এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • উমা পোদ্দার ও উইচ হান্টিং

    চাণক্য
    অন্যান্য | ১০ জুলাই ২০১২ | ১১০৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শুদ্ধ | 127.194.230.233 | ১৮ জুলাই ২০১২ ১০:৩০552740
  • পড়তে পড়তে কটা কথা।

    এক। বিশ্বভারতীকে তুলে দিলে হয় না? বা রবীন্দ্রনাথের নামে একটি সরকারী ঘোষণা যে এই ব্যাক্তির সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই?

    দুই। উমা পোদ্দার সম্পর্কে পরশু রাতে শান্তিনিকেতনের একটি মেয়ে কিছু কথা বলছিল। মেয়েটি এখন বোলপুরের একটি কলেজে পড়াচ্ছেও। তার কথা অনুযায়ী ভদ্রমহিলা মেয়েদের জন্য এতটাই করেন যে সেটা বহু ক্ষেত্রে মেয়ের মায়েরাও করেনা। ওরা দুই বোনই ওখানে থেকে পড়েছে। বোনের সারারাত বমি হচ্ছে বলে উমা পোদ্দার সারা রাত জেগে বসেছিলেন এবং তিনি এমন করেই থাকেন অসুস্থ ছাত্রীদের জন্য। নিজের হাতে বমি করিয়ে বমি পরিস্কার করেছেন। এ ওর নিজের অভিজ্ঞতা।

    মেয়েটির কথায় ঘটনাটা এরম,
    ছাত্রীটি প্রায়শই এ কাজটা করে ফ্যালে। যখনকার ঘটনা তখন বৃষ্টি হচ্ছিল শান্তিনিকেতনে। এবারে প্রতিদিন ভিজে বিছানার কাপড় কেচে তা শুকোতে দিতে হচ্ছিল ওদের ঘরের মধ্যেই। বাইরে দেওয়া যাচ্ছিল না। বাকী ছাত্রীরা দুর্গন্ধের অভিযোগ করছিল ওনার কাছে। তখন উনি মেয়েটির মা কে ফোন করেন।

    উমাঃ আমি একটা টোটকা জানি। সেটা ওকে কি করাবো? এই তো হাল! তাতে যদি থামে।
    মাঃ উমাদি আপনি যেমন ভাল বুঝবেন তেমনই করুন। মেয়েকে তো আপনার কাছে দিয়েই এসেছি। আপনিই এখন...

    পরের ঘটনা উমা পোদ্দার মেয়েটিকে কাজটা করতে বলেন। মেয়েটি বলে সে এই কাজ করবে না। উমা পোদ্দার ওকে স্বল্প বকে চলে যান। মেয়েটি চলে যায় স্কুলে। বিকেলে বা সন্ধ্যায় মেয়েটির মা উমা পোদ্দারকে ফোন করেন।

    মাঃ আপনি কি ওটা করিয়েছিলেন?
    উমাঃ হ্যাঁ।
    মাঃ ও কি করেছে?
    উমাঃ হ্যাঁ।

    তখন সাংবাদিকরা হাজির মেয়েটির বাড়িতে। তারা স্পীকার ফোনে শোনে কথাটা। উমা পোদ্দারের কথায় উনি একটাই ভুল বলেছেন যে মেয়েটি ওটা করেছে। মেয়েটি ওটা করেছে কি না তা তিনি জানতেন না। যাই হোক, এর পরে তিনি চলে যান (এবং কলকাতায় বাড়িতে পরে)। তাঁকে যখন কর্মীসভার মিটিং বা ওই জাতীয় কোনো একটি মিটিং-এ ডেকে পাঠানো হয় (উনি কলকাতা থেকে ফিরে শান্তিতে জয়েন করার দিনে) তখনো উনি জানতেন না। মেয়েটির কথায় তিনি বলেন মেয়েটি ভাল মেয়ে ইত্যাদি। হ্যাঁ, তিনি তো ওকে এই টোটকা দিয়েছিলেন এই সব। অর্থাৎ অস্বীকার করেননি একদমই।

    উনি এবং আরেক মহিলা ওখানে আছেন ওয়ার্ডেন হিসেবে যাঁরা ছাত্রীদের জন্য খুব করেন বলে তাঁদের দীর্ঘ্যদিনেও বদলি করা হয়নি ওখান থেকে। এমনই মেয়েটির বক্তব্য।

    আগে/পরে আরো বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলেও একই অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। এটুকুই জানাতে ইচ্ছে হল। এ ঠিক কি ভুল আমি জানি না! তবে বেশীরভাগের বক্তব্যই এক সুরে বাজছে ওখানে।

