প্রশ্নটা হচ্ছে, কফি হাউসের ভেতরেও কি পোস্টার গুলো মারা ছিল। কিছুদিন আগেই গিয়েছিলাম। দেখলাম না তো। অদৃশ্য হয়ে ছিল বোধহয় বা চোখ খারাপ ছিল। তাই কাল চশমা নিয়েছি। পাহাড়ী বাবু বলেছেন গত ছাব্বিশ বছরে এরকম তান্ডব তিনি দেখেননি কফি হাউসে। প্রথমে বিদ্যাসাগর , তারপর একে একে বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে দাঁড়ি বাড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ সব প্রচেষ্টা কি বিফলে তাহলে? তাই এবার কফি হাউসে শক্তি প্রদর্শন। আহা, গোবর ভরা মাথায় খালি প্রশ্নগুলো আসছে। উত্তর কে দেবে? ওদিকে কাকে যেন নিজের গাড়ির দরজা চেপে দিয়েছে। ভগবান, এত অনাচার, অত্যাচার কেবল মানুষের সেবা করার ইচ্ছা নিয়ে থাকা মানুষগুলোর উপর কেন? রক্ষে করো রঘুবীর। বিষ্ণুমাতা একটু দেখো। আর ... ...
বেশ কিছুদিন তেমন কিছু লিখিনি। কেউ পড়ে না অথবা কেউ পড়বেনা ভেবে নয়। একটু ব্যস্ত ছিলাম নিজেকে নিয়ে। এবার বোধহয় একটু চমকে গেলেন? চমকানোরই কথা। হ্যা নিজেকে নিয়েই একটু ব্যাস্ত ছিলাম। কিছু নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করি আজ। যদিও এগুলো এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা উচিত নয় শুনেছি। তবুও আমার মনে হয় আমার এই লেখাটা পড়ে হয়ত আর একজন আমার মত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে। হ্যা একেবারে সঠিক শুনেছেন। আমি কয়েকবছর আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। না না, জ্বর, সর্দি কাশি অথবা কোন খুব গভীর শারীরিক কষ্টের রোগ নয়। রোগটা মানসিক ছিল। একেবারেই ঠিক শুনেছেন। রোগটা মানসিক ছিল। তবে, পাগল হয়ে যায়নি। সেই ... ...
নারী....নারী....নারীসকাল থেকে পুরো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নারীর গুনগানের অনেক পোস্ট দেখলাম। আমিও ব্যাতিক্রম নই। আমিও বেশ কয়েকটা ইহা বড় বড় শব্দ জুড়ে একটা বেশ জম্পেশ পোস্টিয়েছি। লাইক আসছে, গোটা কয়েক কমেন্টও এসেছে। খুব ভালো লেগেছে কারণ আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি নারীদের সম্মান করতে জানি। তবে সেই সব নারীদের যারা বাসে উঠে বৃদ্ধ অথবা বৃদ্ধা মানুষটিকে নিজের সিট ছেড়ে দেয়। তাদের নয়, যারা মহিলা সিটের অধিকার দেখিয়ে বৃদ্ধটিকে তুলে নিজে বসে পরে। আমি সেই সব নারীদের শ্রদ্ধা করি যারা নিজের সন্তানের জন্য নিজের সবটুকু দিয়ে বেঁচে থাকে। তাদের নয়, যারা নিজের সুখের জন্য সন্তানকে ফেলে রেখে অন্যের হাত ধরে সুখ খুঁজতে ... ...
গতকাল অফিস থেকে ফেরার পথে বাসে উঠেই বসার জায়গা পেয়ে গেছি। এখন যদিও আসার পথটা বাসে প্রায় বেশিরভাগ দিনই দাঁড়িয়ে আসতে হয়। কাল ভাগ্যক্রমে এটা ঘটেছিল। ... ...
আমার কলম আমাকে দিয়ে কখন যে কি লেখায় আমি নিজেই তার ব্যাখ্যা দিতে পারিনা। অদ্ভুত ভাবে মাথায় শব্দগুলো কিলবিল করে, আর আমি সেগুলোকে ল্যাপি অথবা ফোনের স্ক্রিনে ঘষতে থাকি । সাধারণত কোন মহৎ ব্যক্তিত্বকে নিয়ে লিখতে গেলে একটু দিনক্ষণ দেখতে হয়। যেমন তাঁর জন্মদিন অথবা মৃত্যুদিন। আমার পাগল শব্দেরা আমায় দিনক্ষণ নিয়ে ভাবার সুযোগ দেয়না। তারা মাথায় এসে ভিড় করে, আর উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে যতক্ষন পর্যন্ত আমি তাদের মগজ থেকে কালো কালিতে রুপান্তরিত না করছি। আজ আবার হল এরুপ। তারই ফলস্বরূপ এই লেখা। জানিনা তাঁকে নিয়ে লেখার যোগ্যতা আমার আছে কিনা। তবুও তাঁর অন্ধ ভক্ত হিসেবে আমি সবসময় তাঁকে নিয়ে ... ...
রাত তখন প্রায় সাড়ে বারো'টা। শহর তখন ঘুমের চাদরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। আর খিদিরপুর থেকে রামনগর যাওয়ার এই রাস্তাটা সকালেই চুপচাপ থাকে। আর এখন তো একেবারে নিস্তব্ধ। মাঝে মাঝে দু - একটা প্রাইভেট গাড়ি যদিও ভোঁক ভোঁক করে বেড়িয়ে যাচ্ছে। কিছুটা দূরে একটা বাঁক নিয়ে একটা বোলেরো গাড়ি দাঁড়িয়ে। গাড়ির ভেতর তিনটে ছেলে তখন মদ খেতে ব্যস্ত। চিপস সিগারেট আর মদের গন্ধে গাড়িটা একেবারে ভরে গেছে। গাড়ির কাঁচ তোলা, শীতকালের রাত। রাম দিয়ে নিজেদের শরীর গরম করতে করতে একজন টয়লেট করার জন্য বাইরে বেরোল। এই রাস্তাটা শহরের একটা বেনামী রাস্তা। খুব একটা মানুষজন ব্যবহার করেনা এটাকে। ... ...
আমার স্কুল লাইফে দু-একজন বন্ধু ছাড়া তেমন কোন বন্ধু ছিল না। একটু একগুঁয়ে টাইপের ছেলে আমি চিরকাল। যদিও নিজেকে পরিবর্তন করেছি এখন। অবশ্যই যতটা প্রয়োজন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বাড়াবাড়ি করাটা আমার আগাগোড়াই পছন্দ নয়। ঠিক যতটুকুনি আমার মনে হয় করা উচিৎ ততটাই করতে ভালোবাসি। তারজন্য ওই একগুঁয়ে, মিশুকে নয়, মুখচোরা তকমাগুলো আমার নামের সাথে জুড়ে গেছে সেই কবে থেকেই। ... ...
অফিস থেকে ফিরে ফ্রেস হয়ে সবে একটু বসেছি। ল্যাপটপটা হাতে নেব কিনা ভাবছি। খুব টায়ার্ড লাগছিল আসলে আজকে। হঠাৎ পাশে থাকা গুপীযন্ত্রটা বেজে উঠল। তাকিয়ে দেখলাম আননোন নম্বর। মনটাকে ব্যোমকেশ বক্সি করে ফোনটা রিসিভ করে বললাম “হ্যালো।” ... ...
শহরটার প্রতিদিন আলাদা রূপ আবিষ্কার করি আমি। বড্ড রঙ পালটায় আমার তিলোত্তমা। সে কখনও খুব কাঁদে, আবার কখনও মন খুলে হাসে। যেমন বিচ্ছেদ করে, তেমনি আবার প্রাণ দিয়ে ভালোওবাসে। তাই হয়ত আমার শহরের অনেক রূপ। একভাবে তাকে বর্ণনা করা বড় কঠিন কাজ। ... ...
এলগিন মোড়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। হাঁটার পথটা পেরিয়ে এসে আমার প্রিয় বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এদিক ওদিক দিয়ে নানারকম যানবাহনের আপন গতিতে ছুটে চলা দেখতে বেশ ভালোই লাগে এই সময়টা। পাশে নানা লোকজনের নানা রকম মুখের ভাজ দেখতে আরও ভালো লাগে। মুখের ভাঁজ গুলো অনেক রকমের হয়। যেমন বাস দেরি করে আসার একরকম ভাঁজ আবার বাস মিস হয়ে যাবার আর এক রকম ভাঁজ। নানা-রকম ভাঁজের মাঝে নিজেকেও গুলিয়ে ফেলি মাঝে মাঝেই। কারণ আমারও বিরক্ত লাগে বাসের জন্য দশ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে। আজ সেই বিরক্তিই হচ্ছিল। প্রায় পনের মিনিট দাড়িয়েও বাসের দেখা পাচ্ছি না। মনে মনে রাগও ধরছে। ... ...