একজন ছিপছিপে ঢ্যাঙা ডগ ট্রেনার ক্যাম্পাসে পাক মারছে ট্রাকশ্যুট আর স্নিকার শ্যু পরে । পেছনে দৌড়চ্ছে ছ ছটা নানান কিসিমের কুকুর। ল্যাব্রাডর আছে, রিট্রিভার আছে, টেরিয়ার আছে .... আছে আরও অনেক পেডিগ্রী সারমেয় । ট্রেনারের পিছন পিছন ছুটে চলেছে একঝাঁক খেলোয়াড়ের মতো। সি ব্লকের রাকেশ মিত্তলের পোষ্য সবকটা। ট্রেনার কাম ফিজিওর মাসিক পারিশ্রমিক ত্রিশ হাজার টাকা। ... ...
রামশঙ্করের মনটা আজ একদম ভাল নেই। বাদামী রঙের ভোলাভালা ভুলোটাকে কে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে। সকালবেলায় দেখল সজনেগাছের তলায় মরে পড়ে আছে। যন্ত্রণাকাতর মুখটা অসহায়ভাবে হাঁ করা। গ্যাঁজলা শুকিয়ে আছে চোয়ালের দুপাশে। পা চারটে টানটান হয়ে অাছে। প্রাণটা বেরোবার আগে পর্যন্ত কত কষ্ট পেয়েছে ভেবে তার চোখে জল এসে গেল। ... ...
মসলন্দপুর থেকে ট্রেনে উঠল রামশঙ্কর। দুপুর দেড়টা বাজে। ডাউন ট্রেনে এই সময়ে ভিড় ভাট্টা বিশেষ থাকে না । রামশঙ্কর জানলার ধারেই জায়গা পেয়ে গেল। ট্রেন ছাড়ার পর একটা বিড়ি ধরাল। তার পাশের জায়গাটাও খালি আছে।কেউ এসে বসার আগেই বিড়িটা টেনে ফেলে দিতে হবে। ট্রেনে এখন বিড়ি ফোঁকা বারণ। ধরলে কেস খেতে হবে নিশ্চিত। কামরায় অবশ্য ধরার কেউ নেই। অনেক প্যাসেঞ্জারও অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে কামরায় বসে ধোঁয়া ছাড়লে। ... ...
চৈতি বাতাসে / মাঠে জঙ্গলে হাত পা ছড়ানো সোনাদীঘি বেনো জলে / বক মাছরাঙা বসন্তবৌরি বসে, / চৈত্র বাতাসে ঝুরো পাতা ওড়ে ... ...
জামিল রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রাণপণে ছুটছিল। তিনজন তাড়া করেছে তাকে। পাশের রেলিং-এর তলা দিয়ে একটা কাঠবিড়ালির মতো শরীর গলিয়ে ওপাশে চলে গিয়ে অ্যাঁকাব্যাঁকা গলি গুঁজির জালে মুহুর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। ওরা রেলিং পেরোনোর ঝুঁকি নিল না। অন্য এলাকায় ঢোকায় ঝুঁকি আছে। একটা ছেলে ছুটন্ত জামিলকে লক্ষ্য করে ওয়ান শর্টার থেকে একটা গুলি ছুঁড়ল। গুলিটা গিয়ে গেঁথে গেল একটা ঝোপড়ার দেয়ালে। ... ...
ঝিকিমিকি ঝিকিমিকি ................................ লাল নীল সবুজ কমলা / সব রঙ মিশে হয় বেরঙা / মানে — সাদা। / আবার রঙ যখন অগোচর / তখন ... কালো। ... ...
(শেষ পর্ব) অনেকক্ষণ পরে বাথরুমের দরজা ভেঙে শ্রুতির নিথর দেহ বার করল পুলিশ কর্মীরা। তখনও হাতে ধরা আছে রিভলভার। মাথা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যাওয়া প্রাণহীন দেহটা নিয়মমাফিক আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হল মৃত্যু শংসাপত্র সুনিশ্চিৎ করার জন্য। মনীষাদেবী প্রায় অচেতন হয়ে সোফায় শুয়ে রইলেন। তিনি কিছুই দেখতে পেলেন না। ... ...
রাত্রে কলতান একটা ফোন করল আশুতোষ মৈত্রকে । — ‘ আজ্ঞে বলুন স্যার ‘— ‘ হ্যাঁ .... আশুবাবু একটু ডিস্টার্ব করছি। ওই যে দেবযানীদেবীর কথা বলছিলেন....— ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ ... দেবযানী ঘোষ... কেন কি হয়েছে ?’— ‘ না .... কিছু হয়নি , ওনার অ্যাড্রেসটা দিতে পারবেন আপনি ? ওটা পেলে সুবিধে হয়।’— ... ...
সকাল নটা কুড়িতে আশুতোষবাবু হাজির হয়ে গেলেন। কলতান দরজা খুলে দেখল বছর ষাটেকের মাথায় কাঁচাপাকা চুলওয়ালা মোটাসোটা চেহারার এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন। হাতে একটা গুটিয়ে রাখা ছাতা। ... ...
কলতান দুটো খবরই পেল ঋজুর কাছ থেকে। মোবাইল লোকেশান ট্র্যাক করে জানা গেছে শ্রুতি টালীগঞ্জ এলাকায় ছিল। আর, সৌভাগ্য ভান্ডার ইরাবানেরই দোকান। কিন্তু গত তিনদিন ধরে বন্ধ আছে। অর্থাৎ কাল দোকানে থাকার কথাটা ডাহা মিথ্যে কথা। ... ...