    এমনিতে কিছু বলতে চাই না। শিক্ষা যে পাঁকে বছরের পর বছর ডুবে আছে তাতে এর বেশী কিই বা হবার আছে আমি তো তাই জানি না! কাজে কাজেই শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, এবং যারা শিক্ষা নিতে আসে তাদের অভিভাবকরা কি এমন আলাদা হবে? ব্যাক্তিগত ভাবে শ্রদ্ধেয় কিছু মানুষ শিক্ষাক্ষেত্রে দেখেছি এবং বুঝেছি এটা ব্যাক্তিগতভাবেই হয়ে উঠতে হবে, এখানে সাংগঠনিক কোনো প্রক্রিয়া নেই যে এই মানুষ বানাতে পারে। একটা দেশের শিক্ষা তো তার সাধারণ চরিত্রের থেকে আলাদা হতে পারে না। এভাবেও বলা যায় দেশের সাধারণ চরিত্র শিক্ষার অবস্থারও প্রতিফলন।
  • Gaarol | 192.73.4.33 | ১৮ জুলাই ২০১২ ১১:৫৩552741
  • রঞ্জন রায়ের বক্তব্য পড়লাম । ওনার সঙ্গে প্রায় একমত । তবে সিস্টেমের মধ্যে থেকে ঠিক কোন কাজটা ঠিক আর কোনটাই বা ভুল সেটা বোঝা মুস্কিল । বাচ্চাকে পেটানো উচিত কিনা, বা কতখানি মানসিক বা শারীরিক আঘাত দেওয়া যেতে পারে, তাহলে বাচ্চা মানুষ হবে সেটা বলা বড্ড শক্ত । আমার মতে এটা শিক্ষকশ্রেনীর experience এর ওপরে ছেড়ে দেওয়া ভাল । তবে বাচ্চার regular update
    রাখা উচিত আর সময় করে শিক্ষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা উচিত ।

    দ্বিতীয়ত, ঊমা পোদ্দার । She must be member of a guild/union which is backing her strongly. And this is too probable in West Bengal, where unionism is the norm of the society . Media outcry হওয়ায় এবারে উনি লোক দেখান শাস্তি পাবেন । কদিন বাদেই উনি আবার reinstated হবেন ।

    তৃতীয়ত, কুসংস্কার । কুসংস্কারে অন্ধকার সারা পৃথিবী । যিশু, আল্লা, মাদুর্গা সব-ই তার প্রতীক । মুক্তি অচীরে মিলবে না । তাই নিজের কতটা ক্ষতিসাধন হচ্ছে সেটা হিসেব করে বেশ কিছু কুসংস্কার মেনে নেওয়াটা wisdom । শাস্তি পেয়ে বাচ্চার irreversible physical/mental damage হওয়া কাম্য নয়।

    কি বলেন?
  • চাণক্য | 123.193.21.10 | ১৮ জুলাই ২০১২ ১৮:৫২552743
  • শুদ্ধদা, কিছু লোক আছে বলেই মনে হয়, বেঁচে থাকি, এদের থেকে কিছু শিখি। আপনাকে ধন্যবাদ।

    কিন্তু এখন কি আপনার মনে হচ্ছে, ছিছি কেন এই পোস্টটা দিলাম ?

    খুব অদ্ভুত জগতে এসে পড়লাম। যাক, যে সাংবাদিকের জন্য উমা দেবীর এই অবস্থা তার নিশ্চয় খুব উন্নতি হবে ঃ))
  • aranya | 154.160.226.53 | ১৮ জুলাই ২০১২ ২৩:৩৮552744
  • শুদ্ধ, আপনার পোস্ট-টা খুবই ভাল লাগল। যে কোন ব্যাপারেই জেনেরালাইজ না করে সব তথ্য জানা এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাটাকে দেখা দরকার - এটাই মনে হল আপনার লেখা পড়ে।
  • pi | 147.187.241.7 | ১৯ জুলাই ২০১২ ০৮:০৩552745
  • অরণ্যদাকে ক।

    ব্যাঙ্গালোরের ঘটনাটা তো সাংঘাতিক ! কিন্তু এখানে দোষ কি কেবল শিক্ষকদের ? অভিভাবকদের দিক থেকেও তো এই সেগ্রিগেশন নিয়ে চাপ থাকে। আগে কোন একটা স্কুলে এই প্রসঙ্গেই শুনেছিলাম।
    সেদিন অন্য একটা কম্যুনিটিতে কোলকাতার এক স্কুলের কথা শুনছিলাম। একজন তার ছোটবেলার অভিজ্ঞতা লিখেছে। ক্লাসে বস্তি থেকেও কেউ কেউ পড়তো আর তাদের কেমনভাবে হেনস্থা করা হত। শিক্ষকেরাও এনিয়ে কথা শোনাতেন ! সেসব তো তাও সে অর্থে পশ স্কুল ছিল না। এখানে যেখানে প্রকৃত অর্থেই হাই ফাই স্কুল, প্রচুর টাকা পয়সা দিয়ে কেবল একটা সেকশনের ছেলেমেয়েই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে তো এই ডিমার্কেশন বজায় রাখা, কম্যুনিটির গেট বন্ধ রাখা, তার জন্য চাপ থাকবেই !

    তবে, এইরকম গোদাভাবে RTE ইম্প্লিমেন্টেশনের বিরোধিতা করছে, যুক্তি টা কী দিচ্ছে ?

