আমার আর এলগিন রোডের সম্পর্কটা দিনদিন আরও দৃঢ় হচ্ছে। পথ চলতে গিয়ে এক টুকরো ঘটনা থেকেও আমি একটা গোটা গল্প খুঁজে পাই। আর যেরকম ভাবে ভাবা যায়, সেইভাবে লেখাটা বড় মুশকিল। তাই শব্দের প্যাচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটা ছোট্ট ঘটনাকে গল্পের রুপ দেওয়াটাই আমাদের কাজ। আজ সকালে বাস থেকে নেমে অফিসের দিকে রওনা দিয়েছি। মাথায় হুডির টুপি হাত জোড়া জ্যাকেটের ভিতর। বেশ জোড়ে জোড়েই হাঁটছি। জোড়ে হাঁটলে শরীর টা একটু গরম হবে। বেশ ঠান্ডা পড়েছে আজ শহরে। রাস্তার ফুটপাতের সেই হ্যান্ডসাম চা-ওয়ালা তখন সবে দোকান খুলছে। পাশে দুজন ভদ্রলোক তার স্পেশাল চা খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কাঁপছে। হোটেলের কাকিমার আলু, বেগুন আর সম্ভবত মূলো ... ...
অফিস থেকে প্রতিদিনের মতোই বাড়ি ফিরছি। হাঁটছি এলগিন রোড ধরে। রাস্তার পাশের চায়ের দোকানের হ্যান্ডসাম চা ওয়ালাটা দোকান বন্ধ করার জন্য তৈরি হচ্ছে। ফুটপাতে থাকা হোটেলের কাকিমাটা অবশিষ্ট ভাত একটা বড় গামলায় ভরছে। পাশে তরকারি গুলো এলো করে রাখা। পথের দুটো কুকুর সেদিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে। বুঝতে পারলাম না কাকিমা তাদের ভাতে একটুকরো মাছ বা মাংস মাখিয়ে দেবে নাকি সবটাই নিয়ে চলে যাবে বাড়ি। হঠাৎ করেই একটা বিল্ডিং এর জানলার দিকে চোখ গেল। জানালাটা খোলা ছিল, ভিতরের আসবাবপত্র কিছুটা দেখা যাচ্ছিল। ছয় তলা বিল্ডিং এর ওটা সম্ভবত তিন তলা হবে। দেখলাম একটা বছর ছয়-সাতের মেয়ে বাইরে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বসে আছে। ... ...
#সকালের_লড়াই_আর_চায়ের_কাপ _________________ আমার প্রতিটা সকালই প্রানোজ্জল থাকে। সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের মুখটা দেখার পর মনে হয় পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর জিনিসটা দেখালাম বোধহয়।আর যদি আমার থাকাকালীন মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় তো কথাই নেই।যতক্ষন থাকি আমার কোলে ঘুম জড়ানো চোখে মাথাটা গুঁজে থাকে। এই পাওয়াটা অনেক বড় আমার কাছে। ঠিক অমরত্ব পাওয়ার মতই। যাক এবার আসল কথায় আসি।আজকেও যথারীতি সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের ঘরে গিয়ে ওর মুখটা দেখে এসে চেয়ারে বসে চায়ে চুমুক দিলাম।দেখলাম “মন” একবার নক করল হাসিমুখে ।সকালের এই ঘুম থেকে ওঠা আর অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর মধ্যেকার সময়টা বড় অদ্ভুদ আমার কাছে। প্রতিদিন ... ...
তখন পৃথিবী সুস্থ ছিল। কোনরকম কোন অদৃশ্য ভাইরাস মানুষ নামের প্রানীটাকে কাবু করতে পারে নি তখন। আমি প্রতিদিন ট্রেনে অফিস যেতাম। অটো থেকে নেমে হেঁটে যেতাম স্টেশনে তারপর সেখান থেকে ট্রেন ধরে অফিস। ... ...
কদিন হল অফিস বাসেই যাচ্ছি। অর্থে কুলাচ্ছে না। কত যোগান দেব ক্যাবের টাকা। যাক সেসব দুঃখ শুনিয়ে আর লাভ নেই। আজকে বাসে উঠে দেখলাম বেশ ফাঁকা। যদিও প্রতিদিন সকালে ফাঁকাই থাকে। কারণ, সিটের জন্য সকাল বেলা ভাইকে দৌড় করাই বাসস্ট্যান্ডে। ... ...