এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অনন্ত লেকের জলে চাঁদ পড়ে আছে

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ জুন ২০১৬ | ৯৭২১ বার পঠিত
  • তারপর একদিন আমরা জেগে উঠি দীর্ঘ নিদ্রার পর। রূপকথার মতো, নারীর মতো, প্রেমের মতো সেইসব প্রথম ভোরের আলোয় সত্যের মুখ দেখা যায়। সেই অনাস্বাদিত ভোরবেলায় আমি ফিরে আসি গন্তব্য ছেড়ে, লাস্ট ট্রেন মিস করে নিজের শিকড়ের কাছে। সে আমার নিজস্ব মাকন্দো। আমার দক্ষিণ কলকাতা। প্রথম প্রেমের মত যাকে লুকিয়ে রাখতে হয় টেস্টপেপারের পাতার ভাঁজে। সেই প্রেম তাত্বিকতার খবর রাখে না। তা ছিল নিতান্তই সমর্পণ। তাতে সরলতা ছিল।

    আমরা যারা গদার বর্ণিত মার্ক্স ও কোকাকোলার সন্তান, তাদের নব্বই দশকের প্রেমে তুমুলভাবে ফিরে ফিরে এসেছে দক্ষিণ কলকাতা। এমনকি উত্তরের ছেলেমেয়েরাও প্রেম করতে চলে আসত এখানে। এই সেই গড়িয়াহাটার মোড়, যেখানে ভিড়ে ভিড়াক্কার রাস্তায় প্রেমিকার হাতবদল হয়ে যায় অনায়াসে। এই সেই গলফগ্রিন কবরখানা, যেখানে অ্যাংলো তরুণীর কবরের ওপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া যেত। এবং এখানেই সেই ঢাকুরিয়া, যার অনন্ত লেকের জলে চাঁদ পড়ে ছিল। আছে।

    আমি বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে পড়তাম, এবং অবধারিতভাবে আমাদের বন্ধুদের প্রথম প্রেম ঘুরেফিরে ধাক্কা খেয়েছে রিচি রোড, লাভলক সরণী আর ম্যাডক্স স্কোয়ারের আধো অন্ধকার গলিঘুঁজিগুলোতে। শীত পড়ার আগে আগে, যখন একটা আবছা ধোঁয়াটে চাদর জড়িয়ে থাকে সন্ধের শহরের গায়ে, সেই সময়ে এইসব জায়গাগুলো মায়াময় হয়ে ওঠে। একটা নরম মনকেমন আলগা লেগে থাকে ফুটপাতের পাশে কৃষ্ণচূড়ার শরীরে, ম্যাডক্সের ঘাসের শিশিরে, উঁচু উঁচু পুরনো ফ্ল্যাটবাড়ির কালচে বিবর্ণ দেওয়ালে। হাজরা রোড থেকে তিনখানা পরপর গলি দিয়ে ম্যাডক্স স্কোয়ারে ঢোকা যায়। তার একটার গায়ে আটকে থাকা অনেক পুরনো পুরনো বাড়ি আছে। সেখান দিয়ে হেঁটে গেলে সন্ধেবেলা নাচের ধপধপ আওয়াজ পাওয়া যেত। পাওয়া যেত ঘ্যাসঘ্যাসে রেডিওর বেগম আখতারকে। কত কত সন্ধেবেলা আমি এবং সেই মেয়েটি দুজনে হাঁটতে হাঁটতে চুপ করে দাঁড়িয়ে পড়েছি সেইসব বাড়িদের সামনে ! চুপচাপ শুনে গেছি ‘তুঝসে মিল কর হামে, রোনা থা, বহোত রোনা থা’। বেগম কাঁদতেন। গ্র্যান্ডফাদার ক্লকে ঢং ঢং করে ছ’টা বাজত। কেউ একজন দোতলা থেকে গলা তুলে বলত, “মালতি, চায়ের জল চাপানো হল?” অন্ধকার ম্যাডক্স স্কোয়ারের বেদিগুলো তখন সন্ধ্যের পাগল, পথহারানো ভিখিরি আর মনকেমন ক্লান্ত বেশ্যাদের মাথা রাখার জায়গা। এই পৃথিবীর কোনো ঈশ্বর যে জীবনকে কখনো কুড়িয়ে নেবে না।

