এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 108.162.237.57 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:০৮431280
  • আরো আগে আসতো তাহলে ভাজপা। দেরি!!!!
  • o | 172.69.22.85 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:০৩431279
  • নন-আঁতেল লেখা কম পড়ে লোকে দু-একটা আঁতেল লেখা পড়লে বিজেপি আসতে আরো বছর দশেক দেরী হত। ঃ-)))

  • Atoz | 162.158.187.176 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫৮431278
  • শুধু আঁতেল লেখা পড়ে দেশ বা জাতিকে বোঝা যায় না, প্রচুর নন-আঁতেল লেখাও পড়া দরকার তার জন্য।
  • o | 172.69.23.20 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫২431277
  • দেশভাগ, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে অনেকেই লিখেছেন বটে, তবে খুব কমজনের লেখাই দাঁড়িয়েছে। তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক সচেতনতা এবং সময় সম্পর্কে স্বচ্ছ দৃষ্টি না থাকলে এসব লেখা কেবল স্মৃতিচারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্মৃতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যক্তির নিজের বর্গের দোষত্রুটিকে র‍্যাশনালাইজ করে দেয়। খুব কম লেখকই আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হতে পারেন। 'খোয়াবনামা' যেভাবে তেভাগা ও দেশভাগকে একসুতোয় বেঁধে দ্যাখে, সেইটেই সেসময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার সবচেয়ে নিখুঁত চিত্র বলে মনে হয়। উল্টোদিকে, 'চিলেকোঠার সেপাই'-তে হাড্ডি খিজির যখন টালমাটাল ঢাকার রাস্তায় মধ্যবিত্ত দম্পতির কাছ থেকে নিষ্ঠুরভাবে নিজের মজুরি নেয় এবং সেই দম্পতি খিজিরকে অমানুষ বলে গাল দেয় কিংবা আয়ুব খানের গদিতে আগুন লাগাও বলে স্লোগান দিতে দিতে তার ফাঁকে হঠাৎ গুঁজে দেয় মহাজনের গদিতে আগুন লাগাও এবং তারপর অন্যান্যদের কাছে ধমক খায়, তখন এইসব ঘটনাগুলোর মধ্যে জাতীয়তাবাদী সীমা ছাড়িয়ে অনেক গভীর একটা ঐতিহাসিক সচেতনতা খুঁজে পাওয়া যায়। এসব বাদ দিয়ে শুধুমাত্র স্মৃতিনির্ভর লেখা পড়ার উৎসাহ বোধ করিনা।

  • Atoz | 162.158.187.176 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৪২431276
  • আমাদের যে মহান শাসকদল একটা বিরাট দেশকে তিন টুকরো করে কাটলেন, তারপর ভাগযোগ করে গদীর কলা খেলেন আর লোকেদের ভুজুং ভাজাং দিয়ে গেলেন, তাঁরা সবকিছু ই জানতেন, টনটনে জ্ঞান ছিল। এইরকম(বা আরও ভয়াবহ) পরিস্থিতি যে হবে তাও তারা জানতেন। কিন্তু তাতে কী এসে যায়? সাধারণ মানুষ তাঁদের মহাযজ্ঞের বলির পশুমাত্র। তারা মরতেই জন্মেছে। পাঞ্জাবের ভাগেও মারাত্মক রক্ত ঝরেছে, ভয়াবহ সব কান্ড ঘটেছে। (এই সেদিন দীপা মেহতার "আর্থ" দেখছিলাম)। আর বাংলার ভাগ যে কী ঘটিয়েছে, তা তো নিজেরাই প্রত্যক্ষ করছি প্রতিনিয়ত।
  • অর্জুন | 162.158.118.39 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৪431275
  • গত বছরের পার্টিশন ওয়ার্কশপে জানতে পারি পঞ্জাব ও বাংলা দ্বিখণ্ডিত হলেও সারা ভারতের কাছে পঞ্জাব বিভাগ গুরুত্ব পেয়েছিল। পার্টিশন চর্চার একটা বিশাল অন্তরায় ছিল প্রপার আর্কাইভ না থাকায়। তার ওপর বেঙ্গল পার্টিশনের উপযুক্ত ফটোগ্রাফ পর্যন্ত পাওয়া মুশকিল। প্রখ্যাত ফরাসী চিত্রগ্রাহক Henri Cartier-Bresson '৪৭ সালে ভারতে ছিলেন। তার তোলা ছবিগুলিই পার্টিশনের একমাত্র ছবি। তবে সে সব পঞ্জাব পার্টিশনের। Bresson পরে বলেছিলেন পার্টিশনের মত এরকম একটা ঘটনা ঘটছে সেটা তাঁর কাছে সে সময়ে ঠিক বোধগম্য ছিল না। বাংলা ভাগের কথা তিনি জানতেনই না। এটা কিন্তু একটা ফ্যাক্ট । বেঙ্গল পার্টিশনের কথা সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। তাই বেঙ্গল পার্টিশনের গুটিকয় ছবি পাওয়া যায় যা তুলেছিলেন সুনীল জানা। এছাড়া বেঙ্গল পার্টিশনের বিশেষ ছবিই নেই। তখন খুব কম মানুষের কাছে ক্যামেরা থাকত আর জীবন যেখানে সংকটে সেখানে ছবি তুলবেই বা কে!!
  • Atoz | 108.162.237.129 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৯431274
  • হ্যাঁ অর্জুন, দেশভাগের বিশাল একটা অভিঘাত হল নীরবতা। অনেকেই স্রেফ বোবা হয়ে গেছে, অকল্পনীয় একটা অবস্থায় পড়ে। এ পর্যন্ত দেশ হারিয়ে আসার যত স্মৃতিচারণ শুনেছি/পড়েছি বেশিরভাগই অসহায় বিষাদ আর আক্ষেপ। আমকাঁঠালের বাগান, ভরা ভরা নদী, সবুজ ক্ষেত ভরে ধান দুলছে, এইরকম একটা কাব্যিক আবহ। হঠাৎ বিনামেঘে বজ্রাঘাতের মতন সব কিছু থেকে ছিঁড়ে গিয়ে পালাও পালাও। এইসব বইগুলো পাশাপাশি রেখে পড়লে একসময় মনে হয় অনেক কথাই স্রেফ বলা হয় নি। হয়তো বলা যায় না বলেই ।
  • Atoz | 108.162.237.129 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১০431273
  • অরিন, শুধু "দুধ" তো না, ছানা, মাখন, ঘী, দই, সন্দেশ, রসগোল্লা, আইসক্রীম, চীজ, পনির, ক্ষীর, ননী ---বহুরকম দুগ্ধজাত জিনিসের বিশাল একটি বাজার আছে, মানুষ বড় হয়ে যদি দুধ নাও খায়, এই জিনিসগুলোর জন্য দুধ লাগবেই।
    আর বড় মানে ধরুন তিন বছর বয়স থেকে দুধ আর খাবে না হতে পারে, তখন শক্ত খাবার ভাত-রুটি-স্যান্ডউইচ-ডাল-তরকারি-স্যুপ খেতে শিখে যাবে, কিন্তু তার আগে? প্রথম বছরে মায়ের দুধেই হয়তো হয়ে গেল, তারপর দ্বিতীয় আর তৃতীয় বছরে?
  • অর্জুন | 162.158.118.39 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০৭431272
  • সব সময় homogeneity খুঁজলে unity in diversity concept টা অর্থহীন হয়ে যায় । 

