Ki vabe kono bishesh lekha khunje pabo guru te.
স্টাফরুমে শ্মশানের স্তব্ধতা। সকলের মাথায় হাত। শুধু সেকেন্ড মাস্টারের মুখে বিজয়ীর হাসি। হেডমাস্টারকে উদ্দেশ্য করে বললেন - আমি আপনাকে সাবধান করেছিলুম। এসব অনার্স, ফার্স্ট ক্লাস এই ভুরশুটপুর হাই স্কুলে চলে না। শুনলেন না। আমার মেজ ভায়রার সেজ ছেলে রেডিই ছিল। এখন সামলান। সাহেব ইনসপেক্টর। এইড তো গেলই। স্কুলই না তুলে দেয়! হেডমাস্টার আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন যেন আমি ওঁর আরাধ্য দেবতা বঙ্কিমবাবুকে গালমন্দ করেছি; নয়তো ওঁর সাধের কলাবাগান তছনছ করে দিয়েছি। চোখ ছলছল করছে। ধরা গলা। - এটা কী করলে দেবমাল্য? ইনসপেকশনের সময় ইংরিজিতে কথা বলতে ওই অলম্বুষকে বারণ করোনি? দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। হেডস্যারর বাগানের কোণার ঘরটায় থাকি। ওঁর গৃহেই আহারাদি। ... ...
বাবার দেওয়া নামটাকে প্রকাণ্ড এক ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না রণবিজয়ের। জীবনের রণক্ষেত্রে পরাজয় ছাড়া আর কিছুই দেখতে পান না তিনি। হ্যাঁ, তিনি ইতিহাসের পণ্ডিত, বিদেশের জার্নালে তাঁর লেখা ছাপা হয়, কলেজের অধ্যাপক, বাবার রেখে যাওয়া বসতবাড়ি আর সম্পত্তিও আছে। তবু, তিনি একেবারে একা। মা চলে যাওয়ার পর তো আরও বেশি। ছেলের বিয়ে দিয়ে যেতে পারেননি বাবা, মা কেউই। রণবিজয় সহপাঠিনী রত্নাকে ভালোবেসেছিলেন। কিন্তু, মনের কথা বলবেন কী করে ঠিক করে উঠতে উঠতেই রত্নার ছেলের অন্নপ্রাশনের কার্ড এসে পৌঁছলো। এই একটি কারণের জন্যই রণবিজয় মনে করেন তাঁর নাম পরাজয় বা পরাস্তকুমার রাখলে ভালো করতেন বাবা। তিনি অসম্ভব লাজুক ... ...
হাসি-রাগ-আলো: পরশুরাম ও কিছু ভাবনা To laugh at fate through life’s short spanIs the prerogative of Man…ষোড়শ শতকে হাসির এই ভূমিকার কথা বলেছিলেন ফ্রান্সের রাবলে। আর, এখন পাশ্চাত্যের তত্ত্ববিদরা হাসিকে বলেন, ‘ইভেন্ট’। যে হাসাচ্ছে, আর যে হাসছে, তাদের সম্পর্কের মধ্যে খুঁজে পান বহু মাত্রা ও স্তর।তাঁদের বিচারে,হাসি কখনও নিরাপদতম ব্যক্তির আত্মপ্রকাশের চিহ্ন, কখনও বা আত্মগরিমা (যাকে নিজের লেভায়াথান বইতে ইংরেজ দার্শনিক টমাস হবস, গ্লোরি নাম দিয়ে, বিবাদের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন)-র উদযাপন, আবার কখনও হাসির মধ্যে তাঁরা খুঁজে পান, এমন কিছু উপাদানের সংজ্ঞাতীত অবশেষ যা আমাদের অস্থির করে। ... ...