    আরো ছিল বিড়লা মন্দিরের পাশের গলি। গোটা গলিটা অস্বাভাবিক রম্য এবং নির্জন। প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে যাবার পর দুম করে ধাক্কা খেয়ে শেষ হচ্ছে এক প্রাসাদোপম নিস্তব্দ বাড়ির গেটে। রাস্তার দুধারে প্রহরীর মত পাহারা দিচ্ছে কৃষ্ণচুড়া এবং রাধাচুড়া, ঝড়ের সময় আমাদের শরীরে যারা ঝরণার মত ফুলের কুঁড়ি বিছিয়ে দিত। হিম হিম নীরব সেই গলির একটা ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকত এক অন্ধ অ্যালসেশিয়ান। তাকে নিয়ে তার বৃদ্ধা মানুষ বন্ধুটি প্রতিদিন বিকেলবেলা গলিপথে হাঁটতেন। অন্ধ কুকুর মাঝে মাঝে চলতে চলতে ল্যাম্পপোস্টের গায়ে ধাক্কা খেত। ককিয়ে উঠত আলতো। কিন্তু বৃদ্ধা কিছুতেই তাকে চেনে বাঁধতেন না। ছেড়ে দিতেন নিজের মত করে। গন্ধ শুঁকে শুঁকে নড়বড়ে পায়ে আবার সে টলতে টলতে ফিরে আসত বন্ধুর কাছে। হাঁটুতে মাথা ঘষত। তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া হত। রাস্তার ধারে একটা বেঞ্চে বসে থাকত দুজনে । সম্ভবত এই পৃথিবীতে দুজনেই নিঃসংগ ছিল। অনুমান করতাম, কারণ আমার প্রেমিকা একবার সেই কুকুরটির মাথায় হাত বোলাচ্ছিল, আর কুকুরটি বারেবারে গন্ধ শুঁকে অনুমান করবার চেষ্টা করছিল কে এই নতুন মানুষ! বারেবারে মাথা ঝাঁকিয়ে, নাক ওপরে তুলে, প্রাণপণে হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিচ্ছিল, জিভ দিয়ে চেটে দিচ্ছিল গা। সম্ভবত বৃদ্ধাটিকে বাদ দিলে তার ভাগ্যে অন্য মানুষের আদর জুটত না। আমি অ্যালসেশিয়ানটির অন্ধ চোখে তখন জল দেখেছিলাম। দক্ষিণ কলকাতার প্রেমের কথা উঠলে আমার আজও অবধারিত মনে পড়ে যায় এক অন্ধ অ্যালসেশিয়ানের চোখের কোণায় এক ফোঁটা জলকে।

