"আপনি মানবেন না কারণ আপনি মুখে ফ্যাদা তুলতে ভালোবাসেন।"
হায় হায় হায়
বাঙালি একটি ভাষিক গোষ্ঠী, সম্প্রদায় নয়। সাম্প্রদায়িক শব্দে মোচড় মেরে লাভ নেই। আপনি মানবেন না কারণ আপনি মুখে ফ্যাদা তুলতে ভালোবাসেন। আজ থেকে দেখছি না। আর 'প্রশান্ত কিশোরের চাকরি গেল' কথাটা দু-দুবার লিখেছিলেন রমিত। বালেরা ওই কিশোরের ধ্যাড়ানোর ট্র্যাক রেকর্ডটা স্মরণে রাখুক।
"পাঁচ টাকায় ডিমভাত যেন অগ্রাধিকার পায়।"
পাবেনা।
কলকাতার টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার বাইরে কোথায় কোথায় ৫ টাকার ডিম্ভাতের দোকান খুলেছে কেউ জানেন? ভোটের আগে ওটিও গরীব- গুর্বোদের জন্য ওটি একটি নির্মম ঢপ ছিল।
প্রশান্ত কিশোর নামের এক বাল বিজেপিকে ডবল ডিজিটের সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখানকার বালশ্রীর মত দুর্জয় কাছাখোলা সাহসীর সঙ্গে তার তুলনাই চলে না।
আপনি দশটা সিট এ বামেরা কতো ভোট পেয়েছে,হিসাব দিলেও মানবো না।কারণ যুক্তির গোঁড়ায় গলদ।
বাঙালি একটি সম্প্রদায়।সর্বদা মাথায় সাম্প্রদায়িকতা ঘোরে।শয়নে ,স্বপনে ও বসনে।
তা,মহাশয়,আপুনি কি বাঙালি নন? আপুনি কোন সম্প্রদায় এর?
এসেম আপনি মওকা বুঝে এসেছেন। অ্যাদ্দিন পাঁচিলে বসে ঠ্যাং দোলাচ্ছিলেন। ইসির রেজাল্ট দেখার পরে এই কথা লিখেছি। প্রমাণ চান? গুণে গুণে দশটা সিটের নমুনা দিলে মেনে নেবেন তো? তাতে তুই বিড়াল না মুই বিড়াল বন্ধ করবেন?
যাঃ বাবা! ভেবেছিলুম এলে সাহেব নিদেন পক্ষে বলবেন - প্রেডিকসান দিয়েছিলুম পয়্লা এপ্রিল! দিনটা ভুল্লে হবে?
এখানে কোনও নিননিছার প্ররোচনায় পা দেব না। লাভ নেই। টাইম পাস করতে হলে অন্যত্র। দুটো দল যারা রাতদিন সাম্প্রদায়িক তাস খেলে যাচ্ছে তারা ছাড়া একটা করে সিট পেয়ে বিধানসভায় গেল আরও দুটো সাম্প্রদায়িক দল। এখনও বাঙালি দাঁত ক্যালাচ্ছে। লজ্জা হওয়া উচিত।
আমি ভাবলাম সেফলোজিস্ট বল লে,সম্মানিত হবেন।সে যাই হোক,বামেরা অনেক কেন্দ্রে বেশি ভোট পেয়েছে বলে বিজেপির আসন সংখ্যা এই নির্বাচনে বেশি বাড়ে নি -- এটি রঙ এনালিসিস।
আহা গো খুব কষ্ট হচ্ছে বলো ।
তুমি বরং ২০২৬এর একটা প্রেডিকশন করে ফেলো। এট্টুস আমোদ হোক।
শুনুন দুনিয়ার কোনও সেফোলজিস্ট, কোনও বাল, কোনও চ্যানেলের প্রি ও পোস্ট পোল অ্যানালিসিস তিনোকে ২১৩ দেওয়ার কথা ভাবতে পারেনি। মমতা নিজে বলেছেন ২০০ না পেরোলে গদ্দাররা বিজেপিতে চলে যেতে পারে। মানে তাঁরও আশঙ্কা ছিল যে ২০০ তিনি পাচ্ছেন না। সেখানে আমি বালস্য বাল। ঝড়ে বক মরার পরে বেকার ফকিরের কেরামতি দেখিয়ে লাভ নেই। আমি যে অন্তত সেই দাবি করব না সেটা সবার আগেই গোটা গোটা অক্ষরে লিখে দিয়েছিলাম।
আর তন্ময় ভটচাজের কথা আমি শুনেছি। বোঁটকা এলিটিজম ও ইসলামফোবিয়ার গন্ধ ছড়িয়েছে সেই বক্তব্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ওসব ফুটো কড়িকে পারানির মাঝি ভাবা বন্ধ করুন দয়া করে।
এই যুক্তির গ্রহণ যোগ্যতা সামান্যই। অন্তত এবারের ইলেকশনের প্রেক্ষিতে। একজন সেফোলোজিস্ট এর এরকম বিশ্লেষণ কেন?
আর বিশুদ্ধ বালের কথা থামান। তথ্য বলছে প্রচুর বিধানসভায় সিপিএম ভালো মতো ভোট না পেলে বিজেপির সিট আরও বাড়ত। কাজেই বামেরা ফুটকি লাগিয়ে রাম মার্কা সস্তা চুটকি ছাড়ান দেন।
আপনাদের দেখলে মাইরি বলছি কষি দিয়ে বাঁধা হাফ প্যান্টুল মনে হয়। একটা দল যারা সাকুল্যে ৪.৭% ভোট পেয়েছে তাদের হয়ে হয় বাতেলাবাজি করেই যান নয়তো তাদের কাঠি কত্তেই থাকেন। এখানে বোধায় কেউ তিনোও নয়, চাড্ডিও নয়। তাহলে দিনরাত এত বগল বাজানোর কী হল? এ মানে স্বামী মরেছে ঠিক আছে সতীন তো বিধবা হল কেস পুরো।
ওদিকে মমব্যান দলবদলুদের স্বাগত জানিয়েছেন। মানে কে যে তিনো ১ আর কে ২ সেটা আজ থেকেই গুলিয়ে যেতে শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে অনর্থক ঝগড়া থামান। নির্দিষ্টভাবে নতুন সরকারের কাছে দশ দফা দাবি তুলুন। কোভিড নিয়ন্ত্রণ, শীতলখুচির উপযুক্ত বিচার এবং পাঁচ টাকায় ডিমভাত যেন অগ্রাধিকার পায়।
অধীর-গনি মিথ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। প্রমাণিত যে ভোটার কারও বাপের নয়। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার সময় এসে গেছে।
পিটি,ভালো তরমুজের শরবত খান।দেহ,মন দুটোই তরতাজা থাকবে।
রুদালীরা একসময়ে সফিউদ্দিনের PDS কে সঙ্গে নিয়ে সদরে কামান দাগতে গিয়েছিল। সেইদলের পুততুন্ডদের এখন অনুবীক্ষণেও দেখা যায় না। তারপরে সুভাষ চক্কোত্তি দল ছাড়বে এই আশায় তারা দিন গুনছিল। সে গুড়ে বালির পরে হেলে-কেউটে ধরা রেজ্জাক মোল্লাকে তারা আশ্রয় করে। তিনি তিনোতে বিলীন হওয়ার পরে রুদালীদের বর্তমান ভরসা তন্ময় ভট্টাচার্য। এই সাক্ষাৎকারের আগে তন্ময় তিনোদের সম্পর্কে যা যা বলেছেন, রুদালীরা সেগুলো -ও বিশ্বাস করেন ও মানেন আশা করি।
ইস কি দুঃখ! থালা, বাটি সাজানো আছে, ভাত দেয় নি গো!
আমি দুধে এক হলো--
আঁটি গড়া গড়ি গেলো।
খুউব খারাপ লাগে।
ভাই-বোনের ঘরেলু ঝগড়ায় কে কার হাতে তামুক খাচ্ছে? "গদ্দার"দের ফিরিয়ে আনার পোক্রিয়া শুরু!!
"‘ফিরে এলে স্বাগত’, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া নেতাদের বার্তা মমতার "
সবজান্তা রাজনৈতিক দিগ্গজরা টা বোঝেনা না যে ভোটার কারোর বাপের নয় কথাটা আসলে দলের নেতাদের দায়িত্ব এড়াবার উপায় করে দেওয়া। কর্মীরা দল ছাড়ল বা অন্য নেতারা, তার দায়িত্ব সেই দলের নেতাদের, একেবারে দলের ওপরের নেতা অবধি। সিপিএম হোক বা তৃণ, দু ক্ষেত্রেই এটি সত্যি কিন্তু সেই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারলে ক্রমশঃ একটি দল কিছু নেতার বাপের সম্পত্তিটে পরিণত হয়, যা এখন হয়েছে। কাজ ফুরোলে কাজি আর প্যাঁইচে পড়লে আমি ভাগি, এই সুবিধাবাদ করে নেতারা একটি দলকে অকর্মণ্য করে তোলে। বোধবুদ্ধিহীন চামচারা তাও নেতাদের ডিফেণ্ড করে করে দলটিকে টঙে তোলার ব্যবস্থা করে দেয়।
পিটি এবং সিপিয়েমের পুঁটিগুলো এখানে নাফাচ্ছে দেখেই বোঝা উচিত তন্ময় ভটচাজ নির্ঘাত সেন্সিবল লোক, ছাগল পন্ডিত নন। এই ওনার বক্তব্য
পিটি ও পুঁটিরা এসব শুনেও ছাগল পন্ডিতি চালিয়ে যাবে। লজ্জা লজ্জা।
বিজেপির হাতে তামুক খেলে মৌতাত জমে বেশি।দুনিয়ার মানুষ কে তখন ছাগল মনে হয়।
"বেশ, আপনি বলুন, আমি শুনি।"
@চোখের মাথা খেয়ে
বেশ, আপনি বলুন, আমি শুনি।
ভোট না দেওয়ার আবার বাহানা কী? যার ইচ্ছে যাকে ভোট দেবে, ভোটার কি কারো কাছে দায়বদ্ধ নাকি?
পার্টি দায়বদ্ধ, ভোটারের কাছে, মানুষের কাছে। কাজ করার জন্য, নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য ও ভরসাযোগ্য করে তোলার জন্যে। সেটা করতে না পারলে জনগন ছাগল ওসব বাহানা দিতে হয়।
ভোটার কেন বাহানা দিতে যাবে!!!
এবার একটু লজ্জা করুন। থামুন। সত্যি সত্যি ভেবে দেখুন ঠিক কি কি কারণে বাম দলগুলি ও কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতি থেকে ব্রাত্য হয়ে গেছে। প্রাসঙ্গিক হতে হলে কী কী করতে হবে। হারের ঝাল ভোটার ও রাজ্যবাসীর প্রতি ঝেড়ে লাভ কিছু হবে না। কিছু করতে হলে নিজেদেরই করতে হবে। জনগণ যে ছাগল সে তো গত দশ বছর ধরেই বলে চলেছেন। আরো একশ বছর ধরে বলে চললেও কি তাতে ক্ষেপে গিয়ে জনগণ বাম দলগুলি বা কংগ্রেসকে রাজ্য রাজনীতিতে ভোট দেবে? দেবে না। ভোট পেতে হলে কী করতে হবে সেটা নিজেদেরই ভাবতে হবে।
যা ২০১৯ শেই নেই হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে এখনো কিসের কচকচি? পবর ভোটার বাপের হোক কিম্বা দাপের, বামেদের নয়। সে আস্লি কিম্বা নক্লি যে বামই হোক না কেন। "সঠিক" বাম-তত্বে সংপৃক্ত পন্ডিতেরা ৪৪ বছর ধরে সেই সিপিএমের কম্বলের এত লোম বেছেছে যে সে কম্বল এখন উধাও!!
রুদালীদের সামনে তাই এখন সুবর্ণ সুযোগ। যতদিন না বিপ্লব হয় ততদিন বাম মনে করে তিনোদের জাপটে ধরুন। পোথম পোথম একটু অস্বস্তি হবে - নতুন জামাইয়ের যেমন শ্বশুর বাড়িতে হয়। আর নামটা এট্টু বদলে নেবেন মনে মনেঃ ....cpi, cpim, cpiml, tmcm। বাত্তো দা তো বলেই দিয়েছেন যে এটি একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিত বুড়োর ঝামেলা বিহীন ব্যক্তিকেন্দ্রিক বাম দল। তিনি নৈবিদ্দির চুড়োয় আর বাত্তোদারা সকলে তাঁর অনুগত আদেশবাহী সৈনিক মাত্র (মার্ক্সের দিব্যি, সত্যি বলেছেন।) তাহলে আর সংকোচ কিসের, সুসিরাও যখন পবর মানুষের কল্কে পেল না তখন এই বটতলাতেই আশ্রয় নিন।
আর একটা উপায় আছে- একটু বক্র যদিও। না থাকা সিপিএমের ফেলে যাওয়া ঔদ্ধত্ব নিয়ে খুব বিব্রত হলে, মাটির মানুষ শ্রীমান দিলুর রগড়ানো ক্লাবে ভর্তি হয়ে যান। হাজার হলেও পব-র ৩৮% রাজনীতি সচেতন মানুষ বামেদের ঔদ্ধত্বে ক্লান্ত হয়ে স্বাদ বদলের জন্য সেই ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। আর এনারাই সেই সিপিএমের ক্ষুব্ধ সমর্থক যাঁরা ফুটকি আশ্রয় করে সদরে কামান দাগছেন। সম্ভবতঃ এই ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গেই রুদালীদের তাত্বিক আলোচনা জমবে বেশী ভাল। দিলুদার রগড়ানি খেতে খেতে সিপিএম কি করিলে কি হইত আলোচনায় কম করে ২০২৪ পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারবেন।
তখন ভেবেচিন্তে, নেই হয়ে যাওয়া দলটাকে ভোট না দেওয়ার নতুন কোন বাহানা তৈরি করলেই হবে।
এক জায়গায় পড়লাম, উত্তর ২৪ পরগণার কোন এক নেতা বলেছে, দলটা এক সংখ্যালঘু নেতার পৈতৃক সম্পত্তি হয়ে গেছে। নাম করা হয়নি লেখাটায় কিন্তু বোঝাই যে কার কথা বলা হয়েছে। গুলি চলার পরে হাসিমুখে যিনি একই সাথে মমতা ও অমিত শাহর পদত্যাগ দাবী করেন, তাদের ঢপের লাইন অনুযায়ী।
কিন্তু ব্যাপার হল, ভোটার কারোর বাপের নয় এরকম এক চালাকিমার্কা কথা শুনেছিলাম, কিন্তু এখন দেখি দলটাই বাপের পকেটে চলে গেল।
দু কান কাটা পণ্ডিতরা এবার নিজেদের পছন্দমতো নতুন এক সেট 'জনগণ' দাবী করবে।