  • অর্জুন | 162.158.119.22 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০৩431271
  • পার্টিশন ইতিহাসচর্চার বিষয় হয়েছে অনেক পরে। গত তিন দশক পার্টিশন ইতিহাসচর্চার বিষয় যার জন্যে উর্বশী বুটালিয়া তার প্রথম বইয়ের নামকরণ করেন 'The other side of silence ' । ১৪ মিলিয়ন মানুষ ডিসপ্লেসড হয়েছিল '৪৭ এ, তারপরেও আরো কত ! অজস্র ন্যারেটিভ কালেক্টেড হয়েছে। পার্টিশনের ফলে যে trauma এবং anxiety গেছে কয়েক প্রজন্মের, তা নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। Trauma থেকে নীরবতা এবং নীরবতা থেকে বিস্মৃতি। একজন কাজ করছেন জানি history of the forgotten memory নিয়ে।
  • aka | 162.158.187.154 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫২431270
  • ভারতীয় উপমহাদেশে হোমোজেনিয়িটি খোজার কোন মানেই নেই। পঃবঃ্যের মধ্যেই প্রতি ১০০ কিমিতে ভাষা থেকে খাদ্য সব বদলে যায়।
  • সে | 162.158.150.29 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪৭431269
  • ঠিক চুয়াল্লিশ বছর আগে এমনই এক ফেব্রুয়ারি মাসের সন্ধে। সকালে বাবার শ্রাদ্ধ হয়েছে। সন্ধেবেলা লোক খাওয়ানোর ব্যাপারটা আমি প্রতিবাদ করে বন্ধ করে দিয়েছি। এমনিতে ঘরে বসেছিলাম সবাই। হঠাৎ সাজগোজ করে তিন চারজন যুবক যুবতীর প্রবেশ। আমার মায়ের খোঁজ করছে। পরিচয় দিল নিজেদের। তারা মায়ের খুড়তুতো ভাইবোন। বরিশাল থেকে এসেছে কয়েকমাস আগে। সেই প্রথম নিজের জেঠতুতো দিদিকে দেখল তারা। গল্প করল অনেক। যুদ্ধের গল্প। সবার জন্ম পাকিস্তান আমলে। বাংলাদেশের যুদ্ধের সময়কার ভয়াবহ সব ঘটনা। মায়ের কাকা সেই সময় নিহত হন। দেশ স্বাধীন হলেও তারা থাকতে পারল না। মুজিবহত্যার পর অবস্থা খুব খারাপ। সবাই চলে এসেছে কলকাতায়। যাদবপুরের কোথায় যেন থাকে বলল। বলল বাংলাদেশ হয়েছে ঠিকই কিন্তু হিন্দুদের নিরাপত্তা নেই।
    বাবার মৃত্যু ভুলে গিয়ে সেই নতুন দেখা মামা মাসীদের গল্প শুনছিলাম সেদিন।
  • aka | 162.158.186.251 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪২431268
  • পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দারুণ দেখতে, ঊর্দূ বলে, আর পাশ্চিম প্রান্তের লোকেরা তো একেবারেই আলাদা।

    বাঙ্গলাদেশী মুসলিমদের ভাষা তো অনেকটাই আলাদা- যেমন জলকে পানি বলে, চানকে গোসল, খুব ভালো খেতে হয়েছে বলে না, বলে খুব মজার হয়েছে (মজাদারের বাঙ্গলা )। বিরিয়ানির সাথে বেগুন ভাজি খায়।

    মিল আছে তবে কম মনে হয়।
  • অর্জুন | 162.158.118.191 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৩১431267
  • পশ্চিমবঙ্গীয়দের এটা বোঝানো যায়না যে পূর্ববঙ্গীয়দের ডিসপ্লেসমেন্টের কারণ শুধুই পার্টিশন নয়। চল্লিশের দশকটা ভয়ংকর একটা সময়। আমার মা'র পিতৃ পরিবার প্রায় আড়াই দশক বর্তমান মায়াম্মারে থাকত। '৪৫ সালে তারা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসতে বাধ্য হল কদিনের মধ্যে জল ও স্থল পথে জাপানী আক্রমণের ফলে। আবার বাবার এক মাসিমা সপরিবারে থাকতেন লাহৌরে। মেসোমশাই ট্রিবিউন পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। প্রতি বছর গরমে তারা সিমলা বেড়াতে আসতেন। '৪৭ এ পরিবারের কয়েকজন সিমলায় এলেন আর ফেরা হল না। তিনজন লাহৌরে ছিল। কোনোক্রমে পালিয়ে এসেছিল প্রতিবেশী এক পরিবারের সঙ্গে। ওদিকে পূর্ববঙ্গের ভিটেমাটিও চিরকালের মত চলে গেল। ট্রিবিউন পত্রিকার লাহৌরের অফিস সিমলায় চলে এল। পরিবারটি সিমলা থেকে বোম্বে, পরে ৫০র মধ্যভাগে কলকাতায় চলে এল। বাবার এই মাসিমাকে আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমার বাতিক ছিল ওঁর কাছ থেকে লাহৌরের গল্প শোনা। দারুণ হিন্দি বলতেন। খুব ফ্যাসেনেবল ছিলেন। ঐ পরিবারটি কোনোদিন ঠিক কলকাতার হয়ে উঠতে পারেনি। পরে অনেকেই কলকাতা ছেড়ে চলে যায়। ওদের মধ্যে পূর্ব বাংলাকে হারানর চাইতেও লাহৌর হারানোর দুঃখ বেশী ছিল। আমার দিদিমা মৃত্যু পর্যন্ত রেঙ্গুন শহরের গল্প করতেন।
  • সে | 162.158.150.31 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:২৯431266
  • নিউজিল্যান্ড থেকে রেডকাউ দুধ আমদানি হতো বাংলাদেশে।
  • অরিন | 198.41.238.121 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:২১431265
  • "চকের গুঁড়ো পর্যন্ত দিয়ে দেয়, দুধে।"