    আমরা তখন সদ্য স্কুল পেরচ্ছি, কলেজে ঢুকব ঢুকব করছি। দুহাজার সাল ততদিনে দুই তিন বছরের পুরনো হয়ে গেছে। আমাদের মধ্যবিত্ত টানাটানির ছাত্রজীবনে প্রেম মানে তখন টিউশনির টাকা বাঁচিয়ে বালিগঞ্জ ধাবায় এক প্লেট মাটন কষা আর দুখানা রুটি ভাগাভাগি করে খাওয়া। বইমেলাতে সারাদিন দুজনে ঘুরে ঘুরে দুখানা লিটল ম্যাগ কিনে শুকনো মুখে বাইরে বেরনো। প্রেম মানে তখন হাজরা থেকে হেঁটে হেঁটে আনোয়ার শা রোড আসা। বাসভাড়া দিয়ে একটা এগরোল কিনে দুজনে ভাগ করে খাওয়া। যখন রোলটা শেষ হয়ে আসত, দুজনেই শক্ত করে কাগজটা চেপে ধরে রাখতাম। পালা করে অল্প অল্প কামড় দিতাম। যাতে অপরজন শেষ টুকরোটুকু খেতে পারে। প্রেম মানে তখন পাড়ার এসটিডি বুথে ২ টাকা দিয়ে পাঁচমিনিট ফোন করে তিনমিনিট দুজনেই চুপ করে থাকা। কি বলব কেউ জানত না। আজকের জেন ওয়াই সম্ভবত ভাবতেও পারবে না মোবাইল ফোনবিহীন সেই যুগে চিঠি লিখে প্রোপোজ করার অনুভূতি কেমন ছিল। ডায়রির পাতা ছিঁড়ে যত্ন করে গোটা গোটা অক্ষরে লিখে তাকে দুভাঁজ করে রেখে দেওয়া বইয়ের ফাঁকে। দুরুদুরু বুকে নীল স্কার্ট আর দুই বিনুনীর গম্ভীর চশমাওয়ালা মুখের সামনে গিয়ে দাঁড়ানো। কাঁপা হাতে তুলে দেওয়া চিঠি। বেশিরভাগ সময়েই উত্তর আসত ‘পরে জানাব’। সেই ‘পরে’টা সাধারণত আর আসত না। আস্তে আস্তে সকলেই ভুলে যেত। একলা রোগা ছেলেটি শুধু মাঝে মাঝে একটু অন্যমন্সক হয়ে পড়ত যখন মেয়েটির স্কুলের সামনে দিয়ে যেত। হয়ত পা-টা ধীর হয়ে যেত অজান্তেই। তারপর সমবেত স্কুলবালিকাদের খিলখিল হাসির শব্দে চমকে গিয়ে কান ফান লাল করে দ্রুত পায়ে প্রায় দৌড়ে পার হয়ে যেত সেই চত্বর। তারপর যা হয়, জীবন নিজের ছন্দে গড়িয়ে যেত। সেই ছেলেটা বড় হত। বিদেশ চলে যেত পড়াশোনা করতে। তার আর মনেও থাকত না সেই চিঠি বা মেয়েটির মুখ। কিন্তু দেশে ফিরে আসার পর এক শীতের বিকেলে সে আবার অজান্তেই বেলতলার সেই স্কুলের সামনে চলে যেত। পা যেন তাকে চালিয়ে নিয়ে আসত। আর তারপর স্কুলের উল্টোদিকের তিনকোণার বেদীর রেলিং-এ সে অনেক অনেকটা সময় বসে থাকত। চুপচাপ। কোনো কারণ ছাড়াই।

    দক্ষিণ কলকাতার এই আলো-আঁধারি রহস্যের ম্যাজিক মোমেন্টগুলোই আমাদের একটা প্রজন্মকে প্রেম চিনিয়ে দিয়েছিল। ম্যাডক্স স্কোয়ারের দুর্গাপুজোর কথা বলছি না। সেটা বছরের একটা বিশেষ সময়ে ঘটত, আর সত্যি বলতে কি আমার বেশ কৃত্রিম এবং ওভারহাইপড লাগত ব্যাপারটা। তার বাইরে সারা বছর ধরে কুয়াশার চাদর গায়ে অথবা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে, রোদে পুড়ে কিংবা যাদবপুরের বাবুর্চির রোলের দোকানের সামনে লম্বা লাইনে যে প্রেম, সেই প্রেমের কোনো তুলনা আমি পৃথিবীর অন্য কোনো শহরে পাইনি। প্যারিসে স্যিয়েন নদীর ধারে দেখেছি প্রেমিকা বই পড়ে শোনাচ্ছে আর প্রেমিক তার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে। ডাবলিনে টেম্পল বারের রাস্তায় দুই প্রেমিকা পরস্পরকে নরম আদর করছে দেখেছি। কিন্তু স্বার্থপর এবং অন্ধ গোঁয়ারের মত তারপরেও নিজের শহর নিয়ে লড়ে গেছি, দুখানা মাত্র কারণে। ডাবলিন হোক বা প্যারিস, ওদের কোনও দক্ষিণ কলকাতা ছিল না। আর ওদের ভাষাটা বাংলা নয়। সদ্য ক্লাস ইলেভেনের একটা রোগা, নরম দাড়ি ওঠা ছেলেকে যোধপুর পার্কের আর্চিস গ্যালারির সামনে দাঁড়িয়ে এক নরম আকাশী রং-এর ওড়না দেওয়া সালোয়ার কামিজ একবার বলেছিল, “তুমি করে ডাকবি না। বুড়োদের মত শোনায়। তুই করে ডাকিস প্লিজ”। ছেলেটার তখন মনে হয়েছিল পরের সাতদিন ধরে মেয়েটার নরম আংগুল ছুঁয়ে থেকে আলতো করে শুধু ‘তুই, তুই আর তুই’ বলে যায়। মেয়েটা চলে যেতে যেতে পেছন ফিরে তাকিয়ে গালের পাশ থেকে একটা চুলের গোছা আলতো হাতে সরিয়ে বলেছিল, “তুই সিগারেট খেলে সেই গন্ধটা আমার খুব ভাল লাগে জানিস!” সেলিমপুর ঢাকুরিয়ার সাতাত্তর রকম আলোর ছটা ছিটকে এসে তখন ভিজিয়ে দিচ্ছে আমাদের চোখ।