    The school is a part of the Karnataka Unaided School Managements' Association (KUSMA) which has announced a shut down to protest the implementation of RTE.
  • ranjan roy | 24.99.133.21 | ১৯ জুলাই ২০১২ ১৩:৫৯552746
  • আজকের আনন্দবাজারে একটি চিঠি পড়লাম। মহিলা প্রায় ৫০ বছর আগে শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক ছিলেন।সেখান থেকেই পাশ করে ছেন।
    ওনার সঙ্গেও একটি মেয়ে প্রায়ই বিছানায়----।
    কিন্তু মেট্রন সুধাদির নির্দেশ ছিল কেউ মেয়েটিকে বকবে না, কেউ হাসাহাসি করবে না। আর মেয়েটিকে শুদু ওর চাদর জলকাচা করে দিতে হবে। তারপর সেটি সবার কাপড় ধোয়ার জন্যে নির্ধারিত মহিলা সাবান দিয়ে কেচে দেবেন।
    ভিজে যাওয়া তোষক ভারি বলে ওর একার পক্ষে রোদে মেলে দেয়া সম্ভব হত না। সুধাদির নির্দেশ ছিল অন্য বন্ধুরা মিলে ওকে ওটা রোদ্দূরে দিতে সাহায্য করবে। কিন্তু ওকে নিয়ে হাসাহাসি করা যাবে না।
    এক ব্যতিক্রমী সংবেদনশীলতা নিশ্চয়ই।
  • চাণক্য | 127.194.239.160 | ১৯ জুলাই ২০১২ ১৬:৩৬552748
  • শুদ্ধদার পোস্টটা মোটামুটি মাঠে মারা গেছে। তবুও লিখব। জতক্ষণ পর্যন্ত কেউ ব্লক না করছে।

    উমাদেবী যা করতেন, তা নাই মা-এর থেকেও বেশি (ওপরে শুনলাম)

    নিজের হাতের ওপর বমি করিয়ে সেই বমি পরিষ্কার 'সুধাদি' করতেন কিনা জানা নেই

    কেবি-র বক্তব্য অনুসারে অনেক বাচ্চাই আগে বিছানা ভিজিয়েছে। উমা দেবী কারোর ওপর টোটকা প্রয়োগ করেননি

    এবার ভিজে চাদরের দুর্গন্ধে ( আসলে বৃষ্টির দোষ) অন্য বাচ্চারা আপত্তি করছিল দেখে, উনি বাচ্চার মাকে জিজ্ঞেস করলেন, একটা টোটকা জানি করব কি ? তবে যদি থামে। মা যা বললেন, তার পর থেকে শুদ্ধদার পোস্টে সব আছে, শুধু কষ্ট করে একবার পড়া।

    উনি খালি বলেছিলেন, করাননি। সেরকম ধমক রঞ্জনদার ঠাকুমাও দিয়েছিলেন। তার জন্য সেকশন ২৩ প্রয়োগ করা হয়নি।(আ বা পর লোকেরা কাছাকাছি ছিলনা)

    যাঁরা বললেন, এই টোটকা টা শুধু আমাদের গ্রামের লোকেরা জানে, ভদ্রসমাজে কেউ শোনেনি, তাঁদের জানাই আজকের টেলিগ্রাফ কগজে সুবীর ভট্টাচার্য চিঠিতে লিখেছেন, যদিও এটা অ্যাকসেপ্টেবল না, তবু ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এই টোটকা নাকি প্রচলিত। আমাদের গ্রামটা কিন্তু কলকাতার অনেক অঞ্চলের চেয়ে অনেক উন্নত (লোকজন সমেত)।
  • ranjan roy | 24.99.111.5 | ১৯ জুলাই ২০১২ ১৭:৪১552750
  • চাণক্য,
    বার বার বাধা দেয়া বা ব্লক করার কথা বলছেন কেন? এটা খোলা পাতা।
    এক, আমার ঠাকুমার ১৯৫৯ সালে যেরকম করে ভাবতেন আজ ৫৩ বছর পরেও তাই ভাবতে হবে?
    দুই, আমার ঠাকুমা কোন কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থার আশ্রমের ওয়ার্ডেন ছিলেন না।
    তিন, আমার বাচ্চাদের জন্যে ঠাকুমার কোন টোটকা প্রয়োগ না করিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছি।
    চার, আজকে আমার সন্তানদের বা তার সন্তানদের প্রতি ভালবাসা প্রমাণ করতে আমি "হাতে বমি করাব " না। অন্য ব্যবস্থা আছে।
    পাঁচ, আজ ভারতের বহু উন্নত গ্রামাঞ্চলে খপ পঞ্চায়ে্ত আছে। ওরা সমাজের বা "মেয়েদের" ভালোর জন্যে বেশ কিছু বিধান দিচ্ছে। গাঁয়ের লোক মেনেও নিয়েছে। এমনকি সরকারি আইনের বিরোধী নির্দেশ দিচ্ছে। এগুলি সমস্ত পত্র-পত্রিকা ও চ্যানেলে বহু প্রচারিত। তবু আমি সে গুলোকে সঠিক না বলে সমালোচনা করব।
    ছয়,
    বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রথমে বাচ্চার বাবা-মাকে গ্রেফতার করালেন কেন? উমাদেবীর সহযোগী মহিলার সম্বন্ধে এমনি নামে কেউ নেই বলে মিথ্যে স্টেটমেন্ট দিলেন কেন?
    সাত, দিল্লিতে জবাব-তলব হওয়ায় শুধু উমাদেবীর বক্তব্য লিখে পাঠালেন কেন? কেন বাচ্চার বাবা-মা'র বক্তব্য শুনলেন না? যা জন্যে ওদের তদন্ত রিপোর্ট দিল্লি ফেরত পাঠালো?
    সাত,
    এই গুরুতে বিভিন্ন পাতায় বহু টপিকে আমার বক্তব্য খন্ডন করা হয়, বিরোধী বক্তব্য রাখা হয়, কখনো কখনো উত্তেজনার মাথায় কিছুটা ব্যক্তিগত মন্তব্যও করা হয়। তার জন্যে কখনই গুরুকে বা গুরুর কমিউনিটিকে মূর্খ ভাবা বা গাল দেয়ার কথা মনে হয় না। কারণ শেষ কথা কি কেউ বলতে পারে না।
  • Chanakyo | 127.194.243.156 | ১৯ জুলাই ২০১২ ২০:১৯552751
  • Mr Ranjan Roy , চানক্য কাল এসে উত্তর dibe। ও বিকালে একবার আসে please
  • ranjan roy | 24.96.156.1 | ১৯ জুলাই ২০১২ ২০:৩৬552752
  • চাণক্য,
    এটাতো প্রবহমান , এতে কোন ওয়ান-টু-ওয়ান প্রশ্নোত্তরীর পালা নেই আপনি বা আমি আমাদের সুবিধে অনুযায়ী যখন ইচ্ছে পাতাটি খুলি, আড্ডা মারি, আবার চলে যাই পরেরদিন বা কয়েকদিন পরেও খুলি; এ নিয়ে কোন চাপ নেবেন না ; এর আগেও এই ধরণের কিছু , মানে জবাব দেয়ার সময়-টময় নিয়ে এই পাতাতে লিখেছিলেন তাই বললাম আর কি! অন্য ভাবে নেবেন না
  • mila | 134.155.204.47 | ২০ জুলাই ২০১২ ১০:৪৫552753
  • এবার বেঙ্গালুরু তে
    "শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় বেঙ্গালুরুর একটি নামকরা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছিল আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ, ওই ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে ওই স্কুল-কর্তৃপক্ষ বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। অন্য ছাত্রদের থেকে আলাদা করে রাখতে তাদের চুল কেটে দেওয়া হয়েছে কিংবা ক্লাস ঘরে পিছনের সারিতে বসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ওই সব ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকেরা।"
  • মিলা | 134.155.204.47 | ২০ জুলাই ২০১২ ১১:০১552754
  • বেঙ্গালুরুর ঘটনাটা নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে দেখলাম
    কিন্তু এই ঘটনায় সুধু স্কুল নয়, আমার মনে হয় বাবা মায়েরাও অনেকাংশেই দায়ী
    অনেক বাবা মা-ই হয়ত আপত্তি জানিয়েছেন/জানাবেন এই কারণে
    ছোটবেলায় বাবার অফিস quarter এ বড় হয়েছি, বাবা মা বন্ধু বান্ধব নিয়ে কখনই বাছ বিচার করেননি, কিন্তু পাড়ার লোকেরা মাকে অনেক সময়েই বলত যে আপনার মেয়েরা ঝারুদার / ড্রাইভার দের মেয়েদের সাথে খেলে কেন?
  • শুদ্ধ | 127.194.245.3 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৬:৩১552755
  • চাণক্য, দু ধরণের সাংবাদিক হয়ে থাকেন। এককে বলে রি-পোর্টার, অন্যকে জার্নালিস্ট। কি আর করা! :)

    সকলের জন্যঃ উমাদেবী ভুল করেছিলেন। কাজটা ভাল করেননি। বাক্যগুলো খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে দুটো সমস্যা।

    এক, ভুল করেছেন জানতে গেলে ঠিক জানতে হয়। উনি জানতেন না। মিডিয়া বা সাধারণ জনসমাজও খুব জানতো বলে আমার মনে হয় না।

    দুই, ভাল করেননি বলতে গেলে বলতে হবে ভাল/খারাপ ধারণা তাহলে আগে থেকেই আছে। খারাপটা কি ওনার কাছে খুব পরিস্কার না! উনি এভাবেই জেনে এসেছেন হয়তো। নইলে একটি শিশুকে কেন আক্রমণ করতে যাবেন? সে কোন পাকা ধানে মই দিয়েছে? আর যদি তাই করে থাকেন আক্রমণ করবেন বলে তাহলে আগেও এমন উদাহরণ থাকা উচিত। সে উদাহরণ আমি অন্তত পাইনি। সরকার যখন বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছে এতদিনে তাদের টনক নড়লো কেন যে যত্নেরও কিছু নিয়ম নীতি আছে? শুধু জেলের মতন ওয়ার্ডেন রাখলে হয় না, এটা আরেকটু অন্য জায়গা? সরকার কি জানে শিশুদের বা যে কোনো হস্টেল, জেলখানা, পাগলাগারদ (একটার জন্যও সংশোধনাগার বা মানসিক সাহায্য ব্যবস্থা বলতে ইচ্ছে হল না, ওদুটো এ দেশে একদমই তা নয় বলে) আলাদা বিষয়? বে-সরকার কি জানে? শুধু উমা পোদ্দারের দোষ? মনমোহন সিং-কে কে কোন ধারায় মামলা দেবেন? বিশ্বভারতীর আচার্য্য তো উনি? ঘুমোচ্ছিলেন এদ্দিন? কিম্বা নেহরু থেকে শুরু করে আজ অব্দি যত্ত প্রধানমন্ত্রী তাদের?

