“সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারা দিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।” প্রথম ভাগের ছড়া ভোলা কঠিন, অথচ হাবভাব দেখে মনে হয়না, কেউ মনে রেখেছেন! আদৌ ছড়াটি পড়েছেন বা কানে গেছে কোনো দিন, তাও ধরে নিতে কষ্ট হয়, এ কোন সকাল দেখছি আমরা? ... ...
ডিসেম্বর ডুবু ডুবু, সামনে জানুয়ারি। বিষে বিষে বিশ ক্ষয়, ওই দেখো আসছে একুশে! অতিমারির বছর ঘুরলো সর্বশেষে, বছর ঘুরলো গেরস্তের, যা সর্বনেশে!সব খারাপ জিনিসেরই আড়ালে একটা ভালো দিক আছে। অতিমারিই বা বাদ যায় কেন ? এই যেমন বাড়িতে অতিথি আসা যাওয়া বন্ধ। গৃহস্বামী খরচের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন অতি সহজেই। চক্ষুলজ্জার কোনো বালাই নেই। গৃহিনীও শান্ত। ছেলে-মেয়েরাও সুবোধ বালক বালিকা। এটাও মন্দের ভালো নয়? বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই নতুন ক্লাসে উঠে গেল সবাই। সেও তো অতিমারি হেতু। এজন্য সবাই খুশি। সামনে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। টেস্ট ছাড়াই পরীক্ষা হলে ঢোকার সুযোগ - এও বা কম কি?সব খারাপ অবস্থার পিছনে একটা ভাল ... ...
বাতাসে হিমের পরশ। শীত শীত ভাব। সকালের সোনালী রোদ ভারি সুখের! সুদূর সাইবেরিয়া থেকে ওরা ডানা মেলে আসছে, সাঁতরাগাছির ঝিলের পথ চিনতে কখনো ভুল হয়না। পরিযায়ী পাখি। কাগজের প্রথম পাতাটা ওদের মনে হয় কেনা, ছবি ছাপা হলো বলে!মানুষের নামের আগে পরিযায়ী তকমা বসাল কারা? ভাগ্য ছাড়া আর কিইবা বলা যায়? পাখির কোনো মানসম্মান বোধ নেই। আজ এখানে তো কাল ওখানে। কিন্ত মানুষের তো একটা ঠিকানা থাকবে, যার সে জন্ম মুহূর্তে অধিকারী হয়। তাহলে তাকে পরিযায়ী তকমা বয়ে বেড়াতে হবে কেন?লোক পথে নামে পেটের তাগিদে। কাজ খুঁজতে ভিন দেশে পাড়ি দেয়। যদি দানাপানি জোটে। আপেল তোলা, মোট বয়ে বেড়ানো, আরও কত রকমের ... ...