    সেই প্রেম কালের নিয়মেই টেকেনি। কিন্তু তাতে কি ! দক্ষিণ কলকাতার গল্পগুলো, মায়া রহস্য আর ম্যাজিকগুলো তো তাতে মিথ্যে হয়ে যায় নি !

    (চলবে। আরো কিছুটা)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ জুন ২০১৬ | ৯৭২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • anandaB | 154.160.130.91 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৬:৩৫54994
  • ব্রিলিয়ান্ট। নট নেসেসারিলি প্রেমের কনটেক্সট এ, কিনতু এই লেখার সাথে নিজের অনুভূতি বেশ রিলেট করতে পারি (সেভাবে ভেবে দেখলে শাক্য -র আগের কয়েকটি লেখাতেও এই যোগাযোগ টা পেয়েছি)

    পরের পর্বের আশায় রইলাম
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৬:৫৭54995
  • অনেকক্ষণ ধরে পড়লাম।

    অনেককিছু বা প্রায় কোনোকিছু না মিলেও রিলেট করতে পারলাম।
  • পারমিতা | 127.194.244.121 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৭:০৪54996
  • শ্যাক্যজিত এর লেখা পড়লে কেমন এক ভালোলাগা .. ভালোবাসা অনুভব করি।এই লেখাটা পড়ে এই লাইনটা গাইতে ইচ্ছে করল. "এই শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু"
  • Arpan | 24.195.237.6 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৭:০৯54997
  • বড় মায়া, ভাঙাচোরা মায়া।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৭:১৫54998
  • যাদবপুরে আমাদের এক প্রোগ্রামে সুমন এই গানটা গেয়েছিলেন। গানটা গেয়েছিলেন বলা ভুল। একটা করে লাইন গেয়েছিলেন, আর তার আগে সেই লাইনের পিছনের গল্প বলেছিলেন। সবচে বেশি গল্প ছিল এই স্ট্যান্জার জন্য।

    'প্রথম প্রেমে পড়ার পর সবাই পস্তায়
    হন্যে হয়ে ক্লাশ পালিয়ে ঘুরেছি রাস্তায়
    প্রথম প্রেম ঘুচে যাওয়ার যন্ত্রণাকে নিয়ে
    কান্না চেপে ঘুরেছিলাম তোমারই পথ দিয়ে
    এই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু,
    পালাতে চাই যতো সে আসে আমার পিছু পিছু।
    '
  • Ela | 12.120.105.7 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৭:২২54999
  • আহা!
  • Anuvab Palit | 113.252.24.48 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৯:২৩55000
  • Onekkhon dhore barbar porlam... amar e golpo... chonra tuke diyeche... asha kori erom aro tukbe ebong ami bar bar porbo... Sakya r tukli dirghojibi hok...
  • She | 126.203.189.42 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ১০:২১55001
  • অনেক দিন পর শাক্যর 'সেই রকম' মায়াবী লেখা ।
  • কল্লোল | 125.185.150.76 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০১:৩১55003
  • আমি শাক্যের আগের প্রজন্ম। ফলে স্কুলে, এমনকি কলেজেও প্রেম অতি মহার্ঘ বস্তু ছিলো, যা কারুর কারুর কপালে জুটতো। কিন্তু আমি সেন্ট লরেন্সের, তাই এই চুনসুরকি অলিগলি আমার প্রাণের দোসর। মন খারাপ হলে হেঁটে যেতাম সেন্ট লরেন্সের গেট থেকে বালিগঞ্জ সার্কুলার ধরে কোয়ালিটি অব্দি (ধাবা তখন তৈরী হতে আরও দুই দশক)। আশ্চর্য মায়াবী রাস্তার দুধারে রূপকথার মতো বাগানওয়ালা বাড়িগুলি পিয়ানোর চাবির মতো টুংটাং বেজে যেতো নানান পর্দায়, আর সুরে ভেসে যেতো ধূসরকালো অ্যাসফল্ট। মন ভালো হয়ে যেতো।
  • কল্লোল | 116.51.31.34 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৬:০২55004
  • নির্মলা রেস্টরেন্ট যাইনি তখন। খেয়াল পড়ছে না।