    উমা পোদ্দারকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনিনা। কিন্তু যেটা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে একে বলে উইচহান্টিং। ভুল ওনার আছেই। নিজেও চেষ্টা করতে পারতেন জানতে যে দুনিয়া এখন কোথায় দাঁড়িয়ে! কিন্তু সে ভুলে আমাদের দেশের আমাদের মতন তিরিশ-চল্লিশোর্ধরা প্রায় সকলেই পড়ি না কি? আমরা কি সর্বক্ষেত্রে, এমনকি নিজেদের কাজের ক্ষেত্রেও জানার চেষ্টায় থাকি যে দুনিয়া কোথায়, আমরা কোথায়? বা নতুন কি হল? মানবিক, উন্নত ইত্যাদি কি হল? আমার দেখা মতে সমাজচিত্রটা এরকম না। বরং আমরা অনেকেই বেশ উমা পোদ্দার। কাজেই উমা পোদ্দারকে শাস্তি দিয়ে, অসন্মান করে- শিশুটির সন্মান, শান্তি ফেরানো যাবে না। বা বাকী সমাজের শিক্ষা হবে না। সত্যি যদি সে সব হতে হয় তাহলে ওই বদলটার জন্য গভীরে গিয়ে খাটতে হবে। উমা পোদ্দারকেই বদলের রাস্তায় হাঁটাতে হবে মানবিক হয়েই। হ্যাঁ, আমাদেরও সকলকেই খাটতে হবে। কেউ বাদ গেলে চলবে না। উমা পোদ্দারকে শাস্তি দিলে শোধবোধ হয়ে যাবে বলে ভাবার কোনো কারণ বোধহয় নেই। ফেয়ার এনাফ বলার আগে ভাবা দরকার, যা কিছু ফেয়ার তাই জাস্ট হয় না। জাস্টিস একটা স্লিপারি ভাবনামাত্র।

    অন্য প্রসঙ্গে বলি বাচ্চাদের কোনো রকমের শারীরিক শাস্তির আমিও বিরুদ্ধে। কিন্তু সমস্যাটা লিনিয়ার না।আমার বাড়িতে বাচ্চা যখন জিনিস ভাঙবে তখন বুঝিয়ে চালিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু পরের বাড়িতে গিয়ে টেলিভিশন ভেঙে ফেললে তার কি হবে? (আমি একদম ব্যাক্তিগত ভাবে এমন একটা ঘটনা জানি বলে বলা)। বিদেশে ভাঙলে জিনিসের ইন্সিওরেন্স করা থাকে, পাওয়া যায় শুনেছি। তাও সেটাও একদিকে অদ্ভূত খরচ। কেন না বাড়িতে দুর্ঘটনা না ঘটলে উপার্জনের টাকা এম্নি এম্নি বছরভর চলে যাবে। যাক গে, এ তো লটারীর খেলা যা সমাজে আমরা মেনে নিয়েছি। এ নিয়ে এখন কথা বাড়াচ্ছি না। কিন্তু এখানে কোনো বাচ্চা টেলিভিশন ভাঙলে তাকে বোঝানো হল, বাবা-মা কম্পেনসেশন দিলেন বহু টাকার! তারপরে? বাচ্চাটি আবার ভাঙলো কাঁচের অ্যাকোয়ারিয়াম। বাচ্চার মানসিক সমস্যা? না। বল খেলছিল। যে দুটো বাড়িতে ঘটনা ঘটে সে দুটো বাড়িতেই ফ্ল্যাটবাড়ি বলে জায়গা নেই। বাচ্চাদের যাওয়ার অনুমতিও নেই বাইরে। এবারে বাবা-মা কি ভাবে বোঝাবে? বাকীরা এই ঘটনার পর থেকে এমন সন্ত্রস্ত যে সেই বাবা-মা কে ডাকেনও না তাঁদের কোনো গ্যাদারিং-এ। কারণটা সহজ। বারেবারে খেসারত নেওয়া যায় না। ওঁরা দিতেও পারবেন না। ধীরে ধীরে বাবা-মাও বুঝে নিয়েছেন এটা। তাঁরা এখন পরস্পরের সঙ্গী। বন্ধু-বান্ধবহীন। বাবা-মা বাচ্চাকে মারেননি। কিন্তু তার ফল হচ্ছে অন্যরকম শাস্তি। বাচ্চাটিও খেলার মাঠের বন্ধু হারিয়েছে ও হাউসিং-এ। বেশীরভাগই তাকে এড়িয়ে চলে মা-বাবাদের নির্দেশেই বোধহয়। এবারে?
    ব্যাধিটা সামাজিক ক্ষেত্রকে নির্দেশ করছে। এর ঠিক উল্টো দিকে আরেকটা ব্যাক্তিগত ঘটনা বলেই থামি। আমার বাড়িটা খুব বড় না। কিছুকাল আগে এখানে কয়েকজন বাবা-মা কয়েকটি শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন আড্ডা দিতে। জায়গা কম এবং সেদিনের লোকসংখ্যা বেশী বলে আমার লেখার ঘরে তাদের খেলতে দিয়েছিলাম। তারা খেলে-টেলে চলে যাবার পরে দেখলাম ও ঘরের বিছানার চাদর কাঁচি দিয়ে কাটা। একটি দুষ্প্রাপ্য বই-এর পাতা দুমড়ে ছিঁড়ে নেওয়া, দু একটি বাদ্যযন্ত্র ভাঙা, কিছু তার ছেঁড়া ইত্যাদি। শিশুরা খেলেছে। তাদের বাবা-মা দের কখনো বলতে পারি নি, কিন্তু বাধ্য হয়েছি শিশু সমেত বড় জমায়েত বন্ধ করে দিতে। তার ফলে আ্মিও শিশুদের একরকম শত্রু হয়ে উঠেছি নিশ্চই। আমার ঘরে শিশুর হাসি-খেলা দেখা আমার জোটে না।এ তাদের দোষ, আমার দোষ না অভিভাবকদের দোষ, না সমাজের দোষ? শিশুরা বেড়াতে গেলে খোলা মাঠে অভিভাবকরা ছাড়েন না, ছেলে-মেয়ে যদি হারিয়ে যায়? সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা। শিশুরা ঘরে বন্দী হয়ে জিনিস ভাঙে খেলার আবেগে। আমার সামান্য সম্বলে ওই কটা বই রক্ষা না করলে আমার কাজ বন্ধ। সমাধান খুব সহজ কি?
  • চাণক্য | 127.194.244.166 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৬:৪৭552756
  • রঞ্জনদা, নমষ্কার,
    কাল যে শেষ পোস্টটা করেছিল, সে আমি নয়, আমার হয়ে অন্য কেউ। আমি আপনার প্রতিটি প্যারার উত্তর সাজিয়ে রেখছিলাম আজ লিখব বলে, তার আর প্রয়োজন পড়বে না।