শুধু শেখর লিখতুম কলেজে ওঠার পর থেকে। বঙ্গসাহিত্য-শিল্পের বাজারের খবর রাখিনি অনেকদিন। এতদিন পর বাজারে ঢুকেই আবিষ্কার করলুম, আমার নাম-সেক, জনৈক শেখর মুখোপাধ্যায় এখন বিখ্যাত ব্যক্তি। সেই ভদ্রলোকের লেখা পড়ে আমাকে কনগ্র্যাচুলেট করলেন দুয়েকজন। অতএব, বাধ্য হয়েই পিতৃদত্ত শেখরনাথে প্রত্যাবর্তন। এই নামেই ইদানিং বোর করছি পাচ জনকে। অতএব, আমি শেখর মুখোপাধ্যায় নই, শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়। ... ...
হেডফোন কানে দিয়ে আর ভাঙা সাইকেলটা সাথে নিয়ে তারপর নিরুদ্দেশ। নিরুদ্দেশ বলে আলাদা করে কিছু হয় না, এই যে সাইকেলের সিটে চেপে বসলাম তারপর নিরুদ্দেশ সিনেমা চালু। আমার এই ফোরথ ডাইমেনশনাল সিনেমার ভেতর হাওয়া লাগে জল লাগে পোঁদে ব্যথা লাগে, মাথায় রোঁদ লাগে, নিজের ইচ্ছায় স্পীড কমে বাড়ে, সে একটা দারুন মজা। ... ...
আমেরিকায় প্রায়ই দেখা যায় ইরাক বা আফগান ফেরত সৈন্য এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে অনেককে আহত-নিহত করে পরে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন বা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে তদন্তে জানা যায় উক্ত যুদ্ধ ফেরত সৈন্য পিটিএসডিতে ভুগছিলেন। পিটিএসডি এমন একটি মানসিক অবস্থা যা সেই সমস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায় যারা নিজের জীবনে কোন গভীর দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগজনক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন। এই সমস্ত ঘটনাবলি পরবর্তীতে তার জীবনে এমন গভীর প্রভাব ফেলে যে তার দৈনন্দিন জীবন বিঘ্নিত হয়। ... ...
আগের যুগে জমিদার বা লর্ডরা শিকারে বের হত এক পাল পোষা কুত্তা নিয়ে। বাবুদের শিকারকর্মে এই পোষা কুত্তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শিকার চিহ্নিত করার সাথে সাথে প্রথমেই পোষা কুত্তাগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হত। ট্রেনিংপ্রাপ্ত কুত্তাগুলি শিকারকে ধাওয়া করতে করতে ক্লান্তির শেষ সীমায় নিয়ে যেত।
সত্তর দশকের ঢাকা যারা দেখেছেন তারা ভালই জানেন পরিত্যক্ত বর্জ্য প্লাস্টিক ও পলিথিন আমাদের কত বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিত্যক্ত পলিথিনের কারণে আমাদের ওয়াটার ড্রেনেজ সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায়। বুড়িগঙ্গার তলে পলিথিন জমে জলজ প্রাণীর স্বাভাবিক পরিবেশ বহু আগেই নষ্ট হয়ে গেছে।
মিডিয়ার এই আদিখ্যেতা বন্ধ হোক। এগুলো কি হচ্ছে? বাচ্চারা ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করবে না নুসরতের ঘরের খবর জানবে?একলা মা হতে কী কী করণীয়, টিকা নিতে এসে পুরসভায় খোঁজ নিয়ে গেলেন যশরত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৫৬ একলা মা হতে কী কী করণীয়? টিকা নিতে এসে কলকাতা পুরসভায় খোঁজ নিয়ে গেলেন নুসরত জাহান ও তাঁর বন্ধু যশ দাশগুপ্ত। শনিবার দুপুরে আচমকাই কলকাতা পুরসভার দফতরে আসেন তাঁরা। সোজা চলে যান কলকাতা পুরসভা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরীর ঘরে। সেখানে দু’জনেই কোভিড টিকা নেন। সূত্রের খবর, তারপরেই তাঁরা পুরোটা পড়ুন ... ...
হাইট চার ফুট বললেন তো......... তাই টুকটুক করে মাথা দিয়ে গোত্তা মেরে, বগলের তলা দিয়ে ঠেলে ঠুলে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি।.....