    পাইদি, সুমনের এই গানটা, এবং প্রতিটা লাইন গেয়ে তার সাথে স্মৃতিচারণ, এটা তো রেকর্ডিং-ও আছে। আকাশবাণীতে একটা ইন্টারভিউতে শুনেছিলাম।
  • শাক্যজিৎ | 116.51.31.34 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৬:০৩55005
  • ওপরের জন আমি, মানে শাক্যজিৎ। কল্লোল হয়ে গেল কি করে জানি না। বাগ ঢুকেছে মনে হয়। ফেসবুকেও কেউ কেউ বলছেন যে লেখার তলায় কমেন্ট করতে পারছে না। অ্যাডমিন একটু দেখবেন
  • Ranjan Roy | 132.180.220.170 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৬:১৩55006
  • কল্লোল ,
    ১৯৬৮তে খুলেছিল, মুরলীধর কলেজ পেরিয়ে ফুটপাথ ধরে গড়িয়াহাটের মোড়ের দিকে এগুলে। তাতে চমৎকার দোসা আর কফি, আমাদের পকেট গড়ের মাঠ, তাই মহার্ঘ। তবু টিউশনির পয়সায় কখনও সখনও দোসা ৬০ থেকে ৬৫ পয়সা, কফি ৩৫ পয়সা, ৫ পয়সায় হয় দুটো চারমিনার বা একটা পানামা সিগ্রেট, যার যেমন পছন্দ।
    মানে পুরো একটাকায় রাজসিক ব্যাপার।
    তখন কফি হাউসে কফি ২৫ পয়সা, কোল্ড কফি ৪০ পয়সা, দোসা ৪০ পয়সা।
    নির্মলায় প্রথম টের পেলাম যে দোসারও রকমফের আছে--প্লেন, ওনিয়ন ও মশলা।ঃ))
    এখন ফ্লাইওভার হয়ে যশোদা ম্যানসন আড়াল হয়ে গেছে। ফুটপাথ ঘেঁষে রিফিউজি মার্কেট কৌলীন্য পেয়েছে।
    আলেয়া সিনেমা বন্ধ হয়েগেছে। রবিবারের মর্নিংশো গুলো? ৪১ পয়সায় সামনে কাঠের চেয়ারে? সেই সোফিয়া লোরেনের 'Two Women বা Hell is for Heroes!!
    হাফপ্যান্ট পরে দেখতে যাওয়ায় সোফিয়ার বইটায় মেট্রো সিনেমার সেই প্রবাদপ্রতিম ছ'ফুটিয়া সিকিউরিটি আমায় ঘাড় ধরে লাইন থেকে বের করে দিয়েছিল। আলেয়ায় কোন প্রবলেম নেই। কোথায় যে চলে গেল!!
  • Ranjan Roy | 132.180.220.170 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৬:১৫55007
  • শাক্য,
    বুঝলাম। কল্লোল পাইকে দিদি বলছে দেখে একটু ভেবলে গেছলাম, এখন জানলাম ছারপোকা ভূতের কারসাজি।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৯:৫৮55008
  • তখন টিউশনির রোজগারের পয়সা কেমন ছিল? মাসে সাতটাকা?
  • Ranjan Roy | 132.180.220.170 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ১২:৪৪55002
  • একই কমেন্ট আমারও।
    এটা নব্বই দশকের দক্ষিণ কোলকাতা। কিন্তু ৬০-৭০ এর দশকের সঙ্গে কী মিল, কী মিল!
    হয়ত ১৯৯০ থেকে ২০০০ একটু দূরে, ৭০ এর থেকে একটু কাছে।
