#রামায়ণ (মহাকাব্য)।
সীতার সতীত্ব হরণ।
রাবণের সন্তানাদি সম্বন্ধে একটি প্রবাদ আছে– “একলক্ষ পুত্র আর সোয়ালক্ষ নাতি, একজন না থাকিল বংশে দিতে বাতি।” আর অপর একটি প্রবাদ আছে–“যাহ কিছু রটে তার কিছু বটে।” প্রবাদবাক্যের লক্ষ পুত্র না হোক তার শতাংশ সত্য হলেও রাবণের পুত্রসংখ্যা হয় এক হাজার এবং তার অর্ধাংশ সত্য হলেও সে সংখ্যাটি হয় পাঁচশ’। আর তা-তো বিস্ময়ের কিছু নয়। জন্মান্ধ ধৃতরাষ্ট্রও ছিলেন একশ এক পুত্রের জনক।
আর রামচন্দ্র? তার পুত্রের সংখ্যা কথিত হয় মাত্র দুটি, বলা চলে একটি। কেননা তারা ছিল সীতার এক গর্ভজাত, যমজ সন্তান। তদুপরি সে পুত্রযুগল জন্মেছিলো রামচন্দ্রের বিবাহের ২৬ বছর পর। (বিবাহন্তে রামচন্দ্র গৃহবাসী ছিলেন ১২ বছর, বনবাসী ১৪ বছর, মোট ২৬ বছর )।
চোদ্দ বছর বনবাসান্তে রামচন্দ্র দেশে প্রত্যাবর্তন করলে প্রজাবিদ্রোহ দেখা দিয়েছিলো। কেননা লঙ্কার অশোক কাননে বন্দিনী থাকাকালে রাবণ সীতাদেবীর সতীত্ব নষ্ট করেছিলেন এবং অসতী সীতাকে গৃহে স্থান দেওয়ায় প্রজাগণ ছিলো ভিষণ অসন্তুষ্ট। তখন রামচন্দ্র প্রজাদের মনোরঞ্জনের জন্য সীতাদেবীকে গৃহত্যাগী করেছিলেন।
সীতাদেবী বন্ধ্যা ছিলেন না এবং উক্ত ২৬ বছরের মধ্যে বনবাসকালের দশ মাস অশোক কাননে রাবণের হাতে সীতা বন্দিনী ছিলেন। এই দীর্ঘকাল রতিবিরতি রামচন্দ্রের বীর্যহীনতারই পরিচয়, নয় কি? বিবাহের ২৬ বছর পর কলঙ্কিনী বলে প্রাথমিক অন্তঃসত্ত্বা সীতাদেবীকে নির্বাসিত করা হয় বাল্মীকির তপোবনে, এই বনে রামায়ণের লেখক, কবি এবং ঋষি বাল্মীকি তপস্যা করতেন। সেখানে জন্ম নেয় সীতার যুগল সন্তান কুশ ও লব।
তবে সীতাদেবীর সতীত্ব রক্ষার জন্য রামায়ণের কাহিনীকার ঋষি বাল্মীকি চেষ্টার কোনো ক্রটি করেননি। যেখানে তিনি লৌকিক অবলম্বন খুঁজে পাননি, সেখানে অলৌকিকের আশ্রয় নিয়েছেন।
অলৌকিকতার দু-একটি উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, বনবাসান্তে রামচন্দ্র স্ববাসে প্রত্যাবর্তন করলে তাঁর বনবাসের বিবরণ তথা লঙ্কাকাণ্ড দেশময় ছড়িয়ে পড়েছিলো। রাম ও সীতা দেশে ফেরার সংগে সংগেই দেশময় সীতাকলঙ্কের কানাকানিও শুরু হয়েছিলো এবং রামচন্দ্র প্রজাদের মনোরঞ্জনের জন্য সীতাদেবীকে গৃহত্যাগী করেছিলেন।
আর একটি অলৌকিকতা হচ্ছে, রাবণের অশোক কাননে সীতার সতীত্ব রক্ষার কোনো অবলম্বন খুঁজে না পেয়ে বলেছেন যে, জোরপূর্বক কোনো রমণীর সতীত্ব নষ্ট করলে রাবণের মৃত্যু হবে, এই বলে কোনো ঋষি তাঁকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। কাজেই মৃত্যুভয়ে রাবণ সীতাকে স্পর্শ করেননি। সুতরাং সেখানে সীতার সতীত্ব বেঁচে আছে।
এর পর ঋষি বাল্মীকি লিখেছেন, বনবাস অন্তে সীতাকে নিয়ে রামচন্দ্র অযোধ্যায় পৌছুলে সেখানে যখন সীতাকলঙ্কের ঝড় বইছিলো, তখন সীতাদেবীকে অগ্নিকুণ্ডে ফেলে তাঁর সতীত্বের পরীক্ষা করা হয়েছিলো, তাতে তাঁর কেশাগ্রও দগ্ধ হয়নি। সুতরাং সীতার সতীত্ব বেঁচে আছে।
