এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হখগ | 172.69.134.50 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৪:১১437883
  • রাজ্যে হারড লকডাউনের পক্ষ তারা নিচ্ছেন তারা একসেম্পট সার্ভিস গূলো দেখেছেন তো? আই টি গাই , গার্ল হলে আশীর্বাদ করছি অদ্য বসন্ত প্রাতে আপনাদের ডানা গজাক, ট্রান্সপোর্ট লকডাউনের মধ্যে আপিস যাবেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবেন। আর সরকার কে মহান ভাবতে পারেন,
    বাড়িতে ই হাত তালি দেবেন, কারনন অনেক সরকারের মত মত আপনাকে আবশ্যিক ভাবে যেতে হচ্ছে না।
  • π | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৪:০৭437882
  • মাস্ক নিয়ে গাইডলাইনটা নিয়ে সমস্যা আছে। আমি যদ্দুর কথা বলে যা বুঝেছি, মাস্কের অপ্রতুলতার কারণে রিস্ক অনুযায়ী, যাঁদের সব চেয়ে রিস্ক, হবার আর যাঁদের ছড়াবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তাঁদের যেন থাকে ( অলরেডি নেই) সে জন্য।
    নইলে, আগেও অনেক জায়গায় লিখলাম। যুক্তি দিয়ে ভাবতে গেলে,
    ১। যদি এয়ারবর্ন নাও হয়, তিন ফুট ট্রাভেল করেই সারফেসে পড়ে যায়, তাও, একটা খুব ভিড় ট্রেনে বাসে, ফ্লাইটের পাশের সিটে কারুর নাক মুখের খুব কাছে আক্রান্ত মাস্ক না পরা কেউ হেঁচে কেশে দিলে, কথা বললে? সেক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তি পরে থাকলে কিছুটা হলেও প্রোটেকশন তো।স্বাস্থ্যকর্মীদের থেকে খুব কম রিস্ক এসব খুব ক্লোজ কন্ট্যাক্টের জায়গায় নেই বলে মনে করি।

    ২। এবার আরো সমস্যা হল। বলছে আসিম্পটমেটিক স্টেজেই ছড়াতে পারে। তাহলে আরোই চিত্তির। আক্রান্ত জানেনই না তিনি আক্রান্ত, সিম্পটম ও নেই, অতেব এই গাইডলাইন অনুযায়ী পরবেন না।কিন্তু কথা বললে খুব ক্লোজ কন্টাক্টে ছড়াতে পারেন। তাহলে এখানেও গাইডলাইন ভেংংেংে অন্যেরা পরে থাকলে ভাল। বিশেষ করে বিদেশ থেকে ফেরা লোকজন না পরে ঘুরে বেড়ালে আর তাঁদের ক্লোজ কন্টাক্টে যেতে হলে।

    ৩। আরো ভয়নকর। এসব কিছুই বলা হয়েছে, এই ভাইরাসককে এয়ারবর্ন না ধরে। কিন্তু ক'দিন আগেই পড়লাম, হতেও পারে।
    আরআজ পড়ছি ( হু র মূল স্টেটমেন্ট এখনো দেখিনি),
    The World Health Organization is considering “airborne precautions” for medical staff after a new study showed the coronavirus can survive in the air in some settings.

    The virus is transmitted through droplets, or little bits of liquid, mostly through sneezing or coughing, Dr. Maria Van Kerkhove, head of WHO’s emerging diseases and zoonosis unit, told reporters during a virtual news conference on Monday. “When you do an aerosol-generating procedure like in a medical care facility, you have the possibility to what we call aerosolize these particles, which means they can stay in the air a little bit longer.”
    https://www.cnbc.com/2020/03/16/who-considers-airborne-precautions-for-medical-staff-after-study-shows-coronavirus-can-survive-in-air.html?fbclid=IwAR2-SKJK3lbT2jRJdzuSf4ke70yIcSTQTn-XuiMZ-Bz0YYBkKhm_KxbO-R4

    এই যে, আগেরটা। নেচার ব্রিফিং এ দিয়েছিল। পড়ে দেখুন ভাল করে। খুব ইন্টারেস্টিং রিড।
    https://www.wired.com/story/they-say-coronavirus-isnt-airborne-but-its-definitely-borne-by-air/