    শাক্যকে জিগাই-- গড়িয়াহাট মোড়ের কাছে নির্মলা রেস্টোরেন্ট তখনও ছিল?
  • কল্লোল | 125.242.151.166 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০২:১৭55009
  • রোজগার বলতে খারাপ না। ভবানীপুরে ক্লাশ ফোর/ফাইভের দুই ভাইকে পড়াতাম। তখন পড়ানো মানে সব সাবজেক্ট। তাতে ১০০টাকা পেতাম। এটা ১৯৭৭-৭৮।
    কিন্তু খচ্চাও তো কম। ৫ পয়সায় চারমিনার। ১০ পয়সায় চা। ১০ পয়সায় টালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে এসপ্ল্যানেড বাস ভাড়া। ট্রামে বোধহয় ৭ পয়সা, তাও খিদিরপুর ঘুরে। ৬৫ পয়সায় সিনেমা। মানে, ১ টাকায় টালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে ধর্মতলা গিয়ে, সিনেমা দেখে, চা -সিগারেট সাঁটিয়ে ফিরে আসা যেতো।
    ভুররা গাঁজা, পুরিয়া ২৫ পয়সা। ববের ঠেকে ভালো গাঁজা ৪০ পয়সা পুরিয়া। চরস ১টাকা গুলি। তাতে চারজনের ভালো ধুমকি হতো।সাথে কমদামী ফিল্টার সিগারেট লাগতো , ঐ ৭/৮ পয়সা স্টিক। নেশা একটু পাকা করতে ৫ পয়সার গুলি লজেন্স ৫টা।
    নির্মলায় যাইনি। বড্ড খরচ। আমাদের লেক মার্কেটের উল্টোদিকে ফুটপাথের ধারে ৩০পয়সায় প্লেন ও ৫০ পয়সায় মশলা দোসা পাওয়া যেতো। কফি জীবনে খাইনি। বড়জোর দেশপ্রিয় পার্কে চাফি, বা লেবু চা। লেবু চা তখন হিট। কফি হাউসে গেছি কুল্লে সাড়ে তিনবার। মানে, তিনবার মিনিট ১০ বসেছি, আর একবার কাকে যেন ডাকতে গেছিলাম। কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের ভিতর একটা অন্য বসন্ত কেবিন ছিলো। মানে, হেদোরটা নয়। এটার নামও বসন্ত কেবিন। আর আমাদের পারমানেন্ট আড্ডা ছিলো ১৫০ মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে তারকদার বাড়ি। গুড়ের চা, মুড়ি, তেলেভাজা অঢেল।
    এ ছাড়া সূর্য সেন স্ট্রিটের মৌচাকের ভাগ্নে আমাদের কমরেড। ফলে মৌচাকে অবারিত দ্বার। ওদের একটা আমিনিয়া ছিলো শিয়ালদহে প্যারামাউন্ট(পরে জগৎ) সিনেমার পাশে। সেখানেও চমৎকার আড্ডা।
    এর একটু আগে, কলেজবেলায় ঢাকুরিয়া লেকে নজরুল মঞ্চ তৈরী হচ্ছে। সে এক চমৎকার নেশার ঠেক। আর চমৎকার ঠেক ছিলো ঐ ঢাকুরিয়া লেকে ব্রিজের ধারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোয়িং ক্লাবের উল্টোদিকে কেয়া ঝোপের পাশের বেঞ্চ।
    সে বড় মায়াবী দিন ছিলো হে!
  • potke | 132.167.120.30 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৩:৩৪55010
  • প্রলিফিক!

