ভারতের বিদেশনীতিতে আর তেমন কোনো বিকল্প নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতে মার্কিনী সৈন্য যে যে জায়গায় ছিল, সেগুলো অনেক কটা তো খালিই আছে, আবার এনে বসিয়ে দেওয়া। ট্রাম্পও এটা দেখিয়ে ভোটে জিতবেন, আমরাও মার্কিন সমকক্ষ হয়ে গেছি বলে ভোটে জিতব। উইন উইন পরিস্থিতি।
না, অশ্ব ঘোষের আগে ঘোড়ারা ডাকত না।
সত্যিই ঐতিহাসিক সময়। এদিকে ইংল্যান্ড আর আমেরিকা কিছুতেই হুয়েইকে 5G নিয়ে ঢুকতে দেবে না। বাকিরা যদি 5G নিয়ে ফেলে, তাহলে তো না নিলেই ক্ষতি। ইইউ কী করছে? মাদ্রিদে বোধ হয় কাজকর্ম শুরু হয়ে গেছে কোথায় একটা পড়লাম।
চীনের ডেট ট্র্যাপ নিয়ে প্রচুর চেঁচামেচি দেখছি, কিন্তু ট্র্যাপ ব্যাপারটা ভালো বুঝতে পারছি না। বরং ওয়েপন অব মাস ডেস্ট্রাকশন ধাঁচের লাগছে।
না বাছা। সীতা এবং গীতা দুইই বাজে। কান টানলে মাথা আসে জানো না?
চাবাহার ভারতের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে মনে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে ভাবিনি। এখন যেটা মজা হচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিনী সৈন্যদের বেরোনোর জন্যেই চীনের হেল্প লাগবে।
ইরান পেয়ে গিয়ে এদিকে চীন থেকে রোম পুরো রাস্তাই তৈরি হয়ে গেল। নিউ সিল্ক রুট।
চীন মার্কিনী ঠাণ্ডা লড়াই পর্বে ইউরোপের দেশগুলোর অবস্থান বেশ দেখার মতো হবে। এদের প্রত্যেকের কালচারাল যোগাযোগ আমেরিকার সঙ্গে, বাণিজ্যিক চীনের সঙ্গে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ঝামেলায় এই মাথাব্যথা ছিল না।
মুশকিল হলো, আমেরিকা বিকল্প হিসেবে কিছু দিচ্ছে না। জাস্ট কিছুই না। ভারতকে না হয় এফ ৩৫ দেওয়ার লোভ দেখানো যায়, পাশে শত্রু দেশ আছে বলে, জার্মানী ইতালি বা স্পেনকে কীসের লোভ দেখাবে? সুতরাং শুধুই হুমকি দিচ্ছে।
চীন অনেক কপাল করে ট্রাম্পের মতো বিপক্ষ পেয়েছে।
কিন্তু এই উত্তাল সময়ে দ্রি কোথায় গেলেন?
কিন্তু ম, গীতার থেকে সীতা অনেক ভালো। :)))
গল্পদাদুর আসর, পল্লীকথার আসর, কৃষিকথার আসর পেরিয়ে গীতাপাঠের আসর... অবশ্য বয়েসও হয়েছে...
হরি হে
দীর্ঘদিন বাদে রঞ্জনবাবুর সঙ্গে এনগেজ হয়েছিলাম। তাঁকে লিখেছিলাম --- গীতা বিবেকানন্দের দান। তার আগে বাঙালির বাড়িতে গীতা থাকতও না, কেউ পড়তও না। তার অন্যতম বড় কারণ বাংলায় নব্যন্যায়ের দাপট চিরকালই বেশি।
তাতে অন্য একজন ফুট কাটলেন --- //অ এলেবেলেবাবু “বাংলদেশে“ গীতার প্রচলন নিয়ে আলোচনা করছেন।//
এহ বাহ্য। লিখেছিলাম --- রামমোহন রায়ের জন্মের আগে ‘ভগবদ্গীতা’ বলে কোনও ‘গ্রন্থ’ দুনিয়ার কোত্থাও ছিল না। না সংস্কৃত, না বাংলা বা ইংরেজি কোনও ভাষাতেই নয়। মহাভারতের অংশ হিসেবে ‘কৃষ্ণ ও অর্জুনের কথোপকথন’ অবশ্য ছিল। কিন্তু আলাদা করে তার গুরুত্ব ছিল না।
তার অর্থ দাঁড়াল --- //গীতার ধ্যানমন্ত্রটা পড়ুন। সেখানেই তো বলে দেওয়া আছে এটা মহাভারতের মধ্যে একটা অংশ। // তো সেটাকে অস্বীকার করল কে?
লিখেছিলাম --- গীতার জন্মদাতা চার্লস উইলকিন্স।
সেটার ব্যাখ্যা করা হল --- //তার জন্য আবার সায়েবসুবোর পাচাটার কি দরকার?// এই বাক্যিটা লেখার আগে সাহেবসুবোদের পা কারা চাটে সেটা জেনে নিয়ে মন্তব্য করলে ভালো হত। কারণ ইভ্যাঞ্জেলিক্যালদের বদমাইশির খবর এ বান্দা কিছু কিছু রাখে আর কি।
খোদ মহেন্দ্রনাথ দত্তর উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম এ প্রসঙ্গে। তো তাকে 'কাউন্টার' করার বাসনায় হাজির হল //নরেন তো নরেন, তার গুরুর কথামৃতে আছে, সাধুর কাছে আর কিছু না থাক একখানি গীতা থাকবে।// হা ঈশ্বর কথামৃতের ইতিহাস তো আরও প্যাঁচালো!
সবশেষে থাকবন্দি সংলাপের নমুনাও থাকল --- //আম্নি আমাদের নিমায়ের দেশের লোক।//
ওই নিমাইয়ের দেশের লোকরাই নব্যন্যায়ের চূড়ায় পৌঁছেছিল একদিন। আর পৌঁছেছিল বলেই বেদান্ত বাংলাদেশে দাঁত ফোটাতে পারেনি।
@ মেহ
এনগেজ করা উচিত নয় তো বটেই , কিন্তু কৌশলী প্রোপাগান্ডা টা কি ? ভোট ব্যাঙ্ক সম্প্রসারণ ?
আকাদা কেমন আছেন ?
আমায় মিস করছিলেন নাকি ?
মশলা জোগাড় হলো ?
ওক্কে
ব্রতীনবাবু, আপনাকে যে কাজটার জন্য অনুরোধ করেছিলাম সেটা কাল আমার হস্তগত হয়েছে। কাজেই আপনার আর অনাবশ্যক পরিশ্রম ও ঝুঁকির দরকার পড়বে না। ভালো থাকুন।
২৭ সেপ্টেম্বর, 'মনে হয়' দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না টানাই ভালো।
রামমোহন রায়ের জন্মের আগে ‘ভগবদ্গীতা’ বলে কোনও ‘গ্রন্থ’ দুনিয়ার কোত্থাও ছিল না। না সংস্কৃত, না বাংলা বা ইংরেজি কোনও ভাষাতেই নয়। মহাভারতের অংশ হিসেবে ‘কৃষ্ণ ও অর্জুনের কথোপকথন’ অবশ্য ছিল। কিন্তু আলাদা করে তার গুরুত্ব ছিল না।
গীতার জন্মদাতা চার্লস উইলকিন্স। তৎকালীন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের আগ্রহে তিনি সংস্কৃত পুঁথি ঘেঁটে মহাভারতের আংশিক অনুবাদ করেন ইংরেজি ভাষায়। সেই আংশিক ইংরেজি পাণ্ডুলিপি ওয়ারেন হেস্টিংসের হাতে এলে তিনি কৃষ্ণার্জুনের কথোপকথনটুকু আলাদা করে একটা বইয়ের পরিকল্পনা করেন। এই বক্তব্যের সঙ্গে খ্রিস্টীয় ধর্মবিশ্বাসের নাকি খুব মিল ছিল। এই ভাবেই হেস্টিংস-উইলকিন্স যুগলবন্দিতে জন্ম হয় ‘ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী’ ‘শ্রীমদভগবদ্গীতা’র।
চার্লস উইলকিন্স বারাণসীতে থাকাকালীন জনৈক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত কালীনাথের সাহায্যে মহাভারত অনুবাদ করেন, যদিও তা শেষ করে যেতে পারেননি। ওই আংশিক অনুবাদে মধ্য থেকে একটা অংশ আলাদা করে ঝাড়াইবাছাইয়ের পর ১৭৮৫ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয় Dialogues of Kreeshna and Arjoon যা পরে Bhagvat-geeta নামে প্রচারিত হয়। এর পর জার্মান, ফ্রেঞ্চ বিভিন্ন ভাষায় তা অনূদিত হয়। বাংলায় অনুবাদও হয় চার্লস উইলকিন্সের করা ইংরেজি অনুবাদ থেকেই।
আর খোদ মহেন্দ্রনাথ দত্ত লণ্ডনে বিবেকানন্দ গ্রন্থে লিখছেন '১৮৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে গীতার বিশেষ প্রচলন ছিল না।' বিবেকানন্দের উৎসাহে হরমোহন মিত্র কালীপ্রসন্ন সিংহের মহাভারত থেকে গীতা অংশটি আলাদা করে নিয়ে মূল ও বঙ্গানুবাদ সমেত ছাপাতে শুরু করেন। 'তাহা হইতে বাংলাদেশে গীতার খুব প্রচলন হইল এবং লোকে সাগ্রহে পড়িতে লাগিল।' সে হিসাবে আমরা গীতা পড়ছি মাত্র ১৩৩ বছর।
বাগান ঠিকই আছে অপু। গরমে গাছরা একটু ম্রিয়মান। তুমি ভালো তো? জল দিয়ে মাকে সাহায্য করছো তো?
ম, এর বাগানের কী খবর? সেদিন দেখলাম গোলাপ । অসাধারণ !!
আজকাল বাচ্চারা আর লুকোচুরি খেলে? অবশ্য কোথায়ই খেলবে...
জানি এলেবেলে এবং বিবেকানন্দ এলেই মুখ সুড়সুড় করবে। কিছু টিপিক্যাল থাকবন্দি শব্দের জাগলারি হবে। তবুও ইতিহাস ইতিহাসই থাকবে, গুরুর মায়াপাতায় দল বেঁধে চিল চীৎকার জুড়লেও তা বদলানো যাবে না।
হুতো, কাল থেকেই কুলথ্থ কলাই। ছোটবেলায় লুকোচুরি খেলার সময় ডেসপারেট হয়ে একবার এক বন্ধু,ঘুমন্ত বাবার কোলবালিশ টেনে দেখতে গিয়েএকটা চড় খেয়েছিলো- এদের দেখে সেই বন্ধুর কথা মনে পড়ে:)