    অবশ্যই আইসোশনে বাড়িতে বসে থাকলে, সোশাল ডিস্ট্যান্সিং করলে, ফাঁকা জায়গায় ঘুরলে পরার মানে নেই হয়ত, ঠিকভাবে না পরলে আরো ক্ষতি হয়ত, এই বাড়ন্ত মাস্কের দিনে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর্মী আর আক্রান্তদের পরার প্রয়োজনীয়তা জনিত প্রায়োরিটি অনেকই বেশি, কিন্তু তাও, এই গাইডলাইন আমার সমস্যাজনক মনে হয়েছে। অযৌক্তিক বলা ভাল। বিশেষ করে আমাদের কত ভিড়েঠাসা দেশে। লকডাউন না হলে তো তাইই। বা, ধরুন হাস্পাতালের লাইনে, অপেক্ষারত অবস্থায়। যে কেউ হতেই পারে আক্রান্ত। সেখানে থাকা, এই ফ্লু সিম্পটম না থাকা লোকজনের রিস্ক স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছাকাছিই কিন্তু প্রায়!
  • দীপাঞ্জন | 172.68.189.180 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৫437879
  • "এখনো কেউ এসিমটোম্যাটিক লোকেদের কথাটা ভাবছেন না" - একমাত্র লং-টার্ম সমাধান মনে হয় বাড়িতে বসে মাস স্কেল-এ নিজে নিজে টেস্ট করার ব্যবস্থা করা । প্লাস হট স্পট গুলো তে রান্ডম টেস্টিং রিগার্ডলেস অফ সিম্পটম । এন্টিবডি-টেস্ট ও সবার করা উচিত আর রেজাল্ট জানা উচিত । এছাড়া কোনো উপায় নেই মনে হয় ।
  • S | 108.162.246.244 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৪437878
  • পাবলিক হেল্থকেয়ারে ইনভেস্টমেন্টটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সেটা দক্ষীনপন্থীরা বহুকাল থেকেই ইগনোর করে যাচ্ছে। পাবলিক সার্ভিসেসের ক্ষেত্রেও তাই। দক্ষীনপন্থীদের বক্তব্য হল লোকের আয় বাড়ুক, লোকে নিজেরাই প্রাইভেট কোম্পানিদের থেকে সার্ভিস জোগাড় করে নেবে। সেটা যে হয়্না, তার প্রমাণ পাওয়া গেল। দিদি মোদির থেকে বেটার কাজ করছে অবশ্যই, কিন্তু উই হ্যাভ আ ভেরি লো বার।
  • aka | 108.162.238.22 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৮437877
  • দ্যাখো হানু, প্যানডেমিক হ্যাণ্ডেল করতে গিয়ে একশ দিনের কাজ কোত্থদিয়ে আসে বুই নাই, সে সিইও বললে সিইও, সিআইও বললে তাই।
  • হখগ | 162.158.166.18 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৭437876
  • আকার ৩:৪৩ এ অবশ্য এগ্রি না করার মত কিছু পাইনি, পাবলিক হেলথের ইনভেস্টমেন্ট টা উহ্য ধরে নিচ্ছি, প্রাইভেঠ হেলথকেয়ার তো এসব ইনোভেশন দেবেনা,
  • হখগ | 162.158.166.18 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৪437875
  • **এত কম কেনো
  • হখগ | 162.158.166.18 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৪437874
  • আকা প্রকৃত সি ই ও হয়েছে বা হবে, স্মার্ট ওয়ানলাইনার দিয়ে আর্গুমেন্টে র অভাব ম্যানেজ করতে শিখেছে, শ্রদ্ধা য় মাথা নুয়ে এল:--))))))) এখনো অব্দি রিলিফ ঘোষণা এত নাম কেন, প্রতি সমস্যা তেই রিলিফ ঘোষণা টিই কেবল ওল্ড ফ্যাশনড হয়ে যায় কেন তার উত্তর নেই:--)))))))
  • aka | 108.162.238.112 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৩437873
  • ভারতে এখনও সিচুয়েশনটা অনেকটা ডিস্ট্যান্স থাণ্ডারের মতন। মেঘ করেছে, বিদ্যুত চমকও দেখতে পাচ্ছে কিন্তু এখনও মনে হচ্ছে দুরে। বন্ধ হচ্ছে, সেতো বনধও হয়, লোকের অসুখের কথা শোনা যাচ্ছে কিন্তু কোন পাড়া প্রতিবেশির বা আত্মীয়ের এখনও হয় নি। বেশ একটা উতসবের আমেজ। যারা এখন পৃথিবীতে বেচে আছে তারা কেউই এই পরিস্থিতি দেখে নি, সেই বোধটা আসে নি। আমারও আসে নি এক হপ্তা আগেও।

