#redvolunteershaltu #rebuildbengalleft স্বেচ্ছাশ্রম, এই বিষয়টাই যথেষ্ট বিতর্কিত এবং বৈপরীত্যে ভরা।লোকের, সমাজের, দেশের সত্যিকারের উপকার, উপকারের ভড়ং আর ভড়ং করতে গিয়ে খানিকটা উপকার ও বাকিটা স্বার্থসিদ্ধি সবকিছুরই নানা মাত্রার মিশ্রণ, জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রে উদাহরণ কম না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি সামাজিক বা রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকেছি, সবসময়েই। এটা একটা অভ্যেস। মতান্তরে বদভ্যাস। ছাড়তে পারিনি। রাজনীতির ক্ষেত্রে একটু বিচিত্র অবস্থা, সকলেই মনে করেন রাজনৈতিক সংগঠন খুব খারাপ জিনিস, এমনকি নিজেরা যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁরাও তাই মনে করেন অনেকাংশে, এবং অর্থপূর্ণ সামাজিক পরিবর্তন রাজনৈতিক সংগঠন এখনকার সময়ে আর পারবে কিনা তাই নিয়ে বিতর্ক আছে। তাই দয়ালু মিলিয়নেয়ার বিলিয়নেয়ারদের বাজার এখন ভালো। সংস্কৃতির জগতে, একেবারে দলবদ্ধ ... ...
প্রতিষ্ঠানবিরোধী রাজনীতিতে কিশোর অতিনিবেদিত কাসাব্লাংকা বা সুকান্ত ঘরানার বামপন্থী হিসেবে সংস্কৃতির জগতে বৌদ্ধিক চর্চার জগতে খানিকটা সরলীকৃত যাতায়াতের অভ্যেস ছিল। যেসব বন্ধুরা দেশ পত্রিকায় কবিতা ছাপানোর জন্য আকুলি বিকুলি করত, বা আনন্দ পাবলিশার্স এর আপিসে একদিন সিকিউরিটির বেড়া পেরোতে পারত তাদেরকে ঠিক সিআইএর চর মনে না করলেও আমরা তাদের কলকেতে স্খলন নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় থাকতাম। তরুণ বন্ধুসহ সব লেখকলেখিকাদের মধ্যে আত্মপ্রকাশের আর্তির ওজন, সমাজ সচেতন রাজনীতির থেকে পাল্লায় ভারী হল কিনা খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজেদের লেখালিখি বা তার নিরীক্ষার চর্চা থমকে থাকত। ... ...
আজ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, এই সময় পত্রিকায় বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা বিষয়ে আমার একটি প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে, এখানে লিঙ্ক ও ছবি দেওয়া হল। খুব স্বাভাবিক ভাবেই আজকের হাইকোর্টের রায়ের আগে এটি লেখা হয়েছে এবং প্রকাশিত হয়েছে। মোদ্দা বক্তব্য ছিল এই: কতিপয় ছাত্র-ছাত্রীর উপরে যে আক্রমণ নেমে এসেছে তার মূল কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ক্ষমতার বিন্যাসে এবং সামাজিক ভাবে তারাই দুর্বলতম। ... ...
ছেলেমেয়েরা কঠিন পরীক্ষা দিচ্ছে। ক্যাম্পাসের পূর্ব কোণে অন্ধকারের রাজার সরকারি আবাসন ঘেরা দুর্গের মত করে। বিশাল উঁচু গেট আর বেড়া, সিকিউরিটি গার্ড সিসি টিভি ইত্যাদি। স্বাভাবিক ভাবেই পোস্টার ফেস্টুন পড়ছে, গৃহযুদ্ধের ভাষায়, 'নো পাসারান'। সমস্যাটা কি, ছেলেমেয়েরা রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অকারণে কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতা প্রদর্শনে আপত্তি করেছে, সরকারি হিন্দুত্ব রাজনীতির সক্রিয় চর্চায় আপত্তি করেছে। পেশার জীবনের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো ছেলেমেয়েদের জীবনের ক্ষতি করার চেষ্টা চলছে সে অপরাধে। কারণ তারাই ক্যাম্পাসের ক্ষমতার বিন্যাসে সামাজিক অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বলতম। ... ...
বিশ্বভারতীর স্বৈরাচারী উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের (রূপা, ফাল্গুনী, সোমনাথ) বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মাষ্টারমশাইদের প্রতি ভালোবাসা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনকে মুক্তচিন্তার পরিসর হিসেবে দেখতে চাওয়া কোনো অপরাধ না। এইসব একেবারেই ছোটোদের জীবন নষ্ট করা চলবে না। ... ...
