ইঞ্জিরি লেখা দীপ্তাংশুবাবু, আপনি কি তক্কে তক্কে থাকেন? আমার মন্তব্য দেখলেই ওভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যক্তি আক্রমণে নামেন কেন? বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগরকে নিয়ে আমি বিস্তারিত লিখব বলেছি। দয়া করে ভাটিয়ালির পাতায় না ঘুরে বেড়িয়ে সেখানে আপনার পায়ের ধুলো দিলে কেতাত্থ হব। আপাতত ওসব থাক।
বেস এবং সুপারস্ট্রাকচার বলে ইঞ্জিরতে দুটো শব্দ আছে। বাংলায় বলে ভিত এবং সৌধ। প্রথমটি দুর্বল হলে দ্বিতীয়টি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। একইভাবে বিজেপির শিক্ষা ও স্বাস্থ্যনীতির বিরোধিতা না করে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের তথাকথিত উন্নয়নের একই দশা হবে।
ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং-এর কারণে দিল্লিতে কত মানুষের প্রাণ গিয়েছে তার তথ্যটা নিন। আর আপনি আমাকে যা খুশি মার্কা লাগাতে পারেন, ইগনোর করছি স্রেফ। আসলে পাল্টা ন্যারেটিভ শুনলেই আপনাদের জিভ সুড়সুড় করে যা হোক বলে দাগিয়ে দেওয়ার জন্য।
এই যে কর্পোরেট ফান্ডিং নেওয়া-না নেওয়া, এটা নিয়ে প্রশ্ন তুললেই মনে হবে বামপন্থীদের মত বুলি আওড়াচ্ছে। কিন্তু এটাই তো বিকল্প ন্যারেটিভ। আসলে এটা নর্ম হয়ে গেছে। এরকমই হিন্দুত্ব জিনিসটাও ধীরে ধীরে ভারতীয় রাজনীতিতে নর্ম হয়ে যাচ্ছে। এবার কেউ সফট লাইনে খেলবে, কেউ হার্ড।
বড়েস পাসসোনাল অ্যাটাক করেছেন বুজ্জি, কিন্তু কাকে করলেন সেটা বুজিনি। অন্ধজনে দেহ আলো
আস্তে কত্তা! আপ-আপ করার আগে একবার এই লেখাটায় চোখ বুলিয়ে নিন। উগ্র হিন্দুত্ব আর নরম হিন্দুত্বের খেলাটা পরিষ্কার হবে।
বিজেপির গেমপ্ল্যানই হচ্ছে মার্কেট থেকে এ এবং বি ছাড়া সিডিইএফজি-কে খেদানো। এটাকেই পোলারাইজেশন বলে। এই আপ যদি এবার ৩৭০ নিয়ে, জেএনইউ নিয়ে, শাহিনবাগ নিয়ে, জামিয়া নিয়ে, ক্যা নিয়ে পজিটিভ কিছু বলে তো আমার মত বদলাবে। নতুবা নয়। বিজেপির প্রতিক্রিয়াশীল স্বাস্থ্যনীতি কিংবা শিক্ষানীতির বিরোধিতা না করে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নয়ন আমার কাছে কসমেটিক উন্নয়ন। গোড়া কেটে আগায় জল ঢালা।
আমি অনেকদিন ধরেই বৃহত্তর বাম জোটের কথা বলে আসছি। আপের জয়ে বগল বাজানো শুরু হলে এবার না দেখতে হয় যে বাংলায় বিজেপিকে হারিয়ে তিনো জিতেছে বলে বামেরা বগল বাজাচ্ছে! একজন আই আই টি-র লোক হনুমানকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে জয়ের জন্য!! কাকে দিচ্ছেন রাজার পার্ট/
প্রসঙ্গত আপের নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে করদাতাদের টাকায় আগামী ৫ বছরে ১০ লক্ষ তীর্থযাত্রীকে তীর্থ করতে পাঠানো হবে। দারুণ উন্নয়ন!
কারেকশনঃ আপের ভোট পার্সেন্টেজ তেমন কমেনি যদিও বিজেপির বেড়েছে। দিল্লিতে খেলা হয়েছে এ টিম ও বি টিমের মধ্যে এবং দুটোরই স্পনসর কর্পোরেটরা।
এখানে আমি এলেবেলের মতকেই সমর্থন করি। এই লেসার ইভিল তত্ত্ব বড় মারাত্মক - কিন্তু এ থেকে বেরোনোর আশু উপায় কিছু তো দেখছি না। বামদের প্রাসঙ্গিক করতে চাইলে আমরা যারা নিজেদের বাম মনে করি তাদের মাঠেঘাটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে - ডিসকোর্স তৈরী করা এবং তাকে এগিয়দ নিতে যাবার দায়ীত্ব নিতে হবে। আমি তো অন্ততঃ সেসব কিছু করছি না। আরো অনেকে যদি করেন (অল্প কয়েকজন তো করছেন বটেই) তাহলে এসব হাহুতাশের প্রয়োজন হবে না। বিকল্প ন্যারেটিভ দরকার, সবাই জানি - কিন্তু সেটা কি, তার উত্তরে হিরন্ময় নীরবতা। লাও তো বটে, কিন্তু আনে কে?