    সুখবরটা পেয়েছেন নিশ্চয়ই, ওই 'বজ্জাত মাগি' টার চাকরি গেছে। যেহেতু 'sacked ' , তাই অবসরকালীন পেনসন ইত্যাদি কোনও সুবিধেই পাবেননা। এবং যেহেতু সেকশন টোয়েন্টি থ্রী, তাই জেলও অনিবার্য। খুব একটা বড়লোকের বৌ বলে মনে তো হলনা। যাই হোক, 'শিক্ষিত' সমাজে লাড্ডু বিলি শুরু হয়ে গেল বলে। জেলের হুকুমটা বেরোলে চকোলেট পাই নিয়ে গালে মাখানোও হবে নিশ্চিত।

    যাঁরা বলছিলেন, লোকদেখানো শাস্তি হবে, বা ইউনিয়ন চাকরি ফিরিয়ে দেবে, তাঁরা বোধহয় প্রক্রিয়াটা জানেননা।

    আমাদের 'গ্রামে' কিন্তু সবারই মন খারাপ। এখানে অশিক্ষিতদের মধ্যে বেশ কিছু ইউনিভার্সিটির গোছা গোছা কাগজওয়ালা লোকও দু চারটে আছে, তবে তারা গুরুচন্ডালি পড়েনা, হয়তো যোগ্যতা নেই বলেই।

    একজন বলেছিলেন, যার নাম নিয়েছেন, ঘটে তার ১% বুদ্ধি থাকলেও...ইত্যাদি। তাঁকে সশ্রদ্ধ ভাবে জানাই, এটা আমার ছদ্ম নাম নয়, ডাক নাম। 'চাণক্য পন্ডিত' নামটা আমার ঠাকুমার দেয়া, ওই মেয়েছেলেটার মুখের সঙ্গে যার অদ্ভুত সাদৃশ্য।

    এখন মন খুলে খিল্লি করা যেতে পারে, আমি আর এই উচ্চমার্গের গুণীজনেদের মাঝে ফোপরদালালি করতে আসবনা, তাই দেখতেও পাবনা কে কি বললেন।

    শুদ্ধদা,
    আশা করি আপনি বয়সে বড়। যদি নাও হন, আপনাকে প্রণাম।

    আপনারা সবাই ভাল থাকবেন ।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৬:৫৭552757
  • চাকরি গেছে !! এই খবরটা তো পাইনি?? কোথায় দিয়েছে???

