ছোটবেলার ছোঁয়া পাবে, এ কি কম? হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে বার-দুই ঘর-বাহির করে তোর্সা। মা-ও ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, কী রে অনেকটা পথ তো, জামাইয়ের এত দেরি হচ্ছে কেন? তোর্সা আবার মোবাইলে আবিরকে ধরার চেষ্টা করে। আবার পরিষেবা সীমার বাইরে। মায়ের প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে থমথমে মুখে ঘরে ঢুকে যায়। একটা ফোন তো করা উচিত। একটা পোলিও মেয়েকে নিয়ে দু-আড়াই ঘন্টা রাস্তা তো কম নয়। শোকেস আলমারির সামনে এসে দাঁড়ায় চেয়ারটা। তোর্সা মুখ তোলে, যেখানে উজ্জ্বল হয়ে হাসছে আবিরের মুখ। ছবিটা এতটাই সজীব। মানুষটার দিকে তাকিয়ে তোর্সা নিজের চোখদুটো বোজে। ... ...
ছোট্টবেলায় দেখেছিলাম গুপী বাঘা হিরক রাজ
তুমি বসবে গদীতে
ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি Covid-19 Wave: Urgent StepsThe Lancet Covid-19 Commission, India Task Force ভারতের বর্তমান (১০’ই এপ্রিল, ২০২১) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বিখ্যাত ল্যান্সেট পত্রিকার তত্ত্বত্তাবধানে সদ্য একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে পাব্লিক পলিসি নির্ধারণের জন্য সামগ্রিক ভাবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কয়েকটি গাইডলাইন স্থির করা। আজ আমি এই পোস্টের মাধ্যমে রিপোর্টে প্রকাশিত প্রায় সব তথ্য এবং প্রস্তাবিত গাউডলাইন গুলোকে খুব সংক্ষেপে এবং পয়েন্ট আকারে লিখবার চেষ্টা করলাম - ভারতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে কিছু নতুন তথ্য ঃ ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ’র সাথে প্রথম ঢেউ’র কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য পাওয়া গেছে। প্রথম পার্থক্য হচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যা এবার অনেক বেশি। ... ...
বাবার বিয়ের দিনটা আবছা মনে পড়ে রূপকথার,ওকে দুধটা খাইয়ে দিতে দিতে সুধামাসি বললো,"এই যে রূপি খেয়ে নাও দুধটা চুপটি করে একদম নক্কীসোনা হয়ে বুঝেছো তো।" রূপকথা বলেছিলো," বাপি কোথায়?আমি দুধ খাবোনা..বাপির কাছে খাবো।" "বাপি আজ ব্যস্ত আছে রে মা,তার এখন অনেক কাজ। আজ তার বে না?আমাদের রূপির নতুন মা আসতিছে কত মজা।" গোল গোল চোখ করে মাসির দিকে তাকিয়ে ছিলো রূপকথা। "বে টা কি? মা আবার নতুন হয় নাকি?" কোনরকমে দুধটা খাইয়ে একটা ঢাউস পুতুল দিয়ে ওকে বসিয়ে রেখে সুধামাসি কাজ সারছিলো। আর রূপকথা ওর মেমসোনাকে জড়িয়ে ধরে বলছিলো,"আচ্ছা বলতো মেম বে কি?" ... ...
মৃত্যু মিছিল। এবারে বড় কাছে, বড় ঘনিষ্ঠ। এমন কেউ যার সঙ্গে স্কুলে এক্কা দোক্কা খেলেছি। কলেজে আড্ডা মেরেছি, অফিসের অবসরে লাঞ্চ খেয়েছি, সন্ধ্যায় এক কাপ কফি নিয়ে তুমুল তর্ক বিতর্ক করেছি। শৈশবে স্নেহ কেড়েছি। তারা এমন চলে গেল, যেন এত সহজে চাইলেই যাওয়া যায়! যেন পর্দা তুলে এ ঘর থেকে ওঘর যাওয়া। অথচ এরপর হাজার লক্ষ বার চাইলেও সেই পর্দা তুলে আর কখনও এ ঘরে ফিরে আসা যাবে না। পূর্ণচ্ছেদ। অসুখ? এমন অসুখ হয়? নিঃশ্বাস না নিতে পেরে অতল জলের তলায় ডূবতে ডুবতে , শেষ সময়ে আপনজনের চোখে জল না দেখে, পৃথিবীতে ভালবাসা যে এখনও বেঁচে আছে এই বিশ্বাসটুকু সঙ্গে ... ...