    "বড়" হয়ে যাবার পর মানুষের গরুর দুধ খাবার কি খুব প্রয়োজন আছে? সাউথ ইস্ট এশিয়ায় দুধ বিক্রির পলিটিক্সটি অতীব জটিল, :-)

  • অর্জু ন | 162.158.118.133 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০৮431264
  • @Atoz ২২:৪৯ র মেসেজে মনে পড়ল গত বছর রবীন্দ্র ভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে একটি পার্টিশন ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েছিলাম। সেখানে গবেষকেরা নানা ন্যারেটিভ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। একটি কাহিনী শুনেছিলাম। অগাস্ট '৪৭ র পরেই বরিশালের একটি গ্রামে বেশ কয়েক ঘর হিন্দু তখনও রয়েছে। প্রতিদিন তারা খবর পায় পার্শবর্তী গাঁ থেকে মুসলমানেরা আক্রমণ করতে পারে যে কোনোদিন। আসপাশের গ্রামে এক মুসলমান ডাকাতের খুব কুখ্যাতি ছিল। গ্রামের হিন্দুরা তার শরণাপন্ন হল সুরক্ষা চেয়ে। সে রক্ষা করলে কারো সাধ্যি নেই কিছু করার। ডাকাতটি রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিল কিন্তু দিনপিছু প্রতি পরিবার থেকে দু হাজার টাকা দিতে হবে। ঘটি বাটি সোনা দানা দিয়ে গ্রামবাসীরা সেই দাবী মেনে নিল। এদিকে গ্রামেরই কাছাকাছি কোথাও ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মি ছিল। আর্মির হেড একজন পাখতুনয়ালা মুসলমান। গারনের কেউ একজন তার কাছে খবরটি পৌঁছাল। পাখতুনয়ালি তার মিলিটারি ভ্যান নিয়ে গারমে ঢুকে প্রথমেই সেই ডাকাতকে গ্রেফতার করল এবং এবং এমন মারল যে সে মারাই গেল। তারপর সে যেকটা হিন্দু পরিবার সেখান থেকে সীমান্তে চলে যেতে ইচ্ছুক ছিল, তাদের পূর্ণ প্রটেকশন দিয়ে মিলিটারি ট্রাকে পৌঁছে দিয়েছিল।
  • Atoz | 108.162.238.112 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০৪431262
  • চকের গুঁড়ো পর্যন্ত দিয়ে দেয়, দুধে। আরো অনেক কিছু আছে এরকম।
  • Atoz | 108.162.238.112 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০৩431261
  • অরিন,
    আসলে দেখুন, এই যে সাদা কালো বাদামী সোনালি লম্বা খাটো রোগা মোটা হরেকরকম মানুষ, মনে মনে সবাই তো প্রায় একই রকম। খুব বেশি ভয়ানক আলাদারকম চিন্তাভাবনা কি আমাদের? ছোটো ছোটো সুখ এর আকাঙ্ক্ষা, ছোটো ছোটো দুঃখ যা এড়ানো যায় না, তাই নিয়ে কান্না---এইটুকুই তো। চেহারা টেহারা বাইরের ব্যাপার। সকলেরই বাতাস টানতে হবে অক্সিজেন চাই, সকরলেই খাদ্যপানীয় চাই বাঁচতে গেলে, সকলেই একটা আশ্রয় চাই কিছু বস্ত্র চাই। সবকিছুই মোটামুটি একই। অথচ দেখুন দুনিয়া জুড়ে কী ভয়ানক যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব সর্বক্ষণ!
  • সে | 162.158.150.99 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০০431260
  • আতোজ
    শাসকদল তো সব গুয়ের এপিঠ আর ওপিঠ।
    সাধারণ মানুষের থেকেই তো শাসকরা উঠে আসে।
    ইউনিভারসিটিতে সবসময় মারপিট খুনোখুনি হয়।
    গলফস্টিক ব্যবহার হয় গলফ খেলার জন্য না, মারপিটের জন্য। আজকের কথা না, আশি নব্বইয়ের দশকের কথা বলছি। আমাদের টাইমে যেকজন হিন্দু বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী ছিল সবাই অ্যামেরিকায় চলে গেছে, ডাক্তার বাদ দিয়ে।
    বাংলাদেশে ঢাকা শহরে দুধ কেউ কিনে খায় না। ভেজাল। মিল্ক পাউডার গুলে দুধ তৈরি করে।
  • Atoz | 108.162.238.112 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫৭431259
  • এক ফেবুগ্রুপে তো দেখতাম চব্বিশটা ঘন্টা দুইদল একদল আরেকদলকে গালাগাল দিয়ে যাচ্ছে। এপারের হিন্দু বাঙালি একদলে, ওপারের মুসলমান বাঙালি আরেকদলে। ওরে বাবা রে বাবা। নন-স্টপ চব্বিশটা ঘন্টা। একদল ঘুমিয়ে পড়ে, ততক্ষণে দুনিয়ার অন্যপ্রান্তে অন্যদলের সকাল হয়ে গেছে, তারা বিপুল উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উফ্ফ্ফ।
  • অরিন | 198.41.238.121 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫৪431258
  • আপনাদের পোস্টগুলো পড়তে পড়তে  একটা কথা মাথায় ঘুরছে, লিখেই ফেলি।