আপনারা কেউ যদি কারুবাসনা নাটকটা দেখে থাকেন বা উপন্যাসটা পড়ে থাকেন দেখবেন সেখানে নায়কের একটা অশান্তি আছে, সেই অশান্তিটা আসলে সে কাউকে বুঝিয়ে বলতেই পারে না, কবির ভাষায় সেই অশান্তি হৃদয়ে লালন করি। অর্থ খ্যাতি যশ এসব নয়, রক্তের ভেতর মগজের ভেতর অন্য এক বোধ কাজ করে। এই নায়কের জীবনে অর্থ খ্যাতি প্রেম সাফল্য স্টেবিলিটী এইসবগুলো থাকা এবং না থাকার সাথে আরো একটা জিনিস কন্স্যান্ট আছে একটা অতৃপ্তির অনুভূতি। ... ...
পাকিস্তান ঘাস খেয়ে এটম বোমা বানানোর স্বপ্ন দেখেছিল। ১৯৭২ সালে দেখা সেই স্বপ্নটা তারা এসে পূরণ করেছে ১৯৯৮ সালে। এটম বোম বানিয়েই ছেড়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের নিউক্লিয়ার সাইন্সে উন্নত করছে। উন্নত করেছে গবেষণায়। চীনের সাথে মিলে তৈরি করছে ফাইটার জেট।
ইতিহাসের দিকে তাকালে সভ্যতা, যৌনতা ও অবক্ষয়ের সম্পর্কের একটা প্যাটার্ন দেখা যায়। বারবার বিভিন্ন সভ্যতায় এই প্যাটার্নের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। প্যাটার্নটা কী? সোশ্যাল অ্যানথ্রোপলোজিস্ট জন ড্যানিয়েল আনউইন ৫,০০০ বছরের ইতিহাস ঘেঁটে ৮৬টি আদিম গোত্র এবং ৬টি সভ্যতার ওপর এক পর্যালোচনা করেন।আনউইন এ গবেষণা শুরু করেন সভ্যতাকে অবদমিত কামনা-বাসনার ফসল হিসেবে দাবি করা ফ্রয়েডিয় থিওরি যাচাই করার জন্যে। কিন্তু ফলাফল দেখে হকচকিয়ে যান আনউইন নিজেই।১৯৩৪ সালে প্রকাশিত Sex & Culture বইতে দীর্ঘ এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন তিনি। বিভিন্ন সভ্যতা ও সেগুলোর পতনে আনউইন দেখতে পান একটা স্পষ্ট প্যাটার্ন.....কোনো সভ্যতার বিকাশ সেই সভ্যতার যৌনসংযমের সাথে সম্পর্কিত। যৌনতার ব্যাপারে কোনো সমাজ যত বেশি সংযমী ... ...
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের কবি শহীদ কাদরী' (দীর্ঘ রোগে ভুগে ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্কে প্রয়াত) লেখা কবিতা "তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা" একটি অসামান্য রচনা। বেশ আগে কবির সুমন এই কবিতাটিকে সুর দিয়ে গান করেছেন, সেটিও অনবদ্য:"তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা! ভয় নেই এমন দিন এনে দেবদেখ সেনাবাহিনীর বন্দুক নয়,শুধু গোলাপের তোড়া হাতে কুচকাওয়াজ করবে তোমার সামনে,শুধু তোমাকেই তোমাকেই স্যালুট করবে তারা দিনরাত।ভয় নেই এমন দিন এনে দেব..."২কবি শহীদ কাদরীর প্রথম প্রেমিকা, প্রথম স্ত্রী নাজমুন নেসা পিয়ারী নয়ের দশকের শেষের দিকে এসেছিলেন ঢাকায়। বার্লিন প্রবাসী প্রায় ৬০ বছর বয়সী পিয়ারী তখনো দারুন সুন্দর, উজ্জল। ঢাকা ক্লাবের এক পার্টিতে কোনো এক সাংবাদিক বন্ধু পরিচয় করিয়ে দেন তার ... ...