    পণ্ডিত লোকজন যা বলছে তাতে ভারতে ৩০০-৪০০ মিলিয়ন লোক আক্রান্ত হবে, মানে জনসন্খ্যার এক তৃতীয়াঙ্গশ। কেউ বলছে কোন স্টেপ না নিলে জুলাইয়ের মধ্যে, কেউ বলছে বন্ধ টন্ধ করলে সেটাকে একটু পিছোনো যায়। একটি দেশের এক তৃতীয়াঙ্গশ লোক একটি রোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিন মজুরদের কাজ এমনিই থাকবে না। শুধু দিন মজুর নয় অন্য অনেকেরই থাকবে না।

    এই অবস্থায় কিকরে রোগ সামাল দেওয়া যায় সেটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। তারজন্য অনেক ইনোভেটিভ চিন্তাভাবনার দরকার। মমতা সেই চেষ্টা সামনে দাড়িয়ে করছে, লড়ে যাচ্ছে। আমেরিকার কপি প্ল্যান ভারতে চলবে না।

    যাদের একবার রোগটি হয়েছে, যদি প্রমাণিত হয় তারা জীবনের মতন ইমিউনড তাহলে তাদের নিয়োগ করা উচিত অন্য রোগীদের দেখাশোনার জন্য ইত্যাদি।
  • দীপাঞ্জন | 162.158.255.231 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৩৭437872
  • বাথরুম শেয়ার্ড তো । অনেক সময় ডর্ম / শেয়ার্ড স্পেস-এ কাটাতে হয়, সেল যদিও প্রাইভেট হয় । জেলের এপিডেমিক আর একটা বিরাট সমস্যা সামনে ।
  • Atoz | 162.158.187.70 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:২৫437871
  • এসব কী হচ্ছে? স্পুকি অ্যাকশন অ্যাট এ ডিস্ট্যান্স এর মতন নাকি? এই লোক তো জেলে বন্দী! এর কী করে হল?
  • lcm | 172.68.143.65 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:৫৩437868
  • ক্যালিফোর্নিয়া ওয়াইল্ড ফায়ার এর ফলে বাজে এয়ার কোয়ালিটির সময় অনেক মাস্ক এসেছিল এখানে । লোকজনের কাছে আছে।
    কাল দোকানে অনেককে মাস্ক পরে দেখলাম, যদিও রাস্তায় যারা হাঁটতে বেরিয়েছে তাদের মধ্যে কম ।
  • o | 162.158.62.48 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:৪৫437866
  • "বস খানু, দিস ইজ কম্প্লটলি এ নিউ সিচুয়েশন, নেভার সিন ইন মডার্ণ ওয়ার্ল্ড।

    তোমার রেগুলার কোর্সের আর্গুমেন্টের ভ্যালু নাই কিসু, প্রবলেম সলভিঙ্গ ইজ দা কি। "

    উফফ বাবা! শেষের সেদিনে পৌঁছে মানুষ শান্তিতে দুটো আর্গুমেন্ট করবে, তা নিয়েও বাপু খোঁচা! ঃ-))))
  • অরিন | ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:৪৪437865
  • এখানে যেটা গোলমেলে, এই সতর্কবার্তাগুলো প্রায় সব পুরোনো অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার জন্য বলছে "হেলথি পিপল" এর মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। সেদিক দিয়ে তো এই নির্দেশ ঠিক ই আছে, শুধু শুধু সুস্থ মানুষ মাস্ক পরবেই বা কেন, আর ভাইরাল ইনফেকশন যদি এমন হতো যে যেইমাত্র ইনফেক্টেড হলেন তার কিছুক্ষনের মধ্যে লক্ষণ বেরিয়ে পড়লো, আপনাকে আলাদা করে রেখে কন্টাক্ট ট্রেস করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ট্রান্সমিশন বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে, তখন সাধারণ সুস্থ মানুষের নাকে মুখোশ পরে থাকাটা খুব একটা কাজের নয় ।

    কিন্তু এই বিশেষ করোনার ক্ষেত্রে যে লোকটার মনে করুন সংক্রমণ হয়েছে, বা তার বাড়িতে আরো কেউ সংক্রমিত তিনি জানেন না, তাদের মধ্যে অনেকেরই লক্ষণ বেরোতে এখনো দু চার দিন বাকি, সেই মানুষটা আপাত ভাবে 'সুস্থ' কিন্তু আসলে তা নয় । এনার থেকে অন্য লোকের সংক্রমণ হতে পারে । এদের নিয়েই সবচেয়ে বেশি সমস্যা। এঁরা যদি নিজে জানতেন যে যিনি রোগ ছড়াচ্ছেন তো তিনি অবশ্যই মাস্ক পরতেন, এমনিতে দেখলে সুস্থ লাগলেও পরতেন । এখন টেস্ট না করলে তো জানার কোনো উপায় নেই যে আপাত ভাবে কোন সুস্থ লোকের ইনফেকশন হয়েছে, আর টেস্ট তখনি হবে যখন তিনি "নিজে" সন্দেহ করে টেস্ট করতে যাবেন।

    এই সব কারণে সরকারি নির্দেশাবলী যাই হোক, নিজেরা একটু সতর্ক হয়ে যদি মনে হয় যে এমন জায়গায় থাকেন যে আপনি রোগ হয়েছে এমন কারো সংস্পর্শে এসেছেন বা নিজে নিজে আলাদা হয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না (বাড়িতে অনেক লোক, ঘর কম), তখন একটা মাস্ক পরে থাকলে অন্তত খুব ক্ষতি হবে না।
  • Du | 172.69.68.176 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:২৭437864
  • লসাগু এটাই তো সিডিসি ও বলে যাচ্ছে। আবার পরের লাইনেই অসুস্থতা যে বোঝা যায় না সেই কথা।
  • Du | 172.69.68.176 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:২৫437862
  • এ যা করেছে সেটা করলে মন্দের ভালো কি? এ ছড়ানো তো রোধ করা যাবেই না এই সব হোম কেয়ার একটু হেল্প করতে পারে কি অনেক লোককে?
  • lcm | 172.68.141.189 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:১২437861
  • আমাদের এখানে সরকারি নির্দেশে মাস্ক সম্বন্ধে বলছে, ক্যালিফোর্নিয়া হেলথ নোটিশ ফ্রম কাউন্টি -
  • অর্জুন | 162.158.165.211 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:০২437860
  • কাশ্মীরে এখনো অবধি একজনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। কাশ্মীরের একজন জানাল, ওরা সারা বছরই কোয়ারান্টাইনে থাকে। আলাদা করে দরকার নেই। 

    ওখানেও ৩১ অবধি শাটডাউন। 

  • অরিন | 198.41.238.121 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:০০437859
  • "মাস্কটাকে ডিসকারেজ না করলে অন্ততঃ এই অদৃশ্য আততায়ীর সংখ্যাটা একটু কম হতো না? @অরিন।"

    কম হতো তো বটেই। মাস্কের উপকার হচ্ছে তিনি পরে আছেন তাঁর নাক মুখ থেকে ছড়ানোর সম্ভাবনা কম হয়ে যায়।
  • সিংগল k | 172.69.135.51 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০১:৫৮437858
  • থালা তো খুব বাজালাম কিন্তু কয়েকটা জিনিস আমাকে ভাবাচ্ছে।
    শুধু বাইরে থেকে আসা লোক আর তাদের নিকটাত্মীয়দের মধ্যে শুধু ইনফেকশনটা তো আর সীমাবদ্ধ নেই। দমদমের ঐ ভদ্রলোক বা বিহারে মারা যাওয়া প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সোর্সটা কি আইডেন্টিফাই করা গেছে? আমি ঠিক জানি না। যদি করা না গিয়ে থাকে তবে তো ইনফেকশন থার্ড স্টেজে পৌঁছে গেছে। মানে বেশ কিছু আনডিটেক্টেড ক্যারিয়ারও আমাদের আশেপাশে আছেন।
    সেটা ঠেকাতেই লকডাউন। কালো টাকা ঠেকানের মত বা কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তোলার মত সরকার তো আট ঘাঁট বেঁধেই স্টেপ নিয়েছেন লকডাউন করার আগে কাকপক্ষীটি টের পায় নি, কেবল স্যোসাল মিডিয়ায় গুজব ছিল। আজ রাত থেকে ট্রেন এবং দূরপাল্লার বাস বন্ধ, আগামীকাল বিকেল পাঁচটা থেকে তিন দিনের জন্য টোটাল লকডাউন। শনিবার খোলা থাকবে কিন্তু কতক্ষনের জন্য তা কেউ জানে না। অনেক শহরে যখন ৩১ তারিখ অব্দি লকডাউন করা হয়েছে তখন এ শহরও বাদ যাবে বলে মনে হয় না।
    এতদিন বন্ধ থাকলে শহরের যাঁরা দিন আনেন দিন খান তাঁরা কি করবেন? রাতে ফুটপাথে শুতেও তো ফুটপাথ মাফিয়ার কাছে তোলা গুনতে হয়। খাবার দামও বেড়ে যাবে এটা বোঝাই যাচ্ছে। ফলে লকড ডাউন হয়ে শহরে আটকে থাকা, এই পরিস্থিতিতে এই মানুষগুলো কোনোমতে মেনে নেবেন না। সুযোগ পেলেই দেশের বাড়িতে, সেটা ইউপি, বিহার বা ঝা়ড়খন্ড বা ওড়িশা চলে যেতে চাইবেন। পারবেন না, কারন ট্রান্সপোর্ট বন্ধ। কেন, কোন কারনে ট্রান্সপোর্ট বন্ধ, এবং কেন তাঁদের য়েখানে আছেন সেখানেই আটকে থাকা জরুরী, সেটা তাঁদের বোধগম্য ভাষায় কেউ মানে কোন মিডিয়া তাঁদের বুঝিয়ে বলছে না। দেশের জনগনের মধ্যে শিক্ষার অভাব আর তার চেয়েও বেশী অভাব বাস্তববুদ্ধির তাঁদের কাছ থেকে কিই বা আশা করা যেতে পারে, ফলে তাঁরা নিজেরা নিজেরমত ব্যবস্থা করে শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন। জনতা(পার্টি) কার্ফিউ শেষ হবার পর আমি অন্তত দুটো টাটা-৪০৭ ভর্তি লোকজনকে আমার বাড়ির নিচ দিয়ে চলে যেতে দেখলাম। তাঁরা সবাই শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের মুটিয়া ও ঠেলা/ভ্যানওয়ালা। খানিক পরেই আওয়াজ শুনে দেখি আমার পাড়ার ফার্নিচার-কুলীরাও একটা মিনি ট্রাক ভাড়া করে বিহারের দিকে রওয়ানা দিচ্ছেন। গিয়ে কথা বল্লাম, আমার আশঙ্কাই সত্যি, মানে ওপরে যে কারনটা বলেছি সেই কারনেই ওরা ফিরে যাচ্ছেন। ওদের মধ্যে কয়েকজনের শুকনো কাশিও আছে। - - তার মধ্যে ঐ পিকআপ ট্রাকে গাদাগাদি করে এতটা রাস্তা -- বুঝতে পারছেন তো। বাইচান্স যদি কোন ক্যারিয়ার ওদের মধ্যে থেকে থাকেন। তার পর গ্রামে যাওয়ার পরেই বা কি হবে সেটা আর নাই বা ভাবলাম।
    এই রইল আমার পাড়ার প্রতিবেশীদের পলায়নের চিত্র---


    আকাদার কথা মত বিবেকানন্দ সুভাষচন্দ্রের পথ অনুসরন করে আমার কিছু সমাজসেবা হয়ত করা উচিত ছিল। কিন্তু মনে হল ঘরে আমার বিরাশি বছরের মা একা, আমার যদি কিছু হয়ে যায় তবে ওনার কিছু না হলেও ওনাকে আর বাঁচানো যাবে কিনা সন্দেহ। তাই মাথাটি নিচু করে বাড়ি ফিরে এলাম।
    আমি বুঝি, যে এই লকডাউন করে কেবলমাত্র ছড়িয়ে পড়ার গতিটা কমানো যাবে মাত্র, যাতে আমাদের হাতে যত বেড/ভেন্টিলেটার আছে তাতে সব রোগীর জায়গা মেলে। কিন্তু কটা বেড আছে সেটা দেখতে গিয়ে তো চোখ কপালে উঠে গেল মশাই। এই তো চিত্র -
    https://i.insider.com/5e7283d1c485402d8b0b6af3?width=1667
    বা
    https://indianexpress.com/article/coronavirus/one-isolation-bed-per-84000-people-1-quarantine-bed-per-36000-govt-data-6326015/
    তাই যদি হয় তবে কার্ভটা কতটা ফ্ল্যাট করতে হবে?? এইরকম সচ্ছিদ্র লকডাউন করে লোক দেখানো ছাড়়া আর কিছু হবে তো?
    পাকিস্থানের হাজার কিলোমিটার ভেতরে দশ হাজার টন বোমা ফেলে আসার জন্য রাফাল কেনার পর কি আর বেড বাড়ানোর টাকা আদরনীয় নির্মলাজীর হাতে আছে? যা বেড হাতে থাকবে তাতে আমার বিরাশি বছরের মায়ের তো দুরের কথা আমারও ঠাঁই পাওয়া আইআইটি সীট পাওয়ার চেয়েও কঠিন হবে বলে মনে হয়।
    নাঃ বিবেকানন্দ-সুভাষের ফলোয়ার হওয়ার সৌভাগ্য আর আমার এ জন্মে হল না, আপন প্রাণ বাঁচলেই খুশী থাকব।
  • অরিন | 198.41.238.121 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০১:৫১437857
  • অরিনদা, বস্তির কথা এজন্যই বললাম, বস্তিতে ঠিকঠাক কন্টাক্ট ট্রেস করলে পুরো বস্তিই চলে আসবে প্রায়।

    তাই তো!
    ভাবলেই শিউরে উঠছি!
  • aka | 108.162.238.112 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০১:৪৫437856
  • বস নিজে থেকে বেরবে, বড় হয়ে মার্কেটপন্থী হবে তো ঃ)

    হ্যাটস অফ টু মমতা।
  • S | 162.158.106.71 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০১:৪৫437855
  • এইযে আয় বাড়লেই ট্যাক্স কমানোর জন্য রাইট উইঙ্গ সরকারগুলো দৌড়ায়, কারণ সরকারের কাছে বেশি পয়সা থাকলে নাকি অপচয় হবে, তখন এইসব দিনের কথা খেয়াল থাকেনা। এইবারে বোঝো। ট্রাম্প বা মোদি যাদের পলিটিকাল ন্যারেটিভ দাঁড়িয়ে আছে মিথ্যা কথা বলা আর সায়েন্সকে সাবোটাজ করার উপরে, তাদের দ্বারা যে কিছু হবেনা সেটা বলাই বাহুল্য।

    দুইদিন আগে একটা প্রেস কনফারেন্সে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প ঘোষণা করল যে ম্যালেরিয়ার অষুধেই নাকি করোনা চলে যাচ্ছে, তার দুমিনিট পর ফাউচিকে ট্রাম্পের সামনেই বলতে হল যে ঐ অষুধের কার্যকারিতা নিয়ে কোনো টেস্টিং হয়নি।
  • শালিখ | 172.69.34.201 | ২৩ মার্চ ২০২০ ০১:৩৮437854
  • পিনারাই একটা মন্দির আর দুটো মসজিদের বিরুদ্ধে ফেস্টিভ্যাল করার জন্য মামলা করেছে। লোককে সরকার সিরিয়াস বোঝানোর জন্য এটার দরকার আছে। দেখলাম কালকে লোকে থালা বাজিয়ে মিছিল করছে। এরকম কাজ হতে থাকলে সংক্রমণ বাড়বে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত