ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে জনৈক যুবক হাতে বিলিতি ব্ল্যাক কফির মাগ নিয়ে আর্মির উদ্দেশেঃ দেখুন, আপনারা গাছটা এইভাবে কাটুন, এতে গাছের পৌষ্টিকতন্ত্র অক্ষত থাকবে। আর পাতাগুলোকে এইভাবে ছাঁটবেন, তাতে পাতার নার্ভাস সিস্টেমের কোন ক্ষতি হবে না। রাস্তাটা যখন পরিষ্কার করবেন, তখন এইভাবে ঝাঁট দেবেন, তাতে রাস্তার হার্ট আর লাংস ভাল থাকবে। আর সবথেকে ইম্পর্ট্যান্ট, ইলেকট্রিকের তারে কানেকশন দেওয়ার সময় গ্রিডের ব্যালেন্সটা সবার আগে ক্যালকুলেট করবেন। এই সবগুলোর ওপর কিন্তু করোনার প্রতিরোধ নির্ভর করছে।
আর্মি বিরক্ত হয়েঃ এ ভাই তুই কে রে? তখন থেকে এইসব ভাট বকছিস?
যুবকঃ আমি বা আমরা অন্যসময় আপনাদের রেপিস্ট বলি বা আমাদের বাবারা আপনাদের মারলে, সেলিব্রেট করি, কিন্তু এখন সিঙ্গল মল্টের স্টক শেষ, গাছগুলো না সরালে যেতে পারছি না। ঝড়ের জন্য ঘরটাও ফাঁকা নেই যে লেনিন বোঝাতে কোন মামণিকে ডাকব। আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাকবুক সবের চার্জ শেষ। ফেসবুকে সর্বহারার শ্রেণী সংগ্রামের স্বার্থে পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ন্যারেটিভগুলোও নামাতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে আপনাদের কাজ তদারকি করতে হচ্ছে।
আর্মিঃ কে বলেছে তোকে আমাদের কাজ তদারকি করতে?
যুবকঃ আমাদের বলতে হয় না। আমরা যেচেই সব ব্যাপারে জ্ঞান ফলাই। সব বিষয়ে আমরা সব জানি।
আর্মিঃ তার নমুনা তো দেখতেই পাচ্ছি। তা তুই কে? যুবকঃ আপনাদের ওসব বোঝার যোগ্যতা নেই। আগে আমাদের এলিট ইউনিভার্সিটির আর্টসে চান্স পেয়ে দেখান। তারপর কথা বলবেন। যান, আগে পড়াশোনা করে আসুন।
আর্মিঃ তাহলে গাছ কাটবে, তার জুড়বে আর রাস্তা পরিষ্কার করবে কে? তুই?
যুবকঃ ওসব ছোটলোকের কাজ আমরা করিনা। যাই, ভেতরে যাই। ভারতের টুকরো করে, স্বাধীন বাংলাস্তানের আজাদীর দাবীতে থিসিস নামাতে হবে।
আর্মিঃ এখানে এইসব স্যাম্পেলদের এইভাবে ঘরে, রাস্তায় খোলা ছেড়ে রাখে? কী জানি বাবা। নাও, হাত লাগিয়ে কাজ করো। অনেক কাজ বাকী।
যখন রাজ্য আয়ুষ্মান প্রকল্প থেকে নাম তুলে নিয়েছিল তখন আপনাদের একবারও রাজ্যের দরিদ্র মানুষগুলোর কথা মাথায় আসেনি।মোদীর বিরোধিতা করে করছে যখন ঠিকই আছে ভেবে এড়িয়ে গেছেন।
রাজ্যের কয়েক লক্ষ কৃষক যখন মাননীয়ার রাজনৈতিক ইগোর কারণে কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছিলো তখনও আপনাদের মনে হয়নি একের পর এক প্রকল্প থেকে সরে এসে আমরা আস্তে আস্তে এদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি।মোদীর বিরোধিতা করছে তো ঠিকই আছে বলে আবার এড়িয়ে গেছেন।
ভোটের আগে উনি যখন ফনি পরবর্তী বৈঠকে যাওয়ার আগে বলেছিলেন "কে প্রধানমন্ত্রী আমি মানিনা" তখন আপনি আহা! কি দিচ্ছে বলে হাততালি দিয়েছেন।
এছাড়াও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজ্যে ঢুকতে বাধা দেওয়া,বিরোধী দলের নেতা হওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যে ঢুকতে না দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক সময় আপনারা বসে বসে মজা নিয়েছেন।
আর আজ হঠাৎ আপনাদের মনে পড়ে গেলো, দেশ আমাদের দেখছেনা,আমাদের আলাদা করে দিতে চাইছে কেন্দ্র,আমরা এদেশেরই নয়!!
"একলা চলো রে " ট্যাগলাইন দিয়ে ফুটেজ খাওয়ার আগের ঘটনা গুলোর দিকেও একই গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হতো।কিন্তু সেটা তো আপনি করবেননা।কারণ বিরোধিতা করাই যেখানে মূলমন্ত্র সেখানে সাধারণের জীবন,প্রয়োজন,রাজ্য,দেশ সবকিছুই তো তুচ্ছ।
@atoz da
এই না হলে রেভলিউশনারী বেরেন
আরে আমি তো বোকার মতো M থিওরি ফলো করে euclydian hyper স্পেস দিয়ে পুর ঢোকানোর চেষ্টা করছিলাম . অনেকটা GAT চুক্তির সমাধানে কারাত সাহেবের মতো
এইবার পেয়েছি ফর্মুলা
আজ সিঙ্গারা বেচারা পালিয়ে যাবে কোথায়
Atoz da
সিঙ্গারা র রেসিপি টা আপনি একটু দিন না স্যার
কিছুতেই পারিনা , খালি মনে হয় তিন দিক বন্ধ হলে পুর ভেতরে যাবে কি করে?
ওরেবাবা লোপ্পা ফুল টস যে , পান্তুয়ার মতো রস টসটস টস করছে একবারে
হেঁ হেঁ
কুলীন কাক চেনা র গপ্পো হোক তবে
যেই না দেখি শ্যাওড়া গাছের বাম দিকের (?) ডাল এ বসে
কা আকা আ আ বলে ডাকছে
সংগে সঙ্গে ওই ডাক শুনেই বুঝেছি এ কাক জাত কুলীন কুলচূড়ামনি , নাহলে স্যাঙাত খোঁজে নাকি?
ধরলাম ব্যাটা কে জাপ্টে
যাকগে , মাংস কেমন ছিল বললেন না ? আর পান্তুয়া মাখার সময় কি খাবার সোডা মেশাবো একটু ?
প্রণামান্তে
দাসানুদাস
#হেলিকপ্টারের কামরায় হঠাৎ দেখা,
ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন৷
আগে ওকে বারবার দেখেছি #নীল_সাদা_তাঁত শাড়িতে-
ডালিম ফুলের মতো রাঙা, আজ পরেছে #সাদা_এন৯৫_মাস্ক
#হাওয়াই_চটি_পড়েছে_পায়ে, দোলন-চাঁপার মতো চিকন-গৌর মুখখানি ঘিরে৷
মনে হল, #গেরুয়া রঙে একটা গভীর দূরত্ব, ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
যে দূরত্ব, #রাজভবনের শেষ সীমানা থেকে #নবান্নের_১৪তলায়
থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা, চেনা লোককে দেখলাম অচেনার গাম্ভীর্যে৷
হঠাত্ #NRC_CAAর কাগজ ফেলে দিয়ে আমাকে করলে নমস্কার৷
সমাজবিধির পথ গেল খুলে, আলাপ করলেন শুরু- 'কেমন আছ', কেমন চলছে #রাজনীতি' ইত্যাদি৷
সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে যেন কাছের-দিনের-ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে৷
দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব, কোনোটা বা দিলেই না৷
বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায়- কেন এ-সব কথা, আর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা৷
আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে #অপমানিত_পদ্মপালের সঙ্গে৷
এক সময় আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে৷
মন এ হল সাহস কম নয়- বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে৷
#হেলিকপ্টারের আওয়াজের আড়ালে বললে মৃদুস্বরে, 'কিছু মনে কোরো না, সময় কোথা সময় নষ্ট করবার৷
আমাকে নামতে হবে #কলকাতা_এয়ারপোর্টে, #ওড়িশা যাবে তুমি, দেখা হবে না আর কোনোদিনই৷
তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে, শুনব তোমার মুখে৷
সত্য করে বলবে তো? আমি বললেম, '#জয়_শ্রী_রামের_দিব্ব্যি_বলব৷'
বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
'আমাদের গেছে যে #কেন্দ্রীয়_প্যাকেজ একেবারেই কি গেছে- কিছুই কি নেই বাকি?
একটুকু রইলেম চুপ করে, তারপর বললেম, '#রাজ্যের_সব_প্রাপ্য_টাকাই_আছে_মালিয়া, #মেহুল_মুকেশ_ভাইদের_সুইস_অ্যাকাউন্টে৷'
সেসব হিসেব করেই তো একদম খঁআটি কুলীন কাক জোগাড় করা হয়েছে , পাতিকাক রামকাক সব বাদ
মাংস কেমন হয়েছিল ? নামাবার আগে ওপরে একটু সরষের তেল আর গরম মশলা ছড়িয়ে ছিলেন তো ? শেষ পাতে কি পান্তুয়া ছিল ?
বেড়াল তো দেখছিনা কাছে পিঠে , কুলীন কাক হলে হবে ? মাংস কি খাসি না চিকেন ?
ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে জনৈক যুবক হাতে বিলিতি ব্ল্যাক কফির মাগ নিয়ে আর্মির উদ্দেশেঃ
দেখুন, আপনারা গাছটা এইভাবে কাটুন, এতে গাছের পৌষ্টিকতন্ত্র অক্ষত থাকবে। আর পাতাগুলোকে এইভাবে ছাঁটবেন, তাতে পাতার নার্ভাস সিস্টেমের কোন ক্ষতি হবে না। রাস্তাটা যখন পরিষ্কার করবেন, তখন এইভাবে ঝাঁট দেবেন, তাতে রাস্তার হার্ট আর লাংস ভাল থাকবে। আর সবথেকে ইম্পর্ট্যান্ট, ইলেকট্রিকের তারে কানেকশন দেওয়ার সময় গ্রিডের ব্যালেন্সটা সবার আগে ক্যালকুলেট করবেন। এই সবগুলোর ওপর কিন্তু করোনার প্রতিরোধ নির্ভর করছে।
আর্মি বিরক্ত হয়েঃ এ ভাই তুই কে রে? তখন থেকে এইসব ভাট বকছিস?
যুবকঃ আমি বা আমরা অন্যসময় আপনাদের রেপিস্ট বলি বা আমাদের বাবারা আপনাদের মারলে, সেলিব্রেট করি, কিন্তু এখন সিঙ্গল মল্টের স্টক শেষ, গাছগুলো না সরালে যেতে পারছি না। ঝড়ের জন্য ঘরটাও ফাঁকা নেই যে লেনিন বোঝাতে কোন মামণিকে ডাকব। আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাকবুক সবের চার্জ শেষ। ফেসবুকে সর্বহারার শ্রেণী সংগ্রামের স্বার্থে পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ন্যারেটিভগুলোও নামাতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে আপনাদের কাজ তদারকি করতে হচ্ছে।
আর্মিঃ কে বলেছে তোকে আমাদের কাজ তদারকি করতে?
যুবকঃ আমাদের বলতে হয় না। আমরা যেচেই সব ব্যাপারে জ্ঞান ফলাই। সব বিষয়ে আমরা সব জানি।
আর্মিঃ তার নমুনা তো দেখতেই পাচ্ছি। তা তুই কে?
যুবকঃ আপনাদের ওসব বোঝার যোগ্যতা নেই। আগে আমাদের এলিট ইউনিভার্সিটির আর্টসে চান্স পেয়ে দেখান। তারপর কথা বলবেন। যান, আগে পড়াশোনা করে আসুন।
আর্মিঃ তাহলে গাছ কাটবে, তার জুড়বে আর রাস্তা পরিষ্কার করবে কে? তুই?
যুবকঃ ওসব ছোটলোকের কাজ আমরা করিনা। যাই, ভেতরে যাই। ভারতের টুকরো করে, স্বাধীন বাংলাস্তানের আজাদীর দাবীতে থিসিস নামাতে হবে।
আর্মিঃ এখানে এইসব স্যাম্পেলদের এইভাবে ঘরে, রাস্তায় খোলা ছেড়ে রাখে? কী জানি বাবা। নাও, হাত লাগিয়ে কাজ করো। অনেক কাজ বাকী।
তিব্বত পেরিয়ে গেলাম তো , কোথায় আকা দা র পান্তুয়া , দিন না দাদা গরিব কে রেসিপি টা
দাসানুবৎ
@akada
দাদা র রসবোধ বলে কথা, কি দিলেন