দ্য এজ অফ সারভিলিয়েন্স ক্যাপিটালিসমআগে বলা হতো সক্কলে কবি নয় কেউ কেউ কবি, তেমনি আগে এও ধারণা করা হতো সক্কলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না, করে একটা বিশেষ শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষজন। কিন্তু জিয়ো মার্কেটে আসার মধ্যে দিয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা সত্যিকারের অর্থেই জনসাধারণের হয়েছে বা হতে পেরেছে, আমরা একটা দেশ হিসেবে আরো বেশী ডিজিটাল হয়েছি। এখন তো অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে অফিস হচ্ছে সারাবছর ধরে কেনাকাটা হচ্ছে, থ্যাঙ্কস টু ধীরুভাই ন্ড হোল টীম; ইন্টারনেটের স্পীড এত ভালো আর দাম নাগালের ভেতর রাখার জন্য, অনেকটা জলের দরে ফলের রস খাচ্ছি বলে মনে হয় আর মনে হওয়াটা নিছক মিথ্যে নয়। ... ...
প্রতারিত নারীকুল আপনারা আর শিশুদের জন্য মোটের উপর উপযুক্ত নন বলা যায় নগদে আর সস্তায় লাভ খুঁজতে গিয়ে বহু কিছুর মতো এ সদগুনটিও কেন জানি খোয়া গেছে মেকিয়াভেলি মার্কা ডন জুয়ান নায়কের সঙ্গিনী ভার্যাদের, তবে সেকুলাস সেক্স আর যুগ প্রভার কারনে যৌন কসরতে আগের যে কোন সময়কে সকলেই প্রায় ছাড়িয়ে গেছেন, তাই না? ... ...
জিলিপি রসিক জলিদা মজমজে গরম জিলিপি খেতে খেতে জিলিপির দিকে তাকিয়ে মুখে জল টেনে মোহিত হয়ে বলতে শুরু করলো - যেমন তোর গড়ন, তেমনি তোর স্বাদ। রসের প্যাঁচে টইটুম্বুর, নেইকো কোন খাদ।
বিছানায় এসে শুয়েছি তা প্রায় ঘণ্টাখানেক হল। কিছুতেই ঘুম আসছে না। বাইরে নিস্তব্ধ নিঝুম শীতের রাত। ঘরের নাইট ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিয়েছি ইচ্ছে করেই। একটুও আলো সহ্য হচ্ছে না আর। যদিও এই মুহূর্তে কেবলি মনে হচ্ছে কেউ যেন একটা কালো রঙ ধেবড়ে দিয়েছে আমার শরীর জুড়ে। আমি কিছুতেই তা ঘষে মুছে তুলে ফেলতে পারছি না। মনের যে গোপন কুঠুরির মুখ সযত্নে এতদিন বন্ধ করে রেখেছিলাম। আজ সেই বন্ধ মুখের ঢাকনাটা সরে গিয়ে কত স্মৃতি গলগল করে বেরিয়ে আসছে। ... ...
তখনও বাঙালী অ্যাপার্টমেন্টবাসী হয় নি। বাঙালী তখন সবেমাত্র 'ছোট পরিবার সুখী পরিবার' থিমে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। পরিবারে তখনও ঠাকুমা, দাদু, পিসি, জেঠু, কাকুরা জেঠিমা, কাকিমারা আর সেইসঙ্গে কুচোকাচার দল শোভা পেত। বাঙালির বাঙালিয়ানা রসনার পরিতৃপ্তিতে। বাড়ির হেঁশেলে মাছ, মাংস, শাক সব্জি র মধ্যে অন্যতম স্থান পেত পোস্তর নানা পদ – আলু পোস্ত, ঝিঙে পোস্ত, পোস্তর বড়া ইত্যাদির রূপে। নিরামিষ দিনে ডাল, বিশেষতঃ বিউলির ডালের সঙ্গে আলু বা ঝিঙে পোস্ত বাঙালির অতি পছন্দের পদরূপে সম্মান পেত। তখনও পোস্তর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে না গেলেও পোস্ত একটু দামীই ছিল। সামান্য একটু পোস্ত শিলে মিহি চন্দনের মতো করে বেটে পুরো সংসারের জন্য একটি ... ...