কথা কইতে ঠেক লাগে প্রতিপদে,অথচ কত কথাই যে মনের ভেতর ফুটে উঠতে চায়...তাই ফুটে যাবার আগে লেখালেখি করে কিছু ফুটেজ যদি কামানো যায়... ... ...
পরির বাড়িতে একতলার বসার ঘরে হুড়মুড়িয়ে ঢুকেই নিখিল দেখল অচেনা এক ভদ্রলোক বসে আছেন। নিখিল একটু হকচকিয়ে কী বলবে ভাবছে, কিন্তু তাকে দেখেই ভদ্রলোক এমন দাপটের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দিলেন, যেন অনেক দিনের চেনা।“বসুন, বসুন। আরে, এখানে নয়, এখানে নয়, ওই...ওই...চেয়ারটায়”। চেয়ারটা সন্তর্পনে একটু দূরে সরিয়ে খুব সাবধানে নিঃশব্দে বসল নিখিল। মনে হল চেয়ারটা যেন ফঙ্গবেনে কাচের, একটু এধার ওধার হলেই ভেঙে চুরচুর হয়ে যাবে। নিখিলের বসাটা মন দিয়ে লক্ষ্য করার পর ভদ্রলোক জিগ্যেস করলেন, “হুঁ, হুট করে একেবারে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়লেন, তা কাকে চাই?”নিখিল খুব আমতা আমতা করে বলল, “আামি নিখিল, ইয়ে মানে... পরি...মানে পরিচিতা নেই?”ভদ্রলোক ... ...
আমার আঁতেও তেল নেই, ইয়েতেও তেল নেই - তাহলে আর আঁতেল হব কী করে? পাত্রাধার তৈল নাকি তৈলাধার পাত্র-র মতোই আঁতেলদের ভেতরে আধার থাকতে হয়, আমার ভেতরের সবটাই অজ্ঞানের আঁধার - কাজেই এ জন্মে মনেতে গেরো বাঁধার গেরোয় না পড়ে না হয় আঁতেল হলামই না। তাতে খি বা কার আসে যায়? ... ...
“আপনে কোন স্টেশনে নামবেন, বাবু?”মাথা বোঝাই উস্কোখুস্কো চুল, একমুখ দাড়িগোঁফ। দুটো পা তার অচল। মুখে একগাল হাসি, চোখদুটো চিকচিক করছে, যেন খুব মজা পেয়েছে। ভাবলাম আলাপ-টালাপ শুরু করে ভিক্ষে চাইবে হয়তো, এ হচ্ছে তারই ভূমিকা। লোকটার প্রশ্নে একটু অবাক হলেও, বিরক্তি চেপে উদাসীন সুরে বললাম, এই ট্রেনের প্রান্তিক স্টেশনের নাম। আমার কথায় দাড়িগোঁফের জঙ্গলে ঢাকা, তার মুখের ভূগোলে হাসির সাম্রাজ্যবিস্তার ঘটে গেল মূহুর্তে।“কাদের বাড়ি যাবেন, আজ্ঞে?” এত খোঁজে তোমার কী দরকার বাপু? আমি চলেছি আমার অজানা এক জনপদে, আমার কাছে সে তো অচিনপুর। কিন্তু সেখানকার সব লোককেই কি তুমি চেন বুঝি? সেখানে কেউ কি তোমার অচেনা নেই? তাছাড়া আত্মীয়-কুটুম-বন্ধুর বাড়ি ... ...
প্রশ্নটা রীতিমতো উস্কানিমূলক। আগে উত্তর দিন তো দেশপ্রেম মানে গোমাতার মূত্রপান? নাকি ইতিহাসের সত্যের ষষ্ঠীপুজো করে ঐতিহাসিক ভুল করে যাওয়া? আগে এসব প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দিন,তারপর না হয়।.. আ মোলো, জবাব চাইতেই অমন লাঠিসোঁটা নিয়ে মারতে আসেন কেন? হে হে হে হে আমি হচ্ছি মানে ইয়ে - মানে ওই আর কি - যাকে বলে ---বুঝলেন না? ... ...
“কীরে, এসে থেকে মুখটা অমন করে আছিস কেন?”“কেমন করে আছি?”“তোলোহাঁড়ির মতো”!“তোলোহাঁড়ি? তার মানে”?“ধুর বাবা, তার মানে কী আর আমিও জানতে গেছি। যেমন শুনেছি তেমন বললাম”।“কোথায় শুনেছিস?”“ছোটবেলায়। দিদিমার কাছে!”“তোর ছোটবেলা মানে, সেই বর্ধমানের গ্রামের কথা?”“বাঃ বেশ মনে রেখেছিস তো! এমন ভাব করিস, আমাকে যেন পাত্তাই দিস না। অথচ দিব্যি মনে রেখেছিস, আমার ছোটবেলা কেটেছিল বর্ধমানে”!“মনে না রেখে উপায় আছে? একবার শুরু করলে তো, থামতেই চাস না”।“রাগ করিস না রে, সেদিন আর বেশি দেরি নেই, যখন তোর বকবকের ঠ্যালায় আমি এক্কেবারে চুপ মেরে যাবো!”“ইস্ কী মজা, সেদিনটা কবে আসবে রে?”“আসবে খুব শিগ্গিরি আসবে! আচ্ছা তুই বিয়ের পর হাজব্যাণ্ডকে হাবি না ডার্লিং কী ... ...
আমার আঁতেও তেল নেই, ইয়েতেও তেল নেই - তাহলে আর আঁতেল হব কী করে? পাত্রাধার তৈল নাকি তৈলাধার পাত্র-র মতোই আঁতেলদের ভেতরে আধার থাকতে হয়, আমার ভেতরের সবটাই অজ্ঞানের আঁধার - কাজেই এ জন্মে মনেতে গেরো বাঁধার গেরোয় না পড়ে না হয় আঁতেল হলামই না। তাতে খি বা কার আসে যায়? ... ...