তবে কি রামচন্দ্র শুধুমাত্র প্রজাদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রিয়তমা পত্নী সীতাদেবীকে গৃহত্যাগী করেছিলেন? ধর্মপরায়ণ, বীর, ধীর, সুসভ্য, সুকান্ত, জ্ঞানী, গুণী রামচন্দ্র তার ভক্তদের জন্য একটি কঠিন প্রশ্ন রেখে গেছেন।
বুঝলেন গোবরধনবাবু, এক্সপেরিমেন্টাল সেটআপ তো রেডিই আছে। রাস্তায় পুলিশ, লাইনে মালগাড়ি সব রেডি। একবার হেঁটে দেখুন না। মালগাড়ি কত সেন্টিমিটার লম্বা, কত সেন্টিমিটার পুরু, ভরবেগের সংরক্ষণ হচ্ছে কিনা, নিউটনের সূত্র মানছে কিনা সব হাতেকলমে যাচাই হয়ে যাবে।
"দাদা অঙ্ক কী কঠিন" !!!! :))))
খাইসে
WA আইসে!! :)))
হোয়াটস্যাপ ইউনিভার্সিটির প্রশ্নপত্র এসে গেছে। গোবরধনবাবুকে ধন্যবাদ।
এই মালগাড়ীর তলায় 16 জন শ্রমিকের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর চাই:-
1) হাইওয়ে না দিয়ে গিয়ে শ্রমিকরা রেল লাইনের ধার ধরে হাঁটছিলেন কেন ? আপনারা কোন জায়গা হেঁটে যেতে হলে পাকা সড়ক দিয়ে যান নাকি রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটেন ?
2) রেল লাইনের সাইড বরাবর 100 কিলোমিটার হাঁটলেন অথচ একটিও মালগাড়ী বা গুডস ট্রেন চলতে দেখেন নি এটা অবিশ্বাস্য। রেল লাইনের ধার দিয়ে হাঁটার সময় শ্রমিকরা নিশ্চয় একাধিক মালগাড়ী চলতে দেখেছেন। তার পরেও তাঁরা কি করে ধারণা করলেন রেল লাইনের উপরে ঘুমোনো নিরাপদ ?
3) রেল লাইনের উপরে পাথরের টুকরো ছড়ানো থাকে। কোন মানুষ ঘুমোলে রেল লাইনের পাশের জমিতে ঘুমোবেন। রেল লাইনের পাথরের টুকরোর উপরে কেউ ঘুমোবেন না। এক্ষেত্রে এতজন লোক কেন রেল লাইনের উপরে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ?
4) মালগাড়ী পাঁচ কিলোমিটার দূরে থাকলেও রেল লাইনে প্রবল কম্পন হয়। তাতে রেল লাইনে মাথা রাখা লোক অনেক আগেই বুঝতে পারবেন যে ঐ লাইনে কোন ট্রেন আসছে। এক্ষেত্রে এতজন লোক থাকা সত্ত্বেও কেউ কেন সজাগ ও সতর্ক হলেন না ?
যা ঘটেছে তা অত্যন্ত সন্দেহজনক এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন। অনেকের সন্দেহ শ্রমিকদের আগেই খুন করে বা খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে তাঁদের দেহ রেল লাইনে ফেলা হয়েছিল। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত হতে পারে। উদ্দেশ্য লক ডাউনের ফলে মানুষ মারা যাচ্ছেন এটা প্রমাণ করা এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে বদনাম করা। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে লকডাউন তুলতে মরিয়া একটি বিশেষ গোষ্ঠী। তার জানে লকডাউন উঠে গেলে করোনা রোগ দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এটা করতে পারলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে এবং সরকার দিশাহারা হয়ে যাবে। কিন্তু এই চক্রান্ত কোন মতেই সফল হতে দেওয়া যাবে না। লক ডাউন কঠোরভাবে পালন করুন। করোনা থেকে বাঁচার এটাই আপাতত একমাত্র রাস্তা
ঐ অ্যালবার্টের সঙ্গে বিড়ি ফুকে ফেরার পথে। দাদুর খুব বিশ্রী অব্যেস ছিল লোকজনকে ইচ্ছেমত নাম দেওয়ার। অ্যালবার্টকে হরিচরণ বলে ডাকেননি অ্যালবার্টের চোদ্দোপুরুষের ভাগ্যি!
আইনষ্টাইনের সঙ্গে দেখা করে পটসড্যাম থেকে ফেরার পথে । সঙ্গে কালিদাস নাগ। কালিদাস নাগের ভূমিকায় ঋতুপর্ণ অভিনয় করিয়েছেন তাঁরই নাতি অশোক বিশ্বনাথনকে দিয়ে।
কালিদাস নাগের 'কবির সঙ্গে একশো দিন' এ ঘটনা টির উল্লেখ আছে।
শিলাইদহ পর্ব সুন্দর দেখানো হয়েছে এই ছবিতে।
@আকা
আমিও আজ খাসি নামালাম , পান্তুয়া র এক্সপেরিমেন্ট টা ফেল করে কেমন রসবড়া গোছের হয়ে গ্যালো
আচ্ছা যদি কিছু মনে না করেন একটা থিওরিটিক্যাল প্রশ্ন করবো? এই কল্যাটেরাল ড্যামেজ আর চেইন এফেক্ট নিয়ে ?
@আকা
আমি একমত , সরকার অপদার্থতা দেখিয়েছে
একমত যে শ্রমিক মৃত্যু অবাঞ্ছিত ও অনাকাঙ্খিত
কিন্তু এটাও আমার মত যে 'শ্রমিকের রক্তে ওই লাল হলো মোদী র হাত " স্লোগান -- এটাও ওভার সিমপ্লিফিকেশন
সরকার দুঃখপ্রকাশ করেছে , ক্ষতিপূরণ ও দিয়েছে , হ্যাঁ , তাতে একটাও প্রাণ ফিরে আসবেনা, কিন্তু প্ল্যানিং এর অভাব প্রথম বিশ্বের জ্ঞানী লোকেদের মধ্যে ও দেখা গ্যাছে , ছোট দেশ গুলোতে প্ল্যানিং করা সোজা , ওতো গ্ল্যামার , পয়সা , ক্ষমতা নিয়ে ট্রাম্প সাহেব নিজেও ল্যাজে গোবরে. কোনো বিকল্প পার্টি আছে কি এই মুহূর্তে যারা আপনার মনে হয় বেটার প্ল্যানিং করে অবস্থা আয়ত্তে এনে ফেলতো ?
পার্সোনাল এটাক না করে আর আপনার বন্ধুর মতো বাবুলাল এর চাকরির উপদেশ না দিয়ে সোজা উত্তর দেবার জন্য ধন্যবাদ
রান্না র ব্যাপারটা এমনি কৌতূহল হচ্ছিলো , খারাপ লাগলে ক্ষমা চাইছি
ঋতুপর্ণ ঘোষের বানানো রবীন্দ্র তথ্যচিত্র 'জীবন স্মৃতি' দেখলাম মন দিয়ে। রিলিজ করার পরে পরেই দেখেছিলাম।
ভাল লাগল । তবে আনা তড়খড় আমেদাবাদে শুধু রবীন্দ্রনাথের দাড়িতে হাত বুলিয়ে চলে গেল, এটা কেমন হল! আনা, রবিকে English etiquette শিখিয়েছিল। শিখিয়েছিল কথ্য ইংরেজি বলতে । রবি তাকে গান শোনাত পিয়ানো বাজিয়ে আর 'গীতাঞ্জলি'র পাণ্ডুলিপি নিয়ে বিলেত পর্বও বাদ গেল !!
বোলপুরের ব্রহ্ম আশ্রম স্কুলের প্রথম পর্বটিও বাদ ।
@এ
এডভাইস এর জন্যি ধন্যবাদ স্যার , তা বাবুলাল কেন , আপনার কাছে চাকরি থাকলে তাই দিন না , আপনার যা লেখাপড়া র লেভেল নিশ্চয় চাইলেই দু দশজনের চাকরি নিমেষে করে দিতে পারেন
এগুলো তো পুরোনো বস্তাপচা টেকনিক , যুক্তি পছন্দ না হলে পার্সোনাল লেখাপড়া , আই কিউ ইত্যাদি বলে খাপ বসানো
আপনি একটু বোধ হয় ভুল করছেন , আমি বিজেপি র মুখপাত্র নোই , সমর্থক ও নোই , কিন্তু অন্ধ ভক্ত আর অন্ধ বিরোধী দুটোই সমান পরিত্যাজ্য
আপনি আমার যুক্তির ভুল ধরুন আপনার যুক্তিও দিন
এসব বাবুলাল ইত্যাদি লিখে কি achieve করার আছে?