    শাক্যর লেখা যতবার পড়েছি( এই ধাঁচের লেখা), টাইটেল পড়তে বাধ্য করেছে এবং যতটা প্রমিসিং টাইটেল, ততটাই কনসোনান্ট কনটেন্ট।

    ওয়ান হেল অফ এ রাইটার।
  • শাক্যজিৎ | 116.51.24.217 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০১:০৪55011
  • ঢাকুরিয়া লেক নিয়ে লিখতে বসলে একটা বই লেখা হয়ে যায় । কলকাতার সেরা মায়াময় জায়গা, নিঃসন্দেহে
  • π | 24.139.209.3 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০১:১৬55012
  • কোলকাতার সেরা মায়াময় জায়গা, কোলকাতার গলি, হ্যালোজেনের আলো অন্ধকারে।
  • Rit | 213.110.242.20 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৪:৩৭55013
  • শাক্য আমার ব্যাচ নাকি পরের? উঃমাঃ ২০০২ না ৩?
  • Rit | 213.110.242.20 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৪:৪০55014
  • লেখাটা অসম্ভব সুন্দর। বাকি অংশের জন্য অপেক্ষা করে রইলাম।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৫:৫৪55015
  • বাপরে!!!! সাতাত্তর সালে দুইভাইকে পড়িয়ে মাসে ১০০ টাকা!!!! ঐ দুই ভাই বেশ বড়োলোকের ছেলে নির্ঘাত !
    তখন তো মাসে ১০০ টাকা মানে বিরাট ব্যাপার। ঐ মাইনে অনেক আপিসে টাপিসেও ছিল!
  • Ranjan Roy | 192.69.150.53 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৬:১৯55016
  • কী যে বলেন এতোজ!
    আমি আটষট্টি সালে তৎকালীন নাকতলার মত আধাগ্রাম রিফিউজি এলাকায় দুইবোনকে পড়িয়ে ৫০ টাকা পেতাম।
    তাহলে সাতাত্তরে দক্ষিণ কোলকাতার অভিজাত এলাকায় দুজনের ফিস একশ টাকা খুব বেশি কি!
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৬:৪৬55017
  • বড়লোকের কাছে কিছুই বেশী না।
    তবে ঐ সাতাত্তর টাতাত্তরে সরকারী আপিসে পর্যন্ত কর্মীরা অনেকে মাসে ১০০ টাকা কি ১৫০ টাকা পেতেন কিনা, তাই বলছিলুম।
    ঃ-)
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৬:৫৬55018
  • আর আপনাদের ঐ সাতষট্টি আটষটি? সেতো আরো চমৎকার।
    এক বৃদ্ধ শিক্ষকের নিজমুখে শুনছিলাম, ঐসময়ে মাসে ষাট টাকা মাইনে পেতেন স্কুল থেকে। পূর্ণ সময়ের শিক্ষক এর চাকরিতে।
  • Ranjan Roy | 192.69.150.53 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৭:২৯55019
  • হ্যাঁ, সেই সময়ে স্কুলের শিক্ষকের মাইনে শুধু কমই নয়, বেশ অনিয়মিত ছিল। সেই বছরই বিশাল শিক্ষক ধর্মঘট ও আইন অমান্য আন্দোলন হল। আমার এক কাকা ও পিসি কদিন জেলে কাটিয়ে এলেন।
    ১৯৬৬-৬৭তে নাকতলা স্কুলে টিচাররা ১০০টাকর একটু বেশি পেতেন। বাকিটা টিউশনি করে। দিলীপস্যার আমাদের দুইভাইকে বাড়ি এসে সপ্তাহে তিনদিন পড়িয়ে যেতেন। আমাকে অংক, ভাইকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও অংক। সম্মানরাশি--১০০ টাকা।
  • Ranjan Roy | 192.69.150.53 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৭:৩০55020
  • আর আমরা ছোটলোকঃ)); বড়লোক ছিলাম না।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৭:৪০55021
  • তবে ৭৭/৭৮ সালে ট্রামভাড়া ৭ পয়সা ছিল না, ১৩ পয়সা ছিল। বাস ভাড়া ছিল দশ পয়সা এবং একলাফে বেড়ে ট্রামবাস সব কুড়ি পয়সা হয়ে গেল ৭৯ নাগাদ।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৭:৪১55022
  • বুঝুন ঠেলা, দুই ছেলের জাস্ট প্রাইভেট টিউটরকে দিতে আপনার বাবার ১০০ টি টাকা খসতো মাসে। তারমানে ওনার মনে আপনার বাবার মাসমাইনে নির্ঘাৎ অনেকটাই বেশী ছিল, অথবা ব্যবসা যদি করে থাকেন, সেই বাবদ আয় মাসিক নির্ঘাৎ অনেকটাই বেশী। কারণ ছেলেদের প্রাইভেট টিউটরকে দেওয়া বাদেও সারা মসের পরিবারের খাওয়া পরা চিকিৎসা অন্যান্য ---ইত্যাদি বহু খরচ আছে কিনা!
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৭:৪২55023
  • মানে
    মাসের
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন