অবন মনের ক্যানভাসে তুমি বাউল দু'বাহু তুলেতারই জন্মদিনে তে কবি 'মৃত্যুঞ্জয়' হলে !এখন শ্রাবণ প্রলয় প্লাবনঅশনি আকাশ তলে !! ... ...
কিশোর কুমারের একটা গানের কটা লাইন মনে পড়ে গেল: "চারিদিকে পাপের আধার নেই তো কোথাও আলো/মনে হয় যে অন্ধ হওয়াই ছিল অনেক ভালো!"... এই তো জীবন কালী দা! আর কত চূনকালি মাখবো বলুন না! তাই ভাবছিলাম প্রাসঙ্গিক নাই বা হলো, জ্ঞানতঃ বা অজ্ঞানতঃ নিজের জীবনের কিছু হেনস্থার সাথে লুডো খেলে আসি। ছক্কা নয়তো অক্বা। কেঁচে যায় ঘুটি পাক্কা! চলুন যাবেন নাকি আমার সাথে শ্যাওলায় স্কী খেলতে খেলতে ১৯৭২ সালে; কিছু অখাদ্য না হয় খেয়েই আসি। সুস্বাদু আচ্ছে খাবার খেতে খেতে তো পেটে চড়া পড়ে গেল! আমি ছোট বেলা থেকেই হাইলি মায়োপিক। এজন্য বন্ধু বান্ধবরা ভালোবেসে অনেক সময় আমাকে ক্ষ্যপাতো বা হ্যাটা করতো। আমি কিছু ... ...
হোক না দূষণ, ভীষণ-ভূষণ মগজ মালাই করেমরে মারীচ, সারপ্রাইজটা বিভীষণের ঘরে! ঋণ করে খাই ঘিসবাই কে দিই শ্রী দেখো বাপু ফুলটা যেন সারদাশ্রমে পড়ে। ... ...
ধারাপাতের প্রথা মানি একে চন্দ্র হয়,একে সূর্য্য নয়তবু কিছু চাঁদ চন্দ্রবিন্দু হয়েছে অনেকই আগে;আকাশটাকে ভাগাভাগি করে তারাও আলো দেয়ঋষি চাঁদ;শরতের কালে প্রেমের চাঁদও জাগে!'কফন' নিতে ভুলেছিলো চাঁদ,হয়নি তো 'সদগতি' বারাণসীর গঙ্গার জলে ভেসে ওঠে বারবার;তোমার আলোয় 'ঈদগাহ' তে ভালোবাসার দ্যূতি 'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি'র আজো অযোধ্যাতে কারবার।মুন্সীর আলো খড়ের চালে কাঠের আগুন খোঁজে ক্যানভাসে তে অমর,নিখুঁত বঞ্চনার সে চিত্র !'গোদানে'র হরি ছাড়া কেউ 'দুধের দাম' কি বোঝে?তোমার জ্যোতি ধার করা নয়,নিজেই তো নক্ষত্র!! ... ...
গভীর জলের মাছ; একশো এগারো কিলোরাত দুপুরে জালে পড়ে দুরদর্শন খোঁজে; মৎস্যকন্যা ততক্ষনে অ্যাকোরিয়ামে আলোআঁশটে গন্ধে অমর্ত্য সেন বঙ্গভূষন ত্যাজে! দৃষ্ট শুধু কল্পনাহীন হিমশৈলের চূড়ানক্ষত্রের সমাবেশে নিঃশর্ত তোষণ;-জাহাজ-ভাঙা তিমিকে যায়না জালে ধরা তদন্তে লাগে সময়: 'মা ফলেষু কদাচন'। ... ...
উঠেছিল চাঁদ আলোকিত করে,গঙ্গা পাড়ের পর্বতেমাচার পিছনে,পাহাড় চূড়াতে গড়িয়ে এলো সে আলো দিতে! সালটা ১৯২৬ আর দিনটা ২রা মে-সারা দুনিয়া তোলপাড়,নরখাদক নিধনে।সরকার বলে সোয়াশো মানুষ সাবাড় করেছে চিতাআসল সংখ্যা গ্ৰামবাসী জানে যাদের মাথা ব্যাথা! এ জগতের কোনো সমস্যাই চিরস্থায়ী নয়তাই নরখাদক চিতাবাঘেরও মৃত্যুদন্ড হয়!মানুষ তার নিজের ভুলেই সর্বনাশ কে ডাকেসময়ের সাথে সমাধান সেই মানুষের হাতে থাকে। আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর (১৮৭৫) আগেজন্মেছিলেন জিম করবেট নৈনিতালের গ্ৰামে ... ...
চা-চা চারশো বিশ চাচা'র বিক্রি অহর্নিশ কাঁটা চামচে চিনি দিয়ে -রটায় ডায়াবেটিস! চাচার প্রশ্নেই শুধু ভয় তাই কম করে ছাতি কয়পুরনো কেচ্ছা ওঠালে -ফণা,তুলতে বাধ্য হয়। চাচা দেখাচ্ছে সার্কাসচামচ চেঁচাচ্ছে সাব্বাশ! দানি-বানী পাচ্ছে হানিবাদবাকি আশ্বাস। চাচা জিততে মরীয়াপড়শীর বেড়া ধরিয়াবাতকর্ম করে বলে-- মারসি,ঘরে ঘুইস্যা! চাচা যুধিষ্ঠিরের পুত্রমিথ্যা কথায় মূত্র;-হালেই যে দেশ স্বাধীন হলো,তথ্য-বিকার সূত্র! চাচা হো তো সব মুমকীন স্রিফ সমূন্দর নমকীন; -ও ভী অগর মিঠা হো তো-আগয়ে অচ্ছে দিন!! ... ...
বৃষ্টিলেখার অজানা নয় বরুণ হবার ভান করিশিশিরের জল কর্জ করে তার দু'চোখে ধরা পড়ি।শব্দ ভীড়ের চিত্রকল্পে স্নিগ্ধ মুখটা ম্লান করিশাক দিয়ে মাছ ঢাকা হলে বিড়াল দেখে ভয়ে মরি!লেখার কি আর জানতে বাকি মঞ্জিলটা কত দুরেলিখছি যেটা ঘটা করে যাপন কি আর এক সুরে?এই ধরো না বান ডেকেছে নিশ্চিহ্ন গ্ৰাম মাঝেআমি কি আর স্থাবর ফেলে যাচ্ছি সেথা ত্রান কাজে?শব্দের পর শব্দচয়ন আকাশ পরীর বিবরণ,বেপরোয়া ঘরে ফেরার গল্পগাথা অকারন!ঝঞ্ঝা,ঝড়, দুর্বিপাকে কলম ছেড়ে দিচ্ছে প্রাণ'জেলখানার চিঠি' পড়ি, নাজিম গাইছে তোমার গান।সরীসৃপের মাধ্যমে পাই হলুদ খবর নিরন্তররসদ পেলেই বৃষ্টিলেখার তোয়াজ করি অতঃপর।জেনেও তবু আপোষ করো,অশেষ তব করুণাহাল ছেড়ো না বন্ধু, শুধু বন্ধ করো লাঞ্ছনা! ... ...
তোমার ঈদ মাঝারে থাকবোরোজা রাখবো নামোরা চাঁদনী আলোয় ভিজবো মাচিস জ্বালবো না। তোমার হৃদ মাঝারে থাকবোমকবুল জানবে না দিলরুবা ছড়ে সাধবোহায়দার শুনবে না। তোমার কমচিনি কে চিনবোহার মানবো না মীনাক্ষী কেই আঁকবো হুসেন,ফিদা হবে না। অরণ্যে আবার ফিরবো -নামকে ওয়াস্তে নাজীবন পাই তো থাকবো-পাতায় মুড়বো না।তোমায় একা একাই দেখবোএকা রাখবো নাবেণীর খুশবু মাখবো-হিজাব মানবো না। ... ...
অনেক বিশ্বাসের ভিড় যখন শ্বাসরোধ করেগ্ৰামছাড়া করে, দেশছাড়া করে, আগুন জ্বালায়তখন বৃক্ষের দল অসীম ধৈর্যের সাথে হাল ধরেআশ্রয় দিয়ে, ছায়া দিয়ে, অগাধ বিশ্বাসে বাঁচায়। গড়ে তোলে চিরন্তন ভালোবাসার বনানীসেথায় অসহায়, ছিন্নমূল নিশ্চিন্তে ঘুমায়;অতন্দ্র প্রহরায় থাকে রাতের সেনানী আলোর করুণা ধারা তারায় তারায়! এদেশের সিসিলি দ্বীপ প্রান্তিক সুটিয়াপুরনো গল্প: দোষ তোর বাবার, নয় তোর!টাকা টাকা টাকা, মাটি আর মাফিয়াসন্ত্রাস চলে দিনভর; ধর্ষন চলে রাতভোর! এই অমানিশায় উদিত হলো আর এক সূর্যআর এক আলোর দিশারী, আর এক প্রত্যয়।মানুষের এক হওয়া এসময়ে অপরিহার্যবহু বিশ্বাসের ভীড়ে বরুণ বিশ্বাস, অকুতোভয়! বৃক্ষের মত নাড়িয়ে ছিল পাপের ভিত শিকড়ের জোরে -মানুষের জোরে, বিশ্বাসের জোরে; পিছু হটে ছিল তারাযদিও কুড়ুল গাছ কেটে ফেলে যখনই ঘা ... ...