স্মৃতিচারণা:----------------------আজকে পৌষ পার্বণ । বাঙালীর জীবনে এর গুরুত্ব অন্যরকম । নতুন ধান উঠার আনন্দে চাষীরা মাতোয়ারা। আমরা ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে যেতাম। হুগলী জেলার তারকেশ্বর কাছে গোপীনগর হল আমাদের দেশের বাড়ি। এই দিন সকাল থেকে ই বাড়িতে সাজো সাজো রব। সুন্দর করে আলপনা দেওয়া আর বাউনি বাধা। বাউনি বাধা হল দরজার কড়ায় খড় দিয়ে বাধা ।আমরা ছোটরা ছড়া কাটতাম"আউনি বাউনি তিনদিন কোথাও যেউনিবসে বসে পিঠেভাত খেও" এই দিন ভাত রান্না হয় না। সারাদিন পিঠে খেয়ে থাকা। ঠাকুমা, জেঠিমা, মা, সেজকাকীমা, নকাকীমা, পিসী এরা সারাদিন ব্যস্ত নারকেল কুড়তে ও আনুষঙ্গিক যোগাড়যন্ত্রে। পিঠে হত অনেকরকম। সেদ্ধ বা পুলি পিঠে, ভাজা পিঠে, দুধ পুলি, ... ...
আমদের এই কাহিনীর নায়িকা এক জারিয়া। নবাবের হারেমের শত শত অভাগিনী দের মতো সে ও এক্জন । কিন্তুঅসাধারণ তার সৌন্দর্য্য । অসমান্য বুদ্ধিমতী। কিন্তু শুধু ত হলেই তো হবে না। ভাগ্যদেবীও সুপ্রসন্না। সব মিলিয়ে জারিয়া থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন লুৎফা। স্বয়ং সিরাজের দেওয়া নাম। যার মানে হল ভালো বাসা।এই মেয়ে টির মনেপ্রাণে শুধুই সিরাজ। কী করে সিরাজ কে একটু আনন্দে রাখা যায় সেটাই তার একমাত্র চিন্তা।বাংলার মসনদে তখন আলিবর্দী খাঁ। সুশাসক আর প্রজাদরদী আলিবর্দী প্রজাদের চোখেরমণি।রক্তাক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে দুর্দান্ত বর্গী নেতা ভাস্কর পন্ডিত কে দমন করে বাংলার মানুষ কে স্বস্তি দেন তিনি।ঘষেটি বেগম। আলিবর্দীর র দুহিতা। দৌদ্রন্ডপ্রতাপ। সেই ... ...
মেয়েটির নাম জ্যেনা। সে তার পরিবারের জন্যে রুটি সংগ্রহ করতে গেছে। মোট সাতটা রুটি কিনলো জেন্যা। কালো জিরা দেওয়াদুটো রুটি বাবার জন্যে। মায়ের জন্যে দুটো রুটি পোস্ত দেওয়া, তার নিজের দুটি রুটি মিষ্টি দেওয়া আর ছোট্ট ভাই পাভলকের জন্যে একটা। জেন্যা এদিক ওদিক যায় অবাক হয়ে দেখে। এই সুযোগে একটা কুকুর তার সাত সাত টা রুটি খেয়ে নেয়। জেন্যা তাকে তাড়া করে। কিন্তু কুকুরের নাগাল পায় না। হঠাৎ সে নিজেই হারিয়ে যায়। ভয় পেয়ে সে কাঁদতে লাগে। হঠাৎ এক বুড়ি আসে। বলে এই মেয়ে কাঁদছিস কেন। জেন্যা সব ঘটনা খুলে বলে বুড়ি কে। বুড়ি বলে রুটি আমি কোথায় পাবো?তবে এই ... ...
বাংলাদেশী প্রকাশনী দ্যু থেকে প্রকাশিত বেশ কটি শিশুতোষ বই কিনলাম। এবার সেগুলো দু তিনটে করে চেটেপুটে পড়ছি আর যেন ফিরে পাচ্ছি হারানো শৈশব।বেড়াল টির নাম ভাস্কা। দুরন্ত। সব সময় কিছু না কিছু করেই চলেছে। এই এখন যেমন বেঁটে আলমারি টার কাছে বসে বসে মাছি ধরছিল। হঠাৎ তার নজর পরলো আলমারি র ওপর রাখা টুপি টা র ওপর। যেমনি দেখা ওমনি লাফ দিয়ে ধরতে গেল। নখ বিঁধিয়ে দিল টুপিতে।টুপি তো নীচে পরলো ই, কিন্তু বেচারী ভাস্কা ও তার তলায় চাপা পরে গেল। সে এখন জ্যান্ত টুপি।ঘরে বসেছিল ভলোদিয়া আর ভাদিক। ভলোদিয়া মুখ ঘুরিয়ে দেখলো টুপি টা পরে আছে। সে হাত বাড়িয়ে ... ...