সংস্থাটির সঙ্গে আমি ২০০৭-২০০৮ থেকে জড়িত। মূলতঃ শ্রীযুক্তা সুপ্রিয়া রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকজন মানুষ এই সংস্থার কাজ আরম্ভ করেন। মূলতঃ উত্তর পূর্ব কলকাতায় দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশুনা করানো হয় ড্রপ আউট কমানোর লক্ষ্যে। এছাড়া ইঁটভাটা গুলিতে যে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারগুলি আসেন তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়ানোর কাজ করা হয় সুযোগ পরিস্থিতি অনুমতি অনুযায়ী। এবছর লকডাউনের সময় যথাসাধ্য সাহায্য করা হয়েছে। ... ...
In a heady evening of taking sides, when the hapless news junkie in me had to be laid to rest, I am rooting for Atique Rahimi, as against Khaled Hosseini, knowing fully well it is stupid to compare novelists practically exiled from their country for last four tumultuous decades. There is hope in Hosseini, which I cannot handle in literature on a good day. It is probably the over exposure to the reader's digest model all around in 70s and 80s. It is mostly meaningless in our times finally, years after Baudelaire and should I say Charles Wilson.Rahimi uses Dostoyevsky's ... ...
একটা ছোটো বিষয় পরিষ্কার করা দরকার হতে পারে। আমি সিপিএম সমর্থক হিসেবে শ্রমজীবি ক্যান্টিন পরিচালনার কাজে জড়িয়ে আছি। গত লকডাউন থেকেই অনিয়মিত ভাবে এ কাজ পাড়ায় চালাচ্ছেন সিপিএম-এর সদস্য সমর্থকরা। তখন ছিলাম এখনও আছি। যা প্রয়োজন তার তুলনায় কিছুই করতে পারি নি এবং ব্যক্তিগত সামর্থ্যের শেষ সীমায় পৌঁছেছি, দুটি কথাই সত্যি। প্রথমটিই বেশি সত্যি, তবে নির্মম না, কারণ কিছু লোক শ্রমের মূল্য পান না তার চেয়ে নির্মম কিসু নাই। আমার রাজনৈতিক কাজকর্ম রাজনৈতিক ভাবে বামেরা কোণঠাসা হবার পরে আরো বেড়েছে। এতদ্বারা আমি মহান প্রমাণ হল না অবশ্যই। ... ...
#rebuildbengalleft বিজেপির রাজ্য সভাপতি তাঁর নিজের দলের কাউন্সেলর এর বাড়ির পিছনে বা সামনে বা অন্তত অনতিদূরে নাগরিক দের মলত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন। এরকম সিভিক সলিউশন সত্যিই বিরল।আরেকজন আদ্যপান্ত সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ, রাজনীতি থেকে চলে গেলেও, সাংসদ পদটি ছাড়তে পারছেন না। একজন রীতিমত শিক্ষিত বিজেপি নেতা, তিনি আবার রাজ্যপাল পদ অলঙ্কৃত করে থাকেন, নিয়মিত কদর্য আক্রমণ করেন সমাজের নানা অংশের মানুষকে। আর দুজনের অপূর্ব রূপকথার মতো শাসন কালে দাড়ি ও টাক ফ্যাশনেবল হওয়া ছাড়া আর কিছু বিশেষ দেশের কাজ হয় নি, যা হয়েছিল তা বানচাল করা চলছে। আপাদমস্তক স্বৈরাচারী এবং মিথ্যাচারী। তাঁদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী হুমকি এবং এনকাউন্টার দিয়ে রাজ্য চালান। বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল জোর ... ...
#rebuildbengalleftযাঁরা সংবিধান পূজা করার পরে কৃষকের স্বাধীনতা বড় বিপণনকারী সংস্থার পায়ে লুটিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে, কৃষি আইন আনতে, অর্জিত অধিকার হরণের উদ্দেশ্যে, শ্রম আইনের পরিবর্তন আনতে, দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা জাতীয় সম্পদ বিকিয়ে দিতে পিছপা হননা, হতদরিদ্র মানুষের নাগরিকত্ব হরণের জন্য ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করেন, দুই রাজ্যের মধ্যে কার্যত জাতিগোষ্ঠীর যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যাঁদের রামরাজ্যে মানুষ বাচ্চাকাচ্চা সহ হেঁটে পাড়ি দেয় হাজার কিলোমিটার, মৃত প্রিয়জনকে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হয়, ভ্যাকসিন নেবার জন্য মারামারি করতে বাধ্য হয়, খাদ্য, বস্ত্রে স্বনির্বাচনের অধিকার হারায়, অভিযুক্ত বিচার হবার আগে এনকাউন্টারের সম্মুখীন হয়, ডাক্তার বা দেশের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় ও তার পরিবার আক্রান্ত হন শুধু তাঁদের ... ...