*অসাংবিধানিক
যাকগে।
ধনখড়ের নানারকম কীর্তির কথা জানি। যথা - যাদবপুরে বাবুল উদ্ধার অভিযানে যাওয়া, মুর্শিদাবাদের খুনটিতে যখন সাম্প্রদায়িক রং লাগানো হচ্ছে তখন সময় বুঝে 'উদ্বেগ' প্রকাশ, সিএএ এনআরসি-বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজ্যের ভূমিকা অসংবিধানিক হ্যানত্যান বলে দাপাদাপি করা ইত্যাদি। গোপাল গান্ধীর সমমানের কীর্তি জানি না। তাই।
ও হ্যাঁ, সব রাজ্যপালই কমবেশি কেন্দ্রের এজেন্ট। ঠিকই। কিন্তু ধনখড় হ্যাজ সেট আ নিউ লো।
প্রতিষেধক/ভ্যাকসিন অনেকেই বের করবে।
আবার একথাও ঠিক যে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় এইসব লকডাউনের জেরে কতজন অনাহারে মরল বা কষ্ট পেল তাতে পৃথিবীর পলিসিমেকারদের একগাছাও ছেঁড়া যায় না।
চিনের ওপর রেগে গিয়ে অ্যামেরিকা যদি কিছু ব্যবসা চিন থেকে সরিয়ে ভারতে স্থানান্তরিত করে সেই আশায় আশায়ই আমরা লাফাই। ওসব এই বিশাল দাবার বোর্ডের কোনও চালই নয়, ওসব তুচ্ছ।
"গভীর কারণ নিয়ে স্পেকুলেশান আছে, কনস্পিরেসি থিওরি আছে। কিন্তু কোন 'ভ্যালিড সোর্স' নেই আনফরচুনেটলি।"
হ্যাঁ। এরকম কথা আরও একজন বললেন (এখানে নয়)। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস সারা দুনিয়ায় যেভাবে আতঙ্কিত হচ্ছে মানুষ, তাতে বিশেষ কোনও গোষ্ঠির অর্থনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধ হতে চলেছে।
তিনি আরও বললেন যে পৃথিবীর জনসংখ্যা (অঞ্চল বা গোষ্ঠিভিত্তিক ভাবে) ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেবার জন্য নানান সময়ে নাকি চেষ্টা হয়েছে। যুদ্ধ করে অত সংখ্যায় কমানো যায় না। তবে করোনা ভাইরাস কিন্তু সেই মারবার অস্ত্র নয়, কারণ করোনা সবাইকেই আক্রান্ত করতে পারে। খেলাটা নাকি এর পরের। এবং তিনি আরও বললেন যে এই ব্যাপারটা ২০২৩ এ হবার কথা। এখন যেটা হতে চলেছে সেটা মকশো।
এসবের সত্যাসত্য আমি জানি না। যা শুনলাম সেটুকুই লিখলাম।
আর একটা কারণ হচ্ছে -- বলবো না থাক।বলেই ফেলি।
গন্ধের চোটে করোনা পালাচ্ছে।
প্লেনটাকে পোশাক পরায় নি?-))
আমাদের দেশে তো সব স্টেরিলাইজেশ ন গেট /টানেল বানিয়েছে। একবার তলা দিয়ে বগল তুলে চলে গেলেই জীবাণু মুক্তি।করোনা ফিরেও তাকা বেনা।
সীমিত সংখ্যক যাত্রী ছিল সম্ভবত সোশ্যাল ডিসট্যানসিং এর জন্য। :-)
নন্দীগ্রামের পর গোপাল গান্ধীর মন্তব্য কি আনকন্সটিটিউশনাল ছিল? যদ্দূর জানি সংবিধানের এক্তিয়ারের ভেতরে থেকেই রাজ্যপাল স্টেট গভর্মেন্টের সমালোচনা করতে পারেন। তবে আর্টিকেল ৩৬১ বোধায় রাজ্যপালকে অনেকটা ক্ষমতা দেয় (কোর্টের কাছে আনসারেবল নয় হ্যানত্যান)। এইটে চেক করার জন্য 'রাজ্যপাল ক্যাবিনেটের পরামর্শ ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না' এটার ওপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে স্টেট গভর্নমেন্টকে ক্রিটিসাইজ করা আটকাচ্ছে কি?
ধনখড়ের কেসে ইনি এমনিতেই বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। প্রচুর মিসইউজ অফ পাওয়ার। এবার স্টেটের কিছু করার নেই। ফলে মাঝেমাঝে প্রকাশ্যে ঠোকাঠুকি চলে। কিন্তু বিজেপি ফেডারেল স্ট্রাকচারটার বারোটা বাজাচ্ছে এটা বাস্তব এবং খুবই সিরিয়াস সমস্যা। এটার সঙ্গে গোপাল গান্ধীর কেসটার একদমই তুলনা চলে না।
$%^&* | 162.158.22.33 | ২৩ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৩২
বাঃ! ভালো লাগল।