বিখ্যাত লেখক লু শুন কে অনেকেই চীনের গোর্কি নামে অভিহিত করেছেন।মাও সে তুও লিখেছেন " চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সর্বাধিনায়ক শুধু সাহিত্য জগতের এক মহান মানুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক মহান চিন্তাবিদ ও বিপ্লবী"। ১৮৮১ সালে চীনের এক প্রত্যন্ত গ্রামে লু শুনের জন্ম। চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য তিনি জাপান আসেন কিন্তু পাঠ শেষ না করেই দেশে ফিরলেন। শিক্ষকতার চাকুরী গ্রহণ করলেন। হাতে তুলে নিলেন কলম। দুচোখে রঙীন স্বপ্ন, এর মাধ্যমে ই পাল্টে দেবেন সমাজ ব্যবস্হা।১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের সাফল্যে চীনে এল নতুন জোয়ার। ১৯১৮ সালে তিনি লিখলেন অন্যতম শেষ্ঠ ছোট গল্প " পাগলের ডায়েরি "। এই গল্পে তিনি এক পাগলের চোখ দিয়ে দেখিয়েছিলেন সামন্ত ... ...
আগেও প ড়েছি। আবার পড়লাম এই অসাধারণ বই টি।"ফাসির মঞ্চ থেকে/ জুলিয়াস ফুচিক"সাংবাদিক , সাহিত্য সমালোচক , কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন চেক নাগরিক। তিনি নিজে শ্রমিক আন্দোলন আর চেকোশ্লভাকিয়ার সংস্কৃতি জগতে ছোটবেলা থেকেই যুক্ত ছিলেন।1929 এ তিনি "ভোরবা(সৃষ্টি)" পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হন। এর পর তিনি সোভিয়েট ইউনিয়নে যান কবার। সেই অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে চেক সরকারের বিষ নজরে পড়েন। মার্কসবাদী সাহিত্য ও তিনি কিছু কিছু রচনা করেন । কমিউনিস্ট আন্দোলনের গোপন মুখপাত্র "রুদে প্রাভো" র তিনি ছিলেন সম্পাদক । তার বিদ্রুপাত্মক আরেকটি স্মরণীয় রচনা হল "ত্রানাভেসেক ( খুদে বাশি)।চল্লিশ বছর বয়েসে তিনি নাৎসীদের হাতে ধরা পড়েন আর তার মৃত্য হয়। কোলিনস্কী নামে ... ...
দীপ্তেন দার এই বই টা পড়ে আমি জাস্ট পাগলা হয়ে গেছি । মাত্র ১৩ পাতায় এত কথা বলা যায়? লেখক এখানে কিছু দৃশ্য কল্পের সৃষ্টি করেছেন :- দৃশ্য ১/(পাতা ৩) :- সেই প্রথম প্রকাশ্যে চীনা বই বিক্রি হল । আমিও কী একটা বই কিনে এনেছিলাম । সেটা দেখে মা আর বাবা দু জনেই শংকিত । "লেলিন স্ট্যালিন পড় না। এইসব মাও ফাও কেন? "বাবার প্রশ্ন। দৃশ্যঃ ২ /(পাতা ৩) অসংখ্য উপদল । জোরদার বিতর্ক চলছে । মূল দ্বন্দ্ব টা কী? দেশের আর্থ সামজিক চরিত্র কীরকম? মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদ নাকি জাতীয় বুর্জোয়া । নয়া জনগণতান্ত্রিক লড়াই না কৃষি বিপ্লব । দৃশ্য ৩ / (পাতা ৪ ):- ১৯৬৯ বাইশে এপ্রিল পার্টি ... ...
ভারতীয় ক্রিকেটের প্রবাদপুরুষ। আমার সারা জীবনের হিরো।নিজের সময়ের সমস্ত বোলার কে ওয়েস্ট ইন্ডিজ :-ম্যালকম মার্শাল, আন্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং,জোয়েল গার্ণার,হোল্ডার,ইংল্যান্ড : স্যার ইয়ান বথাম, জন স্নো, ডেরেক আন্ডারউড নিউজিল্যান্ড:- স্যার রিচার্ড হ্যাডলিপাকিস্তান:- ইমরান খান, সফররাজনওয়াজ, আবদুল কাদিরঅষ্ট্রেলিয়া থমসম, ম্যাসিঅপরিসীম উদ্ধত্যের সাথে খেলেছেন ( লিলি কে বাদ দিয়ে). যাকে দেখে মনে হত ফার্স্ট বোলিং খেলা কত সহজ। আর সেটা বছরের পর বছর করে দেখিয়েছেন অনায়াসে আর হেলমেট ছাড়া। একদম শেষের দিকে স্ক্যাল ক্যাপ ব্যবহার করেছিলেন।একবার সাংবাদিক রা ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিল "হেলমেট ছাড়া খেলতে ভয় লাগে না?" উত্তরে উনি বলেছিলেন " প্রথমেই যদি ধরে নি বোলার আমার মাথায় বল লাগাতে পারবে। আমি তো সেখানেই ... ...
আজ সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি। এই বৃষ্টির মধ্যে একটা অদ্ভুত ব্যাপার আছে। মানুষকে খামোকা নস্টালজিক করে তোলে। যে দিনগুলো একেবারেই গেছে, কিছু বাকি নেই, সেগুলো কে ফিরে পাবার জন্যে মন আকুলি বিকুলি করে। কবি বোধহয় একেই বলেছেন "দুঃখবিলাস"। তখন আশুতোষ কলেজের প্রথম বর্ষ। কদিন ক্লাশ করার পরেই বুঝে গেলাম কার কার ক্লাশ করতেই হবে। আর কার কার ক্লাশ কাটা যায়। তখন আমরা সেই উদ্দাম আঠারো ... ...
স্মৃতিচারণা:- ... ...