    গতকাল আমার জনৈক ছাত্রের  PhD ওরাল পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল, যে ভদ্রলোক পরীক্ষক, তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের লোক, এখানে এসে ল্যাপটপের পাওয়ার কর্ড গুঁজছেন। আমাকে বললেন, এই একটা  বেশ ভালো ব্যাপার জানেন, নিউ জিল্যাণ্ড অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে গেলে আলাদা করে অ্যাডাপ্টার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয় না। আমরা দুদেশের মানুষরা প্রায় একই রকম, বলুন? তা ব্যাপারটা হয়ত অতটা মধুর নয়, যদিও মোটামুটি অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যাণ্ডের সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতায়াত, জমি বাড়ি কেনা, ভিসাহীন চলাফেরা সবই চলে। এমনকি, আপনি নিউজিল্যাণ্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া গেলে চট করে বুঝতে পারবেন না, কোথায় কতটা তফাৎ। দোকানপাট সব এক রকম, লোকেরা (কান  খুব সজাগ না হলে) প্রায় একই রকম ইনটোনেশনে কথা বলে, এইসব। তা কিছুটা রাইভ্যালরি নিশ্চয়ই আছে। অজি, কিউয়ি তো এক নয়। 

    যে কারণে কথাটা তুললাম, পশ্চিম থেকে পূবে উপমহাদেশে তিনটে দেশ (পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ), তিনটে দেশের মানুষের মধ্যে কি খুব অমিল (চেহারায়, মনে?)। যাঁরা দেশের বাইরে থাকেন বা অন্তত এমন কয়েকদিন থেকেছেন যেখানে পাকিস্তানি বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে (ধরুন পেট্রোল পাম্পে/গ্যাস স্টেশনে), অন্যত্র, তখন কথা বললে কি মনে হয়? মানুষ মানুষে সম্পর্কটা আমরা এত সহজে অকারণে তেতো করে ফেলি কেন? 

    @Atoz ১৯৪৭ থেকে ধীরলয়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে ইমিগ্রেশনের কথাটা তুলেছেন দেখলাম। ১৯৬৮ সালে ভারত সরকার পার্লামেন্টে একটি আইন পাশ করেন, যার নাম "Enemy Property Act, 1968", আইনটির টাইটেলটি লক্ষ্য করুন, "Enemy" । কে কার শত্রু? একটা কাল্পনিক লাইন, তার ভিত্তিতে একটা দেশকে দুটুকরো করে দেওয়া হল, মানুষগুলোর কি হল কারো খেয়াল নেই, সম্পত্তি হয়ে গেল "শত্রুর" সম্পত্তি! সেমানটিকস, কিন্তু তার পেছনে তো একেকটা গল্প থাকে। একটা মন থাকে যে গল্পগুলো তৈরী করে। 

    আমরা সব মেনেও নিই।

    এইটাই।  

  • Atoz | 108.162.238.112 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫৪431257
  • আসল সমস্যাগুলো খোলাখুলি আলোচনা না হলে সমাধানের চেষ্টা না হলে শেষে ওটা বিকৃত হয়ে যায়, নানা এদিক ওদিক অন্য কিছু দিয়ে মূল ব্যাপারটাকে চাপা দেওয়া হয়। সমস্যা সমস্যাই থাকে।
  • সে | 162.158.150.63 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫১431256
  • ঘৃণা জিনিসটা পরবর্তী প্রজন্মকে যত কম শেখানো যায় ততই মঙ্গল। পূর্বপুরুষদের লাঞ্ছনার কাহিনি শুনে শুনে পরবর্তী প্রজন্মের মনে ঘৃণা তৈরি হয়।

    আমি একসময় বাংলাদেশিদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মিশেছি। এখনও যোগাযোগ আছে। অধিকাংশ সময়েই এদের আলোচনা ক্রমাগত ভারতের সঙ্গে তুলনা, কার কত বেশি টাকা, কে কত বেশি হাত খুলে খরচ করে, এ সবে পর্যবসিত হয়।
    ভারতের বাঙালিরা কৃপন, খাবার দাবারে খরচ কম করে, ইত্যাদি ইত্যাদি অভিযোগ।
    আমি চুপচাপ শুনতাম। অবশ্যই এসব উক্তি কমপ্লেক্সপ্রসূত। কিছু বলতাম না। মেনে নিলেও নিস্তার নেই। তখন খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হিন্দুদের ওপর অভিযোগ। যদি বলি আমি হিন্দু নই তাহলেও মানবে না। এক ধারসে প্রায় প্রত্যেকেই এরকম ব্যবহার করত। এর পেছনে নিশ্চয় কারণ আছে।
  • Atoz | 108.162.238.112 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫০431255
  • কিন্তু সে দি, লক্ষ করো, বছরের পর বছর, দশকের পর দশক একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক দেশত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে, এটা তো জাতীয় পর্যায়ের একটা সমস্যা। এই নিয়ে আলোচনা, সমস্যা আইডেনটিফাই করা, সমাধানের চেষ্টা করা---এসব কি সেই দেশের শাসকদলের কাজ নয়? এইসবের কোনো কিছুই তো দেখা যায় না?
  • অর্জুন | 162.158.118.165 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৪৩431254
  • তসলিমা নাসরীনের 'লজ্জা' তেও তো সেই কাহিনী অনেকটাই।
  • Atoz | 162.158.187.84 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৪১431253
  • দীপেন ভট্টাচার্য নামের একজন লেখক, তাঁকে আমার মুক্তিযুদ্ধ-লেখক বলেই মনে হয় যদিও লেখেন ফ্যান্টাসি, সায়েন্সফিকশন ইত্যাদি, কিন্তু তাঁর প্রায় প্রতিটি লেখায় মুক্তিযুদ্ধ ও তার সময়কাল ঘুরে ফিরে আসে। ওঁর লেখাগুলো পড়লে ওই দেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা অনেকটাই বোঝা যায়।
  • Atoz | 162.158.187.84 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৩৮431252
  • ধর্মনিরপেক্ষ স্ট্রং কোনো রাজনৈতিক দল ওখানে থাকলে হয়তো অবস্থাটা এতটা ঘোরালো হত না। ওঁদের দেশের নানা সাম্প্রতিক লেখায়, নাটকে দেখি নানা চরিত্র আক্ষেপ করছেন, "আরে আপনারা বামদলেরা তো উঠতেই পারলেন না, কিছু বলতেই পারলেন না।"
  • সে | 162.158.150.99 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৩৪431251
  • আমার মায়ের দাদু দিদিমা ওখানেই থাকতেন, ঢাকা শহরে। ১৯৬৮ অবধি। দিদিমার মা ১৯৬৮ তে মারা গেলেন ঢাকায় ৮২ বছর বয়সে। মায়ের দাদু তখনও ঢাকা কোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। বয়স ৯২। স্ত্রীর মৃত্যুর পর চলে এলেন হাওড়ায়। এক বছর পর মারা গেলেন ৯৩ বছর বয়সে।
    এক এক করে হিন্দুরা পাকিস্তান থেকে চলে এসে সংখ্যালঘুদের সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছে এটা ঘটনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত