পাহাড়চূড়ার সেই রাতটি আজও মনে পড়ে। / দিনের শেষে পাখিরা ফিরেছিল কুলায়। / কিছু পরেই, সূর্য গেল অস্তাচলে। ... ...
আমি তো গুরু নই যে বাণী দেব। ... ...
"বেলা!! আসবে কি তুমি এবার ? সময় কি হল তোমার?" "সাগর, আবার! আবার !! কেন বারবার এমনভাবে হাতছানি দিয়ে যাও? অবুঝ তুমি বড়। কবে বুঝবে?" "বেলা, তুমি কি অবুঝ নও? আর কতদিন? আরোও কতদিন সাগর ফিরে ফিরে যাবে?" "তুমি বড় অস্থির ,সাগর! দিন নেই, রাত নেই – এত চঞ্চল কেন তুমি? একটু শান্ত কি হতে পার না কখনও? " ... ...
মিডিয়ার এই আদিখ্যেতা বন্ধ হোক। এগুলো কি হচ্ছে? বাচ্চারা ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করবে না নুসরতের ঘরের খবর জানবে?একলা মা হতে কী কী করণীয়, টিকা নিতে এসে পুরসভায় খোঁজ নিয়ে গেলেন যশরত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৫৬ একলা মা হতে কী কী করণীয়? টিকা নিতে এসে কলকাতা পুরসভায় খোঁজ নিয়ে গেলেন নুসরত জাহান ও তাঁর বন্ধু যশ দাশগুপ্ত। শনিবার দুপুরে আচমকাই কলকাতা পুরসভার দফতরে আসেন তাঁরা। সোজা চলে যান কলকাতা পুরসভা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরীর ঘরে। সেখানে দু’জনেই কোভিড টিকা নেন। সূত্রের খবর, তারপরেই তাঁরা পুরোটা পড়ুন ... ...
ওগো নির্জনতা, জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে অনেক কথা, গান, গল্প বলে তবুও মনে হয়"কিছুই তো হল না .......কিছুতে মনের মাঝে শান্তি নাহি পাই,কিছুই না পাইলাম যাহা কিছু চাই।"এবার তোমার হাতে হাত রেখে পথ চলতে চাই।ব্রাহ্মমুহূর্তের আকাশের মনের কথা জানতে চাই ---প্রথম আলোর ছোঁওয়া পেয়ে আকাশ কেমন সেজে ওঠে দু চোখ ভরে দেখতে চাই ---রবির প্রথম কিরণ মনের অন্তঃস্থলকে আলোকিত করে --- অনির্বচনীয় আনন্দের সাক্ষী থেকো তুমি নির্জনতা!নির্জনতা ! তোমাকে বন্ধু করে, পাখির প্রথম কলরব শুনতে চাই ---শুনতে চাই প্রজাপতি, মৌমাছির পাখা মেলার শব্দ--- আরোও --- আরোও অনেক কিছু চাই ---ঝুপসি গাছের পাতাগুলোর কানাকানি, তিরতির করে বয়ে যাওয়া নদীটার বুকের শ্বাস প্রশ্বাস , ... ...
খেরোর খাতা চলছে, ঝাঁপ দিতেও বলছে.... কি হবে? ... ...
বাণী দিয়ে কি আর করব? লেখা জমা করছি। কেউ খারাপও বলছে না, প্রশংসা তো নয়ই ... ...
তখনও বাঙালী অ্যাপার্টমেন্টবাসী হয় নি। বাঙালী তখন সবেমাত্র 'ছোট পরিবার সুখী পরিবার' থিমে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। পরিবারে তখনও ঠাকুমা, দাদু, পিসি, জেঠু, কাকুরা জেঠিমা, কাকিমারা আর সেইসঙ্গে কুচোকাচার দল শোভা পেত। বাঙালির বাঙালিয়ানা রসনার পরিতৃপ্তিতে। বাড়ির হেঁশেলে মাছ, মাংস, শাক সব্জি র মধ্যে অন্যতম স্থান পেত পোস্তর নানা পদ – আলু পোস্ত, ঝিঙে পোস্ত, পোস্তর বড়া ইত্যাদির রূপে। নিরামিষ দিনে ডাল, বিশেষতঃ বিউলির ডালের সঙ্গে আলু বা ঝিঙে পোস্ত বাঙালির অতি পছন্দের পদরূপে সম্মান পেত। তখনও পোস্তর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে না গেলেও পোস্ত একটু দামীই ছিল। সামান্য একটু পোস্ত শিলে মিহি চন্দনের মতো করে বেটে পুরো সংসারের জন্য একটি ... ...
দসমি সেই কবে গ্ৰাম ছেড়ে প্রিয়রঞ্জনের সঙ্গে সংসার করতে এসেছিল আর তা মনে নেই। মেয়েদের তো এই! এই প্রিয়রঞ্জনের ঘরই তার নিজের ঘর। নিজের বাপের ঘর সব মেয়েদের মতো ভুলেই গিয়েছিল দসমি। বিয়ে হয়ে গেলে সে ঘর কি আর নিজের থাকে? দূরেও বটে বাপের গ্ৰাম। তাছাড়া তিনটে মেয়ে, দুটো ছেলে নিয়ে ভরা সংসার। তাই সেই যে বিয়ে হয়েছিল, আর যাওয়া হয় নি সেখানে। জ্ঞান হওয়া অবধি জানত মা, বাপ, ছোট দুটো ভাইকে নিয়ে জগৎটা ওরই। ওরাও তো দসমিকে ভালোবাসত বলেই মনে হত। বাপটা নেশায় চুড় হয়ে থাকলেও হাটবারে দসমির পছন্দের লাল চুড়ি, মাথার ফিতে মনে করে এনে হাতে দিত। ... ...
মাথা ভর্তি ঢেউ খেলানো কুচকুচে কালো চুল কাঁধের কাছে নেমে এসেছে। গায়ের রঙও ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। চোখ দুটি লালচে, ঢুলুঢুলু, দিনের বেলাতেও। পরণে হলুদ প্যান্ট, লাল শার্ট। নামটা বেশ জমকালো, বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ। দ্বিতীয় সাইরেন বাজতেই কারখানার গেটে প্রতিদিনই হুড়োহুড়ি লাগে, সময় পেরিয়ে গেলে হাজিরাবাবু আর সুযোগ দেবেন না বলে। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ সাত সকালেই মহুয়া সেবন করে টলমল পায়ে গিয়ে পৌঁছল হাজিরাবাবুর কাছে। হাজিরাবাবু – তুমি আজও মদ খেয়েছ এই সকালবেলা? বড় সাহেব বলেছেন মদ খেলে তোমাকে ঢুকতে না দিতে। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ – ( কাঁদ কাঁদ হয়ে) বাবু, আর করবো না এমন। আজ ভুলে গিয়ে খেয়ে ফেলেছি। হাজিরা কাটবেন না দয়া করে। গতমাসে অনেক মাইনে কাটা গেছে ... ...