    অশিক্ষিত ওয়ার্ডেন রেখে বাচ্ছাদের "হিউমিলিয়েট" করার জন্য উপাচার্য (এক্ষেত্রে আচার্য) ঘেরাও বা তার পদত্যাগ বা তার থেকে মিনিমান একটা বিবৃতির দাবী করবেনা কেউ ??? উঁচু তলার কারোর কোনো শাস্তি হয়েছে কি ?? নাকি এক্ষেত্রেও পড়াশুনা না জানা বেশী পয়সা না থাকা (কি অপরাধ করেছে সেই ধারনা না থাকা) একজনেরই শাস্তি হল ?
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৬:৫৯552758
  • শুদ্ধদাকে থেন্কু । এই কথাগুলো আমি বা কেবি বলতে চেয়েও গুছিয়ে বলতে পারছিলামনা।
  • প্পন | 214.138.240.254 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৭:১৯552759
  • কিছুই বুঝলাম না। আমার কাছে সুযোগ থাকলে যেহেতু ঝেড়ে ফাঁক করে দেব, সেইজন্য টেলিকম স্ক্যামে রাজাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না? এইরকম একটা যুক্তি দাঁড়াল।

    আর উমা পোদ্দারের চাকরি গেছে (সে পিঙ্কি প্রামাণিকেরও গেছে) সার্ভিসের রুলবুক অনুযায়ী। অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি তো ওনাকে পেতেই হত, তার সাথে চাকরি যাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে অবশ্যই পারেন। এমনকী যাঁরা মনে করছেন আচার্যকে এর জন্য শাস্তি দেওয়া দরকার, তাঁরা সেই নিয়ে জনস্বার্থের মামলা দায়ের করুন না। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তো আটকাচ্চ্ছে না।

    ডিঃ চাকরি গেছে, এই খবরটা আমি জানি না। এইখানে লেখা হল বলে ধরে নিচ্ছি খবরটা সত্যি।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৭:২৮552761
  • প্পনদা

    প্রবলেমটা এখানে যে একজন যিনি জানেননা তিনি কি দোষ করেছেন, তাকে শাস্তি দেওয়াতে। উনি যে হিউমিলিয়েট করেছেন সেটা কি উনি জানতেন??? রাজা ঝেড়ে নিজের লাভ করেছে। উনি কি তা করেছেন ?
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৭:৩২552762
  • শাস্তি হওয়া উচিত যারা উনাকে ঐ পোস্টে রেখেছেন তাদের
  • প্পন | 214.138.240.254 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৭:৩৭552763
  • গান্ধী, এর বিচার তো তুমি বা আমি বা পাড়ার সালিশি সভায় ঠিক হবে না। কাজেই আদালতে যা হবার হবে। বাদীপক্ষের উকিল হয়ত এইসব যুক্তি সাজিয়ে ওনাকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হবে।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৮:৪৪552764
  • উনার কি উকিল রেখে মামলা করার পয়সা আছে ?? এর আগে যে জরিমানা দিতে হয়েছে সেটা বিশ্বভারতী দিয়েছিল। কারন দেখিয়েছিল যে উনি যা মাইনে পান তাতে এটা দেওয়া উনার পক্ষে সম্ভব নয়। এবার বিশ্বভারতী নিজে উনাকে তাড়িয়েছে, উনার হয়ে মামলা কে লড়বে?

    যদিও আমাদের দেশে বিচার এরকমই হয়। উপরের তলার লোকের শাস্তি হয়না। তারা মামলা লড়ে বেঁচে যায়
  • শ্রী সদা | 69.97.136.75 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৮:৫৮552765
  • গান্ধীদার সঙ্গে একমত।
  • | 60.82.180.165 | ২০ জুলাই ২০১২ ২০:০০552766
  • ডাইনি শিকারের উল্টোদিকে মনে হচ্ছে উমাপোদ্দার কণ্বমুনির আশ্রমের বাসিন্দা- মাঝের এই কটা বছর চলে গিয়ে লাফ দিয়ে বিংশ শতাব্দী চলে এসেছে!!
  • | 60.82.180.165 | ২০ জুলাই ২০১২ ২০:৫৭552767
  • আর ছেলেমেয়ে যখন অন্যলোকের বাড়ি যাবে,তখন তার (আচরণের) দিকে'' বাপমা''কে ই নজর রাখতে হয়।
    কি করিতে হইবে গোছের একটি খুড়োর কল আমরা ছেলেপিলের সামনে সদাসর্বদাই ঝুলিয়ে রাখি- অন্যের বাড়ি গিয়ে সেটি কঠোর ভাবেই বলবৎ থাকে- শুনতে খারাপ লাগছে নিশ্চয়? তবে অসভ্যতা করলে যে কারুর বাড়ি যাওয়া যাবে না এবং কেউ তোমার সঙ্গে খেলবে না -এইটা আমাদের চাইতেও বাচ্চারা ভালো করে বোঝে;)
    আমরা কি ভাবে বোঝাচ্ছি সেটা সবচে জরুরি।

    আর আমাদের বাড়িতে প্রচুর বাচ্চা এসেছে, আসে-শান্ত-অশান্ত নির্বিশেষে।নিজের জিনিস নিজের সামলে রাখাই ভালো। বাপমার দারুন জমাটি আড্ডা ছেড়েও বার বার তাদের উপর( যে ঘরে আছে) নজরদারি চালাতে হয়। নরকগুলজার ছেড়ে সে করা কি কষ্টের খুব ভালো ই জানি। তবুও কিছু করার নেই, অ্যাক্সিডেন্ট যে ঘটে নি তা নয়,তবে ভয়াবহ কিছু না।ছেঁড়া বই, ভাঙা গিটার,কাটা চাদরের জন্যে পরে দুঃখিত/ বিষ্মিত /ক্ষুব্ধ কিছুই হতে চাই না, বন্ধুদের ও হারাতে চাই না।
  • a x | 109.54.170.204 | ২০ জুলাই ২০১২ ২১:২৭552768
  • শুদ্ধবাবু, নিজশিশু হলেই এই সমস্ত সমস্যার কি সহজ সমাধান আছে তা জেনে যাবেন ঃ-)

