ওহো তাহলে আমি একদম ভুলে গেছি। দুটো মিলে ঘেটে গেছে। <b আর T
:))))
< PT দা, HS এ কান ঘেষে পাস কেমেষ্ট্রি তে পাস করছি । :((((
লালিমা পাল!! কেউ পরশুরাম রচনাসমগ্র নিয়ে ব কে তাড়া করো।
লোকেশ্বরানন্দের উপনিষদের দুই খণ্ড আছে, জমেনি। এখন ইনস্টিটিউট অফ কালচার যে 'বেদগ্রন্থমালা' সিরিজটা বার করছেন, তার উনিশ আর কুড়ি নম্বর খণ্ড হল প্রধান আর অপ্রধান উপনিষদ। সুন্দর প্রাঞ্জল অনুবাদ। তবে 'হরফ' দারুণ।
আর উপনিষদ নিয়ে কাউকে ঘায়েল করতে হলে তাকে পড়াতে হয় শ্রী অনির্বানের উপনিষদ প্রসঙ্গ, বর্ধমান ইউনি থেকে প্রকাশিত। এমন সুললিত সুন্দর বাংলা, পাতার পর পাতা পড়েও কিসস্যু উদ্ধার হয়না। ছুরি কাঁচি হাতুড়ি রাইফেল বোমা সব কিছু মেরেও একটুও দাগ ফেলা যায়না। দুটো সলমন খানের সিনেমা ব্যাক টু ব্যাক না দেখলে পার্মানেন্ট মাথা খারাপ হয়ে যায়।
"আদপে অনুবাদগুলি কেমন কে বলতে পারে? তাহলে এ ক্ষেত্রে তো অসুবিধে হয় না !!"
অনুবাদ যদি কেবল আভিধানিক হত, তাহলে এক রকম হত। কিন্তু সেরকম তো ঠিক হয় না। তাছাড়া সব অনুবাদ ঠিক আক্ষরিক করাও যায় না। তাছাড়া ইংরেজীর বেশ কিছু syntactic বৈশিষ্ট্য থাকে যে ব্যাপারটা সব ভাষা (যেমন বাংলায়) ঠিক মত ম্যাপ করা সব সময় সম্ভব হয় না। তার ওপর ইংরেজীর স্থানীয় ভাষার idiom এর একটা ব্যপার থাকে যেগুলো লোকালি না জানা থাকলে তর্জমা করা সম্ভব নয়। যার জন্য ভাষা না জানা থাকলে অনুবাদ পড়ে একরকমের রূপকল্প হয় (গল্প/উপন্যাসের ক্ষেত্রে), যে ভাষা থেকে অনুবাদ করা হচ্ছে সে ভাষা জানা থাকলে, বিশেষ করে পরিস্থিতি/দেশকাল সম্বন্ধে অবহিত হলে আরেক রকম উপলব্ধি। এটা ঠিকই যাঁরা অনুবাদগুলি কেমন মূল লেখাটির সঙ্গে মেলাতে অক্ষম তাঁদের অসুবিধে না হওয়াই স্বাভাবিক, কারণ তাঁরা অনুবাদটিই মূল বা মূলানুগ বলে ধরে নেন, তাতে আক্ষরিক আপেক্ষিক যে কোন অনুবাদই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যাঁরা দুই ভাষাতেই সমান দক্ষ, বিশেষ করে যাঁদের ভাষার সূক্ষ্ম দিক, ইডিয়ম, বা বহুমাত্রিকতার প্রতি নজর থাকে, তাঁদের কাছে, অনুবাদ যথাযথ না হলে গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে সমস্যা দেখা দেয়, যার জন্য অনুবাদ ব্যাপারটা বেশ জটিল |
সাহিত্যের ক্ষেত্রে না হয় একরকম, অন্যান্য ক্ষেত্রে আরো গোলমেলে। শুধু অনুবাদের তারতম্যে যে কি সাংঘাতিক অর্থ বদলে গণ্ডগোল হতে পারে, তার চূড়ান্ত নিদর্শণ সম্ভবত নিউজিল্যাণ্ডের ওয়াইটাঙ্গি চুক্তি । তার ইংরিজি ভাষ্য আর মাওরি অনুবাদ, দুটো ভারসান সম্পূর্ণ দুরকমের অর্থ বহন করে। মূল অনুবাদের সঙ্গে মাওরি অনুবাদের reverse translation মিলিয়ে দেখলে দুটো দুরকম তাৎপর্য বহন করে। এই নিয়ে ১৮৪৭ সাল থেকে মাওরী ইংরেজে সাংঘাতিক রকমের বাদানুবাদ, বিবাদ বিসম্বাদ চলে আসছে। এবং ট্রানসলেশানের এই গোলমালের সুযোগ নিয়ে ইংরেজ বছরের পর বছর মাওরী সম্পত্তি, জমি-জিরেত দখল করে গেছে।
বাংলা ্ থেকে ইংরেজি অনুবাদে আমাদের অনেক আপত্তি তার একটা বড় কারণ, আমরা মূল ভাষাটি জানি এবং তার সাহিত্য সৃষ্টি রসগ্রহণ করতে পারঙ্গম । কিন্তু ইউরোপীয় ভাষা থেকে যেসব মহৎ সাহিত্য ইংরেজিতে বা বাংলায়ও অনুদিত হয় সেসব কিন্তু অবলীলাক্রমে পড়ি, গ্রহণ করি এবং তারিফও করি !
দান্তে, সারভেন্টিস, হুগো, ক্যামু, ফাফকা সবই তো অনুবাদে পড়ি । শুধু পড়িইনা, সেসব সাহিত্য খাতিরে আদর্শ হয়ে যায় । সেসবের দ্বারা প্রভাবিত হই । আদপে অনুবাদগুলি কেমন কে বলতে পারে? তাহলে এ ক্ষেত্রে তো অসুবিধে হয় না !!
"আচ্ছা, কবিতার বই "এসেছি জলের কাছে" কে "Come Near Water বলে অনুবাদ করেছে কেন? এ তো "জলের কাছে এসো" হয়ে গেল! তাই না?"
তাছাড়াও, "জলের কাছে" কে "Near Water" বলে অনুবাদ করাটাও কিরকম লাগছে। এ সেই "pumpkin লাউ কুমড়ো ploughman চাষা" টাইপের অনুবাদ (এখানে অবশ্য উল্টো ডিরেকশনে) । এ রকম অনুবাদ কে করেছেন?
আঁচলের অনুবাদ কেতকী কুশারী করেছিলেন 'cloth end' ।
না ন্যাড়াদা, প্রফেশনাল কারণে নয়। :)