দেখুন সাহিত্যের চেয়ে সিনেমা অনেক বেটার, বিশেষতঃ সেইখানে যেখানে রঞ্জিত মল্লিক বীরদর্পে পদাঘাতে দরজা ভেঙে বলবেন - ওলে তোলা কী করছিস রে?
চাপ আর কোথায়, সবই তো মায়া, মানে মায়াময় অতীত
২০২১-এ স্কুলের ছেলেমেয়েরা গপ্পের বই-টই কী পড়ছে, আদৌ কিছু পড়ছে কিনা, সেটা গুরুত্বপূর্ণ
নাহ, তাহলে চম্পা মিশির আলাদা গল্প। তবে বনফুলেরই। এই ধরণের গল্প বনফুলই লিখতে পারতেন। দুই তিন পাতার মধ্যে বিন্দুতে সিন্ধু।
সে তো চম্পা মিশির! গরীব বলে যৌতুকের টাকা দিতে পারবে না বলে মেয়েটাকে বাতিল করে দিলেন হবু শ্বশুর। সেই মেয়ে সমাজবিরোধী হয়ে গেল। সব ডাকাত, চোর, পকেটমারদের উপরে রাজত্ব করতে লাগল।
না একটা কালো মেয়ে কে নিয়ে গল্প। বাবা মেয়ে দেখে কালো মেয়েকে ঘরের বৌ করে আনবেন বলে কথা দিয়ে আসেন। কিন্তু ছেলে রঞ্জিত মল্লিকের তাকে পছন্দ ন য়। এই নিয়ে বাওয়াল। অনেক ঘটনার শেষে সেই কালো মেয়ে কেই আপন করে নেবে।
তিলোত্তমা গল্পটা তো সেইটা, যেখানে ছবি আঁকছিলেন এক শিল্পী, অনেক মডেল নিয়ে। যার চোখ সুন্দর, সে চোখের মডেল হল, যার চুল সুন্দর সে চুলের মডেল হল ইত্যাদি। এইভাবে ছবিটা আঁকা হল? সেই গল্পটা?
হুঁ, সিনেমা হলে মূল কাহিনিটা অনেকটা বদলে যায় সিনেমায়, সেটা ভালোর দিকে না অন্যদিকে তা অবশ্য পরিচালকের উপরে নির্ভর করে। যেমন ধরো, বিভূতিভূষণের 'কিন্নরদল' গল্পটা, সেটা থেকে সিনেমা হয়েছে, 'আলো' নামে। অনেক বদলে দিয়েছে সিনেমায়।
বা ধরো বনফুলের "তিলোত্তমা"। বোধহ য় দেড় বা দু পাতার গল্প। কিন্তু বনফুলের দাদা বানালেন সেই অসাধারণ সিনেমা। তার নাম ও "তিলোত্তমা"। মান্না দে র সেই চিরনবীন গান "গোলাপের অলি আছে, ফাগুনের আছে বাহার"
সে তো /হিঙ্গের কচুরী" ছোট্ট গল্প তার থেকে নিশিপদ্ম আর অমরপ্রেম এর মতোন দুটো জম্পেশ সিনেমা হল
ব্রতীন, সাগিনা মাহাতো সিনেমাটা যখন বানানো হয়েছিল, হয়তো তখন অসুবিধে ছিল, তাই লেখকের আসল নাম দেওয়া হয় নি ওখানে। রূপদর্শী বলা হয়েছে। সম্প্রতি ইউটিউবে সিনেমার শুরুর দিকতা মানে নামটামগুলো দেখছিলাম। তবে সিনেমা যাই হোক না কেন, মূল গল্পটার তীক্ষ্ণতা সাংঘাতিক। মাত্র কয়েক পাতার একটা ছোটোগল্পের মধ্যে ওভাবে যে অতটা অভিঘাত দেখানো সম্ভব, ভাবতেও পারা যায় না।
তারাশঙ্করের বহু উপন্যাস থেকে সিনেমা হয়েছে।
অথচ তারশঙ্করের "মঞ্জরী অপেরা " র মতো গাবদা বই টা আমি আগে পড়েছিলাম। হালে সিনেমা টা দেখলাম
শক্ত শক্ত আঁতেল বইয়ের কথা শুনলেই মনে হয় বিশাল বিশাল মোষ, দৌড়ে আসছে। ঃ-)
দৌড় দৌড় দৌড়, দৌড়াই আর পিছনে তাকাই, আসছে কিনা এখনও তাড়া করে। ঃ-)
কিন্তু আটোজ, শুধু বাংলা পড়লে হবে ? শক্ত শক্ত ইন্জিরি বই এর নাম বলবে তবেই না লোকে পুছবে? :)))
আগে হয়তো কিছু পড়েছি, সেভাবে মনে নেই। সম্প্রতি পড়ছি "কেউ ভোলে না কেউ ভোলে" :-)
একদম
শৈলজানন্দ মানে কয়লাকুঠির লেখক? নজরুলের বন্ধু ছিলেন যিনি?
অনেক সময় সিনেমা আগে দেখেছি তার পরে বই টা পড়েছি যেমন চৌরঙ্গী , সাহেব বিবি গোলাম,
সাগিনা মাহাতো অসধারণ লেখা। আচ্ছা তুমি শৈলজানন্দ এর লেখা পড়েছো?
ব্রতীন, নতুন কিছু পড়লে? ফেসবুকের রত্নগুহা থেকে কত যে বই পাওয়া যায়। সদ্য পেলাম সাগিনা মাহাতো। একটা সংকলনে। এটা আগে পড়া হয় নি। সিনেমাও হয়েছিল শুনেছি, তবে সিনেমাটা দেখিনি। গল্পটা অসাধারণ। গৌরকিশোর ঘোষের লেখা।
ধুর অরণ্য দা চাপ নাও কেন ?কবি বলেছেন " যা খুশী ওরা বলে বলুক ওদের কথায় কী এসে যায় ?"বুইলে কিনা !! :)))))))
সাইত্য বলতে চোন্দিলের ফিচার পত্তুম। মামার জোশ ছিল আলেদা। আর পানু। আন্দোম্যালাফ্যালা ইস্কুলের পোত্থম বেঞ্চিতে বসা ন্যাকাষষ্ঠি বালকবালিকাদের পাঠ্য ছিল।
Cowin এর মাধ্যমে slot book করার পর কি ওটা ক্যান্সেল করা যায় ?
বি, বেগুনপোড়া, কুমড়োসেদ্ধ আর সয়াবীনের তরকারি কী দিয়ে খেলেন? ভাত না রুটি? সঙ্গে কাঁচালঙ্কা ছিল ?:-)
হুতো যদি বলেন পড়া হয় নি, তবে আমার তো আরোই কিছু পড়া হয় নি। কঠিন কঠিন আঁতেল বইয়ের নাম শুনলেই উল্টোদিকে দৌড় দিই। ঃ-)
হেডলি চেজ, নিক কার্টার এসব ও পড়ে :-)
কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান পত্রিকাও ছিল সেই আমলে। তবে ওই পত্রিকায় ভালো লেখা বলতে ভালো ভালো বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধগুলো। জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য, সূর্যেন্দুবিকাশ করমহাপাত্র ইত্যাদিদের লেখা। বিদেশি কল্পবিজ্ঞানের কিছু ভালো অনুবাদও বেরিয়েছে একসময়। এণাক্ষী চট্টোপাধ্যায়ের করা কিছু অনুবাদ মনে পড়ছে। মাঝে সাঝে কিছু কিছু ভালো মৌলিক কল্পবিজ্ঞানও যে পাওয়া যেত না তা নয়। কিন্তু পত্রিকার সেই রমরমার দিন আর রইল না, এখন তো স্রেফ পুরনো লেখা রিপ্রিন্ট করে করে নাকি পত্রিকা চলছে অনিয়মিত ভাবে।
আমি অবশ্য অনেক পড়েছি, কিন্তু দুঃখের কথা হলো সেসব সাহিত্য নয়। বাংলা আর ইংরেজি পানু পড়েই সময় নষ্ট করেছি, দেরিদা নেরুদা সারদা কিছুই পড়া হয়নি :-(
সাহিত্যের সাথে রাজনীতির যোগাযোগ তো আছে - মহাশ্বেতা দেবীর 'হাজার চুরাশির মা' স্কুলকালেই পড়ছি, সুভাষ, বীরেনের কবিতা বা মানিক বন্দ্যো পড়ছি
যারা আমেলা পড়ে, তারা অন্য কিছুও তো পড়ে :-)
এখন অবিশ্যি শুনি এত পড়ার চাপ আর সোশাল মিডিয়া - স্কুলে পাঠ্যের বাইরে ছেলে মেয়েরা নাকি তেমন কিছু পড়ার সময় পায় না। আশা করি ভুল শুনি
আচ্ছা সিএস মানে সৈকত 2 তো? তোমাকে তো আমি বিলক্ষণ চিনি। একবার ব্যাটেবলে
হয়েছিল তো। আমি, তুমি, দেবু, দেবুর মেয়ে, স্যান আর অর্পণ। তাই তো নাকি?