    শিশুদের বকাঝকা ইত্যাদির চেয়েও বড় জিনিস হল কনসিস্টেন্সি ও বাউন্ডারি। বাবা-মার মধ্যে কনসিস্টেন্সি। শিশুটি যদি প্রতিবার আমার সেলফোন ধরতে যায়, এবং আমি না বলি, ওদিকে শিশুর বাবা যদি আহ্লাদভরে রিংটোন শুনতে এগিয়ে দেয়, শিশুটি কোনোদিনও শিখবেনা সেলফোন খেলার জিনিস না। ইনফ্যাক্ট সে কনফিউসড হবে ও সেটা কেবল সেলফোনেই সীমিত থাকবেনা। তাকে তখন সেলফোনের বদলে তার খেলনা পিয়ানো এগিয়ে দিলে সে বাউন্ডারি বুঝতে পারবে। না বলে অন্যের জিনিস ধরতে নেই, এটা প্রতিবার মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। এমন নয় যে ম্যাজিকের মত একশোভাগ সময় শিশু সুবোধ বালক হয়ে থাকবে, তবে আয়ত্ত্বের মধ্যে থাকে। আর ম যা বলল, অন্যের বাড়ি গিয়ে ছেলেমেয়ে কি করছে সেদিকে তো নজর রাখতেই হয়। বাড়ির মালিকেরও উচিৎ তেমন জিনিস হলে তা নাগালের বাইরে রাখা।

    আপনার উমাদেবী সংক্রান্ত বিবরণ পড়ে মনে হল ঐ মেয়েটির বাবা-মা যেন ওৎ পেতে ছিল উমাকে ট্র্যাপ করার জন্য, এটা কেমন একটু অস্বাভাবিক ঠেকছে। মা যদি প্রথমে বলে থাকেন "টোটকা" প্রয়োগ করতে এবং পরে থট বেটার অফ ইট, তখন তো সঙ্গে সঙ্গে ফোনে বারণ করার কথা। প্রথমে বলে পরে রেকর্ড করে ট্র্যাপ করাটা একটু কষ্টকল্পিত। এনিওয়ে, দুপক্ষের বক্তব্যই বেশ ইনকনসিস্টেন্ট।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২০ জুলাই ২০১২ ২১:৪৭552769
  • ম দি

    তাহলে ধরে নিতে হবে মেদিনীপুর-বীরভুম-পুরুলিয়ার বাসিন্দারাও "কণ্বমুনির আশ্রমের বাসিন্দা- মাঝের এই কটা বছর চলে গিয়ে লাফ দিয়ে বিংশ শতাব্দী চলে এসেছে!!" কারণ তারাও এই শিক্ষাটা এখনও পায়নি যে এই কাজটা খারাপ, তারাও বাচ্ছাদের ভালো করতে গিয়ে এই কাজটা করে।

    সমস্যাটা অন্য জায়গায় আজ উমা পোদ্দারের জায়গায় অন্য কাউকে এইভাবে আনা হবে। যার কোনো যোগ্যতা নেই, কোনো মিনিমান ট্রেনিং (অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও ট্রেনিং কথাটা কাটাতে পারলাম না।) নেই। সে হিসু না চাটিয়ে অন্য কিছু করবে। তাকে আবার দোষী বলে শাস্তি দেওয়া হবে। চলুক। আমাদের কি ?? আমাদের যতদিন গায়ে আঁচড় না লাগছে ততদিন আমাদের কিছু নয়। যারা পিছিয়ে আছে, আরো পিছোক।

    অক্ষ দা

    ট্র্যাপ করাটা কেমন কেমন লাগছে। এটা যারা বলছে মনে হয় ভুলই বলছে। এটা হতেই পারে যে ওর মা প্রথমে ঐ টোটকা ইউজ করতে বলেছিল, তারপর এটা মেয়ের উপর খারাপ এফেক্ট করেছে দেখে বেঁকে বসেছে কারন টোটকার কথা উমা পোদ্দারই বলেছিলেন।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ২০ জুলাই ২০১২ ২২:১৫552770
  • আমি তো জানতাম উকিল পাওয়া আইনি অধিকার। যে কেউ পেতে পারে। হ্যাঁ, যার পয়সাকড়ি আছে সে রাম জেঠমালানিকে নিয়োগ করার কথা ভাববে।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ২০ জুলাই ২০১২ ২২:২১552773
  • আর ওনার প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষের তো অভাব নেই দেখাই যাচ্ছে, তাদের মধে কেউ নামী ব্যবহারজীবী বেরিয়ে গেলে তো কথাই নেই। বিনা পয়সায় বা নামমাত্র দক্ষিণায় তিনি মক্কেলের হয়ে লড়বেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন